--------- হাজ্রাত খাজা আব্দুস - TopicsExpress



          

--------- হাজ্রাত খাজা আব্দুস সাত্তার উয়েছি সাহেবের অফাত দিবস------ --------------------------------------------------------------------------------------- ---------------------------------------------------------------------------------------- আল্লাহর রাসুল (সঃ) যখন কোন মমিন /মমিনা কে গুপ্ত গেয়ান (মারিফাত বা ইল্মে লাদুনি) শিক্ষা দিতেন তখন তাকে বায়াত করে নিতেন এবং গপনিওতা রক্ষা সহ কিছু শর্ত দিতেন। কিন্তু বায়াত প্রাপ্ত সকলকে মারিফাত শিক্ষা দেওয়ার ভার দেন নাই, অল্প জন কে দিয়েছিলেন। এই অল্প কয়েকজন পরবরতিতে, আরও অল্প কয়েক জন কে, এই ভার দিয়েছিলেন, এই ভাভে চলতে চলতে সিলসিলা এ অলি (বায়াতের দ্বারা) উদ্ভব হয়েছে। রাসুল(সঃ) দুই জন কে তরিকতি খলিফা করেছিলেন, ১। হযরত আলি ( কঃ) মওলা ঘোষণার মাদ্ধমে। ২। হযরত উয়ায়েস কারনি (রঃ) খিরকা প্রদানের মাদ্ধমে। এই দুইজন ছাড়া আর কাহাকেও তরিকতে খলিফা করেছেলেন কি না, তা ইতিহাসে বা হাদিস দ্বারা কোন প্রমান পাওয়া যায় না। তবে থেকে থাকলে ও থাকতে পারে। বিচিঁত্র কিছু নয়। তবে একটা কথা, যখন বিদায়ে হজে, রাসুল (সঃ) কুরানের আয়াতের বলে হযরত আলি (কঃ) কে মওলা ঘোষণা দিলেন এবং সকলকে (সাহাবিদেরকে সহ) হযরত আলির (কঃ) হাতে বায়াত করালেন তখন রাসুলের (সঃ) আন্যান্য সকল তরিকতের খলিফাদের (যদি থেকে থাকেন) জন্য অওাজিব হয়েগিয়েছিল হযরত আলি(কঃ) এর হাতে বায়াত নেয়া, এবং সকলে তাই করেছিলেন । তাই হযরত উয়েস কারনি (রঃ) ও হাজ্রাত আলি (কঃ) এর মুরিদ হয়েছিলেন। যদিও উয়েস কারনি (রঃ) রাসুলের(সঃ) সরাসরি তরিকতের খলিফা ছিলেন রসুলের (সঃ) খিরকা পাওয়ার মাদ্ধ্যমে। তথাপিও কোরআনের নির্দেশে, হযরত আলি (কঃ) কে মওলা ঘোষণার পড় রাসুল (সঃ) নিজের তত্যাবধানে থেকে সকল হাজিদেরকে ও সাহাবিদেরকে হযরত আলির (কঃ) হাতে বায়াত করান, তাতে সকলই হযরত আলির (কঃ) মুরিদ। যদিও সকলে তখন মুরিদ হয়েছিল, কিন্তু পরবরতিতে, তা রক্ষা করে নাই বরংচ হযরত আলির (কঃ) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল (যেমন তালহা জুবায়ের, আরও আনেকে)। তাইত আমরা জানি সকল তরিকতই উৎপত্তি আলি (কঃ) হতে। তাসউফের চার ই পীর আলির মুরিদ, তিনারা হলেন ১। হযরত খাজা উয়েস কারনি (রঃ) ২। হযরত হাসান বাসরি (রঃ) ৩। হযরত কুমায়েল (রঃ) ৪। হযরত আব্দুল মিকদাম (রঃ) এখানে আরও একটা কথা বলতে হয়, হাজ্রত হাসান হসাইন (আঃ) ও হাজ্রত আলি (কঃ) এর খলিফা, কিন্তু উনারা রাসুলের (সঃ) আহলে বায়াত সদস্য হয়ায়, আনেক অলিআল্লা রা উনাদেরকে হযরত আলির (কঃ) খলিফা ও বলেন আবার রাসুলের (সঃ) খলিফা ও বলেন। মুদ্দা কথা হচ্ছে রাসুলের (সঃ) বংশে আর্থাত এই বার জন ইমামের বংশে অনেক তরিকতের সৃষ্টি হয়েছে। হযরত খাজা উয়েস কারনির (রঃ) দুই খলিফা, তিনারা হলেন ১। হযরত আবুল কাশেম জালাল উদ্দিন মুহাম্মাদ গুরখানি(রঃ) ২। হযরত হিশাম উদ্দিন ইয়ামেনি(রঃ) বাংলাদেশের উয়েসিয়া তরিকতের প্রথম খলিফা ও মুজাদ্দেদ হযরত খাজা সাহ আব্দুর রাহিম উয়ায়ছী (রাহ) সাহেবের সিজরা নসবে সিলসিলায় ৩৮ জন খলিফার নামের উল্লেখ পাওয়া যায়, হযরত উয়েস (রঃ) থেকে হযরত আবুল কাশেম জালাল উদ্দিন মুহাম্মাদ গুরখানি(রঃ) মাদ্ধমে ১৫তম হযরত আব সাইদ উয়েসি এবং ১৬ তম হযরত ফাথউল্লাহ সাহ উয়েসি আবার হযরত হিশাম উদ্দিন ইয়ামেনি(রঃ) এর মাদ্ধ্যমে ১৪ তম হচ্ছেন হযরত বুরহানুদ্দিন উয়েসি এবং ১৫তম হচ্ছেন হযরত ফাথউল্লাহ সাহ উয়েসি। মানে হযরত ফাথউল্লাহ সাহ উয়েসি সাহেবের দুই মুরশেদ ছিলেন। এখন আমি এই উয়েসিয়া সিজরা শরিফের সিলসিলা থেকে কয়েকজন কাশ্মিরের ও বাংলাদেশের খলিফাদের নাম দিচ্ছি। হযরত খাজা ফাথউল্লাহ সাহ উয়েসির পর ২৩ তম হযরত খাজা হাফিয মুহাম্মদ উসুফ সাহ গাজি সেরহিন্দ উয়েসির ২৪ তম হযরত খাজা সাবের সাহ গাজি সেরহিন্দ উয়েসির ২৫ তম হযরত খাজা কাশেম আলি সাহ উরফে বাহার শাহ্ গাজি সেরহিন্দ উয়েসির বাহার শাহ্ সাহেবের বাংলাদেশী খলিফাদের মধ্যে হযরত খাজা আব্দুল মুতাল্লিব উয়েসি সহ নিম্ন লিখিত উল্লেখযোগ্য। ১।হযরত খাজা আব্দুর রাহিম উয়েসি ও ২।হযরত খাজা আব্দুল কাদের উয়েসি। উনারা দুই ভাই ছিলেন। উভয়েই তরিকতের উপর কিতাব লিখে প্রসিদ্ধ হয়ে ছিলেন। “মসনবি” লিখে হযরত খাজা আব্দুর রাহিম উয়েসি সাহেব হাক্কানি আলেম সমাজে মুজাদ্দিদ আখ্যায়িত হয়েছিলেন। তিনার এই “মসনবি” কে বাংলার কুরআন ও বলা হয়। তাছাড়া উয়েসিয়স তরিকার আন্যান্য খলিফাদের ও প্রচুর তাসাউফি কিতাব বর্তমানে বিদ্দমান। রাসুল (সঃ) যখন বায়াতে তরিকত আরম্ভ করলেন, তাতে কোন শোরগোল ছিলনা, বায়াত প্রাপ্তদেরকে নিয়ে কোন আলাদা দল ও করেন নাই, কোন ঝান্দা ও ছিলনা, কোন খানকা ও ছিল না, সকল কিছুই এক ইসলাম এর ভিতর ছিল, এক ঝান্দার তলে। গপন শিক্ষা, গপনে গপনে হত। শোরগোল ছিলনা। ঠিক তেমনি অয়িসিয়া তরিকতেও শোরগোল নাই, সিলসিলায়ে কোন সামাজিক মশুর ব্যাক্তি পাবেন না। আর থাকলে ও তারা নিজেদেরকে লুকায়ে, ছাপিয়ে রাখেন। যেমন হজরত অয়েস নিজেকে লুকায়ে রাখতেন। নিজেকে, আবার শিমলায়ে হায্রাত বাহার শাহ্ সাহেব ও নিজেকে লুকায়ে রাখতেন, কেহ তাঁর কাছে ভিরতে পারতনা। এসকল কাহিনী আপনি অয়েসি তরিকতের অলিদের লিখা বইগুলিতে পাবেন। অয়েসিয়া সিজরা, সিলসিলা ও অলিদের জীবনী পাবেন একটা বইতে, নাম হোল “আদি তরিকা আওয়াল তরিকা” লিখক প্রফেসর মুফাক্ষারুল ইসলাম অয়েসি, তিনি বাংলাদেশের সরকারি কলেজের প্রিঞ্চিপাল ছিলেন, তিনি বাংলাদেশের ইসলামি ইতিহারেস আনেক বই লিখেছেন, তিনি বাংলাদেশের ইতিহাস সমিতির প্রেসিডেন্ট ও ছিলেন।