সংসদ ভবনের সামনে........ এই - TopicsExpress



          

সংসদ ভবনের সামনে........ এই জায়গাটার প্রেমে পড়েছি বলা যায়... চুপচাপ একাএকা বসে থাকতে কেমন জানি অদ্ভুত এক ভালোলাগা কাজ করে! কেন জানি না। আজ কাল অনেক কিছুই ভাল লাগে বিনা কারণে..... অন্ধকারটা ভাল লাগে .... আবছা আলোতে তোলা একটা ছবি বারবার দেখতে ভাল লাগে..... পাশে বসে থাকা আংকেল আন্টির ঝগড়া দেখতে ভাললাগে... ঝগড়ার কারণ হল হঠাত করে আন্টি যখন উপুত হয়ে ফুটপাতে পরে গেছে আংকেল তখন উচ্চস্বরে হাসায় মশগুল ছিলেন! :v xD একি কম বড় অপরাধ? :p এখনো যে আন্টি আংকেলকে ওভেনে ঢুকাইয়া ফ্রাই করে ফেলে নাই সেইটা তার ১৪ পুরুষের কপাল ভাল! :p অন্য কেউ হইলে তো ফুটপাতেই শ্রেষ্ঠ কালের স্বরণ(!) ধোলাইটা দিয়ে দিত! :p হ্য্য্যাঁ কারো ফুটপাতের উপর উপুত হয়ে পরে যাওয়ার দৃশ্যটাও দেখতেও ভাল লাগে...... পরে যেতেও ভাললাগে....... মেঘাচ্ছন্ন অন্ধকার আকাশটাকেও দেখতে ভাল লাগে ........ গাড়ির চাকার সাথে উড়তে থাকা পাতাটাকে দেখতেও কেমন জানি ভাল লাগা কাজ করে..... ^_^ সে যাই হোক! অতশত বলে কোন লাভ নেইই। সল্পদিনের গড়ে ওঠা অভ্যাসটার (হয়ত বদঅভ্যাস) কারণে সংসদ ভবনের সামনে বসে আছি। আকাশে মেঘ! এই জায়গায় বৃষ্টিতে ভেজার মজা যে একবার পেয়েছে সেই বুঝেছে। সেই জন্যই হয়ত বসে ছিলাম। কানে Linkin Park ... And this promises broken.. Deep below.. Each word gets lost in the Echo.... এই গানটা। ফুল ভলিউমে! আমার কানটার সহ্য ক্ষমতা মাশাল্লাহ! বসেই আছি! মাথাটা বলা যায় মোবাইলের ভিতর! Android নিয়ে পড়াশোনা করচেছিলাম Google এ! কয়েকদিন ধরেই করতেছি। হঠাত করে মোটা সাদা একটা হাত মোবাইল আর চোখের মাঝখানে। :o দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা! চুটকি ফুটানো যাকে বলে! চমকাইয়া উঠছিলাম মাইরি! হাতের শিকড়টা খুজতে বাম পাশে তাকিয়ে দেখি গোলাপি ফ্রেমে আবদ্ধ দুইটা চোখ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। বাতাসের তাগিদে কয়েকটা চুলের বৃথা আস্ফালন সেই ফ্রেমটার সামনে! চোখ দুটোও যেন সেই তাগিদে একটু ছোট হয়ে আসতে চাইছে। সে তো স্বাভাবিক! ছোট্ট একটা তিল ঠোটের কোণে। ঠোটের সেই কোণেই আবার এক চিলতে হাসি! হয়ত ভুবনভোলানো হাসিটা! টোল পরা গোলাপি গাল। এই টাইপের গাল দেখলেই টিপে দিতে ইচ্ছে করে আমার! সে অনেক পুরানো অভ্যাস!