আমার সজ্ঞানে মনে হয় না - TopicsExpress



          

আমার সজ্ঞানে মনে হয় না হ্যাস ট্যাগ দিয়ে নিজের পরিচয় দিয়ে নিজের ওয়ালে সেভ গাজা লিখে কোন লাভ হবে, সবার অনুভূতিকে সম্মান করি। কয়েক জনকে খুবই আগ্রহ আর উত্তেজনা নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম এভাবে লিখলে কি হবে?? কেউ বলে ফেসবুকে নাকি জরিপ চলতেছে কেউ বলে জুকার্বাগ ইহুদী তারে দেখানোর জন্য এতো কিছু। কিন্তু নিরর্থক জুকার্বাগ রে এগুলা দেখায় কী লাভটা হবে আমি এখনো বুঝতে পারতেছি না। যেখানে আমাদের নিজেদের ঘোর পোড়া ওইখানে কোন এক ইহুদির দৃষ্টিগোচর করার চেষ্ট একটা ছেলে মানুষী। নিজের ঘর পোড়া কেন জানেন?? আমাদের আন্তর্জাতিক ইসলামিক সংগঠন গুলো হাতে চুরি পরে আছে বিন্দুমাত্র কোন কার্যকারী ব্যাবস্থা নিতে পারতেছে না তারা তাহলে আর কাদের কাছ থেকেইবা আমরা আশা করতে পারি?? বিশ্বের ইসলামিক দেশ?? সৌদি আরব, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, ইন্দোনেশিয়া?? তারাও নিশ্চুপ কোথায় আর মানবতার জন্য হাহাকার করে লাভ হবে?? এবার আশা যাক জাতিসংঘে এরা সবকিছুতেই ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা শুধু ম্যা ম্যা ই করতেছে কোন কার্যকর ব্যাবস্থা নিতে পারতেছে না। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংগঠন তারা ইসরায়িলের এই গণহত্যার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য ভোটাভোটি করলে সবকটি দেশের মধ্যে একমাত্র আমেরিকাই এর বিরোধীতা করে নিন্দা জানায় শান্তিতে নোবেল আধিকারী ওবামা শুধু যুদ্ধ বিরতীর কথাই বলে কিন্তু এই নির্বিচারে হত্যার বিরুদ্ধে জোরাল কোন প্রতিবাদ করে না। ইরাকে এখন কিছু হোক বা মিশরে কিছু হোক ঠিকই ন্যাটো ওখানে উপস্থিত থাকবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাহিনী উপস্থিত থাকবে জাতিসংঘ কার্যকরী ব্যাবস্থা নিবে কিন্তু ফিলেস্তিনিদের বেলায় গোটা পৃথিবী উদাসীন যেন তাদের হাত পা বাধা। ফেসবুকে অনেকেই দেখি সেভ গাজা দিয়ে প্রোফাইল পিকচার দেয় মানব বন্ধনে যায় হ্যাস ট্যাগ দেয় আমি দেয় নাই আমার সজ্ঞানে কোন মতেই আসতেছে না এগুলাতে আসলেই কোন লাভ হবে নাকি এইনিয়ে। আপনি যদি বলেন এগুলা মিডিয়া জানবে একটা চাপ পড়বে ইসরায়িলি কর্ত্বিপক্ষের উপর তাহলেও আমি এর কোন মানে খুজে পাচ্ছি না, আন্তর্জাতিক যত গণমাধ্যম আছে যেমন আলজাজিরা,বিবিসি,সিএনএন প্রিন্টমিডিয়া অনলাইন মিডিয়া তারা ঘন্টায় ঘন্টায় ফলাও করে ব্রেকিং নিউজ দিচ্ছে প্রতি মুহূর্তেই জানাচ্ছে মৃতের সংখ্যা কত যেখানে এও বলা হচ্ছে মৃত মানুষদের মধ্যে ষাট ভাগের বেশী নারী ও শিশু যাদের সাথে যুদ্ধের কোন সম্পৃক্ততা নেই, কই কোন কি লাভ হচ্ছে??? যত বেশী নিউজ আসে তার পরেরদিন মৃতের সংখ্যা ততো বাড়ে। যেখানে জীবন বাচানোর জন্য ফিলেস্তিনির মানুষ সবচেয়ে সুরক্ষিত জায়গা মনে