হাসিনা ও তার - TopicsExpress



          

হাসিনা ও তার সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নেপথ্থে যারা: কাল অনেকেই জানতে চেয়েছেন কারা হাসিনা সহ ২৫ জনের নামে মামলাটি করেছেন। তাদের অস্সস্ত করে বলছি ইটা জামাত শিবিরের কোনো চক্রান্ত নয়। নিউ ইয়র্কভিত্তিক ‘হিউম্যান রাইটস ফর বাংলাদেশ’ নামক একটি সংগঠন এই মামলা দায়ের করেছে। পিআরনিউজওয়ার ডটকম নামের একটি ওয়েবসাইটে এই মামলা এবং মামলা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের খবর জানানো হয়েছে। সেখানে আরো বিস্তারিত তথ্য জানতে justiceforbd@ou tlook এবং 718-541-1401 নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। তবে এই অপরাধ সংঘটনের জন্য ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ হিসেবে বাকি আসামিরা হলেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীর, জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার, র্যাবের মহাপরিচালক মোকলেসুর রহমান ও বিজিবির মহাপরিচালক আজিজ আহমেদ। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে অবস্থিত ন্যাশনাল প্রেসক্লাবে আইনজীবীরা এক সংবাদ (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে) সম্মেলনে মামলার বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানাবেন বলে জানানো হয়েছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, রাষ্ট্রের চাপে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দিক দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র হুমকির মুখে আছে। গত কয়েক মাস যাবৎ রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত বেসামরিক মানুষ হত্যা, হয়রানি এবং গ্রেপ্তার ও অত্যাচার করা হচ্ছে। এছাড়া নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আক্রমণ, দৈনিক ‘আমার দেশ’ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার ও অত্যাচার এবং ইসলামিক টেলিভিশন, দিগন্ত টেলিভিশন ও আমার দেশ বন্ধের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফর বাংলাদেশ অ্যান্ড বাংলাদেশি-আমেরিকানস ইন গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি’ পক্ষ থেকে আইসিসিতে এই মামলা করা হয়েছে। বাংলাদেশ আইসিসির সদস্য হওয়ায় সংস্থাটি এই অভিযোগ তদন্ত করবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ২৩ মার্চ ২০১০ আইসিসির সদস্য হয়। মামলায় আরজিতে যে বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়ে তা হলো- অত্যাচার, গুম বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গণহত্যা। আর এসবের প্রমাণ হিসেবে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ওইসব ঘটনার কথা তুলে ধরা হয়েছে। আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলামের ক্ষেত্রে মানবাধিকার সংগঠন ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল’, সুখ রঞ্জন বালীর অপহরণের ক্ষেত্রে ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচে’র বরাত দেয়া হয়েছে মামলার আরজিতে। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামায়াত নেতা মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দেয়ার পর সারা দেশে শতাধিক হত্যা এবং ৫ মে রাতে রাজধানীর মতিঝিলে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অসংখ্য হেফাজতকর্মী হত্যার অভিযোগও এই মামলায় অনা হয়েছে। হেফাজতের ৬১ জন কর্মী নিহত বা গুম হয়েছে বলে মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ যে তথ্য দিয়েছে এবং ‘এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন’ প্রায় একই রকম যে তথ্য দিয়েছিল তা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় সরাসরি এই মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত করে যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা হলেন- ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার বেনজির আহমেদ, মতিঝিল জোনের এডিসি মেহেদী হাসান, পাঁচলাইশ থানার ওসি প্রদীপ কুমার, লালবাগ জোনের ডিসি হারুন-অর-রশিদ, মিপুর মডেল থানার ওসি সালাউদ্দিন, গোয়েন্দা বিভাগের এডিসি মশিউর রহমান, দারুস সালাম থানার ওসি খলিলুর রহমান, কাফরুল থানার ওসি আব্দুল লতিফ, যাত্রাবাড়ী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম, কাফরুল থানার সাব- ইনেসপেক্টর আশিক, মেট্রোপলিট্রন ম্যাজিস্টেট আসাদুজ্জামান নূর, শাহীদুল ইসলাম, এম মুস্তাফিজুর রহমান, হারুনুর রশিদ, পাবলিক প্রসিকিউটর শহিদুল হক শিহাব ও আসলাম। Source: prnewswire/news- releases/holding-key-play ers-in-the-government-of- bangladesh-accountable-for- crimes-against-humanity- before-the-international- criminal-court-2132 98651.html#stha sh.BhXOwpgI.dpuf
Posted on: Fri, 28 Jun 2013 05:51:02 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015