১০ নভেম্বর টেস্ট - TopicsExpress



          

১০ নভেম্বর টেস্ট ক্রিকেটে ১৪ বছর পূর্তি আজ বাংলাদেশের। ★★★★★★★★★★★ ১৪ বছরে বাংলাদেশ ম্যাচ খেলেছে ৮৭টি। জয় - ৬, ড্র - ১১ এবং পরাজয় ৭০টিতে। ঘরোয়া অবকাঠামো সঠিকভাবে দাড় না করিয়ে টেস্ট স্ট্যাটাস নেওয়া এবং এখনো সেই পিকনিক টাইপ ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট থেকে যাওয়াই টেস্ট ক্রিকেটে আমাদের এত ধীরে আগানোর মূল কারন। ১৪ বছরে আছে কিছু গর্বের ইতিহাস। আছে কিছু লজ্জার ইতিহাস। #Achievements : ১) অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরি করেছিলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল (৩৮০ বলে ১৪৫ রান)। ১৩২ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন নাইমুর রহমান দুর্জয়। ২) মোহাম্মদ আশরাফুল - সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরি। ১৭ বছর ৬১ দিনে। বনাম স্রিলংকা। ৩) সোহাগ গাজি - একই টেস্টে সেঞ্চুরি এবং হ্যাট্রিক। ১০১* এবং ৭৭/৬ বনাম নিউজিল্যান্ড। ৪) সাকিব আল হাসান - একই টেস্টে সেঞ্চুরি এবং ১০ উইকেট। ইতিহাসে মাত্র ৩য় ক্রিকেটার হিসেবে এই রেকর্ড। ১৩৭ রান, ৮০/৫ এবং ৪৪/৫ বনাম জিম্বাবুয়ে। ৫) আবুল হাসান রাজু - অভিষেকে নেমেই ১০ নম্বরে সেঞ্চুরি। ১১৩ রান বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৬) এনামুল হক জুনিয়র। সবচেয়ে কম বয়সে ম্যাচে ১০ উইকেট। ১৮ বছর ৪০ দিনে জিম্বাবুয়ের সাথে। ৭) মমিনুল হক - এশিয়াতে সুনিল গাভাস্কার এবং চেতশর পুজারার সাথে যুগ্নভাবে দ্রুততম ১০০০+ রান করেছেন। মাত্র ১১ টেস্টে। # Failures : ১) আমাদের ৭০টি পরাজয়ের মধ্যে ৩৬টিতেই ইনিংস পরাজয়। ২) অলক কাপালি - হ্যাট্রিক করা বোলারদের মধ্যে বোলিং গড় সবচেয়ে বেশি ১১৮.১৬ ৩) ৩বার ম্যাচের প্রথম বলে আউট হান্নান সরকার। বিব্রতকর এই রেকর্ডে তার সঙ্গী সুনিল গাভাস্কার। ৪) নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে নেমে ডাবল সেঞ্চুরি একমাত্র কীর্তি জেসন গিলেস্পির। বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০০৬ সালে। ৫) কমপক্ষে ২০ উইকেট নেওয়া বা ২৫০০ বল করাদের অধ্যে রুবেল হোস্নের বোলিং গড় সবচেয়ে খারাপ। ৬) ম্যাচের প্রথম বলেই ছক্কা সোহাগ গাজির বলে ক্রিস গেইল। (যদিও পরে তার বলেই আউট হয়েছিলেন গেইল) # ForBangladesh : Highest Runs - 3026 (Habibul Bashar) Highest Wickets - 139 (Shakib Al Hasan) Highest Score - 200 (Mushfiqur Rahim) Best Bowling - 39/8 (Taijul Islam) Best Partnership - 267 Runs (Ashraful and Mushfique) Highest Test Playing Cricketer - 61 (Md. Ashraful) # Matches We Could Have Won : 1) Multan Test Against Pakistan (Lost By 1 Wicket) 2) Fatullah Test Against Australia (Lost By 3 Wickets) 3) Chittagong Test Against New Zealand (Lost by 3 Wickets) 4) Dhaka Test Against West Indies (Lost by 77 Runs) যে দল ১৪ বছরে ৭০টি পরাজয় বরণ করে তার টেস্ট স্ট্যাটাস নিয়ে প্রশ্ন উঠবে এইটাই স্বাভাবিক। তার চেয়ে বড় কথা ৭০টি পরাজয়ের ৩৬টিতেই আবার ইনিংস পরাজয়। আমাদের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেই আমরা ৪০০ করে চমকে দিয়েছিলাম। তার চেয়ে বেশি চমকে দিয়েছিলাম ২য় ইনিংসে মাত্র ৯১ রানে অল আউট হয়ে। এবং পরের ১৪ বছর প্রায় একই কাহিনীই হয়ে আসছে। এক ইনিংসে ভাল খেলি তো পরের ইনিংসে ফ্লপ। টেস্ট মানের ভাল ফাস্ট বোলার নাই। ঘরোয়া কাঠামো এখনো পিকনিক ক্রিকেটই রয়ে গেছে। জাতীয় দলের খেলা থাকলে ঘরোয়া লীগ বন্ধ থাকে! দেশের মাটিতে সব পিচ স্লো, লো, স্পিন পিচ। ফাস্ট বোলারের উপযোগি কোন পিচই নাই। যেখানে ফাস্ট বোলারকে আক্ষেপ করে বলতে হয় ভাই আমাদের তো কোন দাম নাই এই দেশে, এইখানে বাম হাত ঘুরাইলেই অনেক টাকা। নেই কোন নির্দিষ্ট ঘরোয়া ক্যালেন্ডার। ১৪ বছর পেরিয়ে গেছে। সময় আর নাই। উঠে দাঁড়ানো খুবই দরকার। খুব নিরপেক্ষ ভাবে চিন্তা করতে বসেন। ধরেন এই দলটা আপনার দেশের না, এইবার ভাবেন কি দিলো ১৪ বছরে এই টেস্ট দলটা। টেস্ট ক্রিকেটে ভালভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করাটা এখন খুবই দরকার। নাহলে প্রশ্ন উঠবেই এবং তা খুবই স্বাভাবিক।
Posted on: Mon, 10 Nov 2014 10:24:13 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015