জনাব মিজান - TopicsExpress



          

জনাব মিজান রহমান, ভেবেছিলাম অতীতের কোন ঘটনাকে নতুন করে আর ঘাটাবো না। কিন্তু বর্তমান সময়ে আপনার অতিরিক্ত বাড়াবাড়িটাকে নজর আন্দাজ করতে পারলাম না। ইদানিং আপনি ফেসবুকে এবং ফেসবুকের বাইরে যা শুরু করেছেন তা কেবল অসুস্থ্য মানসিকতার পরিচয় ছাড়া আর কিছুই না। খুব বেশি কথা বাড়িয়ে নিজের সময় নষ্ট করব না। কিছু মেইন পয়েন্টে দৃষ্টিপাত করব। আপনার অতি সম্প্রতি একটি সুবিশাল স্ট্যাটাসে আপনার-আমার সম্পর্কের ইতিবৃন্ত উপস্থাপন করেছেন গল্প আকারে। যা প্রায় সকলেই কম-বেশি বুঝতে পেরেছে, তবে অবাক হয়েছি যখন দেখলাম আপনি প্রচুর পরিমাণে ‘মিথ্যে’র আশ্রয় নিয়েছেন। আপনার লেখা স্ট্যাটাসের কিছু বিষয় ক্লিয়ার করা দরকার। ১। আপনি বলেছেন ছোটবেলা থেকে আমি যে পত্রিকা প্রকাশনার কাজ করতাম, আপনি তখন আমাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করেছেন। আমি ভেবে কূল পাইনা এমন দাবি আপনি কিভাবে করতে পারলেন? পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি যখন আমি সরাসরি রাজবাড়ি থেকে প্রকাশিত পত্রিকার সম্পাদনা বিভাগে কাজ করতাম, তারপর ২০০৯ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ‘হযবরল’ নামে ত্রিমাসিক একটি শিশু-কিশোর পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশ করেছিলাম নিজের উদ্যোগে। এই সময়ে কোনপ্রকার আর্থিক সাহায্য তো দূরে থাক, আপনার সাথে আমার তেমন যোগাযোগও ছিল না। বিডিআর বিদ্রোহে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে আপনি তখন কক্সবাজার জেলা কারাগারে ছিলেন। আমার সম্পাদিত পত্রিকা তখন আপনাকে কুরিয়ার করে পাঠিয়েছিলাম কয়েকটি সংখ্যা। হযবরল বন্ধ হবার পরেও আমি কয়েকটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছিলাম, যার কোনটাতেই আপনার উপস্থিতি ছিল না। ২০১৩ সালে আড়ম্বর নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করি, সেখানে কেবল আমি আপনার একটি লেখা ছাপিয়েছিলাম, কিন্তু কোনভাবেই আপনার কাছ থেকে কোনপ্রকার আর্থিক সাহায্য আমি পাইনি। অথচ কী-বোর্ডে দুটো খোঁচা মেরেই আপনি দাবি করে বসলেন পত্রিকা প্রকাশে আপনি আমাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করেছেন! ২। আবার বলেছেন আমার চলচ্চিত্র নির্মাতা হবার স্বপ্ন পূরণেও রয়েছে আপনার হাত! কিভাবে কি? আমি আমার প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বানাই ২০০৯ সালে। এরপর ২০১০ ও ২০১১ সালেও কয়েকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বানিয়ে অবশেষে ২০১২ সালে নির্মাণ করি ‘স্বপ্ন পূরণের গল্প’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি, যা পরবর্তীতে ২০১৩ সালে ৬ষ্ঠ আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশ-এ পুরস্কৃত হয়। এর মাঝে আপনার অবদান ঠিক কতটুকু সেটাও ভাবনার বিষয়! আপনার