বিচূণর্ আয়নায় সালাফী - TopicsExpress



          

বিচূণর্ আয়নায় সালাফী মতবাদ (পবর্-১) মুফতী ইজহারুল ইসলাম আল-কাউসারী প্রবল বাতাসে যখন ছাই উড়ানো হয়, তখন আশে-পাশের লোকদের চোখে যেমন যায়, নিজের চোখেও যায়। এই সত্য বুঝতে যাদের কষ্ট হয়, তাদের চোখে ছাই গেলে আমাদের দু:খ করার কী আছে? কিছু লোক চেয়েছিল ছাই উড়িয়ে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের আলেমদেরকে কলুষিত করবে। আল্লাহ পাক এমন ফয়সালা করেছেন, এখন তারা নিজেরাই নিজেদেরকে নিয়ে ব্যস্ত। এটাই আল্লাহর নিয়ম। আশআরী, মাতুরিদী আকিদা গ্রহণের কারণে প্রত্যেক যুগের হাজার হাজার আলেমকে যারা হিজড়া মু’তাজেলী বলতে পারে, তাদের সাথে এমন আচরণ হওয়াটাই কাম্য। যারা ইমাম নববীর কিতাব পুড়িয়ে ফেলার বাসনা রাখে, যারা ইবনে হাজার আসকালানী রহ. কে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের অন্তভর্ুক্ত বললে অগ্নিশমর্া হয়, তারা এত সহজে কীভাবে পার পাবে? ফাতহুল বারীর আকিদাগত ভুলের বেসাতি সাজিয়ে যারা ইবনে হাজার আসকালানী রহ এর সহীহ আকিদাকে অভিযুক্ত করার চেষ্টা করে, তাদের সমালোচনায়ও যে কেউ মুখ খুলবে না, এমনটি ভাবা বোকামী। একটা সময় ছিল, এরা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতকে লক্ষ করে ছাই উড়িয়ে আত্মতৃপ্তি হাসিল করত। এখন অবশ্য পরিস্থিতি পাল্টেছে। এরা নিজেরাই এখন সেই ছাইয়ে অন্ধ হচ্ছে। যেই আগুন তারা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের বিরুদ্ধে জালিয়েছিল, সেই আগুনের লেলিহানে আজ নিজেরাই প্রতিনিয়ত দগ্ধ হচ্ছে। উস্তাদ যদি ছাত্রকে বেয়াদবী শিখায়, তাহলে সেই উস্তাদই ছাত্র দ্বারা প্রথম লাঞ্ছিত হয়। সালাফীদের ক্ষেত্রেও বিষয়টা এর ব্যতিক্রম নয়। তারা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের বিখ্যাত আলেমদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে এসেছে। সাধারণ মানুষকে এগুলো শিখিয়েছে। পরবতর্ীতে এসব সালাফীরাই সালাফী মতবাদের বিরুদ্ধে নিজেদের কলম চালিয়েছে। সালাফীদের অনুসরণীয় আলেমদের কিতাব পুড়িয়ে ফেলার বাসনা প্রকাশ করেছে। একটা সময় কিছু মানুষ সহীহ আকিদার কথা বলে ইমাম নববী রহ. এর কিতাব পুড়িয়ে ফেলতে চাইত, এখন তারাই আবার সহীহ আকিদার কথা বলে আব্দুল ওহাব নজদীর কিতাবও পুড়িয়ে ফেলতে চায়। অন্যভাবে বলা যায়, এটা আল্লাহ পাকের একটি অবণর্নীয় ইনসাফ। ইমাম নববী রহ. কে আহলে সুন্নত ওযাল জামাত থেকে বের করার জন্য যারা পাচ শ পৃষ্ঠার থিসিস লিখত, এখন তাদের বিরুদ্ধেই হাজার পৃষ্ঠার বই লিখছে তাদেরই সমগোত্রীয় সালাফীরা। ইবনে হাজার আসকালানী রহ. এর আকিদা সহীহ হওয়া সত্ত্বেও তার আকিদাকে অভিযুক্ত করে সালাফীদের দু’তিনজন শায়খ কিতাব লিখেছেন। এই শিক্ষা থেকে পরবতর্ী সালাফীরা এক