গাল দুটো গোলাপি হলে তো কথাই নেই। মাথাটা সাদা স্কার্পে মুরানো! লাল আচ্ছাদনে আচ্ছাদিত অদ্ভুত এক অবয়ব। সেই আচ্ছাদনের বহর অনেক ছিল যদিও! :p দরকার পরেছিল আর কি। :p :p মেঘ তখনো ছিল। ঠিক সামনের সংসদ ভবনটাও! গর্বের সাথে উড়তে থাকা লাল সবুজের পতাকাটাও! দূরে উড়তে থাকা পাখি গুলোও! শুধু পাশে অদ্ভুত অবয়বের আবিষ্কার! সত্যিইই অদ্ভুত! সত্যিই!! উমমমম....... ঘোর কাটল অবশেষে! কতক্ষণ ঘোরের মধ্যে ছিলাম জানি না। এই দিকে চিপসের প্যাকেটের উপর রাখা পা দুটোকে পিঁপড়ার দল কখন আপন বাসস্থান করে নিয়েছে বুঝতেইই পারি নি..... নিউরোন গুলো একদিকে ডাইভার্ট ছিল কি না..... আশেপাশে খুব একটা মানুষ ছিল না তখন।পরন্ত দুপুরবেলা কি না! অনেকটা অবাক হয়েই তাকিয়েছিলাম... হঠাত সুলিল কন্ঠ ভেসে আসে... -ভাইয়া তুমি কি রেসিডেন্সিয়াল কলেজে পড়? -হ্যাঁ। (মাথা নাড়িয়ে) -ফার্স্ট ইয়ার? -না আপু আমি Twelve এ। -ও আচ্ছা। আমার ছোট ভাই এইবার রেসিডেন্সিয়াল কলেজে ভর্তি হয়েছে তো তাই জিজ্ঞাস করলাম। -ও। -কলেজ ড্রেসে অথচ কোন ব্যাগ নাই যে? -আসলে আপু প্রি টেস্ট পরীক্ষা চলতেছে তো তাইই। -Ow! মনখারাপ করে বসে থাকার কারণ? এক্সাম খারাপ হয়েছে? - কই না তো! মন তো ঠিকঠাকই আছে বোধ করি। - কোন চিন্তায় বিভোর? - নাতো! -ওরে বেয়াদপ তাইলে আমি এত্ত চিল্লাইয়া ডাকতেছিলাম কথা কানে যায় নাই!?? এইবার তো আমি পুরাই বেক্কল! বুঝতে অবকাশ রইল না যে আপুটা অনেক ফ্রেন্ডলি। নাহলে দুই মিনিটের আলাপচারিতায় আগন্তুক কেউ আর যাই হোক আপনাকে বেয়াদ্দপ বলবে না!! প্রচন্ড ইতস্তত বোধ সৃষ্টি হয়েছিল।তারপরও কারও সাথে মিশে উঠতে খুব বেশি সময় লাগে না ইদানীং।গুছিয়ে বসে পরতে খেয়াল করলাম মিরিন্ডার বোতল সমেত! :p বড় আপুদের সাথে ক্লোজ সম্পর্ক তৈরী করতে খুব একটা সময় লাগে না! বউ বলে ডাকতেও সময় লাগে না! কেবলই ইয়ার্কির বশে।।ভার্চুয়াল জগতে এমন বউয়ের অভাব নাইই..... :p - না মানে আপু গান শুনতেছিলাম তো তাই শুনতে পাই নাইই। - হুম বুঝছি। কি এক্সাম ছিল? - Biology. - ওয়াও! বায়োলজি???!!!! :D দেখি প্রশ্নটা! -এ তো ফার্স্ট পেপার। তুই (!) না বললি সেকেন্ড ইয়ারে পড়িস?? -আপু আমাদের কলেজের নীয়ম এই রকমইই! প্রিটেস্টে ও ফার্স্ট পেপার এক্সাম নেয়। -ঔ বারবার আপু আপু করবি না তো, কেমন জানি বুড়ি বুড়ি লাগে। -...... :v :v -ঔ হাসবি না বললাম। সত্যিই বুড়ি বুড়ি লাগে! -_- - Ukk আপু সরি!! :p -আবার?? >_< - ইশশ রে!! চরি আপুনিটা। হঠাত বের হয়ে গেছে আর কি!! :p -আপুনি বলতে পারিস! সাউন্ডস কিউট। :D - আচ্ছা কিউটি আপুনি বলবনি তাইলে.... সাউন্ডস মোর কিউট! :p -আচ্ছা