ডাঃ জাকির নায়েকের নামে - TopicsExpress



          

ডাঃ জাকির নায়েকের নামে তোলা প্রধান২৪ টি অপবাদের জবাব। (কপি পেস্ট করে আপনার ওয়ালে শেয়ার দিয়ে.. অন্যদের জানতে সাহায্য করুন) পর্বঃ৩ ৭. অপবাদঃ ডাঃ জাকির নায়েক বলেছেন হায়েজ-নেফাস কালে কোরআন তেলাওয়াতকরা যাবে উত্তরঃ হায়েজ-নেফাস কালে কোরআন তেলাওয়াত করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আর এই কথা ডাঃ জাকির নায়েক বলেছেন বলে কোন কিতাবে বা লেকচার এ আমি পাইনি। আর আসলেই তিনি এটি বলে থাকলেআমি মনে করি তিনি ভুল বলেছেন। ৮. অপবাদঃ ডাঃ জাকির নায়েক বলেছেন ঈদের দিন জুমা নামাজ পড়া লাগে না উত্তরঃ এটি সঠিক কথা। এর পক্ষে হাদীসঃ ১. হযরত আইয়াশ ইবনে আবু রামলা আশ-শামি(র)হতে বর্ণিত,তিনি বলেন-একদা হযরত মুয়াবিয়া(রা) হযরত জায়েদ ইবনে আরকাম(রা)কে কিছু জিজ্ঞাসা করার সময় আমি তার সামনে উপস্থিত ছিলাম। তিনি বলেন- আপনি কি রাসুল(সা) এর সময় একই দিনে ঈদ ও জুমা অনুষ্ঠিত হতে দেখেছেন? তিনি বললেন- হ্যা। তিনি পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, তিনি কিরূপে তা আদায় করেন? তিনি বলেন- নাবী(সা) প্রথমে ঈদের নামায আদায় করেন অতঃপর জুমা নামায আদায়ের ব্যাপারে অবকাশ প্রদান করে বলেনঃ যে ব্যক্তি তা আদায় করতে চায়, সে তা আদায় করতে পারে।(আবু দাউদ,হাদীস-১০৭০; নাসাই,ইবনে মাজাহ) তাই ডাঃ জাকিরের কথা সঠিক। এছাড়াও মুজতাহিদ(ইমাম আবু হানিফা,মালিক,শাফিঈ,আহমাদ,ছাওরী,ইসহাক) দের মধ্যে এ বিষয়ে ইত্তিলাফ আছে। ইমাম আহমাদের মতে অর্থাৎ হাম্বলী ফেকাহতে ঈদের দিন জুমা নামাজ পড়া লাগে না। ৯. অপবাদঃ ঈদের নামায ১২ তাকবীর এ আদায় করা উত্তরঃ আমার অবাক লাগে তাদের দেখে, তারা(ডাঃ জাকিরের বিরদ্ধে যারা আছে)নিজেরা মাজহাব মানা সত্ত্বেও অন্য মাজহাবের মাসআলা কে অপছন্দ করে। রাসুলুল্লাহ(সা) ঈদের নামায ১২ তাকবীরে আদায় করেছেন।(আবু দাউদ,হাদীস নং-১১৪৯,১১৫০,১১৫১;মুসনাদে আহমাদ)। ইমাম মালিক,শাফিঈ,আহমাদ ইবনে হাম্মব(র) এর মত ঈদের নামায ১২ তাকবীর এ আদায় করতে হবে। ১০. অপবাদঃ ডাঃ জাকির নায়েক বলেছেনতারাবীহ নামায ৮ রাকাত উত্তরঃ ডাঃ জাকির নায়েক বলেছেন তারাবীহ নামায ৮ রাকাত আদায় করা যাবে কিন্তু ২০ রাকাত ও আদায় করা যাবে। উমার(রা) ৮ রাকাত তারাবীহ পরেছেন(মুয়াত্তা ইমাম মালিক) এবং ২০ রাকাত তারাবীহ পরবর্তীতে চালু করেছেন।(ইমাম ইবনে তাইমিয়া ও ইমাম ইবনে কাইয়ুম)। রাসুলুল্লাহ(সা) বলেছেনঃ রাতের নামায দু দু রাকাত করে। এর উপর ভিত্তি করে মালেকী মাযহাবের ইমাম মালেক (রহঃ) বলেছেন, একশ বছরেরও বেশীসময় ধরে লোকেরা ৩৬ রাকআত তারাবীহ পড়েছে। হাম্বলী মাজহাবে তারাবীহ নামায ৮ রাকাত। শ্রদ্ধেয় আলেমে দ্বীন আল্লামা মুহাম্মাদ বিন সালেহআল উসাইমীন (রহ.) ৮ রাকআতের মাসআলাকেপ্রাধান্য দিয়েছেন। এজাতীয় মত পার্থক্যের সমাধানকল্পে শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যা (রহ.) বলেছেন, অধিক সংখ্যক রাকআত পড়াই উত্তম। আর যদি কেউ কম সংখ্যক রাকআত পড়তে চায় তাহলে তার উচিত হবে তিলাওয়াত, কিয়াম, রুকু ও সিজদা দীর্ঘ করা। তিনি আরো বলেছেন যে, তারাবীহকে রাকআত সংখ্যার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বরং সময় ব্যয়ের পরিমাণ দিয়ে মূল্যায়ন করা উচিত। