গরুর রচনাঃ গরু একটি ত্রিমাত্রিক গৃহপালিত পশু। গরুর দুটো কান, দুটো চোখ আর একটা ল্যাজ আছে। গরুর চারটে পা। দুটো সামনের দিকে, দুটো পেছনের দিকে। পায়ে খুরও আছে। বেশিরভাগ গরুই খুব ভালো। গরুর মানুষের নানারকম কাজে লাগে। গরুরা সকালে ক’রে দুধ দেয়। সেই দুধে থেকে মাখন, ঘি, মিষ্টি ইত্যাদি তৈরি হয়। গরুরেদর পায়খানেকে বলে গোবর। গোবর থেকে ঘুঁটে হয়। ঘুঁটে দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে রান্না করা হয়। গোরুর পেচ্ছাপ কোন কাজে লাগে না। গোরুর মাংসকে বলে বিফ। খেতে খুব ভালো আর স্বাস্থ্যকর হয়। মুসলমান মানুষেরা গরুর মাংস খেতে ভালোবাসে। গরুর ডিম হয় না। তাই গরুর ডিমের মামলেট আমরা খেতে পাই না। গরুর ডাককে ‘হাম্বা’ বলা হয়। গরু উড়তে পারে না। তাছাড়া গরুর ডানাও নেই। হিন্দুরা গরুকে দেবতা বলে মনে করে। আর দেবতারা হিন্দুদের গরু বলে মনে করে। তারপর গরু মারা গেলে গরুকে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। শ্মশানে মানুষ পেড়ানো হয়। গরুও পোড়ানো হয়। শ্মশানে খুব অন্ধকার হয় আর বড়-বড় গাছ থাকে। শ্মশানে আত্মাও থাকে। অনেকরকমের শ্মশান হয়। যেমন বড় শ্মশান, ছোট শ্মশান ইত্যাদি। সাধারণত গঙ্গার ধারে শ্মশান বানানো হয়। শ্মশানে অনেক বড়-বড় সাধক তপস্যা করেন। আমাদের দেশে অনেক বড় বড় সাধক জন্মেছেন। যেমন রামকৃষ্ণ, বামাখ্যাপা, সত্যজিৎ রায় আর অমর্ত্য সেন। এঁদের মধ্যে অমর্ত্য সেন নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন।
Posted on: Tue, 05 Nov 2013 08:52:33 +0000
Recently Viewed Topics
© 2015