সেদিন কি বার ছিল মনে - TopicsExpress



          

সেদিন কি বার ছিল মনে নেই,তবে পূর্ণিমা ছিল..... পূর্ণিমার আলোতে রাত গভীর হতে পাড়ছিল নাহ। তবে পূর্ণিমা ছাড়াও আরো আলোকিত কয়েকজন সেখানে ছিল। তারা নয় দশজন। তারা মানব প্রজাতির...।। নাহহ তারা মানব ছিলেন এখন তারা অন্য জগতে থাকেন। মানুষ গুলো সামরিক পোশাক পরে এসেসেন।তারা দল বেধে সবাই দেখে যেতে এসেছেন তাদের রক্তে গড়া দেশটাকে ... তাঁদের সাতজন শহীদ হয়েছেন ৭১ এ...।। তরুণ একজন বৈমানিক ছাড়া সবাই তাঁদের প্রিয় মাটিতে শেষ নিঃশ্বাস নিতে পেরেছিলেন, নীল পোশাকের মানুষ গুলো বরাবরি খারাপ কপালের এদিক থেকে...।। তরুণ বৈমানিকটার খুব ইচ্ছা মিলি আর মাহিন তুহিন কে দূর থেকে দেখে যাবেন।মিলির কাস থেকে শেষ বিদায় নেওয়া হয়ে নি...।। মানুষগুলুর কাছে সময় কম।। একটা রাত মাত্র তবে জগত আজ রাতে তাঁদের দিয়েছে আলোর থেকেও বেশি গতি।না দিয়ে বা উপায় কি!!! মানুষগুলু এম্নিতেও আলোর থেকেও আলোকিত...।। স্যার, চলেন সোহরাদ্দি উদ্দান থেকে ঘুরে আসি??? তরুণ বৈমানিক দলটার সবচেয়ে সিনিয়র অফিসার আর তাঁদের দলনেতা জি এম গণি ওসমানীকে বলনেন। স্যার আমি বলি কি চলেন বঙ্গভবন থেকে ঘুরে আসি ? যিনি কথাটা বললেন এই বীর দলটার সবচেয়ে কম বয়সের।মাত্র আঠার বছর বয়সে শহীদ হওয়া হামিদুর রহমান সাত জন বীর শ্রেষ্ঠ পদকপ্রাপ্ত শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। এই বীর ধলই সীমান্তে ৭১ আর ২৮ অক্টোবর গ্রেনেড চার্জ করতে গিয়ে গুলিবিদ্দ হন। তাঁর দায়িত্ব ছিল গ্রেনেড চার্জ করে পাকিস্তান শিবিরের মেশিনগান দুটা অকার্যকর করা।গুলিবিদ্দ অবস্থাতেই তিনি মেশিনগান পোস্টে গিয়ে সেখানকার দুই জন পাকিস্তানী সৈন্যের সাথে হাতাহাতি যুদ্ধ শুরু করেন। এভাবে আক্রণের মাধ্যমে হামিদুর রহমান এক সময় মেশিনগান পোস্টকে অকার্যকর করে দিতে সক্ষম হন। এই সুযোগে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মুক্তিযোদ্ধারা বিপুল উদ্যমে এগিয়ে যান, এবং শত্রু পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করে সীমানা ফাঁড়িটি দখল করতে সমর্থ হন। কিন্তু হামিদুর রহমান বিজয়ের স্বাদ আস্বাদন করতে পারেননি, ফাঁড়ি দখলের পরে মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ হামিদুর রহমানের লাশ উদ্ধার করে। কি কাজ তোমার বঙ্গভবন এ!! অবাক হয়ে বললেন আর এক বীর কর্নেল তাহের... এই কর্নেল শুধুমাত্র দেশের স্বাধীনতার জন্য তরুণ বয়েসে যোগ দেন সেনাবাহিনীতে। পরে অবশ্য সেনাবাহিনী হয়ে পা হারানো এই বীর এর সব। কিন্তু আফসুস এই বীরকে নিজ দেশে ঝুলতে হয়েছিল ফাঁসির কাষ্ঠে। না মানে স্যার ... এমনি স্যার । প্রেসিডেন্ট বাসভবনটা দেখার ইচ্ছা খুব। লজ্জিত গলাতে উত্তর দিল দেশ সেরা এই বীর কিশোর। মিথ্যা কেন বলছ!! দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন ইঞ্জিনরুম আর্টিফিসার রহুল আমিন ... এই আর্টিফিসার মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও ত্যাগ করেন নি নৌ তরী পলাস এর ইঞ্জিন রুম। শেষে তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়ে