বিষয় : ঢাকা - TopicsExpress



          

বিষয় : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি বন্ধ.....!!!!!! এটা মাথা ব্যথার কারণে মাথা কেটে ফেলার মত।।। হঠাৎ করেই ঢাবি কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয়বার ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল।।। কারণ হিসাবে তারা যে সমস্যার কথা বলেছে এগুলোর অন্যভাবেও খুব সুন্দর সমাধান ছিল/ আছে।।। ইদানিং দেখা যাচ্ছে সারাদেশেই কেমন হ-য-ব-র-ল অবস্থা।।। বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে সবখানেই কেমন যেন হাহাকার।।। সরকারের কিছু কিছু আঁতেল এম.পি/মন্ত্রীর কারণে সরকার সমালোচিত হচ্ছে। যেমন বিয়ের বয়স কমানো.......... আরে বাবা যদি আগের সিদ্ধান্তই বহাল রাখবি তাহলে এই ইস্যু এনে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার দরকার কী?????? মাথার মধ্যে গোবর ভরা.....তবে সরকারে অনেক বিচক্ষণ ব্যাক্তিত্ব ও আছেন যারা এসব ভুল শুদরে দেন/নেন।।। .........কিন্তু প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তো সেই কাতারে শামিল হতে পারেনা।।। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি পদক্ষেপই সারা দেশ উন্মুখ হয়ে দেখে/শোনে/সম্মান জানায়।।। আমি ঢাবির একজন গর্বিত ছাত্র হিসাবে বলতে পারি---আমি নিজে দেখেছি....যেখানে ঢাবির একজন ছাত্র যায়,,,,সেখানকার সবাই তাকে আলাদাভাবে দেখে,,,সম্মান করে,,,model মনে করে।।। আর ঢাবির teacher হলে তো কোনো কথাই নাই।।। সবাই যেন আকাশের চাঁদ হাতে পায়।।। ঢাবির ছাত্র /শিক্ষক যে কথা বলে সবাই সে কথার আলাদা গুরুত্ব দেয়,,,,,সে কথা বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে চায়,,,,জীবন চলার পথে example মনে করে।।। তো এ সম্মান আমাদের ধরে রাখতে হবে।।। আমি কোথাও গেলে সবসময় মনে রাখি যে অামি ঢাবি কে represent করছি।।। আর ঢাবির সিনেট সদস্যরাতো আমাদের idle।।। তারা এমন স্থূল সিদ্ধান্ত নেবে / নিতে পারে কখন ভাবিনি।।। I think ঢাবির প্রতিটি সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় মাথায় রাখা উচিত সারাদেশ এটা follow করবে,,,এটাকে example করবে,,,,role model হিসাবে মানবে।।। এমন কোনো decision নেয়া যাবেনা যেটা সমালোচিত হতে পারে।।। এবার পরীক্ষার ঠিক আগে হুট করে সিদ্ধান্ত নিল English এর জন্য আলাদা condition ।।। এটা একটি মোটামাথার সিদ্ধান্ত ছিল এবং দুঃখের বিষয় এখনো আছে।।। যখন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তখনি বলেছিলাম এটা কোনো কাজে আসবেনা,,,,seat vacant থাকবে।।। কারন একদিকে Law,,,economics,,,dev stds,,,political sc,,,ir সহ ভাল ভাল সমস্ত sub,,,আর অন্যদিকে শুধু English।।। তার উপর আবার serious condition ।।। যে student over- confiden সে ছাড়া কেউ এই exam না দেওয়াটাই স্বাবাবিক।।। এরকম student এর সংখ্যা খুবই নগন্য।।। আর ঢাবি exam এ কেই এতবড় risk/life-risk নিবেনা..... এটাতো পাগলের ভাই উন্মাদ ও বোঝে।।। শুনেছি ঢাবি কখন কোনো সিদ্ধান্ত ২ য় বার নেয়নি,,,এবারই প্রথম পুনর্বিবেচনা করল।।। এই decision ও কোনো কাজে আসবেনা।।। যদি eng কে আলাদা unit করত/করে তবে সবাই exam দিবে এবং সেটাই better হবে।।। কেন পুনর্বিবেচনা করা লাগল???? সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বাস্তবতা উপলব্ধি করা উচিত ছিল।।। তারা যে যুক্তি দিয়েছে সেটা করতে হলে পুরা শিক্ষা ব্যবস্থাকেই ঢেলে সাজাতে হবে।।। এটা অনেকটা ecosystem মত।।। 