ইবলিশ এবং আদম (আঃ) তাদের - TopicsExpress



          

ইবলিশ এবং আদম (আঃ) তাদের মধ্যে পার্থক্যটা কোথায়? ইবলিশ এবং আদম (আঃ) উভয়েই আল্লাহর সৃষ্টি, তাদের মধ্যে অনেকগুলো কমন জিনিষ আছে। যেমন তারা উভয়েই আল্লাহর ইবাদাত করত, তাদের উভয়েরই free will বা স্বাধীন ইচ্ছা ছিল, তারা দুজনই ভুল করেছিল, আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করেছিল। ইবলিশের ভুল ছিল সে আদমকে সেজদা করতে অস্বীকৃতি দিয়েছে এবং আদম (আঃ) এর ভুল ছিল তিনি আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে নিষিদ্ধ গাছের ফল খেয়েছিলেন। তাদের মধ্যে পার্থক্যটা কোথায়? তাদের মধ্যে পার্থক্যটা ভুলে নয়, বরং ভুল করার পরে। ইবলিশ ভাবল সে তার intellect বা বিচারবুদ্ধি দিয়ে আল্লাহর আদেশকে চ্যালেঞ্জ করার অধিকার রাখে, তাই সে তার ভুলটাকে জায়েজ করে নেবার উদ্দেশ্যে counter argument দিল, “আমি আগুনের তৈরি, আমি আদম থেকে শ্রেষ্ঠ ... ব্লা ব্লা ব্লা”, কিন্তু আদম(আঃ) কি করেছিলেন? আদমকে সৃষ্টিজগতের সবকিছুর উপরে চিন্তায়-বিবেকে-বুদ্ধিতে শ্রেষ্টত্ব দেয়ার পরেও তিনি তার disobedience এর পিছনে কোন intellectual reasoning করেন নি, নিজেকে স্মার্ট প্রতিপন্ন করে চেষ্টা করেন নি, কারণ তিনি জানেন আল্লাহ হচ্ছেন ‘আলীমুন হাকীম, তার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে প্রমাণ করার কিছু নেই। তাই তিনি নিজের ভুল স্বীকার করে বললেন, “হে আমাদের পালনকর্তা আমরা নিজেদের প্রতি জুলম করেছি। যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করেন, তবে আমরা অবশ্যই অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যাব।” ইবলিশের মানসিকতা হচ্ছে “আমি ঠিক” আর সে নিজেকে ঠিক প্রমাণ করার জন্য সে আল্লাহর দেয়া শ্রেষ্টত্বের মাপকাঠিকে গ্রহণ না করে দুনিয়াবি যোগ্যতাকে মাপকাঠি হিসেবে নির্ধারণ করল এবং reasoning করা শুরু করল যেন নিজেকে ঠিক প্রমাণ করা যায়। আমি ঠিক”, আমি ভুল করতেই পারি না”-এটা সেই ঔদ্ধত্য যেটা মানুষের জাহান্নামের যাওয়ার কারণ হয়। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর অর্থ কেবল এটা নয় যে আল্লাহকে আমরা lip service হিসেবে সর্বজ্ঞানী হিসেবে মানব, বরং এর মানে আমরা সর্বজ্ঞানী আল্লাহর কাছে নিজেদেরকে সমর্পণ করব এবং নিজেদের সীমিত বুদ্ধিমত্তা দিয়ে আল্লাহর জ্ঞানকে judge করতে যাব না।
Posted on: Sun, 16 Nov 2014 18:24:17 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015