, তিনার বই পরতেপারেন আবার, হযরত খাজা সাহ আব্দুর রাহিম উয়ায়ছী (রাহ) সাহেবের “মসনবী” তেঁ বিস্তারিত পাবেন, তিনার বইতে , তরিকতে “খিরকা” এর ব্যাবহারের ইতিহাস ও পাবেন, সিলসিলার ও সিজ্রার আনেক মুল্যবান খবর ও পাবেন। আবার হযরত খাজা শাহ আবীদুর রহমান উয়ায়ছী (রাহ) সাহেবের কবিতার বই, নাম বাংলাদেশে উয়ায়সিয়া খান্দান এই কিতাবে তিনি বাংলাদেশের উয়েসিয়া তরিকত ভুক্ত প্রায় সকলের সিলসিলা / সিজরা গ্রাম বাড়ি সহ তুলে ধরেছেন। হাজ্রাত খাজা আব্দুস সাত্তার উয়েছি ঃ- হযরত খাজা আব্দুর রাহিম উয়েসি ও হযরত খাজা আব্দুল কাদের উয়েসি সাহবের ভাগিনা হাজ্রাত খাজা আব্দুস সাত্তার উয়েছি সাহেব উয়েছি তরিকতে আন্ত্রভুক্ত হয়েচ্ছিলেন হাজরাত রাহিম সাহেবের জীবনের শেষ পারান্তে, তাই হাজ্রাত সাত্তার সাহেব উনার ছট মানু হাজ্রাত আব্দুল কাদের সাহ সাহেবের কাছে পুনরায় তরিকত গ্রহন করে তালিম সম্পন্ন করেছিলেন এবং ছট মামুর কাছ থেকেই খিলাফত পেয়েছিলেন, কিন্তু হাজ্রাত কাদের সাহেব, হাজ্রাত সাত্তার সাহেব কে উনার প্রথম পির হাজ্রাত আব্দুর রাহিম সাহেবের নামেই তারিকাত জারি করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই হিসে বে হাজ্রাত সাত্তার সাহ সাহেব হাজ্রাত আব্দুর রাহিম সাহ সাহেবের ই খলিফা। হাজ্রাত আব্দুস সাত্তার সাহেব বাংলাদেশে আনেক উচ্চ শিক্ষিত ব্যাক্তিদের কে উয়াছি তরিকতে আকৃষ্ট করেছিলেন। তিনার বিক্ষ্যাত গবেষণা মূলক গ্রন্থের নাম “সুহাইল এ ইয়ামান”, যাহা হাজ্রাত উয়াস আল কারনি এর জীবনি ও উয়াসী তরিকতি শিক্ষা মূলক বিক্ষাত কিতাব। তিনি ১৯৬৪ঈসায়ী সনের ৪ অগ্রহায়ন ইন্তেকাল করেন। ইন্তেকালের পূর্বে বিভিন্ন সময়ে ১২ জনকে স্বয়ং খেলাফত প্রদান করেন যেমন- ১) কাজী কুরবান আলী, চৌবাড়িয়া, ২) এএসএম আব্দুল জলীল, পীরজাদা। ৩) কাজী ইসমাইল হোসেন, বৈকুণ্ঠপুর ৪) আফাজ উদ্দিন, কালিয়াকৈর ৫) মুহম্মদ মুহসিন খান, হিজুলী, ৬) হেলাল উদ্দিন, ৭) রহিজ উদ্দিন, র্তীথ ঘাটা,৮) ডাক্তার ইব্রাহিম দেরগ্রাম, ৯) মুফাখখারুল ইসলাম, নূরপাড়া, ১০) নজরুল ইসলাম (হেমন্ত) মানিকগঞ্জ, ১১) রহিম উদ্দিন মুনশী, সাটুরিয়া, ১২) কলিম উদ্দিন ডাউটিয়া। আরেকজন অলাই কথা এখানে উল্ল্যেখ না করলেই নয়, জাহার জীবনে উনার মত ই ঘটনা ঘটেছিল, তিনি হলে হাজ্রাত মুফাখখারুল ইসলাম, সাহেবের ছত ভাই হাজ্রাত খাজা বজলুর রাহমান জুলকারনাইন সাহেব, তিনি ও হাজ্রাত সাত্তার সাহ সাহেবের কাছে তারিকত নিয়েছিলেন এবং তিনার নির্দেশে ই হাজ্রাত সাত্তার সাহেবের গদিনসিন খলিফা ও উনার ছেলে হাজ্রাত আব্দুল জালিল সাহ সাহেবের কাছ থেকে খিলাফাত পেয়েছিলেন এবং নিরদেশিত হয়েছিলেন হাজ্রাত সাত্তার সাহ সাহেবের নামে তরিকত জারি করতে, সেই সুবাদে হাজ্রাত যুলকারনাইন সাহ সাহেবের ও অনেক মুরিদ ও কিতাব রয়েছে বাংলাদেশ ও উত্তর আমেরিকা ব্যাপী। এই আধম কে আল্লাহ সুভানুতালা একটা সুজগ দিয়েছিলেন হাজ্রাত খাজা আব্দুস সাত্তার সাহ সাহেবের বিখাত কিতাব “সুহাইল এ ইয়ামন” এর ইংরেজি আনুবাদ করে উত্তর আমেরিকা থেকে