1--12 class পর্যন্ত যে শিক্ষা দেয়া হয়নি সেটাকে বাস্তবায়ন করতে হলে আগে সেখানে পরিবর্তন আনতে হবে।।। যে সিদ্ধান্ত শিথিল করতে হয় সে সিদ্ধান্ত নেবে কেন???? এবার আসি ২য় বার ভর্তি প্রসঙ্গে........ ২য় বার ভর্তি বন্ধের পক্ষে প্রশাসন যে যুক্তি দিয়েছে সেগুলো কিছুটা যৌক্তিক আবার অনেকটাই অযৌক্তিক ও বটে।।। কোচিং/নকল বন্ধ করা,,,আসন পূর্ণ করা,,,অসম প্রতিযোগিতা...... এগুলোরঅন্য সুন্দর সমাধান আছে/ছিল।।। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এবার যারা 1st timer ছিল তারা কেন ভুক্তভোগী হবে ????? কোচিং personally আমি support করি..... কারন ঢাবিতে যেমন শহুরে /ভাল ভাল,সুনামধারী অনেক college এর students exam দেয়,,,তেমনি প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও অনেক student exam দেয়।।। তারা মনেপ্রাণে ঢাবিতে ভর্তি হওয়ার স্বপ্নও দেখে।।।এখন শহুরে একজন ছাত্র যে সুবিধা পায়,,, naturally যাকিছু শেখে,,, গ্রামের সেই student কিন্তু মেধাবী হয়েও চাইলেও তা পারেনা।।। তাদের এই problem solve করার দায়িত্ব সরকারের,,, কিন্তু কোনো সরকারই সেটা করছেনা।।। তো সেখানে টাকা নিয়ে হলেও কোচিং সেই কাজটি করছ।।। অল্প সময়ে তাদেরকে well prepared করে তুলছে।।।যার ফলশ্রুতিতে তারা chance ও পাচ্ছে।।। আমি নিজেও দুইবারই কোচিং করেছি।।। I think its beneficiy .আর ঢাবির জন্য যে কোচিং আছে সেগুলোর teachers ও DU students. তো এখানে du students এরই কর্মসংস্থান এর সুযোগ হচ্ছে।।। তাছাড়া সরকার/ভার্সিটি যতই চাক কোচিং বন্ধ করতে,,,যে flow সৃষ্টি হয়েছে তাতে সেটা পুরাপুরি বন্ধ করা কখনই সম্ভব হবেনা,,,আইন না করলে।।। হয়ত bussiness কিছুটা কমতে পারে।।। যারা hopeful তারা 2nd year থেকেই কোচিং শুরু করতে পারে,,,এতে HSC result fall করার possibility আছে।।।হিতে বিপরীত হতে পারে।।। s@ifurs তো already 2nd year থেকে কোচিং করার ad দেয়া শুরু করেছ।।। আবার এমন ও হতে পারে আগে অনেকে 1st time কোচিং করলে 2nd time করতনা,,,এখন HSC র পর যে দুই /আড়াই মাস সময় পাবে তাতে সবাই কোচিং করলে কোচিং সেন্টার গুলোর আগের চেয়ে double profit হতে পারে।।। নকল বন্ধ করার জন্য প্রশাসনকে প্রচন্ড কড়া হতে হবে।।।ঢাবির অভ্যন্তরে বা ঢাবি selected কিছু centre এর বাইরে exam hall select করা যাবেনা।।। applicant বেশি হলে রাজশাহী,জাহাঙ্গীরনগর,ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের মত shift আকারে এক ঘন্টা পর পর exam নিলে নকল হবেনা।।। প্রয়োজনে পরীক্ষা শেষে question paper রেখে দিতে হবে,,,,ফেরত দেওয়া যাবেনা।।। আসন পূর্ণ করার মানসিকতা বাদ দিেয় কেন আসন খালি থাকে সেটা ভাবা উচিত।।। উর্দু/পালি/ফারসি/সংস্কৃত...... এগুলোতে