ধাপ এগিয়ে যারাই ইবনে হাজার আসকালানী রহ. এর প্রশংসা করেছে, তাদের সবাইকে অভিযুক্ত করেছে। এভাবে তারাও ভ্রান্ত আকিদার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে। সালাফীদের এই দ্বন্ধের বিষয়টা এতটা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে যে, এসম্পকর্ে অধিকাংশ সাধারণ মুসলিম অবগত। এমনকি সালাফী মতবাদের প্রচারক ড. জাকির নায়েকও সালাফীদের এই দ্বন্ধের কথা অকপটে স্বীকার করেছেন। আমাদের বিশ্লেষণের পূবর্ে ডা. জািকর নায়েকের মুখে শুনুন বতর্মান সালাফীদের অবস্থা। পূবর্ে এসব সালাফীরা হক্বপন্থী আলেমদেরকে কাফের-মুশরিক বলত, এখন তারা নিজেরা একে-অপরকে কাফের বলে। সালাফীদের সম্পর্কে ডাঃ জাকির নায়েক বলেছেন, Sheikh Nasiruddin Albani says we should call ourselve salafi. My question is which Salafi, my counter question Do you know how many Salsfi are there? Are you Kutubi, Sururi, or Madkhali. I can name another Salafi. “শায়খ নাসীরুদ্দিন আলবানী বলেন, আমাদের নিজেদেরকে সালাফী বলা উচিৎ। আমার প্রশ্ন হল, কোন্ সালাফী? আমার উল্টো প্রশ্ন, তুমি কি জানো, সালাফীদের কতগুলো গ্রুপ আছে? তুমি কি “কুতুবী, সুরুরী না কি মাদখালী? আমি সালাফীদের আরও অনেক গ্রুপের নাম বলতে পারব।” [[youtube/watch?v=Szzn9lFg9n0]] “But even in Salafi there are various groups and if you go to U.K. Mashallah! Subhanallah! Allahu Akbar! There are so many groups. In U.K each group fighting against the other, calling the other Salafia kafir, Nauzubillah! . . . Which salafia do you belong to? “সালাফীদের নিজেদের মধ্যেই অনেক গ্রুপ রয়েছে। তুমি যদি যুক্তরাজ্যে যাও, মাশাআল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! আল্লাহু আকবার! সেখানে সালাফীদের অনেক গ্রুপ। একদল আরেকদলকে কাফের বলে তাদের সাথে ফাইট করছে, নাউযুবিল্লাহ! সুতরাং তুমি কোন সালাফী? আজকের পবর্ে আমরা সালাফীদের অন্যতম একটি ফেরকা হাদ্দাদীয়া সম্পকর্ে আলে াচনা করব। হাদ্দাদীয়া ফেরকার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি: ================== আবু আব্দুল্লাহ মাহমুদ আল-হাদ্দাদ এর নামে তারা পরিচিতি লাভ করেছেন। মাহমুদ আল-হাদ্দাদ ও তার অনুসারীরা নিজেদেরকে প্রকৃত আহলে সুন্নত ও প্রকৃত সালাফী মনে করে। নিজেদেরকে প্রকৃত সালাফী হিসেবে প্রকাশ করে থাকে। তাদের দৃষ্টিতে বতর্মানের সালাফীরা নামধারী সালাফী। প্রকৃত অথর্ে সালাফী এরাই। এই দলের অনেকেই নিজেকে আছারী হিসেবে প্রকাশ করে থাকে। যেমন ফাউযী বিন আব্দুল্লাহ আল-আছারী। এরা সব-সময় কুরআন সুন্নাহ ও সালাফে -সালেহীনের অনুসরণের দাবী করে থাকে। এদের বক্তব্য হল, বতর্মান সালাফী হিসেবে পরিচিত শায়খগণ প্রকৃত সালাফী