করে জাতিসংঘের শিশুদের স্কুলে আশ্রয় নেয় সেখানে ওই স্কুল শুদ্ধ গুড়িয়ে দেয় ইসরায়িল বাহিনী, তারা হাসপাতাল গুড়িয়ে দেয় এমনকি মৃতপ্রায় শিশু নারীদের সাহায্যের জন্য যে রেড ক্রিসেন্ট এগিয়ে আসে তাদের উপরেও গুলি বর্ষণ করা হয়, তাহলে আপনার কি মনে হয় আমাদের প্রোফাইল পিকচার হ্যাশ ট্যাগ তাদের হিংস্রতাকে একবিন্দু কমাতে পারবে?? আবার অনেকেই এর প্রতিবাদ স্বরূপ ইসরায়িলি পণ্য বর্জনের কথা বলে এটা অবশ্যই ভালো উদ্দ্যোগ বাট তখন অবাক লাগে যখন ইসরায়লি পণ্য বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়। ইসরায়েলী পণ্য বলে যেগুলাকে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে আছে যেমন নকিয়া(Nokia) মানুষ ছোটবেলা থেকেই জানে ফিনল্যান্ডের, কোকাকোলার(Cocac ola) সব পণ্য আমেরিকার যা কিনা ইসরায়েল জন্মের আগে প্রতিষ্ঠিত, ম্যাগী(Maggi) মালয়েশিয়ার,নেসলে(Nestle) সুইজারল্যান্ডের , ডিজনি(Disney), জিলেট(Gillette) , নাইকি(Nike), কোডাক(Kodak),ক্যালভিন(Calvin Klein), ম্যাকডোনাল্ডস(McDonalds), ইনটেল(Intel), আইবিএম(IBM) আমেরিকার, লরিয়াল প্যারিস(Loreal Paris) ফ্রান্সের (নামের মধ্যেই প্যারিস আছে), এপেক্স(Apex) বাংলাদেশের, কিটক্যাট(Kitkat ) ইংল্যান্ডের এইসব পণ্য নিয়ে অধিকাংশই বিভ্রান্ত হয়, ইসরায়েলী পণ্য সম্বন্ধে সবচেয়ে বহুল প্রচারিত মতবাদ পেপসি(PEPSI) নিয়ে। মিডেলইস্ট সর্বপ্রথম পেপসি শব্দের ভিন্নার্থ প্রচার করে। তাদের মতে পেপসি(PEPSI) মানে Pay Every Penny to Save Israel। এর প্রতিষ্ঠা ১৮৯৩ সালে Brads Drink নামে। ১৮৯৮ সালে পেপসি কোলা নাম ধারণ করে যখন ইসরায়েল প্রতিষ্ঠিতই হয়নি। এবার বলি পেপসি নামকরণের কারণ। মানুষের পাকস্থলীতে প্রোটিন পরিপাক কারী নিষ্ক্রিয় পেপসিনোজেন নামক এনজাইম আছে। এটি হজমে সাহায্য করে। হাইড্রোক্লোরিক এসিডের সংস্পর্শে এটি সক্রিয় পেপসিনে পরিণত হয়। এই পেপসিন থেকে পেপসি নামের উৎপত্তি। পেপসি ও দ্রুত হজমে সাহায্য করে। এই সিম্পল পেপসিকে মানুষ ঘুরিয়ে প্যাঁচিয়ে ইচ্ছামতো নামকরণ করেছে। মানুষের জ্ঞান অল্প থাকলে তাকে বিভ্রান্ত করা অনেক সহজ। আর বাংলাদেশী তো আরো সহজে যার-তার কথা বিশ্বাস করে ফেলে। এই নামকরণ তো মিডেল ইস্টের আলেমেরা করেছেন শুধু মাত্র তাদের ব্যাসায়িক ফাইদা হাসিলের জন্য তবে গুগল, ডেল, মাইক্রোসফট এর ফাউন্ডার, কো-ফাউন্ডারেরা ইহুদী। এদের কেউ কেউ ইসরায়েলকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাহায্য করে থাকতে পারে, তাই এগুলাকে বর্জন করা যায় সাথে সাথেই এই ফেসবুককেও বর্জন করা তাহলে আমাদের জন্য অত্যাবশ্যক এখন কথা হচ্ছে আমরা কি এগুলা আসলেই বর্জন করতে পারবো??? একদিকে আমরা ইহুদী পণ্য বর্জন করতে বলি আবার একদিকে ইহুদীদের আবিষ্কার ফেসবুকে তা ছড়িয়ে দেই এগুলা করে কেমন একটা দুমুখো সাপ হয়ে যাচ্ছি না আমরা?? আর