এটা একটা রম্য রচনাও হতে পারত - কোন এক কালে ভোদাইগঞ্জ নামক একটি গ্রাম অবস্থান করিত। হঠাত একদিন সে গ্রামের পথিমধ্যে একটি বিষধর গোক্ষুর সর্প লোকজনের চক্ষুগোচর হইল। দিক ভাঙিয়া লোকের ঢল নামিল সেই সর্প অবলোকন করিতে। কথায় কথায় কীভাবে যেন চাউর হইয়া গেল যে ইহা স্বর্গীয় সর্পবিশেষ। এই সর্প যাহাকে দংশন করিবে তাহার স্বর্গ প্রাপ্তি নিশ্চিত।কিন্তু বিষধর সর্পের কুলোপনা চক্করের ভয়ে লোভ থাকা সত্ত্বেও কেহই সামনে আগাইতে সাহস পাইতেছিল না। এমতাবস্থায় গ্রামের বিশিষ্ট সাহসী যুবক যদু ভোদাই কোথা থেকে আসিয়া একদম বীরের ভঙ্গিতে সামনে দাঁড়াইয়া গেল। কিন্তু বিধিবাম সর্পরাজ আর দংশন করে না। কিছুক্ষণ খুচাখুঁচি করিয়া সে স্বর্গীয় কামড় খাইবার নিমিত্তে অপেক্ষা করিতে লাগিল। এসব দেখিয়া দুই একজন গ্রাম্যমস্তক বড় বড় ভোদাই যদুকে নিবারিত হইবার পরামর্শ দিলেন। কিন্তু অন্য কারো ভালো কথায় কর্ণ দিবে এত বৃহৎ কর্ণই যদুর ছিল না। অবশেষে বিরক্ত যদু থাকিতে না পারিয়া আশীবিষের ফণা বরাবর কষিয়া একখানা চড় হাঁকাইল। এতক্ষণে যমরাজের দয়ার উদ্রেক ঘটিল। বিজলির ন্যায় এক ছোবল দিয়া গোক্ষুর মহাশয় তাঁহার গরলখানি ঢালিয়া দিলেন। যদু দিগ্বিজয়ীর মত মুখবদ্যান করিয়া গ্রামবাসীর প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করিতে লাগিল আর মনে মনে স্বর্গে যাইবার জন্য অপেক্ষা করিতে লাগিল। কিন্তু এ কী! এত জ্বলুনি কিসের! স্বর্গে যাওয়া যে এত যন্ত্রনাদায়ক তা তো যদুকে কেহ বলে নাই। কিছুক্ষণের মধ্যে শরীর কাঁপিয়া মুখে ফেনা আসিয়া হুলস্থুল ব্যাপার। অবস্থা বেগতিক দেখিয়া ওঝা আনা হইল। সে ঘণ্টা দুই যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়া বলিল, ইহাকে এখনই সদর হাসপাতালে নিতে হইবে নচেৎ বাঁচানো দুষ্কর। উৎসাহী ভোদাইদিগের অভাব হইল না। তাহারা পাঁজকোলা করিয়া যদুকে নিয়া অষ্টক্রোশ দূরের সরকারী সদর হাসপাতালে ছুটিল। হাসপাতালে পৌঁছাইয়া দেখিল একজন মোটে ডাক্তার, সে তখন দ্বি-প্রহরে মধ্যাহ্নভোজন করিতে ব্যস্ত। লোকজন বিরক্ত হইয়া তাহাকে রাগিয়া বলিল ইহা কি ভোজনের সময়? তাহার কি আক্কেল জ্ঞান বলিয়া কিছুই নাই? বেচারা সদ্য পোস্টিং পাওয়া ডাক্তার। সমস্ত সকাল রোগী দেখিয়া কেবল মাত্র খাইতে বসিয়াছিল। এক গ্লাস জল কোন মতে ঢক ঢক করিয়া পান করিয়া যত দ্রুত সম্ভব আসিয়া রোগীকে পরীক্ষা করিল। ভয়ে ভয়ে বলিল রোগী অনেক আগেই মরিয়া গিয়াছে। তাহার আর কিছুই করিবার নাই। ভোদাইগনঞ্জের লোকজন চেতিয়া কহিল সব আপনের দোষ। এমন সময় আপনি খাইতে না বসিলে যদু বাঁচিয়া থাকিত। কয়েকজন তো পারিলে ডাক্তারকে কিছু উত্তম-মাধ্যম দিয়া দেয় আর কি। যাই হোক পরের দিন “দৈনিক ভোদাইগঞ্জ” এর প্রথম পাতায় বড় বড় করিয়া “লীড নিউজ” আসিল “ডাক্তারের অবহেলায় যদু ভোদাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু। দেশবাসী তাহা পড়িয়া সমস্ত ডাক্তার সমাজের মুণ্ডুপাত করিতে লাগিল আর সবাই মাথা নাড়াইয়া একবাক্যে একমত হইল – ডাক্তার মানেই কসাই।
Posted on: Mon, 21 Oct 2013 20:09:28 +0000
Trending Topics
Recently Viewed Topics
© 2015