দাবি এই চলচ্চিত্রে আপনি প্রোডিউসার ছিলেন। অথচ সত্যিটা এই, আপনার সাথে আমার একটা ভালো সম্পর্ক থাকায় আমি আপনার নামটি কৃতজ্ঞতা স্বীকারে ব্যবহার করেছিলাম। আর এই চলচ্চিত্র বানাতে যে ১৭শ টাকা খরচ হয়েছিল তা আমার ঈদ খরচ ও মোবাইল ফোন বিক্রি করে সংগ্রহ করেছিলাম। শুধু তাই নয়, এ পর্যন্ত আমার প্রোডাকশন থেকে যতগুলি ফিল্ম নির্মাণ হয়েছে তার কোনটাতেই আপনার আর্থিক সহযোগিতা ছিল না। বরং আপনার সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ একটা সম্পর্ক থেকেই ফিল্মগুলোর executive producer-এ আপনার নামটি আমরা ব্যবহার করে এসেছিলাম মাত্র। ৩। এইবার আপনার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি। ১ ঘণ্টার একটা বিশেষ নাটক বানানোর জন্য আপনি আমাদের ভালো একটা অংকের অর্থ দিয়েছিলেন। কিন্তু আপনি স্ট্যাটাসে বলেছেন আমাদের একের পর এক আবদার পূরণ করে গিয়েছেন আর তার প্রেক্ষিতে আমরা আপনার কাছে আবদার করি যে এক ঘণ্টার একটি নাটক বানাবো! কিন্তু জনাব, আমি কি জানতে পারি আপনি আমাদের কোন কোন আবদারগুলো একের পর এক পূরণ করেছেন? আমার যতদূর মনে পড়ে প্রোডাকশনের আইডি কার্ড, টি-শার্ট, প্যাড এগুলোর দরকার ছিল। তার জন্যে প্রোডাকশনের সদস্যদের কাছ থেকে টাকা উঠিয়ে আপনার কাছে তিন হাজার টাকা দিয়েছিলাম। সেই টাকা’টা শেষ অবধি আপনি নিজেই আত্মসাৎ করে তার দোষ চাপালেন আপনার এক রুমমেট এর উপর! মাস খানেক পড়ে যখন আমাদেরকে আইডি কার্ড আর ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে দিলেন তখন সেটাকে ঘুরিয়ে বলছেন একের পর এক আবদার পূরণ! হাসালেন আমাকে! সে হিসাবে তো এখনো আমরা টি-শার্ট পাইনি, প্যাডও পাইনি। আর নাটক বানানোর ইচ্ছেটা আপনারই ছিল। আমাদের নয়। আমার নিজস্ব স্ক্রিপ্ট ছিল কাজ করার। কিন্তু আমাকে আপনি নিজের লেখা একটি গল্প ধরিয়ে দিয়ে জানালেন দু সপ্তাহের ভেতর কাজ করতে হবে। না করিনি সেবার, আর এটাই আমার কাল হয়ে দাড়িয়েছিল! চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিকূলতা পেরিয়ে অল্প সময়ে যা বানালাম তা মনের মত হল না। তবে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলাম। রাতারাতি যে স্বপ্ন পূরণ হয় না, সেবার সেটা উপলদ্ধি করেছিলাম। কিন্তু আপনার সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা হয়নি, যার ফলশ্রুতিতে অতি সম্প্রতি আশফাকুর রহমান আশিককে রাতারাতি তারকা বানাতে আপনি যে সস্তা দু-নম্বরির পথ বেছে নিয়েছিলেন তা এখন সবার সম্মুখে! ৪। আপনি দাবি করেছেন, আমাদের ‘আলটিমেট ড্রিমারস্ প্রোডাকশন’ এর লাইসেন্স করিয়েছেন আপনি। প্রথমদিকে আপনার মুখের বুলি শুনে সত্যিই বিশ্বাস করেছিলাম ব্যাপারটিকে। কিন্তু পরবর্তীতে খোঁজ লাগিয়ে জানতে পেরেছি ঘটনাটা ভুয়া! এরকম দু-নম্বরি, ধোকাবাজি কবে থেকে শুরু করেছেন সেটা সত্যিই আশ্চর্য করেছে আমাকে। ৫। আপনার জন্মদিন উপলক্ষে একটি পার্টি