আমার চেহারা কিংবা, গায়ের রঙ অথবা, পারিবারিক অবস্থার উপরে আমার কোন হাত ছিল না। যদি থাকতো, আমি ঈশ্বরকে বাধ্য করতাম আমাকে নার্সিসাস হিসেবে বানাতে, অথবা কার্লোস স্লিম হেলুর পুত্র হিসেবে পৃথিবীতে পাঠাতে! আমি অবাক হয়ে যাই, আজকের এই যুগেও মানুষ কতটা রেসিস্ট হতে পারে- এটা ভেবে। যতটা না আমাদের জেনারেশানে এই রেসিসম, তার চেয়ে বেশি আমাদের মা-বাবাদের জেনারেশানে। আমার কালো-কুৎসিত, বিধ্বস্ত চেহারা, দুর্বল পারিবারিক অবস্থা, মেধাহীনতা, অযোগ্যতা সবসময় আমাকে পারিবারিক, সামাজিক আলোচনায় লাইম-লাইটে রেখেছে। পরিচয় দেবার সময় অনেককেই বলতে শুনেছি, ওই যে কালো ছেলেটা ভালো বিতর্ক করে! এসব কখনো গায়ে মাখি নি। তবু মানুষের তো ধৈর্যের একটা সীমা আছে! জিনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুযোগ থাকলে আমার বাবা-মা কখনই চাইতেন না, তাদের আদরের ছেলেটিকে কেউ কালো-কুৎসিত বলুক! আজও হয়তো সব প্রতিবন্ধি, বিকলাঙ্গ অথবা, কুৎসিত চেহারার সন্তানদের বাবা-মা চান না তাদের সন্তানকে কেউ দূর-ছাই বলুক! আমার বাবা-মা জানেন না, তাদের ছেলেকে প্রতিনিয়ত কত কথা শুনতে হয়! এক বালতি দুধে একফোঁটা গো-মূত্র পড়লে সেই দুধ নষ্ট হয়ে যায়- কথা সত্যি! আজ আমার মতো গো-মূত্র আপনাদের মতো সফেদ, দুগ্ধফেননিভ মানুষের মাঝে মিশে আপনাদেরকেই নষ্ট করে ফেলছে- এই চিন্তা আমাকে রাতে ঘুমুতে দিচ্ছে না!
Posted on: Mon, 29 Sep 2014 08:26:45 +0000