উত্তাল ল্যাতিন - TopicsExpress



          

উত্তাল ল্যাতিন আমেরিকা......উত্তাল আরব.....উত্তাল তুরস্ক ! গত ১-২ মাস ধরে আশ্চর্যজনকভাবে একের পর এক বিভিন্ন দেশগুলোতে বিপ্লবের ডাক দেয়া হচ্ছে! বাংলাদেশে ইতিহাসের সবচাইতে বড় সরকারবিরোধী আন্দোলন মানুষ দেখেছে। ইসলামপন্থিরা আন্দোলন পরিচালনা করায় পশ্চিমা বিশ্বে কোন সাপোর্ট পাওয়া যায়নি। বরংচ পশ্চিমা বিশ্ব এত বড় হত্যাকান্ড দেখেও না দেখার ভান করেছে। মিডিয়া উল্টো আন্দোলনকারীদের Extremist হিসেবে উপস্থাপন করেছে। বাংলাদেশের আন্দোলনের পরপরই সাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আন্দোলন শুরু হতে থাকে। তুরস্কের তাকসীম স্কয়ার তো প্রতিটি মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়েছে। আন্দোলনকারীদের Violent কার্যক্রমকে আশ্চর্যজনকভাবে মিডিয়া সাপোর্ট দিয়েছে। কিন্তু এরদোগানের সুন্দর কৌশলের কাছে আপাত দুষ্টিতে মনে হচ্ছে সেকুলারিষ্টদের সেই আন্দোলন অনেকটাই শীতল এখন! এখন সবার দৃষ্টি ৩০জুন মিশরের দিকে! মুরসী বিরোধী আন্দোলন চরম পর্যায়ে পৌছিয়েছে! শত শত মিডিয়া এখন মিশরে অবস্থান করছে। অনেকের ধারণা হয়তো ৩০জুন মুরসীর পতন হতে পারে! এবার আসি ল্যাতিন আমেরিকায়। ব্রাজিলে স্মরনকালের সবচাইতে বড় বিক্ষোভ চলছে ! যে জাতি ফুটবল পেলে সব কষ্ট-দু:খ ভুলে যায়, সে জাতি এখন সরকার পতনের গোল দিতে রাস্তায় নেমেছে। কিছু দিন যেতে না যেতেই অন্যান্য লাতিন দেশগুলোতে দানা বেধে উঠেছে আন্দোলন। বিক্ষোভে ফেটেঁ পরেছে Venezuela, Ecuador এবং Bolivia ! এছাড়া Peru এবং Paraguaএর অবস্থাও গরম! অনেকে ধারণা করছে “Latin American Spring” এর ! সব আন্দোলনের কিছু কমন স্লোগান ব্যবহৃত হচ্ছে: “freedom of speech”, “democracy”, “peace”, “human rights”, “non-discrimination” ! স্বতস্ফূর্তভাবে জনগণ রাস্তায় নেমে আসছে ! আান্তর্জাতিক মিডিয়াও ফলাও করে প্রচার করছে। দেশের মানুষগুলোও পরিবর্তন এর স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু চলমান আন্দোলনগুলোকে অনেকেই ভিন্ন চোখে দেখছেন। তাদের ভাষ্যমতে এই আন্দোলনগুলোর মাধ্যমে ইসরাঈল ও আমেরিকা স্বার্থ হাসিল করছে। তাদের দাবী : * প্রথমে পশ্চিমা শক্তিগুলো (বিশেষ করে আমেরিকা ও ইসরাঈল) আগে বের করে কোন দেশে ক্ষোভ দানা বেধে উঠছে। কোথায় ‘সরকার পরিবর্তন‘ করা সম্ভব! এটাকে বলা হয়: a country ripe for “regime change”! * তারা তাদের সংবাদ মিডিয়া এবং বেতনভোগী সাংবাদিকদের মাধ্যমে flagrant মিথ্যা ছড়ায় সেই দেশগুলো সম্পর্কে এবং এটি "আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এর কনসার্ন" বলে দাবী করে! * আভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোতে তারা অর্থ সহযোগীতা করে এবং বেশী করে Promote করে! * একটা বিদ্রোহী গ্রুপকে ট্রেনিং দিয়ে সহযোগীতা করে তাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে: CIA, MI6, Mossad কোন যুক্তিই ফেলে দেয়ার মত নয়। সবচাইতে গুরত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সবগুলো আন্দোলন এর সূচনা হয় সেশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে! তথ্য প্রযুক্তির যুগে অনলাইন জগতটাকে একটি বিপ্লব এর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে ! বাংলাদেশের অনলাইন এ্যাকটিভিষ্টরাও এ থেকে শিক্ষা নিতে পারে। কে জানে! হয়তো বড় কোন আন্দোলনের ডাক এই সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই আসবে !
Posted on: Thu, 27 Jun 2013 17:14:04 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015