ক্যারিয়ার আড্ডাটি শুরু - TopicsExpress



          

ক্যারিয়ার আড্ডাটি শুরু হওয়ার আগে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন সভাপতি আমার ছোটভাই Shaon বলছিল, দাদা, আমাদের কাজী নজরুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে টোটাল ২২০০ সিট। এই অডিটোরিয়ামটা কখনোই পুরোপুরি ভর্তি হয় না। আমি এখনো পর্যন্ত কোনো সেমিনারে অডিটোরিয়ামের দোতলায় স্টুডেন্ট বসতে দেখিনি। আমার ধারণা, আজকে এরকম কিছু ঘটবে যা আগে কখনোই ঘটেনি। আমি এটা দেখার জন্য ওয়েট করছি। আড্ডা শেষ হওয়ার পর……… থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার রিলিজ হওয়ার পর মুভির প্রচারণা চালানোর জন্য আমাদের ভার্সিটিতে মোশারফ করিম আর তিশা এসেছিলেন। শুধু তখনই আমাদের এই অডিটোরিয়ামে এরকম কিংবা এর কাছাকাছি স্টুডেন্ট এসেছিল। এই প্রথমবারের মত কোনো ক্যারিয়ার সেমিনারে এই হলের দোতলা পূর্ণ হওয়ার পরও প্রায় ৩০০’রও বেশি স্টুডেন্ট দাঁড়িয়েছিল কিংবা অডিটোরিয়ামের সিঁড়িতে বসেছিল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এটা একটা রেকর্ড। ওপরের কথাগুলোও শাওনের। ভাই, আমি তোমাদের ক্যাম্পাসে ৩ দিন ছিলাম। আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি, ক্যারিয়ার ক্লাবের সদস্যরা কী পরিমাণ কষ্ট করে পুরো অনুষ্ঠানটিকে সফল করেছে। (আমার নিজের ভার্সিটি চুয়েটের কথা বারবার মনে পড়ছিল। একেকটা প্রোগ্রাম সুন্দরভাবে আয়োজন করতে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হতো।) তাই এর পুরো কৃতিত্ব রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের। ভাই, তুমি যে আলোটা জ্বালিয়ে দিয়েছ, সেটা কখনোই নিভবে না, এই কথাটা আমি জোর দিয়ে বলতে পারি। ক্লাবের বর্তমান সভাপতি Imrul ক্লাবের নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের সাথে নিয়ে যেভাবে এগিয়ে চলেছে, সেটা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। এই কাজগুলো করতে গিয়ে ওরা যা শিখছে, পরবর্তীতে সেটাই সবচেয়ে বেশি কাজে লাগবে। শুধু পড়াশোনা করার জন্যে যারা ভার্সিটিতে ভর্তি হয়, তারা বড় দুর্ভাগা। পড়াশোনার পাশাপাশি ভার্সিটি লাইফে অনেককিছু শেখার আছে। ক্যারিয়ার ক্লাবের সবার জন্যে শুভকামনা রইলো। সক্রেটিসের আগের এক গ্রিক দার্শনিক হেরাক্লিটাস বলেছিলেন, “কেউই একই নদীতে ২বার নামতে পারে না। কেননা, পরেরবার নদীটি হয়ে যায় অন্যনদী, কিংবা মানুষটি হয়ে যায় অন্যমানুষ।” আমার ক্যারিয়ার আড্ডাগুলোতে সময়ের অভাবে কিংবা বলতে মনে থাকে না বলে আমি কখনোই একইরকম কথা পরপর দুটো আড্ডাতে বলতে পারি না। দরকারি অনেক কথাই বলা হয় না। তবুও চেষ্টা করি। হাজারো লোকের সামনে ৩-৪ ঘণ্টা একটানা কথা বলাটা একটু কঠিন। আমার বলতে কষ্ট হয়। তবুও সবাই শুনতে চায় বলে বলি। ওরা শোনে। পুরো হল যেন ৩-৪ ঘণ্টার জন্য ঘুমিয়ে পড়ে। পিন পতনের নীরবতা চারদিকটাকে ঘিরে রাখে। আমি সত্যিই অবাক হয়ে যাই লোকজনের আগ্রহ আর ধৈর্য্য দেখে। ভাবি, এমন কী-ই বা বলি আমি? গল্পই তো করি সারাটা সময় জুড়ে। নিজের জীবনের গল্প, হারিয়ে না যাওয়ার গল্প। স্পর্শকের স্পর্ধায় সাফল্যকে ছুঁয়ে ফেলার স্বপ্ন দেখাই। প্রচণ্ড আবেগ দিয়ে বিশ্বাস করিয়ে দেই, আমাদের দুর্ভাগ্য এই নয় যে, আমরা দুর্বল, আমাদের দুর্ভাগ্য এই যে, আমরা আমাদের শক্তির জায়গাগুলোকে চিনতে ভুল করি বলে আল্লাহর কাছে সাহস করে বড় কিছু চাইতে পারি না। ওরা ভালোবাসে। শুধু এই ভালোবাসার জন্যেই তো এতো কষ্ট করি। আমি চাই, কেউ হারিয়ে না যাক। হারিয়ে যাওয়ার কষ্ট অনেকবেশি। গতকালকের আড্ডায় আমি যে স্লাইডটা নিয়ে গিয়েছিলাম, সেটা চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউটের ক্যারিয়ার আড্ডাতেও ব্যবহার করেছি। তবে, এটা আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, আড্ডা দুটোতে আমি একই কথা বলিনি। আমার আফসোস, কালকের আড্ডায় সময়ের অভাবে অনেক দরকারি কথা বাদ গেছে। আবার কালকে এমনকিছু কথা বলেছি, যেসব কথা আগের আড্ডায় বলতে মনে ছিল না। কথা দিচ্ছি, আপনাদের জন্য