নয়। যেমন ইবনে বাজ, ইবনে উসাইমিন, সালেহ আল-ফাউযান, নাসীরুদ্দীন আলবানী, এরা কেউই প্রকৃত সালাফী নয়। হাদ্দাদীয়া ফেরকার অনুসারী সালাফীরাই মূলত: প্রকৃত সালাফী। আবু আব্দুল্লাহ মাহমুদ আল-হাদ্দাদ মক্কা-মদীনায় অবস্থান করে বিভিন্ন শায়খের সাথে সুসম্পকর্ গড়ে তোলে । মাদখালী সালাফীদের গুরু শায়খ রবী ইবনে হাদী আল-মাদখালীর সাথে মাহমুদ আল-হাদ্দাদের সুসম্পকর্ ছিল । পরবতর্ীতে দৃষ্টিভঙ্গির পাথর্ক্যের কারণে একে অপরের শত্রুতে পরিণত হন। শায়খ রবী ইবনে হাদী আল-মাদখালী অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে হাদ্দাদীয়া সালাফীদের বিরুদ্ধে মুখোস উন্মোচনের চেষ্টা করেছেন। এছাড়াও মাদখালী সালাফীদের অনেক শেইখই হাদ্দাদীয়া সালাফীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কিতাব লেখার পাশাপাশি বয়ান-বক্তৃতার মাধ্যমে তাদের ভ্রান্তি সম্পকর্ে আলোচনা করেছেন। অপরদিকে হাদ্দাদীয়া সালাফীরাও বসে নেই। তারাও বিরাহমীনভাবে মাদখালী সালাফীদের বিরুদ্ধে লিখে যাচ্ছে। মাদখালী সালাফীদের শায়খ রবী ইবনে হাদী আল-মাদখালী এদের বিরুদ্ধে একটি প্রবন্ধ লিখলে হাদ্দাদীয়া সালাফীরা এই প্রবন্ধ সম্পর্কে বলে, এটি হল কুকুরের ঘেউ ঘেউ। হাদ্দাদীয়া সালাফীদের অধিকাংশই সৌদি আরবের বিভিন্ন বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়া-লেখা করেছে। এরা সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এরা মূলত: সৌদি সালাফীদের মতই আকিদা-বিশ্বাস রাখে। মৌলিক আকিদার ক্ষেত্রে এদের মাঝে তেমন কোন পাথর্ক্য নেই। বাস্তবে এরা সবর্দা নিজেদেরকে সালাফী হিসেবেই পরিচয় দিয়ে থাকে। এজন্য উভয় প্রকার সালাফীদের মাঝে পাথর্ক্য করা বেশ কঠিন। তবে এদের বিশেষ মতবাদ দ্বারা এদেরকে পাথর্ক্য করা সম্ভব। মাহমুদ আল হাদ্দাদ সম্পকর্ে শায়খ মুকবিল ইবনে হাদী আল-ওয়াদেয়ীকে প্রশ্ন করা হলে িতনি বলেন, أما الحداد فهو محمود الحداد وكان على استقامة لا بأس بذلك الله أعلم أكان يتكتم ، وكان بينه وبين الشيخ ربيع تعاون وصداقة ثم بعد ذلك أظهر ما عنده من الضلال وهو أن < فتح الباري > كتاب من كتب الضلال لأنه أخطأ في بعض العقيدة فينبغي أن يُحرق وأنا أقول : لولا أن النبي – صلى الله عليه وعلى آله وسلم – يقول : ” لا يحرق بالنار إلا رب النار ” لقلنا : أنت يا حداد أولى بأن تُحَّرق ، < فتح الباري > الذي يعتبر خزانة علم وليس له نظير في كتب السنة جزى الله مؤلفه خيراً كونه أخطأ في بعض المسائل تُغمر فيما له من الحسنات ، وهكذا أيضاً < شرح النووي > ، فهذه من طاماته أعظم ما عنده وهو قوله : أن < فتح الباري > ، و < شرح صحيح مسلم > يحرقان والله المستعان . “হাদ্দাদীয়া ফেরকা মূলত: মাহমুদ আল হাদ্দাদের নামে পরিচিতি লাভ করেছে। মাহমুদ আল-হাদ্দাদ মূলত: সরল-সঠিক