ডাকিস! চুপকর এখন। প্রশ্নটা পড়তে দে। ........................................... আমিও একটু উকি দিয়ে প্রশ্নটা পড়ার চেষ্টা করলাম আর কি! : p - ওই ২ নাম্বার প্রশ্নটা তো সোজা! এইটাতে দাগ নাই যে?? দিস নাই এই প্রশ্ন? -ওহ! না এইটা দেই নাই! -কেন? -আসলে হইছে কি আপু জিনোমের সংজ্ঞাটা মনে ছিল না তাই। -ওরে শয়তান জিনোমের সংজ্ঞা কি মুখস্ত করা লাগে? -আপু আসলে মনেই ছিল না জিনোম জিনিস টা কি। -বলদ রে!! শোন আমি বলি... তুই যা তাই তোর জিনোম! বুঝছিস কিছু? - আমি যা তাই আমার জিনোম? o.O লোল! তাই নাকি? মানে আমি যদি ইঞ্জিনিয়ার হই সেইটাই আমার জিনোম? xD :v :v মুচকি হাসিটা এবার খিলখিলিয়ে ওঠে....... ^__^ -(হাসতে হাসতে) আরে না! যেমন তুই চিকন, তোর চোখ গুলা কেমন জানি অদ্ভুত , নাকটা একটু খাড়া এইসব তোর জিনোম! -হুম! মাথায় ঢুকল কেবল! -আরে না এই কথা মাথায় ঢুকাইলি কেন? এইবার আসল জিনিস বলি সেইটা মাথায় ঢুকা.... -ও! তারমানে আসল জিনিস এখনো বাকি?? -হুম! শোন এবার... ধর তোর জিনোম! তোর জিনোম হল তোর বংশগতির সবগুলো তথ্য বা বৈশিষ্টের সমষ্টি! বুঝছিস এইবার? ভাল করে মাথায় ঢুকাইয়া নে! বিলিভ মি! মরার আগ পর্যন্ত আর জিনোমের সংজ্ঞা ভুলুম না! এই রকম কইরা যদি কেউ জিনোমের সংজ্ঞা শিখাইত তাইলে কসম সবার আগে ২ নাম্বারটাই এন্সার দিতাম!! এত্ত আদর কইরা যদি কোন আপু বায়োলজি শিখাইত তাইলে নিশ্চিত বায়োলজিতে বস হইতাম!! এহেম এহেম আদর কইরা বায়োলজি শিখানো বলতে অন্য কিছু বুঝাই নাইই! :v xD :p :p কেউ ডার্টি মাইন্ডে নিবি না খবরদার! xD :p :v বায়োলজির পর্ব গেল!ক্ষণিক আলাপ চারিতার পর জানতে পারলাম আপু DMC সেকেণ্ড ইয়ারের স্টুডেন্ট! নাম **! জানার পর অবাক হইনি যদিও! আব ভাব দেখে আগেই বুঝছিলাম অনেক ভাল স্টুডেন্ট । মনখারাপ হইলেই নাকি এইখানে চলে আসে! তার চোখে সংসদ ভবন একটা মাস্টারপিস! এক পলকে তাকিয়ে থাকতে নাকি খুব ভাল লাগে...... উড়ন্ত পতাকাটাকে দেখতে নাকি খুব ভাল লাগে..... দুষ্টামির সুরে বলছিলাম আপু সাথে কেউ থাকে না? :v কি বুঝাইতে চাইছি বুঝছে অবশ্যইই! কিন্তু উত্তর ছিল এই তো তুই আছিস এখন! অন্য সময় আরেকজন থাকে! এইবার অবাক না হয়ে পারি নাইই! সময় কাটছিল আর আমার মুগ্ধতার হারটাও বেড়েই চলেছে........ কিউটিপাইই আপুনি বলে হয়ত ভুল করি নাই যথেষ্ট কিউট তার মনটা... এই ব্যাপারে কোনই সন্দেহ নেইই... ব তাহার মনের নিভৃত কোণে শুধুই সরলতা আর সরলতা এবং সরলতা এই জন্যই হয়ত বকবকটা একটু বেশি করে........ :p লোল আমি তো দেখি ভালই উপমা প্রয়োগ করতাম পারিই! :p :p একটু পরের ঘটনা! এক পিচ্চি বাচ্চা ছেলে এসে বললঃ - আফা বোতলডা দিবেন? - বোতল নিবি? আয় আমার সাথে বসে পাঁচ মিনিট কথা বল তারপর বোতল পাবি! স্থান পেল দুইজনের মাঝখানে! ক্ষণিক সময়ের জন্য পেল আদরের কোমল ছোঁয়া ...... এই বার আমি তৃতীয় পক্ষ! চুপচাপ তাদের আলাপ চারিতা শোনা ছাড়া কাজ নেই..... পিচ্চি ছেলেটার বাবা নেই। আরেকটা বিয়া কইরা ভাগছে! কোনদিন দেখে নি বাবাকে। একটু সামনের ফুটপাত টাই তাদের বাসা! তার কাজ গাড়ি মোছা! বোতল কালেকশন পার্ট টাইম জব! একদম পিচ্চি একটা বোন আছে তার বড় একটা ভাইও আছে! অল্প মিরিন্ডা সমেত বোতলটা নিয়া লাফাইতে লাফাইতে চলে গেল! তাকিয়ে আছি তার দিকে এক দৃষ্টিতে.... সেও তাকাল একবার.... অতঃপর সোজা তাকিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করল.... আটকে আটকে যাচ্ছিল তার কথা.... অবশেষে বলেই ফেলল.... চিন্তা করেছিস কখনো ওই রকম একটা পরিবারে যদি তোর কিংবা আমার জন্ম হত তাহলে কি হত? কই থাকতি তুই কই থাকতাম আমি? কলেজ ড্রেস পরে এখানে বসে থাকতে পারতি? একবার চোখটা বন্ধ করে চিন্তা কর তো জীবনটা কেমন হত! বলতে বলতেই গোলাপি ফ্রেমে আবদ্ধ তার চোখ দুটো বন্ধ হয়েই গেল.... সে নিতান্তই অজানায়.... আমি দুই মিনিটের বেশি চোখ বন্ধ করে থাকতে পারি নি.... নিজের জীবনের এমন নিষ্ঠুর বাস্তবতার অবাস্তব বিম্বটা দেখতে পারি নি বেশিক্ষণ! অল্প সময়ের জন্য হলেও এই অদ্ভুত মানুষটার জন্য জীবনে প্রথম হয়ত তাদের কষ্টটা একটু হলেও কল্পনা করতে পেরেছিলাম!!! :( :( - আরেকটা ব্যাপার খেয়াল করেছিস? এই যে সামনে দেখছিস মাস্টারপিসটা? এর মধ্যে দেশের মন্ত্রী মিনিষ্টাররা বসে বসে দেশ নিয়ে ভাবে! দেশের উন্নতি নিয়ে ভাবে। তাদের ভাবনার জন্য এই মাস্টারপিস টা বানানো হয়েছে যেইটা চালাইতে প্রতি মিনিটে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। অথচ এর চত্ত্বর পেরোলেই হাজার হাজার ছিন্নমূল মানুষ! যারা হয়ত জানেই না যে জীবনটা কি! চিন্তা করেছিস একবার ব্যাপারটা কেমন? এক মিনিট সংসদের কার্যক্রম কম চালিয়ে যদি ওই ১৫ হাজার টাকা এমন কয়েকজনের মাঝে বিলিয়ে দেয়া যেত তাইলেও অনেক লাভ ছিল........... হুম!! এইবার আপনি বলুন! আমি একটু আগে যে বিশেষণ গুলা ব্যবহার করেছিলাম সেইগুলো যথেষ্ট ছিল এই মানুষটাকে সঠিক ভাবে বোঝানোর জন্য? অবশ্যই না! তার চিন্তা ধারা কোমলতা আর সূচালোতার এক অপরূপ মিশ্রণ! আর কারো আছে বলে মনে হয় না!! তার কোন কথার জবাব ছিল