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধু ১১ রাকআতের মধ্যে ৫ ঘণ্টা সময় অতিবাহিত করেছেন। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল(রহঃ) এর মতে অর্থাৎ হাম্বলী ফেকাহতে তারাবীহ নামাজ ৮ রাকাত। এছাড়াও মুসনাদে আহমাদের সালাত অধ্যায়ে রাসুলুল্লাহ(সা) ৮ রাকাত তারাবীহ সালাত আদায় করেছেন বলে হাদীস রয়েছে। ১১. অপবাদঃ ডাঃ জাকির নায়েক বলেছেননারী ও পুরুষের নামায একই রকম উত্তরঃ তিনি সঠিক কথাই বলেছেন। নবী(সা) বলেন ‘তোমরা ঠিক সেইভাবে নামায পড় যেইভাবে আমাকে নামায পড়তে দেখেছো’ (বোখারী) তাই নারী পুরুষ সকলেরই রাসুল(সা) এর মত করে নামায আদায় করতে হবে। ইমাম ইমাম বুখারী (রহঃ) সহীহ সনদের সঙ্গে উম্মে দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি নামাযে পুরুষদের মতই বসতেন [আল তারিখ আল সাগীর আল বুখারী ৯০] ইব্রাহিম আল নাখাই বলেন “নারীরা নামাযে পুরুষদের মতই বসবে” [ইবনে আবি শায়বাহ ১/১৭০] ইবনে হাজম বলেন ‘পুরুষ এবং মহিলাদের নামাযের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই’ [আল মাহাল্লা ৩/৩৭] ইবনে হাজার বলেন ‘পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য তাকবীরের সময় হাত তোলার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই’ [ফাতহুল বারী ২/২২২] ইবনে কুদামাহ(হাম্বলী ফেকাহবীদ) বলেন ‘প্রকৃতপক্ষে পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য নামাযের পদ্ধতি এক বলেই প্রমাণিত হয়েছে শুধুমাত্র এটা ছাড়া যে তারজন্য রুকু এবং সিজদার সময় নিজেকে আবৃত রাখা মুস্তাহাব’ [আল মুগনি ২/২৫৮] ইমাম নববী বলেন ‘নারীদের নামাযে দাঁড়ানো অবস্থায় পুরুষদের মতই বুকের উপর হাত বাঁধা উচিত’ [শরাহ মুসলিম ১/১৯৫] এ ব্যাপারে যারা পার্থক্য করে থাকেন কিছু হাদিসকে দলিল হিসাবে পেশ করে তাদের হাদিস গুল দুর্বল, তা জানতে এখানে ক্লিক করুন ১২. অপবাদঃ জুমা নামাযের খুতবা মাতৃই ভাষায়ে দেওয়া। উত্তরঃ জুমা নামাযের খুতবা মাতৃই ভাষায়ে দেওয়ার মত পোষণ করেছেন শ্রেষ্ঠও আলেমগণ, সৌদি আরব এর শ্রেষ্ঠ আলেমগণ এইমত পোষণ করেছেন ও প্রকাশ করেছেন। নবী(সা) আরবী ভাষার মানুষ ছিলেন তাই তিনি আরবী তে বলতেনএবং সাহাবীগণ তা বুঝতেন। খুতবা হল ভাষণ এর মত। কেহ যদি বাংলাদেশ এ এসে চাইনিস ভাষায়ে মাহফিল করে তাহলে সেইখানে কে যাবে? আর গিয়েও লাভ কি?সে ত কিছুই বুঝবে তাই, ঠিক তেমনি খুতবা হল বুঝার জন্য তা না বুঝলে লাভ কি? এমনকি ইমাম আবু হানিফা এর মতেও জুম’আর খুতবা মাতৃভাষায় দেওয়া যাবে। (রাদ আল-মুহতার, ১/৫৪৩) ১৩. অপবাদঃ ৩ তালাক কে ১ তালাক বলা। উত্তরঃ এটি ফেকিহ ইত্তিলাফ। অনেক মুঝতাহিদ ইমামের মতে একসাথে ৩ তালাক দিলে তা ১ তালাক বলে গণ্য হবে। তবে হানাফি মাজহাবে ৩ তালাক বলেই গণ্য হবে। তথাকথিত হানাফিরা অন্য মাজহাবকে কতটুকু সম্মান করে তা এ থেকেই প্রকাশ পায়ে। অন্য মাজহাবের মতকে তারা ভ্রান্ত মত বলে। ইমাম ইবনে তাইমিয়াহ(রহ) এর মতেও ৩ তালাক কে ১ তালাক ধরা হবে যা ইমাম ইবন কাসীর(রহ) সমর্থন করেছেন। তবে এর পক্ষে সহীহ মুসলিমের তালাক অধ্যায়ে কিছু হাদীস রয়েছে। (সংগ্রহিত)
Posted on: Mon, 08 Jul 2013 14:20:26 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015