পথে ছিল। তার মাঝে কোন ভ্রান্তি দেখা যায়নি। আল্লাহ ভাল জানেন, সে নিজের ভিতরে কোন ভ্রান্তি লুকিয়ে রাখত কি না। শায়খ রবী আল-মাদখালী এবং তার মাঝে বন্ধুত্ব ও হৃদ্যতা ছিল। পরবতর্ীতে সে নিজের ভ্রষ্টতা প্রকাশ করতে শুরু করে। তার মতে “ফাতহুল বারী” একটা ভ্রান্ত আকিদার কিতাব। কেননা এতে ইবনে হাজার আসকালানী রহ. কিছু আকিদাগত ভুল করেছেন। সুতরাং এটি পুড়িয়ে ফেল কতর্ব্য। আমি বললব, রাসূল স. যদি এই হাদীস না বলতেন, ” আগুনের প্রভুই কেবল আগুন দিয়ে কাউকে পোড়াতে পারেন, তাহলে আমি বলতাম, হে হাদ্দাদ, ফাতহুল বারী পোড়াবার আগে তোমাকে পাড়ান উচিৎ। অথচ ফাতহুল বারী হল ইলমের ভান্ডার। হাদীসের উপর এর মত দ্বিতীয় কোন কিতাব নেই। আল্লাহ তায়ালা এর লেখককে উত্তম প্রতিদান দান করুন। কিছু মাসআলায় ইবনে হাজারী আসকালানীর ভুলকে তার অধিক নেক কাজ আড়াল করে দিবে। [বাস্তবে এগুলোই সঠিক আকিদা। সালাফীদের ভ্রান্ত আকিদার বিরোধী হওযার কারণে তারা আকিদাগত ভুলের অভিযো করেছে-অনুবাদক] । একইভাবে ইমাম নববী রহ. এর মুসলিম শরীফের বিখ্যাত ব্যাখ্যাগ্রন্থ সম্পকর্েও হাদ্দাদ বলেছে, এটি পুড়িয়ে ফেলা উচিৎ। হাদ্দাদের ভ্রান্তিগুলির মাঝে এই দু’টি ভ্রান্তি সবচেয়ে মারাত্মক। অথর্াৎ তার মতে ফাতহুল বারী ও ইমাম নববীর শরহে মুসলিম পুড়িয়ে ফেলা উচিৎ। ” সূত্র: muqbel.net/fatwa.php?fatwa_id=699 হাদ্দাদের এই বক্তব্য একদিনে প্রকাশিত হয়নি। হাদ্দাদের পূবর্েও সালাফী শায়খরা আকীদার ক্ষেত্রে ইমাম নববী ও ইবনে হাজার আসকালানীকে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত থেকে বহিভর্ূত বলে বহু ফতোয়াবাজী করেছে। অনেক সালাফী শায়খ তাদের আকিদাগত ভ্রান্তির মিথ্যা অভিযোগ করেছে। সালাফী শায়খ মাশহুর বিন হাসান আলু সালমান ইমাম নববীর বিরুদ্ধে কিতাব লিখেছে। তার কিতাবের নাম হল, الردود والتعقبات على ما وقع للإمام النووي – رحمه الله -في شرح صحيح مسلم من التأويل في الصفات وغيرها من المسائل المهمات ডাউনলে াড করুন, https://ia902500.us.archive.org/15/items/MajmoueShaykhRabee9/majmoue%20shaykh%20rabee-9.pdf এছাড়াও ইবনে হাজার আসকালানী রহ. এর উপর আকিদাগত ভুলের মিথ্যা অভিযোগ করে চারজন সালাফী শায়খ কিতাব লিখেছে। এরা হলেন, ১.শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ আদ-দাবীশ। ২.আব্দুল্লাহ ইবনে সা’দী আল-গামোদী। ৩. আব্দুল আজীজ ইবনে বাজ। ৪. শায়খ মুহিব্বুদ্দীন আল-খতীব । স্ক্রিনশট: اخطاء فتح الباري في العقيدة ডাউনলোড লিংক: ajurry/vb/showthread.php?t=38844 সালাফী শায়খরা যখন আকিদার ক্ষেত্রে ইমাম নববী ও ইবনে হাজার আসকালানীকে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত বহিভর্ূত বিশ্বাস করে এর উপর ফতোয়া দিয়েছেন, তখন অবশ্যই এসব ইমামগণ আহলে বিদয়াহ (বিদয়াতী) হিসেবে পরিগণিত হবেন। তাদের ফাতোওয়া থেকে যখন ইমাম নববী ও ইবনে হাজার আসকালানী রহ. আহলে বিদয়াহ প্রমাণিত হচ্ছেন, মাহমুদ আল-হাদ্দাদ রাখ-ঢাক ছাড়াই তাদেরকে বিদয়াতী আখ্যা দিয়েছে। সালাফীদের অন্যান্য শায়খরা তাদেরকে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত বহিভর্ূত ফতোওয়া দিয়ে পরোক্ষভাবে আহলে বিদয়াহ বানিয়েছে। মাহমুদ আল-হাদ্দাদ এর অপরাধ এতটুকুই যে, সে স্পষ্টভাষায় ইমাম নববী ও ইবনে হাজার আসকালানী রহ. কে বিদয়াতী ফতোয়া দিয়েছে। সুতরাং এককভাবে হাদ্দাদীয়া ফেরকাকে দোষারো করার পূবর্ে আমাদেরকে ভেবে দেখতে হবে এই হাদ্দাদীয়া ফেরকার উৎপত্তি কোথা থেকে? এরা কাদের আকিদা-বিশ্বাস লালন করে? কেনই বা তারা ফাতহুল বারী পুড়িয়ে ফেলার মত এধরণের ধৃষ্টতা দেখায়? এর সহজ উত্তর একটি, এদের মাথায় তথাকথিত সালাফী আকিদর নামে সহীহ (?) আকিদার ভূত চেপেছে, যা তাদেরকে উগ্র তাকফীরি ফেরকায় পরিণত করেছে। হাদ্দাদিয়া ফেরকার কিছু ভ্রান্তি: ============== শাযখ আহমাদ ইবনে ইয়াহইয়া আজ-যাহরানী হাদ্দাদীয়া সালাফীদের সম্পকর্ে বলেন, وبالتتبع والتأمل مرت هذه الطائفة بعدة أطوار وهي كالتالي : الطور الأول: كانت بدايتهم الطعن في النووي وابن حجر والشوكاني وبعض العلماء المعاصرين كالألباني . الطور الثاني: وسعوا دائرة الطعن قليلا لتشمل بعض العلماء المعاصرين كالشيخ ربيع وغيره من أهل العلم والفضل . الطور الثالث: وسعوا دائرة طعنهم لتشمل كل من لا يكفر تارك الصلاة من أئمة الإسلام وأهل الحديث السابقين واللاحقين فقذفوا بعضهم بالإرجاء وبعضهم بالتجهم. “গবেষণা ও অনুসন্ধান দ্বারা প্রতিভাত হয় যে, হাদ্দাদীয়া ফেরকাটি কয়েকটা স্তর অতিক্রম করেছে। প্রথম স্তর: প্রাথমিক পযর্ায়ে এরা ইমাম নববী, ইবনে হাজার আসকালানী, কাজী শাওকানীসহ বতর্মান সময়ের বিখ্যাত কিছু আলেম যেমন শায়খ নাসীরুদ্দীন আলবানীকে তাদের আক্রমনের লক্ষ্যবস্তু বানায়। দ্বিতীয় স্তর: দ্বিতীয় পযর্ায়ে গিয়ে তারা আস্তে আস্তে বতর্মান সময়ের অন্যান্য আলেমদেরকেও তাদের সমালোচনার লক্ষ্যবস্তু বানাতে শুরু করে। যেমন শায়খ রবী ইবনে হাদী আল-মাদখালীসহ অন্যান্য আলেম তাদের আক্রমণের শিকার হন। তৃতীয় স্তর: তারা তাদের আক্রমণের পরিধি বিস্তৃত করতে থাকে। এমনকি নামায ত্যাগকারীকে কাফের না বলার কারণে পূবর্বতর্ী বিখ্যাত মুহাদ্দিস, ইমাম ও উলামায়ে কেরামকে মুরজিয়া আখ্যা দিতে থাকে। সূত্র: sahab.net/forums/?showtopic=134117 শায়খ রবী ইবনে হাদী আল-মাদখালীর দৃষ্টিতে হাদ্দাদীয়া সালাফী: =============================== মাদখালী সালাফীদের শায়খ রবী ইবনে হাদী আল-মাদখালী তাদের সম্পকর্ে লিখেছেন, 1- بغضهم لعلماء المنهج السلفي المعاصرين وتحقيرهم وتجهيلهم وتضليلهم والافتراء عليهم ولا سيما أهل المدينة، ثم تجاوزوا ذلك إلى ابن تيمية وابن القيم وابن أبي العز شارح الطحاوية، يدندنون حولهم لإسقاط منزلتهم ورد أقوالهم. 