আয়োজন করেছিলাম আমরা। স্ট্যাটাসে সেটা উল্লেখ করেছেন আপনি। ভালো। কিন্তু আরও উল্লেখ করেছেন পার্টির আগে আমি আপনার কাছে একটি অন্যায় আবদার করেছিলাম যা আপনি সুকৌশলে এড়িয়ে গেছেন। আমি জানি না আপনি সেই অন্যায় আবদার বলতে কি বুঝিয়েছেন, সেটা কি পর্যায়ে নিয়ে গেছেন, শুধু এটুকু জানাতে পারি, বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষ্যে আমরা কমবেশি অনেকেই অল্প-বিস্তর স্মোকিং, ড্রিংক করি। কিন্তু সেটা কখনোই নেশা বা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে নয়। উৎসব (ঈদ বা অন্যান্য) ছাড়া আমরা তা কখনোই করি না। ৬। আপনি এরপর আশিকের ব্যাপারে বিস্তর বর্ণনা দিয়ে লিখেছেন। জানিয়ে রাখি, আশিককে আমি সেই জন্ম থেকেই ভালো করে চিনি। আমাদের বেড়ে ওঠা একসাথেই। সে কেমন এবং কোন স্বভাবের তা আমার থেকে ভালো আর কেউ বলতে পারবে না। আমি কোনদিনই ওকে আপনার সাথে কথা বলা নিয়ে দোষারোপ করিনি। বরং মাঝে সে যে আপনার সাথে ফোনে কথা বলত না সেটা নিয়ে বরং আমি রাগ করেছিলাম। আপনি ওকে যে বিশেষ নজরে দেখতেন তা আমাদের প্রোডাকশনের সকলেরই বোধগম্য ছিল। কোন কোন ক্ষেত্রে তাকে আমাদের থেকেও বিশেষ ভাবে স্নেহ করতেন, সেটাতেও আমাদের কোন ভাবান্তর ছিল না। কিন্তু আপনার উস্কানি পেয়ে আশিকের আচার ব্যবহারে যে পরিবর্তন এসেছিল তা মোটেও প্রীতিকর ছিল না। সে ছোটবেলা থেকেই একরোখা, অহংকারী আর স্বার্থপর চরিত্রের। তবু তাকে নিজের সাথে রেখেছিলাম যাতে সে এক সময় নিজেকে পাল্টাতে পারে। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। ওর খারাপ ব্যবহার আর বেয়াদবির জন্য তাকে বেশ কবার প্রোডাকশন থেকে বের করে দিয়েছি আমি। পরবর্তীতে বন্ধুদের কথায় আর শেষের দিকে আপনার কথায় তাকে নতুন করে কাজ করতে আগ্রহী করি। কিন্তু যার রক্তে বেঈমানি লেখা থাকে তাকে আর শুধরানো যায় কিভাবে? নতুন করে ঝামেলা পাকিয়ে সে আমাকে অগ্রাহ্য করে ঢাকায় আপনার কাছে চলে যায়। আর আপনিও ওর কথায় সায় জানিয়ে তার অন্যায়কে সঠিক মেনে নেন। আমাদেরকে দোষী বানান। চরম একটা খেলা খেলেন আমাদের সাথে! কিন্তু আমি অন্যায়কে মেনে নেইনি, তাই আপনাকে পরিষ্কার জানিয়ে দেই আমাদের সম্পর্কটা আর রাখা সম্ভব নয়। কারণ আমার উপর থেকে আপনার বিশ্বাস চলে গিয়েছিল। তবে আমি এমন কিছু বলিনি যাতে আপনাকে অপমান করা হয়। সে বোধশক্তি আমার আছে। ৭। আপনি প্রতিযোগিতার কথা বলেছেন যেটি আমার কাছে সবচাইতে বেশি অবাক লেগেছে। সম্পর্ক নষ্ট হবার পর আমাদের কেউ আপনাকে কখনো ফোন দেয়নি। আপনিই আমাদের প্রোডাকশনের সদস্যদের ফোন করে তাদেরকে ব্যাঙ্গ করেছেন, ধমকিয়েছেন। তাদের বেড়ে ওঠার মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন। আমার দীর্ঘ ৭মাস সময় লেগেছে তাদের কয়েকজনকে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে। আর আপনি বলছেন প্রতিযোগিতার কথা, যা কিনা আপনি নিজে থেকে