প্রাকাশ করার। হাজ্রাত সাত্তার সাহ সাহেবের এই অফাত দিবসে আমার সেই আনুবাদ গ্রন্থ থেকে সাহ সাহেবের সংখিপ্ত জীবনি নিম্নে তুলে ধরলাম। Short Biography of Hazrat Shah Abdus Sattar Uwaisee (R.A.) Shah Abdus Sattar Uwaise Uwaisee (R.A.) born (1893) in a Sunni Muslim Family of Village: Sultanpur, District: Manikganj, Country: Bangladesh. His father’s name is Munshi Aradhan Mian and Mother’s name is Halimun-nesa. After acquiring preliminary education from the Madrasah’s of the neighboring villages of Pipulia and Boyra he got admission in the Calcutta Alia Madrasah. He could not complete the education there. On the eve of final Examination due to excessive eagerness of his father he was compelled to marry a wealthy child-widow named Muhtarema Jubayda Khatun in 1917 and since then he spent his life at Angurpara, PS.Ghior, District Manikgong to protect the properties of his wife there. He came in contact with his Maternal uncle Shah Abdus Rahim (R.A.) at the far end of his life whose last advise to him was: “ I could not find opportunity talk to you. Don’t try to understand the holy Quran by changing the meanings of its words. Think over the sentences keeping the meaning intact. Whatever secret truths are there I wrote out in my publication. You will find man to understand everything of the Quran keeping its meanings intact. Accordingly he searched such a man and at last he took the oath of allegiance in the hand of his younger maternal uncle, Shah Abdul Qader Uwaisee (R.A.) in 1919. After serving under him about 14 years he got Khilafat in 1933. Shah Abdussatter, after the death of his first wife in 1935, has married second time in 1938 with Hazera Khatun, daughter of Mullah Muhammed Ali of Shibaloy. Hazrat Shah Abdussattar Uwaisee (R.A) by dint of his lofty Character attracted many modern highly educated persons towards his Tariqat. He left behind him 12 vicegerents (Khalifas). He is father of the renowned Uwaisee Peer, Hazrat Shah Abu Sayeed Mohammed Abdul Jalil Uwaisee (R.A.), the then Pincipal, Manikgonj Debendra College. Moulana Shah Abdus Satter Uwaisee (R.A.) translated into Bengoli the Persian book “Suhail-E-Yaman”, He wrote his own biography also. He died on 20th November, 1964. His Mazar Sharif is situated in Angurpara, District Manikgonj.
Posted on: Wed, 12 Nov 2014 15:58:17 +0000

Recently Viewed Topics




© 2015