2- قولهم بتبديع كل من وقع في بدعة، وابن حجر عندهم أشد وأخطر من سيد قطب. 3- تبديع من لا يبدع من وقع في بدعة وعداوته وحربه، ولا يكفي عندهم أن تقول: عند فلان أشعرية مثلاً أو أشعري، بل لابد أن تقول: مبتدع وإلا فالحرب والهجران والتبديع. ৪- تبديع من يترحم على مثل أبي حنيفة والشوكاني وابن الجوزي وابن حجر والنووي. অথর্: ১. তারা বতর্মান সময়ের সালাফী আলেমদের প্রতি বিদ্বেষ রাখে। তাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে। তাদের জালে ও মূখর্ আখ্যা দেয়। অনেক সময় তাদেরকে পথভ্রষ্ট বলে থাকে। এবং তাদের নামে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যাচার করে থাকে। বিশেষভাবে তারা মদীনার সালাফী আলেমদের প্রতি এধরনের আচরণ বেশি করে থাকে। সম-সাময়িক আলেমদেরকে এভাবে তুচ্ছা-তাচ্ছিল্য করার পশাপাশি তারা ইবনে তাইমিয়া, ইবনুল কাইয়ি্যম, ইবনে আবিল ইয আল-হানাফীকে নিয়েও এধরনের সমালোচনা করে থাকে। তাদের বক্তব্য খন্ডন এবং তাদেরকে কলংকিত করার চেষ্টা করে থাকে। ২, কোন বিদয়াতে লিপ্ত হলেই তারা তাকে বিদয়াতী আখ্যা দিয়ে থাকে। তাদের নিকট ইবনে হাজার আসকালানী রহ. সাইয়ে্যদ কুতুব থেকেও মারাত্মক। ৩. কেউ বিদয়াতে লিপ্ত হলে তাকে কেউ যদি বিদয়াতী না বলে এবং তাদের প্রতি শত্রুতা না রাখে, তাহলে এরা তাদেরকেও বিদয়াতী আখ্যায়িত করে। তাদের নিকট এটুকু বলা যথেষ্ট নয় যে, সে আশআরী আকিদার। বরং তাদের মতে আশআরীকে আকিদার অনুসারীকে বিদয়াতী বলতে হবে। নতুবা যারা আশআরীদেরকে বিদয়াতী বলবে না হাদ্দাদীয়া ফেরকা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করবে এবং তাদেরকে বিদয়াতী আখ্যায়িত করে বজর্ন করতে থাকবে। ৪. যারা ইমাম আবু হানিফা, কাজী শাওকানী, ইবনুল জাওযী, ইবনে হাজার আসকালানী ও ইমাম নববী রহ. এর প্রতি সহানুভূতি রাখে, তাদেরকে এরা বিদয়াতী আখ্যায়িত করে থাকে। সূত্র: rabee.net/ar/articles.php?cat=8&id=72 শায়খ আহমাদ ইবনে উমর বাজমুল তাদের সম্পকর্ে বলেন, من أُصول هذه الطّائفة والفرقة المُنحرِفة: • قضيّة: أنّ كُلّ من وقع في البِدْعَة فَهُو مُبتدع ضالٌّ، ولذلك عندَهُم شيخ الإسلام ابن تيميّة مُبْتَدِع! الشّيخ ابن باز مُبْتَدِع! ابن عُثَيْمين جهمي! الألباني مُرجِئ جهمي! অথর্: এই পথভ্রষ্ট দলের একটি মূলনীতি হল, কেউ যদি কোন বিদয়াতে লিপ্ত হয়, তাহলে সে পথভ্রষ্ট ও বিদয়াতী। এজন্য তাদের নিকট ইবনে তাইমিয়া হল বিদয়াতী, ইবনে বাজ বিদয়াতী, ইবনে উসাইমিন জাহমিয়া, শায়খ আলবানী মুরজিয়া ও জাহমিয়া। শায়খ উমর বাজমুল আরও বলেন, ولذلك من أشدِّ أوصاف الحدّاديّة وهُوَ أمر يدلّ على ما سبَق: