কারু কষ্টের সাথে কেউ - TopicsExpress



          

কারু কষ্টের সাথে কেউ কখনো অংশীদার হতে চায় না। এটাই চ্রম সত্য। শুধু শুধু অপ্রয়োজনে কারু কষ্টের বোঝা ক্যারি করে কি লাভ? “প্রতিকূল সময় যখন আসে, তখন পুরো পৃথিবীই বেঈমানী করবে; এটাই সময়ের ধর্ম”। চেইন চ্যালেঞ্জিং খেলার মাঝে কমেন্ট করতেছি, হটাৎ লগ আউট… আবার লগ ইন করলাম। এবার তো ১০০ ভোল্টেজে শক খেলাম - Someone May Have Logged Into Your Account :o এখন তো সিকিউরিটি কোয়েশ্চন অপশন আর আসে না। কে জানে পৃথিবীর বেঈমানী শুরু হয়ে গেল আমার সাথে? তো কি আর করা ট্রাষ্টেড পার্সন ক্লিক করলাম। এবার তো কল করতেছি কোন ট্রাষ্টেড পার্সনই আর কল ধরে না। মখমল রঙিন রঙে রাঙ্গানো মনের আকাশে আস্তে আস্তে কালো মেঘ জমা হতে শুরু হল। একাকি কোন এক এলিয়েনের মত অফিস থেকে বাসায় প্রত্যাবর্তন করার ইচ্ছা পোষন করে অফিস ত্যাগ করলাম। রোড ক্রসিং করে রিক্সায় উঠতে হবে, তাই দুই লেন বিশিষ্ট বিশাল রাজপথ অতিক্রম করছিলাম, এমন সময়, ভাগ্যের দ্বিতীয় বেঈমানীর চক্রান্ত শুরু হল… এক রিক্সা পেছন থেকে এসে আমার পায়ে লাগিয়ে দিল, তাৎক্ষনিক লাফ দিয়ে স্থান পরিবর্তন করতঃ প্রচন্ড ধাক্কা খেলাম চলন্ত বাসের সাথে। আল্লাহর রহমত বাসের সাম্নে ধাক্কা না খেয়ে একপাশে ধাক্কা খাই, আর পুরো শরীরের চাপটা কাঁধে থাকা ল্যাপটপের ব্যাগের উপর দিয়ে যায়। মাথায় প্রচন্ড চোট লেগেছে, হাল্কা কেটে যায়, গাল ফেটে গেছে, কনুইয়ের নিকটে একটু মৃদু আঁচলে ছিলে গেছে। তিনটা ক্ষত স্থানের জন্য ফার্মেসি থেকে তিনটা ওয়ান টাইম ব্যান্ডেজ নিয়ে বাসায় যাই। কিন্তু কে জানত, আরো দুটো স্পেশাল ব্যান্ডেজ নিয়ে আসার দরকার ছিল? ল্যাপটপ খুলে দেখি পাওয়ার সুইটচ এর কাছে ক্যাচিংটা ফেটে গেছে, ল্যাপটপ আর অন হচ্ছে না। ঠিক তখনই হৃদয়ে আরেকটা ক্ষত হয়ে যায়। যার জন্যে স্পেশাল ব্যান্ডেজ দরকার ছিল। মূমুর্ষ অবস্থায় চেয়ারে গিয়ে বসলাম, এলসিডি পিসি অন করে নেট কানেকশন দিলাম। সময়ের বেঈমানীর বাকী অংশটাও বোধহয় দেখার বাকী ছিল। ৩জি নেটে সর্বোচ্চ স্পীড উঠতেছে ৭, ১০, ১৭, ২০, ২৫ কেবিপিএস। ত্রিশ কেবিপিএস ও যায় নাই। যেখানে অন্যদিন ২৫০-৩২০ কেবিপিএস পর্যন্ত উঠত :o । যাই হুক সব কিছূকে অতীত ভেবে, এবার একজনের সাথে কথা বলি যার সাথে কথা বলে হয়ত কষ্ট কিছুটা হাল্কা করতে পারবা। ৫-৭ বার রিং দিলাম, রিসিভ করল না। পরে অন্য একটা আইডি থেকে ঠেলাগাড়ী স্পীড নিয়ে “ওই” লিখে মেসেজ দিলম। ওমা! ৪০মিঃ পার হয়ে গেল কিন্তু সেই ফেসবুকে আসক্ত পার্সনতো মেসেজ সীনই করে নি :o । পরে ঘন্টা খানেক পর রিপ্লে আসলো “আমি অনেক অসুস্থ ।“ কথাটা শুনে এইবার এক্কেবারে সব কষ্ট একত্রে জমা হল, আজ আমি কষ্টে আছি সেই বিধায় ভাগ্য আমার সকল বন্ধুদের থেকেও দূর করে দিল। তখনই মনে হলো, যদি মন জোরা লাগানোর জন্য কোন ব্যান্ডেজ থাকত, তবে আরো দু’টো নিয়ে আসি। তবে আর কিছুই করা হল না, একটা লাইটার আর ৭টা #ব্লাক_সিগেরেট নিয়া আইলাম। কম্পিউটারে ফুল সাউন্ড হিন্দি প্লে করে দুই কর্ণে হেড ফোন লাগালাম। এর মাঝে আমার সবচেয়ে ভাল বন্ধু আমাকে কল দিল। সে হয়ত বুঝতে পারছে আমি পেইনে আছি। কিন্তু আমি তার কোন কল রিসিভ করি নাই। ইজি চেয়ারে বসে কানে হেডফোন দিয়ে হেলান দিয়ে আরেক জনের আইডি থেকে বসে বসে দেখছি কে কি পোষ্ট করতেছে। শুধু লাইক করতেছি, নো কমেন্ট। একের পর এক সিগেরেটের ধোয়ায় পুড়িয়ে দিলাম কষ্টকে। কিন্তু কষ্ট ছাই হয়ে হলেও বসে থাকতে চায়। তাই আর তাড়াতে পারলাম না। খালি পেটে সিগেরেট খেয়ে অবস্থা এমন হলো যে, চেয়ার থেকে উঠার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছি। আর মনের অজান্তে জীবনের বুঝার বয়সে ৭ম বারের মত কান্না করলাম :’( :’( :’( । শুধু ভাবতেছিলাম “আমি হয়ত এমন একটা Wrong পথে পা বাড়িয়েছি, যা আমার সাথে যায় না।“ এটা কোন গল্প নয়, আমার জীবনে ঘটে যাওয়া গত রাত্রে আমার সাথে ঘটে যাওয় একটা ইতিহাস। #মহাদেবের বরাবর-ই মনে পড়ে যায়- “সূর্য গ্রহণকে রাত্রি জ্ঞাপন করে পক্ষিরা যখন আপন নীড়ে ফিরে যায়, সে রাত্রি তাদের জন্য খুবই দীর্ঘ আর কষ্টদায়ক হয়”।
Posted on: Sun, 19 Oct 2014 09:57:38 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015