আমাদের সাথে শুরু করেছেন! আশিকের মাধ্যমে আমাদেরকে যে অপমান আর নানান অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখি করিয়েছেন তার হিসাব কে দেবে? আর শেষ অবধি একজনের চলচ্চিত্র আশিকের নামে চালিয়ে যে দু-নম্বরি আপনি করেছেন তা তো এখন না চাইলেও সকলের মুখে মুখে ফিরছে! সেটা অসৎ পথ অবলম্বন নিয়ে কেন কিছু বলছেন না? সেটা বলতে গেলেই তো আপনার আসল চরিত্র সকলের কাছে খোলাসা হয়ে যায়! ৮। আমার প্রোডাকশনের কেউ কখনো কোনদিন আপনার কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পাবার জন্য সম্পর্ক করেনি। আমাদের নিজেদের যথেষ্ট যোগ্যতা আছে কাজ করার, নিজস্ব ফান্ড আছে যেখান থেকে আমরা চলচ্চিত্র বানানোর খরচ চালাই, এমনকি প্রচুর সহযোগিতা পাই সকলের কাছ থেকে। আপনি কোন যোগ্যতায় দাবি করেন আমার প্রোডাকশনের সদস্যরা আপনার কাছ থেকে টাকা নিয়ে সম্পর্ক গড়েছে? এতই যদি সিউর হন, তবে নামগুলো বলছেন না কেন? আর আমার কি খেয়ে কোন কাজ নেই আপনার বিরুদ্ধে নীল নকশা সাজাবো এর ওর সাথে বসে বসে। এখন যখন আপনার পিঠ দেয়ালে গিয়ে ঠেকেছে তখন আমাকে টার্গেট করে একের পর এক মিথ্যে সাজিয়ে যা বলছেন তা কেবল আপনার দুর্বল অবস্থানের প্রকাশ দিচ্ছেন। তার চুল পরিমাণ বেশি কিছুই নয়। আমার নামটি ব্যবহার করে আপনি অনেক মানুষকে হাত করেছেন, যাদের অনেকেরই বিশাল ক্ষতি করে দিয়েছেন আপনি। আবার অনেককেই ব্যবহার করছেন আপনার অসৎ কাজের সহযোগি হিসেবে। আমার সৃজনশীল কাজের কৃতিত্বকে আপনি আপনার নষ্ট/নিকৃষ্ট পরিকল্পনায় ব্যবহার করেছেন মূল অস্ত্র হিসেবে। জীবনে অনেক মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছে। ভালো খারাপ মিলিয়ে কম মানুষকে কাছ থেকে দেখিনি। কিন্তু আপনাকে চিনতে বড্ড বেশি দেরি করে ফেলেছি। আপনি যে কতটা নিচু শ্রেণীর একজন ব্যক্তি, তা এখন উপলদ্ধি করতে পারছি। ৯। আমি জীবনে কোনদিন কাউকে ব্যবহার করিনি। ‘মানুষকে ব্যবহার’ শব্দটিকেই আমি মন-প্রাণ থেকে ঘৃণা করি। কিন্তু আপনাকেই কেবল দেখি এই শব্দটার পেছনে অনেক সময় ব্যয় করতে। জীবনের ছোট-বড় যতগুলি সাফল্য অর্জন করেছি তার প্রত্যেকটাতেই অজস্র মানুষের সহযোগিতা পেয়েছি। সেটি স্বীকার করি আমি। কিন্তু কাউকে ব্যবহার করিনি আমি। উল্টো এক হিসাবে দেখলে সকলেই এটা স্বীকার করতে বাধ্য যে, আপনি আমাকে ব্যবহার করেই আজ অন্য একটা অবস্থানে পৌছে গেছেন! আমার সরলতাটাকে আপনি ব্যবহার করেছেন আমার দুর্বলতার অস্ত্র হিসাবে। আর আপনি বলছেন পনেরো ষোল বছরের এক কিশোর আপনার মত ত্রিশ বছর উর্ধ্বের এক ধুরন্ধর ব্যক্তিকে ইচ্ছামতো ব্যবহার করেছে! সত্যিই অবাক হই আপনার যুক্তি দেখে! আর স্ট্যাটাসের সবশেষে আপনি ‘মান্না না নান্না’ বলে যাকে ব্যাঙ্গ করেছেন তিনি আপনার মত ধান্দাবাজ বা দু-নম্বরি কেউ না। আপনি যোগ্যতা বা সাহসও রাখেন না তার নামটি উচ্চারণের, তাকে আপনি চেনেনও না, অথচ দিব্যি আপনি তার মুন্না নামটিকে