রূপসা নদীতে। স্যার, বলেন দেশটার জন্য প্রাণ টা দিলাম... এর আজ দেখেন আমাদের কেও মনে রাখল না! বলে উঠলেন এর এক বীর সিপাহি মুন্সি আবদুর রউফ। বছরে কোটি কোটি টাকা খরচ করে বেহুদা কাজে, অথচ আমাদের জন্ম বা মৃত্যু বার্ষিকীতে একটা ছত খাত মিলাদ ও হয়ে নাহ রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে! আমি মুন্সি আব্দুর নিজে দায়িত্ব নিয়ে আমার ইউনিট এর সব সৈনিকে নিরপদে সরিয়ে দিলাম। শেষমেশ একটা কামানের গোলা এসে লাগলো কাঁধে। আমার কবর হল রাঙামাটির নানিয়ার চড়ে। কয়জন জানে!! heii!!! my soldiers ... you are on the uniform or off uniform.. you all soldier are all the time for the country!!!! never be greedy about respect ! respect will come and knock your door. ignore it.. এতক্ষণে গলার স্বর শোনা গেল পৃথিবীর এক মহান সেনাপ্রথানের... জি এম ওসমানী তাঁর নাম। এই সেনাপ্রধান পান নি তাঁর প্রাপ্ত কোন রাষ্ট্রীয় সম্মান। তাঁর জীবদ্দশাতেও না মৃত্যুর পরেও না। ইয়েস স্যার...... যে মানুষটি সেনাপ্রধান এর কথাতে সম্মতি জানালেন্তিনি হলেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর। তিনি একজন captain.তাঁর বিমান বাহিনীতে চাকরী করার ইচ্ছা ছিল। কিন্ত চোখের অসবিধার জন্য পারেন নি। এই বীর মানব বিভিন্ন রণাঙ্গনে অসাধারণ কৃতিত্ব দেখানোর কারণে তাঁকে রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ দখলের দ্বায়িত্ব দেয়া হয়। স্বাধীনতার ঊষালগ্নে বিজয় সুনিশ্চিত করেই তিনি শহীদ হয়েছিলেন। ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরকে চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার ঐতিহাসিক সোনা মসজিদ আঙিনায় সমাহিত করা হয়। তাই বলে স্যার , আমাদের পরিবারের ও খোঁজ নিবে নাহ!! যিনি এই কথা বললেন ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল জেলার মহিষখোলা গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারে তিনি জন্মগ্রহন করেন। তাঁর নাম নূর মোহাম্মদ শেখ ।এই বীর সিপাহী রণক্ষেত্রে পরিচয় দেন এক বিশাল মহত্তের। নিজে ঝুকিতে থেকেও বাঁচাতে চান তাঁর বুন্ধ গুলিবিদ্দ নান্ন মিয়াকে! দেশ আর বন্ধুর জন্য এই বীর বেছে নেন করুণ মৃত্যু। এই বীরেরা এখন ক্রিওকাদং পাহাড়ে। এখান থেকে পুরো দেশটাকে এক নজরে দেখছেন তাঁরা।এখন তাঁদের সাথে এসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এর তরুণ লেফটেন্যান্ট । এই তরুণ পেট্রোল অফিসার তাঁদের দেখে বিভান্ত্র। এই অফিসার এক নাগাড়ে দেশের উন্নতি নিয়ে বলে যাচ্ছেন এই বীরদের কাছে। এদিক এ বীরদের চলে যাবার সময় এসে গেছে। ভোরের আল ফোটতে জে এর দেরি নেই।তারা সামরিক নিয়মএ জি এম ওসমানী কে দলের সামনে রেখেছেন। hei young man!!!! answer me . what you will prefer ? die for country or respect? জি এম ওসমানী প্রশ্ন করলেন তরুণ অফিসারকে... লেফটেন্যান্ট উত্তর দিবের আগেই সেনাপ্রধান বললেন পারতো এমন কিছু কর যা টিকে থাকবে আজীবন.........।
Posted on: Fri, 18 Oct 2013 12:16:28 +0000

Trending Topics




© 2015