এত বেশি আসন রাখারই বা দরকার কি?????????? যদিও বলা হয়ে থাকে শিক্ষার উদ্দেশ্য চাকরি নয় কিন্তু বাস্তবতা তো আসলে ভিন্ন ।।। শিক্ষার উদ্দেশ্য জ্ঞান অর্জন তখনি হতে পারে যখন ছাত্রত্ব শেষ করার পর কর্মসংস্থানের guarantee পাব/কর্মসংস্থানের দায়িত্ব সরকার নেবে।।। আমি দেশের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র,,,আমার তো চাকরি এমনিতেই পাওয়ার কথা।।। আমি যখন ছাত্রত্ব শেষ করে বেকার হয়ে পড়ে থাকি,,,খাওয়ার জন্য টাকা পাইনা তখনতো আমার শিক্ষার উদ্দেশ্য চাকরি হবেই।।। দেশের শ্রেষ্ঠ public university গুলো থেকে graduation শেষ করে বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছ এরকম student অসংখ্য,,, সেখানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কথা বলাই বাহুল্য।।। UGCর চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ স্যার বলেছেন ব্যাতিক্রম ছাড়া এইসব subject থেকে বেশিরভাগ student বেকার থাকে।।। একান্তই যদি subject গুলো দরকার হয় তবে ১৫/২০ টি আসন রাখা যেতে পারে।।। যেগুলোর চাহিদা বেশি সেগুলোর আসন বাড়ালে automatically seat fill up হয়ে যাবে।।। স্যারদের কোনো রকম দুশ্চিন্তা করতে হবেনা।।। আরও কিছু অভ্যন্তরীন সিদ্ধান্তের কারনে আসন খালি থাকে.... যেমন--business studies & science এর student রা generally english এ skillful হয়।।। অথচ ঢাবিতে arts এর student দের জন্য English এ আসন বেশি।।। total seat ও বেশি।।। English এর জন্য ঘ-ইউনিট এ business studies এর জন্য মাত্র চারটি আসন।।। কী আশ্চার্যের বিষয়।।। যার ফলে আমি ENGLISH-এ 25 marks পেয়েও ENGLISH পায়নি।।। ENGLISH আমার LONG CHERISHED স্বপ্ন ছিল,,,সেভাবে preparation নিয়েছিলাম,,, exam দিয়েছিলাম,,, exam এ ভালও করেছি......অথচ তাদের এই অগোছালো সিদ্ধান্তের কারনে আজ আমি political science এর student।।। চ.বি-র VC sir এর মেয়ের ক্ষেত্রেও এমন হয়েছিল।।। আর অসম প্রতিযোগিতার কথা বলা হচ্ছে... এটাকে অন্যভাবেও বন্ধ করা যেতে পারে।।। ঢাবিতে যেমন আসন খালি থাকছে তেমনি একজন student এরও জীবনেরর গুরুত্বপূর্ণ একটা বছর নষ্ট হচ্ছে।।। এটা উভয় ক্ষেেত্র আসলেই একটি মারাত্মক সমস্যা।।। যেখানে শিক্ষা ব্যবস্থা এমনিতেই অনুন্নত,,, সেখানে public university গুলোতে আসন খালি থাকা দুঃখজনক।।। আবার দেশের শ্রেষ্ঠ সম্পদ শিক্ষিত যুব জনশক্তির একটা বছর নষ্ট হওয়া আরও বেশি দঃখজনক।।। যার যায় সে বোঝে কি ক্ষতি হলো তার,,,সারাজীবন তাকে sufferer হতে হয়।।। এগুলোর একটি সমাধান এমন হতে পারে--- HSC exam এর পরে ৫/৬ মাস ((বা নির্দিষ্ট কিছু সময় কতৃপক্ষ যা ভাল মনে করে)) সময় দিতে হবে যেন student preparation নিতে পারে //কোচিং করতে পারে।।। HSCর syllabus আর varsity admission test এর Syllabus যেহেতু আলাদা সেহেতু এই সময় দেওয়া যেতে পারে।।। exam একবারই দেওয়া যাবে।।। সব varsityর VC sir রা মিলে সম্মিলিতভাবে এমন সিদ্ধান্ত নিলে আসনও খালি থাকবেনা,,, কারও জীবন থেকে একটি বছরও ঝরে যবেনা।।। পরীক্ষা গুচ্ছ পদ্ধতিতে না নিয়ে এখন যেভাবে নিচ্ছে সেটাই থাকুক,,,কারন