আমি সেগুলো আমার ওয়ালে স্ট্যাটাস আকারে আস্তে আস্তে শেয়ার করে দেবো। আপাতত নিচের নোটগুলো দিলাম। কালকের আড্ডাটিতে যা বলেছি তার (৩০-৪০)% প্রথম ও দ্বিতীয় লিংকে দেয়া আছে। তৃতীয় ও চতুর্থ লিংকে একটা মোটিভেশনাল লেখা আছে। পঞ্চম লিংকে সেদিনের চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউটের ক্যারিয়ার আড্ডা নিয়ে আমার নিজের কিছু ভাবনা আর অংশগ্রহণকারীদের ফিডব্যাক শেয়ার করেছি। আগ্রহীরা পড়ে দেখতে পারেন। ১ম লিংকঃ https://facebook/notes/sushanta-paul/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%A1%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BE-%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%9F-part-i/10152375968177038 ২য় লিংকঃ https://facebook/notes/sushanta-paul/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%A1%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BE-%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%9F-part-ii/10152375989647038 ৩য় লিংকঃ https://facebook/notes/sushanta-paul/others-think-therefore-i-am-a-tale-of-a-nobody-part-1/10152133459387038 ৪র্থ লিংকঃ https://facebook/notes/sushanta-paul/others-think-therefore-i-am-a-tale-of-a-nobody-part-2/10152133507582038 ৫ম লিংকঃ https://facebook/notes/sushanta-paul/what-men-live-by/10152374473452038 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আড্ডার অনেক ফিডব্যাক পেয়েছি, পাচ্ছি। সেসব নিয়েও কিছু লিখবো, ইচ্ছে আছে। সাথে প্যারিস রোড ধরে যে কয়েকটা স্বপ্নপাগল মানুষের হাত ধরে হেঁটেছি, ভালোবাসা নিয়েছি, ভালোবাসা দিয়েছি, সেই গল্পও বলবো। আজকে সকাল থেকেই গত ৩ দিনের স্মৃতিরা পাখি হয়ে ফিরে ফিরে আসছে। দুলছে, দোলাচ্ছে। ভালোবাসা বড্ডো বিশ্রী জিনিস। প্রচণ্ড ভালোবাসা সহ্য করার ক্ষমতা মানুষের নেই। এটা মানুষকে বড় অসহায় আর অপরাধী করে দেয়। ঘৃণার প্রতিদানে যতোটা ঘৃণা ফিরিয়ে দেয়া যায়, ভালোবাসার প্রতিদানে এর সিকিভাগ ভালোবাসাও ফিরিয়ে দেয়া যায় না। এর যন্ত্রণা যে কতোটা ভীষণ, তা আমার মতো ভুক্তভোগীমাত্রই জানে। যারা পরম মমতায় সারাটাক্ষণ ঘিরে রাখে তাদের এই অকৃত্রিম ভালোবাসা যতোটা দংশন করে, ঘৃণাও বোধ হয় ততোটা করতে পারে না। নিজেকে কিছুতেই আর ছোটো হতে দেয়া যায় না। এই ভালোবাসার দায় বড় দায়। চোখ বন্ধ করে কিছু না ভেবেই এই নামগুলো এলোঃ Eahsun (আমার ছোটোভাই আমার সাথে থাকলে যা করতো, সে তা-ই করেছে। আমি আমার ছায়া দেখতে পাওয়ার আগেই ওকে পেয়েছি। ভাই, তুই আমার জন্য যা করেছিস, আমি তা কিছুতেই ডিজার্ভ করি না।), Nadim (প্রচণ্ডরকমের ভালোবেসেও ভালোবাসি, এটা কিছুতেই বলতে কিংবা দেখাতে-না-পারা’দের দলে ও। ভাই, তোমার মতো কিছু মানুষের কথা ভেবেও ভালো থাকা যায়।), Sumon (ভাই, এতোটা ভালমানুষ না হয়েও কিন্তু বেঁচে থাকা যায়। কথাটা একটু ভেবে দেখো।), Imran (তোমাকে শুধু এইটুকুই বলি, তোমার ভেতরে যে শক্তিটা আমি দেখেছি, এর সিকিভাগের খোঁজও তুমি এখনো পাওনি।)………… আরো অনেকেই আছে। ওদেরকে দেখে আমার মনে হয়েছে, এই পৃথিবীতে কেউ কেউ কোনো কারণ ছাড়াই প্রচণ্ড ভালোবাসার অসীম ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়। ওদেরকে দূরে সরিয়ে দেয়াও যায় না, আবার ওদের কাছে আসার যন্ত্রণা সহ্য করাও যায় না। ওরা ভিন্নগ্রহের বাসিন্দা। সেই গ্রহে ভালোবাসার অভাবে কেউ কাঁদে না। সেই গ্রহের নাম ভালোবাসা গ্রহ। ওরা আমাদের গ্রহে এসেছে আমাদের শাস্তি দিতে; ভালোবাসতে না পারার শাস্তি। ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক প্রিয় ছোটভাই Noman’য়ের উদ্যোগে আমার পরের আড্ডাটি আগামী ৬ তারিখ ১১টায় ওই ভার্সিটির ক্যাম্পাসে। এরপরের দুটো হবিগঞ্জে আর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই পোস্টটি সবার সাথে শেয়ার করার জন্য বন্ধুদের অনুরোধ করছি।
Posted on: Mon, 01 Dec 2014 08:28:31 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015