না আমার কাছে! কি বা জবাব দিতাম! আছে কিছু বলার? নাই! অবশ্যই নাই! এই ধরণের চিন্তাধারার কয়েকজন মানুষ যদি দেশের পলিসি মেকারের পর্যায়ে থাকত তবে দেশটাই পাল্টে যেত! সন্দেহ আছে কোন? আমার তো একবিন্দুও সন্দেহ নেই! চোখটা বন্ধ করলাম আবারো! পিচ্চি ছেলেটার অসহায় চেহারা ভেসে উঠল আবার! হঠাত মাথায় বাজ..... অতঃপর...... -ওইত্তেরি আপু একটা জিনিস খেয়াল করছ?! :o :o -Relax! কি রে? লাফাইয়া উঠলি কেন কি হইছে বল! -খেয়াল করছ একটা জিনিস?? -কি? -ওই যে পিচ্চিটা আসছিল একটু আগে? আবুলে কইল ওর বাপ নাই, জীবনে দেখে নাই বাপরে কিন্তু ওর পিচ্চি একটা বোন আইল কই থেইক্কা??!!!!!!! পিচ্চিটার বয়স তো ৬ হইবই সর্ব নিম্নে!! কেমনে কি?? :o :o :o কথাটা শোনার পর সে তো পুরাই মাননীয় স্পীকার! মুখে গম্ভীরতা টা একদম নাই হয়ে গেছে!! হা করে তাকাইয়া আছে আমার দিকে! মনে হয় শাহরুখ খানরে দেখতেছে! :p :p :v :v -আসলই তো! এইটাতো আমার মাথায় আসে নাই! আসতও না কোনদিন! কি অদ্ভুত!! কই গেলরে পিচ্চিটা? এইবার ওরে পাইলে বোতলটা ফেরত নিয়ে কানের দুই ইঞ্চি নিচে একটা থাপ্পড় দিতাম!!! :v :p - না আপু বিষয়টা অদ্ভুত না! ভয়ংকর! এই অসম্ভবটা কেমনে সম্ভব হইল? এ কি অনন্ত জলিলের কাজ? ;) xD 3:) -(হাসতে হাসতে) চুপকর শয়তান! কি বলিস না বলিস! হাহাহা..... :v :p লোল! :v বিষয়টা নিয়ে হাসাহাসি হইছে অনেক্ষণ! :p কিন্তু আবিষ্কার করা যায় নাই যে আসলেই এই অসম্ভব বিষয়টা কেমনে সম্ভব হইছে! 3:) :v :p তবে কি সত্যিই জলিল কাকু এই অসম্ভব টাকে সম্ভব করছে?? :p :v 3:) অতঃপর একটুপর...... -এই তুই আমার দিকে তাকা তো! সোজা তাকিয়ে থাক! একদম সোজা! আমিতো পুরাই অবাক! :o -কেন কি হইছে আপু? -চুপ। তাকাইতে বলছি তাকা! আজ্ঞা পালন করলাম! আমার দিকে সেও তাকিয়ে থাকল! কি যেন দেখছে! -এই তোর ডান কানটা বাম কানের চেয়ে একটু বেশি ভাজানো না?! কারণ কি বল তো! বাম কানটা একটু বেশি ছড়ানো দেখতেছি! কথাটা শোনার পরও ঠিক ওই ভাবেই তাকিয়ে আছি! চোখ দুটো হয়ত একটু বেশি বড় হয়েছিল হয়ত! -তুমি না পুরাই অদ্ভুত মেয়ে! কাউকে অবাক করার একটা লিমিট তো আছে নাকি? -অবাক হইছিস? কি জন্য? -এই জিনিসটা আজ পর্যন্ত একমাত্র তুমিইই নোটিস করছ! আর কেউ করে নাই! আমি নিজেও না! আম্মু একদিন আমাকে আয়নার সামনে দাড় করাইয়া বিষয়টা দেখাইছে! -তাই নাকি! ভালই তো! এইবার বল কেমনে হইছে! কান ধরে উঠ বস করার জন্য নাকি? :v হাহাহা... -লোল! না! জন্মানোর পরে কশাই ডাক্তার আমাকে ডান কাত করে শোয়াইছিল! তখন