খালেদা পলিটিক্যালি ডেড : - TopicsExpress



          

খালেদা পলিটিক্যালি ডেড : মাহমুদুর রহমান ডেস্ক রিপোর্টA+ A A- Print ২০১৩-০৭-০৪ ১৩:৩৭:১৯ বিভাষ বাড়ৈ : ওয়াশিংটন টাইমসে বাংলাদেশবিরোধী নিবন্ধ লেখার কারণে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার প্রতি তারই সাবেক উপদেষ্টা ও আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মহমুদুর রহমানের টেলিফোনে তীব্র বিষোদগার নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। জনরোষের ভয়ে বিএনপি নেতারা লেখা আড়াল করার অপচেষ্টা করলেও ফাঁস হয়ে গেছে নিবন্ধ নিয়ে খালেদা জিয়াসহ বিএনপির প্রতি মাহমুদুর রহমানের ক্ষোভের আসল চেহারা। খালেদা জিয়ার লেখায় স্বাধীনতা যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে তথ্য বিকৃতি, দেশের বিরুদ্ধে বিদেশীদের হস্তক্ষেপ চাওয়া নিয়ে মাহমুদুর রহমানের তীব্র সমালোচনামূলক টেলিফোন আলাপ ফাঁস হয়ে গেছে। এ সংক্রান্ত রেকর্ড আপলোড করা হয়েছে ফেসবুক বাংলালিক্স পেজ ও ইউটিউব বাংলালিংক্স পেজে। যেখানে খালেদা জিয়ার তীব্র সমালোচনা করে মাহমুদুর রহমান বলেছেন, ‘বিএনপি নেত্রীর আর জনগণের প্রতি আস্থা নেই। এ লেখার মাধ্যমে তিনি পলিটিক্যালি ডেড হয়ে গেছে। বিএনপির এখন গলায় দড়ি দেয়ার সময় হয়ে গেছে। বাংলালিংকস ঘোষণা দিয়েছে, অবিশ্বাসীদের মূল্যায়নের জন্য সকল তথ্য প্রকাশে আমরা দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ । একই সঙ্গে বলেছে, প্রতিনিয়ত আমাদের চোখের সামনে এবং অগোচরে কত কিছুই না ঘটে যাচ্ছে, কিছুদিন আগের ঘটনা-এক বিচারপতির গোপন কিছু কথাবার্তা ফাঁস হলো এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে উনাকে স্বসম্মানে স্বগদি ছাড়তে হলো। এটাকে আমরা বলব- লিকস্। উইকিলিকস্ নতুন উদ্যমে যাত্রা শুরু করল, কয়েক মিলিয়ন গোপন ডাটা নিয়ে, যাতে বাদ যায়নি বিশেষ কোন রাষ্ট্র, সরকার, মিডিয়া, ব্যাংক, সামরিক-বেসামরিক বাহিনী। এটা ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে বড়- লিকস্। এ রকম অসংখ্য ঘটনা এবং হারিয়ে যাওয়া বা মুছে যাওয়া মুহূর্তগুলোকে দৃষ্টির আড়াল থেকে সরিয়ে লোকচক্ষুর সামনে হাজির করার প্রয়াসেই আমাদের- লিকস্, বাংলা লিকস্। খালেদা জিয়ার নিবন্ধ নিয়ে মাহমুদুর রহমানের ক্ষোভের কথা ও এ সংক্রান্ত আলাপ আলোচনা ফেসবুক বাংলালিংকস পেজ ও ইউটিউব বাংলালিংকস্ পেইজে এ সংক্রান্ত রেকর্ড আপলোড করা হয়েছে। () ও ( টেলিফোন আলাপে দেখা গেছে, নিবন্ধ লেখার কারণে মাহমুদুর রহমানের অসন্তোষের চিত্র। বিএনপি নেতা ও তাদের মতাদর্শের বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিকসহ বিভিন্নজনকে টেলিফোন করে আটক হওয়ার আগে তাঁর ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। বিএনপির এক নেতাকে টেলিফোন করে মাহমুদুর রহমান তাদের নেত্রীর নিবন্ধ লেখার বিষয়ে আসল তথ্য জানতে চান। ওই নেতাকে তিনি প্রশ্ন করেন ম্যাডামের কথিত চিঠির বুদ্ধিটা কার? ওই নেতা উত্তরে বলেন, আমিও জানি না, জানার চেষ্টা করছি। এরপর মাহমুদুর রহমান বলেন, যেভাবেই হোক জানলে আমাকে জানাবেন। বিদেশীদের কাছে এভাবে দেশের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ চাওয়ার তীব্র সমালোচনা করে বিএনপির ওই নেতাকে তিনি বলেন, ‘মানুষ অনেকভাবে সুইসাইড করে। কিন্তু এভাবে বারেবারে সুইসাইড করার নজির নাই। ওই লেখার ইংরেজীগুলা কার? এত জ্ঞানী কে? আর যেসব তথ্য দিয়ে উনি (খালেদা জিয়া) শুরু করেছেন তাঁর প্রথম লাইনেই বলেছেন যে, আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারে না কি আমেরিকা সাপোর্ট দিয়েছে। ম্যাডাম এভাবে তাঁর লেখা শুরু করেছেন। এভাবে তথ্য বিকৃতিতে হতাশা প্রকাশ করে মাহমুদুর রহমান বলেন, এভাবে তথ্য বিকৃতি হতাশাজনক। আমরা দূর থেকে দেখে যাচ্ছি তাছাড়া আর উপায় নাই। বুঝলেন?’ এরপর ওই নেতাকে বলেন, ‘খোঁজ নেন তো। কষ্ট লাগে হাজার হলেও আপনাদের ওয়েল উইশার আমি। কষ্ট লাগে আর কি। আপনারা যা করতেছেন দেখতেছি আরকি। আমাকে জানাইয়েন কে, কাদের উর্বরমস্তিষ্ক থেকে এসব লেখা আসছে।’ অন্যদিকে শুভ্র নামে এক সাংবাদিকের সঙ্গে টেলিফোন আলাপ করেন মাহমুদুর রহমান। শুভ্র তাকে তাঁর টেলিফোনে কল করতেই মাহমুদুর রহমান তাকে বলেন, ‘শুভ্র, ওয়েলকাম ব্যাক। ম্যাডাম একটি চিঠি লিখেছেন। কোথাকার কোন ওয়াশিংটন টাইমসে, ওয়াশিংটন পোস্ট না কিন্তু, যেখানে ম্যাডামের একটা চিঠি ছাপা হইছে। সে (খালেদা জিয়া) চিঠিতে কাকুতিমিনতি করেছেন বাংলাদেশে হস্তক্ষেপের জন্য। আমেরিকা ও ইংল্যান্ডের কাছে কাকুতিমিনতি করেছেন। আজকে সম্ভবত আওয়ামী লীগ সংবাদ সম্মেলন করবে। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ তো আজ ম্যাডাম ও বিএনপিকে শোওয়াইয়া ফেলবে। আওয়ামী লীগ তো কমই করতাছে। আজ যদি শেখ হাসিনা এভাবে নিবন্ধ লিখত তাহলে আমার পত্রিকায় সাত কলামের হেডলাইন করতাম।’ ম্যাডামের ইংরেজী লেখার দক্ষতার বিষয়ে ওই সাংবাদিকের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘এ থেকে আমাদের বলত, আমি ইংরেজীতে অত ভাল না। বাংলা লিখতে পারি। তার পরেও যতটুকু ইংরেজী জানি ওর থেকে ভালো লিখতে পারতাম।’ দ্বিতীয়ত তিনি বলেছেন, ‘ম্যাডাম তার ফার্স্ট ত্রি লাইনেই পলিটিক্যালি ডেড হয়ে গেছেন। শি ইজ ডেড। তিনি তো পলিটিক্যালি ডেড হয়ে গেছেন। এখন মনে হয় তাঁর আশেপাশে র’য়ের এজেন্টরাই এটা করেছে। প্রথমে তাঁকে ইন্ডিয়াতে নিয়েছে। সেখানে নিয়ে তাঁকে চুপ করে দিয়েছে। বাকিটা এখন করল। আমি তো এখন খালেদা জিয়ার নিউজই করি না। বরং আওয়ামী লীগ এ বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করলে ছাপিয়ে দেব। আওয়ামী লীগ তো তাকে শোওয়াইয়া ফেলবে।’ নিবন্ধের সমালোচনা করে মাহমুদুর রহমান শুভ্রকে আরও বলেন, মতামত পাতায় চিঠিপত্র কলামে লেখার জন্য উনাকে কে বলেছে? এটা করলে আমেরিকা খুশি হবে ভেবেছে। উনার জনগণের প্রতি আর আস্থা নাই। শুভ্র জামায়াত বিএনপি জোট প্রসঙ্গ তুললে তিনি বলেন, বিএনপি তো মাঠ ছেড়ে দিয়েছে জামায়াতকে। জামায়াতের এখন জয় জয়কার। পাবলিক বলে, ‘দল আছে দুইটা- আওয়ামী লীগ আর জামায়াত।’ শুভ্র প্রশ্ন করেন, ম্যাডামের কথিত চিঠি কেন বলছেন? উত্তরে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘কথিত চিঠি কারণ ওই ইংরেজীতো উনি লিখেন নাই। কেউ লিখে দিয়েছে। এসব করে কি পারবেন আমেরিকার সাপোর্ট পেতে? বিএনপির গলায় দড়ি দেয়ার সময় আসছে। একজন গৃহবধূকে (খালেদা) তিন তিনবার জনগণ প্রধানমন্ত্রী বানাইসে। ভুলে যাওয়া ঠিক না, এখন বিদেশীদের উপর নির্ভরশীল হচ্ছেন তিনি। এটা ঠিক না। জনগণের কাছেই আসতে হবে। বিদেশীদের কাছে যাওয়ার বুদ্ধিটা কে দিয়েছে তাকে? ‘আন্দোলনে বিএনপি নেতাদের মাঠে না নামার কথা উল্লেখ করে গণজাগরণ মঞ্চের বিরোধিতাকারী বিতর্কিত এই সম্পাদক বলেন, মানুষের কী ঠেকা পড়েছে যে এক চোরকে নামাইয়া আর এক চোরকে ক্ষমতায় আনবে? কী কারণে আনবে?-জনকণ্ঠ
Posted on: Thu, 04 Jul 2013 10:11:23 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015