أنّهم يُنزِّلُونَ آثار السّلف في أهل البدع والابتداع يُنزِّلونها على أهل السُّنّة!! অথর্: তাদের উল্লেখ যোগ্য একটি চিহ্ন হল, বিদয়াতীদের সম্পকর্ে সালাফে-সালেহীন যেসব উক্তি উল্লেখ করেছেন, তারা এগুলো আহলে সুন্নতের আলেমদের উপর প্রয়োগ করে থাকে। সূত্র: https://soundcloud/annahj/22-26 শায়খ উমর বাজমুল আরও বলেন, এদের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল, এরা সুন্নাহ অনুসরণের নামে মানুষকে দাওয়াত দিয়ে থাকে। যেমনটি এদের প্রধান মাহমুদ আল-হাদ্দাদ মদীনায় করেছিল। সুন্নাহ অনুসরণের আবরণে কিছু মানুষ যখন তাদেরকে অনুসরণ করতে শুরু করে, তাদের এসব যুবকদেরকে তাদের ভ্রান্ত ফেরকার অন্তুভর্ূক্ত বানিয়ে নেয়। সূত্র: https://soundcloud/annahj/22-26 https://ia902500.us.archive.org/15/items/MajmoueShaykhRabee9/majmoue%20shaykh%20rabee-9.pdf হাদ্দাদীয়া সালাফী ফেরকার বিখ্যাত কিছু শায়খ: ১. শায়খ আব্দুল্লাহ সাওয়ান আল-গামিদী । ২ শায়খ আব্দুল হুমাইদ আল -জুহানী। ৩. ফালেহ আল-হারবী। ৪. ফাউজী বিন আব্দুল্লাহ আল-আসারী। 5. শায়খ আম্মাদ ফাররাজ। সৌদি আরবে অবস্থানরত হাদ্দাদী ফেরকার কিছু সালাফী শায়খ: ============================== ১. আব্দুল্লাহ জারবু। ২. আব্দুর রহমান আলী আল-হাজ্জী ৩. আব্দুল্লাহ হুমাইদ সাওয়ান আল-গামিদী ৪.সালেহ আস-সাইখান। ৫. আব্দুর রহামন আল-উহাইবী। ৬.বদর বিনন তামী আল-উতাইবী। ৭. মুহাম্মাদ নাসের আল-জুমাইয়াহ। ৮.আব্দুর রহমান আইয়্যাফ। ৯, মোবারক আল-আসসাফ। ১০. তারেক আল-ফাইয়াজ। ১১, আবু হাবিব ইয়াসির ইবনে হাবীব । ১২. মুহাম্মাদ আল-হাউসী। ১৩. মুহাম্মাদ আল-আমেরী। ১৪.আহমাদ আল-বীশি। ১৫, আদেশ শায়খ। এছাড়াও আরওও অনেক শায়খ রয়েছে, যারা সৌদি হাদ্দাদী মতবাদের অনুসারী। মোটকথা, সহীহ আকিদার শ্লোগানে সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দাওয়াত দিলেও বতর্মানের সালাফীরা সবচেয়ে বেশি বিভক্ত। তাদের একদল আরেকদলকে কাফের বলছে। অন্যকে কুফুরী-শিরকীর অপবাদ দেয়া এদের কাছে সাধারণ বিষয়। এরা পূবর্ে হকপন্থী আলেমদের এভাবে কুফুরী শিরকের অপবাদ দিয়ে এসেছে, এখন নিজেরাই একে অপরকে কাফের বলছে। এটাই হয়ত তাদের প্রতি আল্লাহর বিচার। বড় বড় আলেমদেরকে কুফুরী শিরকের অপবাদে জজর্রিত করার উপযুক্ত প্রতিদান তারা নিজেদের অনুসারীদের কাছ থেকেই পাচ্ছে। এভাবেই বতর্মানের সালাফী মতবাদ শতধইবিভক্ত হয়ে পড়ছে। পরস্পর কাদা ছোড়াছুড়ির যেই মহড়ায় বতর্মানের সালাফীরা উন্মত্ত হয়ে আছে, কিছু দিনন পরে হয়ত দু:খের সঙ্গে বলতে হবে, সালাফী মতবাদ মুসলিম উম্মাহকে একদল উগ্র তাকফিরী উপহার দিয়েছে। মুফতী ইজহারুল ইসলাম আল-কাউসারী
Posted on: Tue, 02 Dec 2014 14:42:54 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015