আজকে গুরুর কনসার্ট সবার - TopicsExpress



          

আজকে গুরুর কনসার্ট সবার কেমন লেগেছে??? আমাদের জানান। সাথে পরুন গুরুর অনেক আগের একটি কনসার্টের রিভিউ, অসাধারন লেখা সকলের ভালো লাগবে। ///নগর বাউল জেমসের গানে মজলো বুয়েট ক্যাম্পাস/// ``বুয়েটের ২০০৪ ব্যাচের গ্র্যাজুয়েটদের র‌্যাগ ডে’র স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে নগর বাউল জেমস গাইলেন প্রাণ খুলে। নগর বাউলের সঙ্গে সঙ্গত করে বুয়েটের ভক্ত-অনুরাগীরাও মাঠজুড়ে সমস্বরে গাইলো গলা ছেড়ে। নগর বাউল আর ভক্তদের সম্মিলিত কণ্ঠ মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল বৃহস্পতিবার। বুয়েট ক্যাম্পাস মাঠে বৃষ্টি আর কাদা উপেক্ষা করে জেমসের কনসার্ট দেখতে প্রায় পাঁচ হাজার ভক্ত জড়ো হয়ে গিয়েছিল আগে থেকেই। এটা ছিল ২০০৪ ব্যাচের গ্র্যাজুয়েটদের র‌্যাগ ডে উপলক্ষে মেগা কনসার্ট। জেমস আসবেন, এ খবর পেয়ে কোত্থেকে যে দলে দলে ভক্তরা এসে জড়ো হলো কেউ টেরই পায়নি। ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ৯টা। ঝিরঝির বৃষ্টি, কাদা আর হাওয়ার কাঁপন গায়ে মেখে সেই সন্ধ্যা থেকে জেমসের গান শোনার অপেক্ষা তখন ফোরালো। সেই চিরাচরিত কালো পাঞ্জাবি, জিন্স প্যান্টের সঙ্গে বুট পরে ঝাঁকড়া চুলের ঝুঁটি খুলে জেমস এসে দাঁড়ালেন মঞ্চে। বৃষ্টি আর কাদার মাখামাখিতে তখনই শুরু হয়ে যায় অন্যরকম এক তাণ্ডবনৃত্য। ‘গুরু গুরু’ ধ্বনিতে ফেটে পড়ে বুয়েট ক্যাম্পাস মাঠ। মঞ্চে এসেই নগর বাউল ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, তোমরাই আমার জান, তোমরাই আমার প্রাণ, লাভ ইউ। র‌্যাগ ডে’র আনন্দে মেতে ওঠা গ্র্যাজুয়েটদের সঙ্গে আসা প্রায় পাঁচ হাজার ভক্ত একযোগে তখন বলে ওঠে, ‘ঠিক আছে গুরু, ঠিক আছে।’ কুশল বিনিময়ের পর নগর বাউল প্রথমেই গেয়ে শোনালেন ‘লেইস ফিতা লেইস’ গানটি। প্রথম গানেই পাগলা নৃত্যে মেতে ওঠে সবাই। জেমস বলেন, ‘দিওয়ানারা সব কোথায়?’ তাদের উদ্দেশে গেয়ে ওঠেন ‘দিওয়ানা, দিওয়ানা/তোমার প্রেমের দিওয়ানা হে/তুমি বুঝলা না বুঝলা না আমার মনোবেদনা হে। এ গানের সঙ্গে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে, বৃষ্টি-কাদার মাখামাখিতে সুরের নেশা আরো জমে ওঠে। নগর বাউল জিজ্ঞাসা করেন, আমার দুষ্টু ছেলের দল কোথায় রে? সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ১০ হাজার হাত একসঙ্গে তালি দিতে দিতে গেয়ে ওঠে, দুষ্টু ছেলের দল/ছন্নছাড়ার দল/মোরা শাসন মানি না/বারণ শুনি না/করি টালবাহানা। মাঠজুড়ে তালির খই ফোটে। এবার পরিবেশন করেন সেই প্রিয় গান- আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো তুমি আমার। গান শেষে জেমস বলেন, তুমি আমার আর আমি তোমাদের। জেমস বয়সের ভারে এতোটুকু ন্যুব্জ নন, বরং তার গানের গলা এখন আরো উজ্জীবিত। ঘড়ির কাঁটা যতো এগিয়ে চলে বৃষ্টিও ততো জোরে নামতে থাকে। এমন মিষ্টিমধুর লগ্নে জেমস গেয়ে ওঠেন, রূপের জাদু বড় জাদু গো/মনের মায়া বড় মায়া গো/ও বিজলি চলে যেও না। মাঠজুড়ে এবার ধ্বনিত হয় ‘মীরাবাঈ’ গাওয়ার জন্য। জেমস বলেন, এ গান না গেয়ে এখান থেকে যাবোই না। তখন আবার সবাই শান্ত হয়। এবার প্রলয়ের শিঙ্গায় ফুঁ দিয়ে ওঠে ইস্রাফিল/তল্লাটে তল্লাটে জিকির ওঠে/ইয়ারব ইয়ারব বল- জিকির গানে সবাই যেন প্রার্থনায় মগ্ন হয়ে যায়। এ এক বিরল দৃশ্য। একে একে নগর বাউল ভক্তদের তৃষ্ণা মেটাতে গেয়ে চলেন, চলতি পথে জাদুকর ভালোবাসা, গুরু ঘর বানাইলা কি দিয়া, মীরাবাঈ হেইলা দুইলা, হই হই কাণ্ড রই রই ব্যাপার, পাগলা হাওয়া গানগুলো। বৃষ্টির তোড়ে কনসার্ট তখন পিক পয়েন্টে। ভক্তকুল শুনতে চায় ভারতবর্ষ জয় করে আসা নগর বাউলের গাওয়া হিন্দি গান ভিগি ভিগি। তিনি ভক্তদের অনুরোধ রাখতে ‘ভিগি ভিগি’ ও ‘চাল চালে’ দুটি গানই পরিবেশন করেন। রাত ১১টায় কনসার্ট শেষে বিদায়ের পালা। কিন্তু কেউই গুরুকে বিদায় দিতে চায় না। তখন নগর বাউল বলেন, ‘এই পথে থাকলে আবার দেখা হবে বন্ধুরা।’ আবেগ রহমান সূত্র: যায়যায়দিন, জুলাই ০৪, ২০০৯
Posted on: Fri, 26 Dec 2014 18:23:22 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015