ইসলামী রাজনৈতিক দলের - TopicsExpress



          

ইসলামী রাজনৈতিক দলের অগণিত কর্মী বিগত নির্বাচনসমূহে জোটবদ্ধ নির্বাচনের দোহাই দিয়ে অধিকাংশ আসনে বিএনপির জন্য মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ভোট প্রার্থনা করেছেন, যা একটি বড় কুফরী যা একজনকে মুসলিম মিল্লাত থেকে বের করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। এটা জানা কথা যে বিএনপি / আওয়ামীলীগের আদর্শ হচ্ছে কুফরী আদর্শ – যা আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাঃ) এর বিরোধিতার উপর দাঁড়িয়ে আছে। যেমনঃ বিএনপি এর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সম্পর্কে তাদের দলীয় সংবিধানে বলা আছেঃ “(c) To acquire pro-people economic development and national progress based on social justice through politics of production, free market economy and people’s democracy.” অর্থঃ “সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে উৎপাদনের রাজনীতি, মুক্ত বাজার অর্থনীতি ও জন-গণতন্ত্রের মাধ্যমে জন সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক উন্নতি ও জাতীয় অগ্রগতি অর্জন”। সুত্রঃ bangladeshnationalistparty-bnp.org অর্থাৎ, তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও জাতীয় উন্নতি সাধন করতে চায় “মুক্ত বাজার অর্থনীতি ও জন-গণতন্ত্রের”মাধ্যমে, ইসলামী অর্থনীতি কিংবা ইসলামী শরীয়াহ এর প্রয়োগের মাধ্যমে নয়। আর এটা হচ্ছে সুষ্পষ্ট কুফরী একটি আদর্শ। এখন কেউ যদি সেই বিএনপিকে ভোট প্রদান করার জন্য আহবান করে, সে পরিণামে কুফরের দিকে আহবান করে। যদিও ইসলামি দলগুলার সদস্যরা মুখে মুখে ‘ইসলামী গণতন্ত্র’ নামক এক আজব বস্তুর কথা বলেন কিন্তু বাস্তবে পশ্চিমা আবিষ্কৃত কুফর-শিরক মিশ্রিত গণতন্ত্রের মাধ্যমে দ্বীনকে বিজয়ী করার দিবা-স্বপ্ন দেখছেন এবং বিএনপি এর জন্য বাংলাদেশের অধিকাংশ আসনে ভোট চেয়েছেন। এটাই কি তাদের তথাকথিত ‘ইসলামী গণতন্ত্র’? এটাই কি তাদের তথাকথিত ‘হালাল গণতন্ত্র’? এসবের পরও কিভাবে বিবেক সম্পন্ন একজন মানুষ গণতন্ত্রের পক্ষে সাফাই গাইতে পারেন? আর এটা জানা কথা যে, নিয়্যত ভালো থাকলেও ইসলামে কোন হারাম কাজ করার অনুমতি নাই। যেমনঃ কেউ চুরি করে সেই টাকা গরীব ও অভাবীদেরকে দান করতে চাইলে সে গুনাহগার হবে। আর কুফরী আইন অনুযায়ী মন্ত্রনালয় পরিচালনা কিংবা কুফরী কোন দলের জন্য মানুষের কাছে ভোট চাওয়াতো বলাই বাহুল্য। এসব কাজ কখনো অযুহাত হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না। আবার এসব কাজকে ‘হিকমাহ’ বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা আরো জঘন্য। কারণ সকল নবী-রাসুল (আঃ) হিকমাহ অবলম্বন করেছেন। আর তাফসীর গ্রথসমূহে ‘হিকমাহ’ শব্দের অর্থ করা হয়েছে ‘সুন্নাহ’। জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য ইসলামী রাজনৈতিক দলের এসব আল-কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী কাজ তথা শিরক-কুফরকে ‘হিকমাহ’ বলার অর্থ হচ্ছে সকল নবী-রাসুল (আঃ) বিভিন্ন সময় শিরক-কুফরীতে লিপ্ত হয়েছেন। নাউজুবিল্লাহ। তবে একটি কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন মনে করছি। তাদের মাঝে এসব শিরক-কুফর থাকলেও আমরা তাদের অজ্ঞতা ও তাওয়ীলের (ভুল ব্যাখ্যা) কারণে তাদের প্রত্যেককে ব্যক্তিগতভাবে কাফির মনে করিনা। আমাদের উপরুক্ত আলোচনার মানে এটা নয় যে, পুরো ইসলামী দলকে আমরা তাকফির করছি। আপাতত গনতান্ত্রিক ইসলামিক দলের এই ভুলগুলি তুলে ধরলে আশা করি আপনার এলাকায় উল্লেখিত ভাইরা সত্য বুঝতে পারবেন। এই ভাইদেরকে এটা বুঝানো দরকার যে, আল্লাহ পবিত্র, তিনি পবিত্র ব্যতীত কোন কিছু কবুল করেন না। আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার প্রচেষ্টা একটা ভালো কাজ, বরং তা ফরজ। যেহেতু এটা একটা ইবাদত, তাই সেই ইবাদাতের পদ্ধতি স্বয়ং আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। এই দ্বীন প্রতিষ্টার নির্দেশ দানকারী এর পদ্ধতির ভিখারী নন, যে তিনি আব্রাহাম লিংকন কিংবা কোন কাফিরের কাছে এর পদ্ধতি ভিক্ষা চাইবেন। কিন্তু এই দ্বীনকে বিজয়ী করতে গিয়ে কোন হারাম কিংবা শিরক-কুফরে জড়িত হবার কোন অবকাশ নেই। যে এরকম করবে সে শুধু পরিণামে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আর আল্লাহ শুধু ঈমানদারদের জন্য বিজয়ের ওয়াদা করেছেন যারা আমলে সালেহ করবে। وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنكُمْ وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَيَسْتَخْلِفَنَّهُم فِي الْأَرْضِ তোমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ওয়াদা দিয়েছেন যে, তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীতে শাসনকর্তৃত্ব দান করবেন। (সূরা নূর, আয়াতঃ ৫৫) কিন্তু যারা শিরক-কুফরীতে লিপ্ত হবে, তারা তো আমলে সালেহ করছে না বরং তারা আজাবের সম্মুখীন হবে। তাই আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার চেষ্টা করতে হবে জিহাদ ও ক্বিতালের মাধ্যমে যা আমরা সংক্ষেপে ‘আমাদের দাওয়াহ’ পাতায় উল্লেখ করেছি। সেখানে আমরা দেখিয়েছি যে, এ ব্যাপারে আলেমদের ইজমা আছে যে, কোন এলাকার শাসকের মাঝে প্রকাশ্য কুফরী দেখা দিলে তাকে অপসারণ করা ফরজ। আর যদি অপসারণ করার সামর্থ না থাকে, তবে সেই সামর্থ অর্জন করা ফরজ। আর সেটা সম্ভব না হলে হিজরত করে সেই এলাকা ত্যাগ করা ফরজ।
Posted on: Sat, 18 Jan 2014 17:47:42 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015