প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের Syllabus আলাদা,,,পড়ানোর style ও আলাদা।।। ঢাবির economics এর সাথে চবির economics,,,ঢাবির IR সাথে জাবির IR এর far far differences রয়েছে।।। স্বায়ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় এমন করতেই পারে।।। আমি যেটা বলছি সেটাই করতে হবে এমন না।।। আমার honorable teacher রা অবশ্যই আমার চেয়ে অনেক অনেক বেশি ভাল বোঝেন।।। তারা অন্য কোন alternation ও খুঁজে বের করতে পারেন।।। তাছাড়া 2nd time বন্ধ করতে আরেকটি সমস্যা হচ্ছে--- অনেকেই আশা করে ঢাবিতে পড়বার।।। আশা করে ১মবার না হলে ২য়বার আরেকটু চেষ্টা করে দেখবে।।। বাংলাদেশে যদি ঢাবি standard আরও দশটা বিশ্ববিদ্যালয় থাকত তবে ঠিক ছিল।।। BCS এ অনেকবার try করা যায়,,,অন্যান্য দেশে university গুলোতে একাধিকবার exam দেয়া যায়।।। সবদিক বিবেচনা করে যেটা সবার জন্য best হয় সেটা করতে হবে।।। ঢাবি যদি এমন সিদ্ধান্ত নেয় তবে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও এমনটা করবে ((জবি already এমন ঘোষনা দিয়েছে))।।। এতে যে ক্ষতি হবে,,, যেসব talent student রা ১মবারে কোথাও ((public /national university)) chance পাবেনা,,, ভাল subject পাবেনা,,,তারা বাধ্য হয়ে private university তে ভর্তি হবে।।। আর কেউ স্বীকার করুক আর না করুক দুই একটা ব্যাতিক্রম বাদে বেশিরভাগ private varsity তে প্রকৃত শিক্ষা দেওয়া হয়না,,,এগুলোতে সবসময় পড়ালেখার চেয়ে তাদের profit,,, business কেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়।।। এর ফলে সারাদেশেই মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।।। আমার এত কথার উদ্দেশ্য আমার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়কে হেয় করা/ছোট করে দেখানো অবশ্যই নয়।।। এটা just আত্মসমালোচনা।।। আমি অবশ্যই মনেপ্রাণে চাই আমার বিশ্ববিদ্যালয় তার অর্জিত সুনাম ধরে রাখুক।।। তার প্রাচ্যের অক্সফোর্ড এই খ্যাতি সে আবার ফিরে পাক সেটা cordially চাই।।। চাই বলেই একটি public university (BU) তে BBA(mgt) এ chance পেয়েও এক বছর loss দিয়ে এখানে ভর্তি হয়েছি।।। একজন বলেছিল, আমি বুঝিনা পোলাপান কেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়? এর চেয়ে ডিপ্লোমা করলে বরং ভাল চাকরি পাওয়া যায়। আমার কথা হচ্ছে এধরনের কথা বলার সাহস সে পাবে কেন??? আমরা হয়ত এমন কিছু করেছি যার ফলে তার এমন মনে হয়েছে।।। অবশ্যই আমাদের কোথাও ত্রুটি রয়ে গেছে।।। কোন মাথা মোটা সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া যায়না।।। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক প্রত্যেকের প্রতিটা পদক্ষেপ দেশ-বিদেশের যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়/মানুষের কাছে ROLE MODEL হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হোক এই প্রত্যাশা করি।।। মিসবাহ উদ্দীন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
Posted on: Tue, 28 Oct 2014 10:38:37 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015