* খালেদা জিয়াকে শেখ - TopicsExpress



          

* খালেদা জিয়াকে শেখ হাসিনা : আপনাকে জেলে যেতে হবে আমাকেও যেতে হবে, * মহানবীকে (সা.) কটূক্তিকরে ব্লগের লেখাগুলো ইনকিলাব হুবহু ছেপেছে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক-তত্ত্বাবধায়ক করবেন না। আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার এলে নির্বাচনই দেবে না। তারা কেয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকারষড়যন্ত্র করবে। আপনাকে জেলে যেতে হবে, আমাকেও জেলে যেতে হবে। দেশে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। জনগণ যাকে খুশি ভোট দেবে। যারা ভোটে বিজয়ী হবে তারাই ক্ষমতায় যাবে। এদিকে সদ্য অনুষ্ঠিত চারটি সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের ভরাডুবি হলেও জাতীয় নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জনগণ জানে সময় মতো কাকে ভোট দিতে হবে। সময় মতো তারা ঠিকজায়গায়ই ভোট দেবে। ইনশআল্লাহ জনগণের ভোটে আবারও আওয়ামী লীগ ওমহাজোটই ক্ষমতায় আসবে। আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলব। আওয়ামী লীগের ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিরোধীদলীয় নেতার সিঙ্গাপুর সফরের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনাবলেন, তিনি চিকিত্সা করাতে আবারওসিঙ্গাপুরে গেছেন। ভালো কথা, অসুস্থ হলে তো চিকিত্সা করাবেনই। কিন্তু দেশবাসীর মনে আছে, এর আগেরবার সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে এসেই তিনি ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলেন। আর এরপরইহেফাজতে ইসলামের তাণ্ডব ঘটেছিল।এবার আবার সিঙ্গাপুর থেকে দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র করে আসেন, সে বিষয়ে জাতিকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে যেসব নির্বাচন হয়েছে তার প্রত্যেকটিঅবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কেউ একটি টুঁ-শব্দও উচ্চারণ করতে পারেনি।আওয়ামী লীগই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে পারে। সে সাহস কেবল আওয়ামী লীগেরই আছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে নির্বাচনে বিএনপির জেতার সম্ভাবনাও থাকে। আগামী জাতীয় নির্বাচনও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়এলে মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। মানুষ পেট ভরে খেতে পারে। আর বিএনপি-জামায়াতক্ষমতায় গেলে সন্ত্রাস হয়, দুর্নীতি হয়। মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়। আর যাতে এ অবস্থা ফিরে না আসে। সন্ত্রাসী ওদুর্নীতিবাজরা ক্ষমতায় আসতে নাপারে সেজন্য দেশবাসীকে সচেতন হতে হবে। হেফাজতে ইসলামের সমাবেশের দিনে কোরআন শরিফে আগুন দেয়ার জন্য বিরোধী দলকে দায়ী করে তিনি বলেন, একজন মুসলমান হয়ে কীভাবে মসজিদে আগুন দেয়, হাজার হাজার কোরআন শরিফ পোড়ায়! এরপর আবার তারা মিথ্যা কথাও বলে। বিএনপি হচ্ছে মিথ্যা কথা বানানোর কারখানা। এই কারখানা থেকে মিথ্যা কথা তৈরি করে আর তা ছেড়েদেয়। আর কেন এভাবে কোরআন শরিফ পোড়ালেন—এর জবাবও বিরোধীদলীয় নেতাকে একদিন জাতিরকাছেই দিতে হবে। তিনি বলেন, তারা কোরআন শরিফ পুড়িয়ে হয় আস্তিক, আর আমরা নামাজ রোজা করেও হই নাস্তিক। জেলখানায় (ওয়ান ইলেভেনের সময়কালে) তো পাশাপাশি ছিলাম। কেকী করেন, সেটা তো নিজের চোখে দেখা। যার (বিরোধীদলীয় নেতা) ঘুমই ভাঙে বেলা ১২টার পর তিনি হলেন আস্তিক। আর ফজরের নামাজ পড়ে দিনের কার্যক্রম শুরু করার পরও আমরা হলাম নাস্তিক। এই মিথ্যাচারের বিচারের ভার জনগণেরওপরই ছেড়ে দিলাম। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের বংশপরিচয় নিয়ে মিথ্যাচারের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফরিদপুরের একজন ইমাম লিফলেট প্রকাশ করে মিথ্যা প্রচার চালালেন আমার দাদা নাকি হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। আমার দাদা তো তার চাচাতো বোনকে বিয়ে করেছেন। একজন ইমাম হয়ে কীভাবে এমন মিথ্যাচার করতে পারেন। আমার জন্ম এই বাংলাদেশের মাটিতে, আমারবংশপরিচয় আছে। আর যার কথা লেখা উচিত ছিল তার কথা বোধহয় লিখতে তারা ভুলে গেছে। তার জন্ম ভারতেরএকটি চা বাগানে। এর চেয়ে বেশি কিছু আর বলতে চাই না। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সংসদে বক্তব্যকালে আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি অপু উকিল বিরোধীদলীয় নেতার জন্ম পরিচয় নিয়ে অনেক আপত্তিকর মন্তব্য করেন। গতকাল প্রধানমন্ত্রী এই বক্তব্য দিয়েতার দলীয় সংসদ সদস্যকে সমর্থন জানালেন। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ব্লগেইসলাম ধর্ম ও মহানবী (সা.) নিয়ে কটূক্তি করার প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্লগের সেই লেখাগুলোই ইনকিলাব পত্রিকা হুবহু ছাপিয়ে দিয়েছে। ব্লগ ক’জন পড়ে বা পড়তে পারে? আর ব্লগে প্রকাশ হয়েছে বলেই কী তা পত্রিকায় ছাপিয়ে দিতে হবে? এতে কী গুনাহ হয় না? ইসলামে বিশ্বাস করলে কীভাবে নবী করিম (সা.)-এর বিরুদ্ধে কটূক্তিমূলক এমন লেখা ছাপতে পারে? এই লেখা ছাপার পর ওই পত্রিকা (ইনকিলাব) পড়ার রুচিও তার নেই বলে শেখ হাসিনা জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, হাইতির গণহত্যার ছবি ছাপিয়ে সেটাকে শাপলা চত্বরে হেফাজতের ওপর গুলি চালিয়ে হাজার হাজার মানুষ হত্যার ছবি বলে মিথ্যাচার করা হয়েছে। এর আগে মক্কা শরিফেরগিলাফ পরিবর্তনের ছবি ছাপিয়ে তারা বলে দিল সাঈদীর মুক্তির দাবিতে মক্কায় মানববন্ধন হয়েছে। এই মিথ্যাচার যারা করে তারা কীভাবে ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে? এভাবে যারা পবিত্র মক্কা শরিফ নিয়েও মসকরা করে, মিথ্যাচার করে, জাতিরও তাদের ঘৃণা করা উচিত। -আমার দেশ
Posted on: Fri, 21 Jun 2013 23:34:58 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015