কানটা ভাঁজ পরছিল আর কি! এই জন্য এই অবস্থা! -ওওও। তো এই ব্যাপার! এইটা কিন্তু তোর জিনোম না! hahaha.... :v লাগামহীন সময়টা কখন ছুটে গেছে অনেক দূর তা কেউ খেয়াল করে নাই.... ছুটেই গেছে অবিরত! থামে নি একটুও! সামনে তাকিয়ে দেখি সংসদ ভবনটাকে না আমি আর সজ্ঞানে সংসদ ভবন বলব না কোন দিন! মাস্টারপিস বলেই ডাকব! তো তাকিয়ে দেখি মাস্টারপিসটাকে কেমন যেন অসহায় অসহায় লাগছে! অসহায়ত্বের কারণ খুজতে যেয়ে দেখি অস্থির একটা মেঘ পুরো আকাশ জুরে...... কালো মেঘ! দেখার মত! আজ বিকেলের মেঘটা সত্যিই দেখার মত ছিল! যারা দেখেছে তারাই জানে..... বৃষ্টি নামে নি যদিও! নামলে খারাপ হত না! এই বৃষ্টির জন্যই বসে ছিলাম! না বসে থাকলে হয়ত জীবনের কাটানো সবচেয়ে সুন্দর সময়টুকু মিস করতাম! -থাক রে পিচ্চি এইবার আমি যাই! ভালই কাটলো সময়টা তোর সাথে..... না থাকবি কেন তুইও যা! আমার জন্য তোর দুপুরের খাওয়া হারাম হইল! যা! আর শোন যাওয়ার আগে ফ্রীতে একটা জ্ঞান দিয়ে যাই। জীবনে এমন যোগ্যতা অর্জন করার চেষ্টা করবি যেন টপ রেটেড মানুষ গুলার শত্রু হইতে পারিস! তাদের শত্রু হইতে গেলেও কিন্তু যোগ্যতা লাগে! সবাই তাদের শত্রু হইতে পারে না! কথাগুলো পরিচিত ছিল! কিন্তু আমাকে এইভাবে কেউ কোনদিন বলে নাইইই.... ভবিষ্যতে কেউ বলবে কি না সেই ব্যাপারেও সন্দিহান! শেষ বেলায় ফেসবুক আইডিটা চাইলাম! আপটার অল Ahnaf The GREAT ইজ ফেসবুক পাগল! :p উল্টো আমার ইউজার নেইমটা মোবাইলে লিখে নিয়ে বলল ফেসবুকে বসলে রিকুয়েস্ট দিব নি। তাড়াতাড়ি একসেপ্ট করবি! আমার কিন্তু ঝুলে থাকতে রাগ লাগে! আরো কিছু কথা বলে প্রস্থান ঘটে একটু পর.... বিলিভ মি ওইখানেই অনেকক্ষণ বসে ছিলাম! ভাবতেছি পিছনের সময়টা কি স্বপ্ন ছিল? পরে ভাবলাম না! স্বপ্ন এত্ত সুন্দর হয় না! বাস্তব ছিল! অদ্ভুত বাস্তব! এগেইন বিলিভ মি তখন খুব খারাপ লাগতেছিল... সত্যিইই! পিছনের সময়টার Recap দেখতে বসলাম! একটা লাইন মনে পড়লঃ তোর চোখগুলো কেমন জানি অদ্ভুত এইটা তোর জিনোম! মনে থাকবে হয়ত অনেকদিন! নাও থাকতে পারে! আমার বায়োলজি মনে থাকে না! লোল! সারাদিন না খেয়ে থাকার পরও ক্ষুদা নেই! ছিল হয়ত! বুঝি নাই! খারাপ লাগাটা বেড়েই চলল! আমিও প্রস্থানের সিদ্ধান্ত নিলাম! ভাবলাম ইশশশ আর কিছুক্ষণ যদি থাকত! ♦পরক্ষণেই মনে হইল থাক ভালই হয়েছে আর কিছুক্ষণ থাকলে যদি প্রেমে পইরা যাইতাম?? :p :) :) :)
Posted on: Mon, 25 Aug 2014 17:05:42 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015