কিছু ইসরায়েলী পণ্য যেমন কসমেটিক সামগ্রী:Premier, Premier&Gratiae Perfume, Ein Gedi,Ahava, Dr. Fischer, Nail Care, Careline, Dead Sea Black Mud Facial Cleansers&Masks, Mens, Dead Sea Salts Hawaii Soaps, Mommy Care Natural Cosmetics, Neca 7, Penina Rosenbloom Toothpaste. খাদ্য সামগ্রী: Bamba Cookies-snacks- Crackers, Aladin Turkish Coffee, Elite Turkish Coffee with Cardamon, Elite Instant Coffee, Nesquik, Elite Aroma Coffee, Elite Turkish Coffee Tin, Elite Instant Coffee- Mocha Flavor, Belt Hashita Dates-Olives-Pi ckles Vegetables, Galil soup- Dates-Seed s&Nuts, Hashahar HaOle Chocolet, Whole Spelt Crisp&Cracker(Collected from different sources & wikipedia) ইত্যাদি যেগুলা কখনো বাংলাদেশেই আসে না। আর বাংলাদেশের সাথে ইসরাইয়েলের কোন কূটনীতিক সম্পর্ক নেই তাই ইসরায়িলী পণ্য বাংলাদেশে আসার কথাও না। এখন অনেকেই বলবেন হ্যাশ ট্যাগ এগুলা আমরা মনকে শান্ত করার জন্য দিসি মানসিক শান্তির জন্য দিসি তাহলে খুবই ভালো একজনের অনুভূতির ওপর অন্যজনের শ্রদ্ধাশীল হওয়া একপ্রকার নৈতিকতার মধ্যেই পরে। ইসরায়িলের পিছনে আমেরিকার বিশাল বড় প্রত্যক্ষ সমর্থন আছে বিশ্ব সংস্থাগুলো নির্বাক এই সময়ে বিশ্ব নেতারা একমত না হলে আমাদের কিছুই করার নেই। বার বার হাজার বার মানবাধিকার ভুলন্ঠীত হবে তারপরও আমাদের কিছুই করার নেই। অনেক আছে লেভেল সিক্স মার্কা সুশীল হইতো আমারে বলবে প্রতিদিনই তো আমি কত বড় বড় স্ট্যাটাস দি কবিতা দি গল্প দি এই সামান্য স্ট্যাটাস দিতে কেনো আমার এতো সমস্যা এত চুলকানী?? আমি বলবো আমার কোন চুলকানী নেই আর নিরর্থক কাজে আমার আগ্রহও নেই। তবে আমরা অনেক কিছুই নিরর্থক ভাবে করি হইতো ওগুলা করে আমরা মানসিক শান্তি পায় যাক এটা সবার নিজস্ব ব্যাপার তবে আমি অনুরোধ করবো অনেক কিছুইতো করি আমরা আজকে নাহয় এই পবিত্র লাইলা-তুল-ক্বদর রাত্রে আল্লাহর কাছে গাজার মানুষদের জন্য প্রার্থনা করি আল্লাহর কাছে চাওয়া ছাড়া সত্যিই কোন বিকল্প নেই আমাদের। আশা রাখি এই গণহত্যারও বিচার হবে, ন্যায়বিচার কখনো অসমাপ্ত থাকে না, নূরেমবার্গ, যুগোশ্লাভিয়া, টোকিও, রুয়ান্ডা, কম্বডিয়া, সিয়েরা লিয়ন, বাংলাদেশ সব জায়গাতেই যুদ্ধাপরাধের বিচার হয়ছে হচ্ছে আর হবে আমাদের হইতো আরোকিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে এই ইসরায়িলের বিচারের জন্য। ইসরায়িলেরও বিচার একদিন নিশ্চয় হবে......অবশ্যই হবে। নিরর্থক জেনেও দিলাম শুধু মাত্র মানসিক শান্তির জন্য #Hang_The_Warcriminals_of_Bangladesh I #SappourtGaza #Free_Palestine. যুক্তিহীন আজাইরা প্যাচাল পারা পাবলিক এই স্ট্যাটাস থেকে দূরে থাকবেন।
Posted on: Fri, 25 Jul 2014 12:41:32 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015