ব্যাঙ্গ করে বেশ ক’টি উপদেশ ঝেরে দিলেন। তার সবচাইতে বড় পরিচয়টি আমি আপনাকে দিচ্ছি, তিনি একজন কাজপাগল মানুষ। যিনি রাজবাড়িকে ভালোবাসেন। মিডিয়াতে কাজের অভিজ্ঞতা আপনার চাইতে হাজারগুণ বেশি রয়েছে তার। আপনার মত ভুয়া পরিচয় নিয়ে তিনি চলাফেরা করেন না... # আরও অনেক কিছু চাইলে বলতে পারতাম, কিন্তু বলবো না। কারও হাড়ির খবর ভেঙে বড় হবার ইচ্ছে আমার নেই। আমি সজীব আগে যেমনটি ছিলাম, এখনো তাই আছি। বরং আগের থেকে নিজেকে একজন শক্ত মনের মানুষ হিসেবে গড়ে তুলছি। অন্যায়কে কোনদিন প্রশ্রয় দেইনি, আগামীতেও দেবো না। তার জন্যে এভাবে যদি বদনাম হতে হয়, কোন আক্ষেপ নেই। আর আপনাকে বলছি জনাব মিজান রহমান, মনোযোগ সহকারে শুনুন। আপনার ভেতরকার এক সত্ত্বাকে আমি চিনতাম, যাকে খুব শ্রদ্ধা করতাম, কিন্তু উপলদ্ধি করতে পারছি, নিজেকে পুড়িয়ে পাল্টে ফেলেছেন আপনি। বেছে নিয়েছেন চরম নোংরা একটি পথ। যে পথে পদে পদে মানুষকে ধোকা দিয়ে সামনে এগুতে হয়। আমি সেই পথের পথিক কোনদিন হব না। আপনি এমন কেউ হয়ে যাননি যাকে ছোট দেখিয়ে বড় হব আমি। আমি কাউকে ছোট করে দেখিনা। আমার প্রয়োজনও নেই আপনাকে স্মরণ করার। কারও কাছে আপনার সম্বন্ধে কথা বলতেও আমি আগ্রহী নই। আপনি এক সময় আমার সৎ পথে চলার সঙ্গী ছিলেন, এখন আর নেই। আগামীতেও থাকবেন না। আমাকে অনেক দূর থেতে হবে। সেখানে আপনাকে দ্বিতীয়বার স্মরণ করব না কোনদিন। যতবড় ক্ষতি আপনি আমার করেছেন, তা ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু এটা সত্যি, ক্ষমাই করে দিয়েছি এক পর্যায়ে। নাহলে খালি হাতে ছেড়ে দিতাম না কখনো। কিন্তু আমাকে ছাড়াও আপনি যাদের যাদেরকে ক্ষতি করেছেন, তারা আপনাকে ক্ষমা করবে না। কারণ আপনি তাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়েছেন। তাদের বিশ্বাস নিয়ে খেলেছেন। কথায় আছে পাপ বাপকেও ছাড়ে না। তবু বলব, বাকি জীবনটা সৎ ভাবে কাটানোর চেষ্টা করুন। নাহলে আজকে যেমন আমাকে মিথ্যে রকম দোষারোপ করছেন, আগামীকে কাউকে সত্যিকারের জন্যেও দোষারোপ করতে পারবেন না। বিঃদ্রঃ মিজান সাহেব, আপনি যেভাবে আমার বিরুদ্ধে নোংরা ভাষায় স্ট্যাটাস দেন তার জন্যে খুব কথা শুনেছি অনেকের কাছে। কিন্তু আমি আপনার মতোন ভাষায় স্ট্যাটাস দিতে পারলাম না!! আর এটা আপনাকে নিয়ে আমার শেষ স্ট্যাটাস। এরপরে আপনাকে নিয়ে কোন কিছু লেখার প্রয়ো্জন পড়বে না আশা করি। মিথ্যের আশ্রয় নিয়ে খুব বেশিদিন টিকতে পারবেন না। আমি চুপ থাকলেও যারা সত্যটা জানবে, তারা কিন্তু চুপ থাকবে না। আপনার মুখের উপরেই ঝেরে দেবে সত্যটা।
Posted on: Sun, 07 Sep 2014 18:08:13 +0000

Trending Topics



ss="sttext" style="margin-left:0px; min-height:30px;"> I beg you to tell me I cant do it. Please, tell me it cant be
A Love To Smile Upon In my heart I can clearly detect These

Recently Viewed Topics




© 2015