---------------------------এই ওঠো অনেক - TopicsExpress



          

---------------------------এই ওঠো অনেক বেলা হোল যে। চয়ন মোড় ঘুরে আবার ঘুমাল । উফ তোমাকে নিয়া আর পারি না। কিছুক্ষন পর আবার এলো পরী । এই যে মিঃ লেট লতিফ আপনার কি অফিস যেতে হবে না? চয়ন উঠে গেলো । আর কতো বলবেন ম্যাড..আম !! এক টা কাজে কিন্তু আমি লেট করিনি। পরী - কোনটা বলতো ? ও ভুলে গেছেন ....!!আপনাকে প্রোপজ করতে। হুম বুঝসে এবার তৈরি হয়ে নেন ।চয়ন এর অফিস এর জাবার জামা কাপড় এনে দিলো। পরী রান্না ঘরে। চয়ন চিল্লানো শুরু করল। কই তুমি?? অফিস যাবার আগে কাছে থাকতে পার না? দেখো তো এই জামার তো একটা বোতাম নাই। কি পরে যাবো? পরী বললে উঠলো এর একটা আছে উঠানো ওটা পরে নাও। চয়ন আর জামাটা হাতে নিলো। ওটার ও একটা বোতাম নাই। মেজাজ খারপ হয়ে গেলো। মনে মনে বলতে লাগল ওর তো আর দোষ নাই। যে বেতন পাই তাতে চলে না । পরী দুই টা ছাত্রী পড়ায়।তাই একটু রক্ষা। দুই জন ভালবেসে বিয়ে করেছে । পরী র পরিবার মেনে নেয় নাই। যে দিন চাকরিটা পেয়েছিল তার সাত দিন পর এ কাজী অফিস গিয়ে বিয়ে টা সেরে ফেলে। পরী অনেক বুদ্ধীমতী একটু ও বুঝতে দিলো না চয়ন কে। আচ্ছা আমি দেখছি... চয়ন এর শার্ট টা নিয়ে অন্য শার্ট টা থেকে এক টা বোতাম নিয়ে লাগিয়ে দিলো। যাও এবার লেট লতিফ বাবু আমার। সারাদিন ঘরের কাজ নিয়ে পরীর সময় কেটে যায়। চয়ন শুক্র বার একটু বেশি ঘুমায় অন্য দিন এর থেকে। ওদের রোমাঞ্চ এ বাধা হয়ে দাড়ায় জানালা। রুমের জানলাটার ভাল করে পাল্লা আকটে না। পাশের বাসার স্বাস্থ্য সচেতন বুড় জগিং করতে উঠে ছাঁদে। কি দরকার বাবা বয়েস তো কম হলও না। আর কতো বাঁচতে চাও।আর বউ ও তো নাই ।এত স্বাস্থ্য সচেতন হোয়ে কি হবে। ধ্যাত... চয়ন এই কথা টা প্রায় ই বলে। পরী তখন মুখ টিপে হাসতে থাকে। ছয় মাস হলও বিয়ে করেছে। পরী র মুখে কোন কিছু না পাওয়ার ছাপ নাই। মাঝে মাঝে চয়ন ওর কমল হাত দুটি ধরে নেরে দেখে আর মনে মনে বলে এই হাত দিয়ে কোন কাজ কর নাই কোন দিন আর এখন এই হাতের উপর দিয়ে হিরোশিমা নাগাসাকি চলছে।পরী র মুখ টা অনেক মায়াবি যত দেখি তত ই মায়া বেড়ে যায়। জীবনে অনেক কিছু অপ্রাপ্তি আছে কিন্তু পরী র মুখের দিকে তাকালে তা মনে হয় না। সে দিন চয়ন বাসায় ঢুকতে পরী একটু মিট মিট করে হাসছে । ব্যাপার টা চয়ন বুঝতে পারল না। কিছুক্ষন পর দেখল কিছু টা change। মনে মনে একটু লজ্জা পেল চয়ন। ও জানালায় পর্দা ঝুলছে। মনে মনে বলতে লাগল এই আমার পাগল বউ টা এত লক্ষ্মী কেন। আমর সব কিছু ও বুঝতে পারে। আবার ও বুড়ো টা কে বুড় আঙ্গুল দেখাবো হুম। একদিন বাসায় ফিরল চয়ন। পরী বাসায় তখনো ফেরে নাই। চয়ন ওর মত ওর কাজ করল। পরী র জন্য অপেক্ষা করছে। এত রাত পর্যন্ত ও কখন ও বাইরে থাকে না। আবার একটু চিন্তা হচ্ছে। একটা সিগারেট ধরিয়ে চিন্তা করতে লাগলো। নয় টা বাজে। আবার চয়ন বাসা থাকে বেড়িয়ে পড়ল। পরিচিতদের কাছে খোজ নিলো । কোথাও যায় নাই। আবার চয়ন এর আর মাথায় কাজ করছে না। কেনো জানি চোখ ছল ছল করছে। আবার বাসায় এলো খুঁজতে না ফিরে নাই এখনো।হায়রে মধ্যবিত্তের ভালবাসা যদি ওকে একটা ফোন কিনে দিতাম। কতো বার বলেছি মেয়ে টা কে। ওর এক ই কথা এখন আমাদের খরচ বাড়ীয়ে লাভ নাই। চয়ন শুধু নিজে কে ধিক্কার দিচ্ছে। কোথায় খুজবো তোমাকে। রাত দশ টা পরী র গায়ের গন্ধ টা চয়ন এর খুব চেনা কেমন জানি মনে হল। পরী পাশের বাসার ভাবীর সাথে কি জানি বলতে বলতে ঢুকল। ঘরে ঢুকতে এ চয়নএকটা চড় বসিয়ে দিলো গালে। পরী কিছু ই বুঝে উঠার আগে ই চয়ন জড়ীয়ে ধরল। আর বলতে থাকলো কই গিয়েছিলে তুমি কই? তুমি জানো না আমি পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। কোথায় না খুজেছি তোমাকে। পরী কিছু বলল না চোখ দিয়ে পানি টপ টপ করে পরতে লাগলো। শক্ত হয়ে দাড়িয়ে আছে। হাতে একটা কাগজ এর খাম। কোনও দিন চয়ন একটু কষ্ট দিয়া কথা বলে নাই। ওর দেয়া চড় টা নীলা মানতে পারে নাই।চয়ন কি হয়েছে বলো?? নীলার হাতের খাম টা এগিয়ে দিলো হাতে। কি এটা?? চয়ন খুলে দেখল ............।চয়নহঠা করে নীলা কে জুরিয়া ধরল । এই আম সরি বলে পরী কে জড়ীয়ে ধরল। ওটা মেডিকেল রিপোর্ট। ওদের ঘরে নতুন কেউ আসছে। :D >> Ajob Maye
Posted on: Sun, 06 Oct 2013 17:41:57 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015