যে সকল বিষয়ে এখনও সীট - TopicsExpress



          

যে সকল বিষয়ে এখনও সীট ফাঁকা আছে এবং আমার কাছে জব ফিল্ড জানতে চাচ্ছো তাদের জন্য সাবজেক্ট রিভিউ গুলো আবার দিচ্ছি... B unit গ্রুপ-২ সাবজেক্ট রিভিউঃ GEB (Genetic Engineering and Biotechnology) [নিজের মনের রিভিউয়ের উপর কোন রিভিউ নাই। তোমাদের জানার ডিমান্ড ফুলফিল করতেই একেকটা সাবজেক্ট নিয়ে লেখা। ] বিল গেটস এর একটা কথা দিয়ে শুরু করি “Biotechnology will be to the 21st Century what computer technology was to the 20th Century” সত্যি বলতে কি জীববিজ্ঞান ছাড়া অন্যান্য মৌলিক বিষয়গুলোতে একেবারেই নতুন কিছু করা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধারণা করা হয় এইসব দিকে সব গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হয়ে গেছে, এখন শুধু আধুনিকায়নই সম্ভব। কিন্তু জীববিজ্ঞানের দিকটা এখনও অনেক বেশি রহস্যাবৃত (আমরা ১০% ও জানি কিনা সন্দেহ) । তাই এই শতক যে জীববিজ্ঞানের সবচেয়ে আধুনিক রূপ বায়োটেকনোলজির শতক হবে এটা চোখ বন্ধ করেই বলে দেয়া যায়। এক কথায়, GEB বাস্তবিক অর্থেই একটা অলরাউন্ডার ডিপার্টমেন্ট ।Biotechnology আসলে অনেকগুলো বিষয়ের একটা সমন্বিত রূপ। এর মধ্যে Genetic Engineering একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বায়োটেকনলজির অন্যান্য শাখা গুলো হল সিনথেটিক বায়োলজি, ন্যানোটেকনোলজি, মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োস্ট্যাটিসটিক, এনিমেল সায়েন্স, প্ল্যান্ট সায়েন্স, ইমিউনোলজি, ওর্গানিক কেমিস্ট্রি, এনজাইমোলজি, ইনসিলিকো (কম্পিউটেশনাল) বায়োলজি বা বায়োইনফরমেটিক্স ,অঙ্কোলজি, মলিক্যুলার বায়োলজি, টিস্যু কালচার ইত্যাদি। একজন বায়োটেকনোলজিস্ট আসলে এই সব বিষয়ে প্রাথমিকভাবে শিক্ষালাভ করেন এবং সবশেষে নিজের ভালোলাগা এক বা একধিক দিকে বিশেষভাবে কাজ করে থাকেন। একারণেই তিনি একাধারে একজন মাইক্রোবায়োলজিস্ট, বায়োকেমিস্ট,পরিসংখ্যানবিদ, প্রোগ্রামার আর সর্বোপরি একজন বায়োলজিস্ট তো বটেই। তাই ইচ্ছেমত পছন্দের গবেষণার দিকটি বুঝে শুনে নেওয়ার স্বাধীনতা এবং সুযোগ তো থাকছেই। তোমাদের মধ্যে যাদের ভেতরে নতুন কিছু করার মত তীব্র আকাঙ্ক্ষা, চিন্তাশক্তি বা কল্পনা শক্তি আছে, তা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োগ দক্ষতা এবং পরিশ্রমী , হাল না ছাড়া মনোভাব রয়েছে তাদের জন্য জিইবির দরজা খোলা। আর মানুষের কল্যানের জন্য কাজ করতে গেলে অবশ্যই মানবিক গুনাবলির সুন্দর সংমিশ্রণ থাকা প্রয়োজন। আরেকটা গুনের কথা একটু পর বলব। যাই হোক, একটা ব্যাপার পরিষ্কার হওয়া ভাল যে, Genetic Engineering এর নামের শেষে Engineer থাকলেও Engineering Certificate পাওয়ার কোন সম্ভবনা নাই এক্ষেত্রে। Engineer শব্দটি এসেছে লাতিন Ingenium থেকে, যার অর্থ চালাকি। বুঝতেই পারছো এদের কাজকারবারে সুচারুরূপে মাথা খাটানোর একটা ব্যাপার থাকে। বায়োলজিস্ট বা বায়োটেকনোলজিস্ট হলেও নামের শেষে ইঞ্জিনিয়ারিং যোগ করার কারণ হচ্ছে, জীববিজ্ঞানকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গানিতিক ও বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের প্রয়োগ ঘটিয়ে ব্যবহারিক সমস্যার নিরাপদ এবং অর্থনৈতিক বিচারে মানবকল্যানে গ্রহণযোগ্য সমাধান খোঁজাই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ। জীববিজ্ঞানের কেবলমাত্র এ শাখাটিতেই নিজের ইচ্ছামত ডিজাইন করে একটি প্রাণীর বৈশিষ্ট্যের আংশিক বা প্রায় সম্পূর্ণ পরিবর্তন, মিশ্রণ ঘটিয়ে নতুন বৈশিষ্ট্যের, নতুন আকার-আকৃতির কোন প্রাণী বা উদ্ভিদ জন্মানো সম্ভব। # কেন GEB-তে পড়বাঃ আগেই বলেছি চাকরী থেকে এখানে গবেষণার ক্ষেত্র অনেক বেশী। যারা স্বপ্ন দেখতে জানো, যাদের নতুন কিছু করার নেশা, যাদের আইডিয়া সারাক্ষন মাথায় গিজগিজ করে, একটু অন্যভাবে চিন্তা করতে পারো, এবং যাদের কাছে বিপুল অর্থকড়ির চেয়ে মানুষের কল্যানের জন্য নিজের মেধা খাটানোই বেশি আনন্দের তাদের জন্যই এই সাবজেক্ট। যাদের কাছে সারাক্ষন জি স্যার, হ্যাঁ স্যার, না স্যার এর চেয়ে সন্মান প্রাপ্তি টুকুই আনন্দের, যাদের কাছে কি পেলাম তার চেয়ে অন্যদের কি দিতে পারলাম এটাই বড় কথা, যাদের কাছে সৃষ্টিতেই সুখ, যারা তাদের চিন্তন দক্ষতা, গাণিতিক দক্ষতা, শৈল্পিক দক্ষতা জীব বিজ্ঞানের মত চমৎকার একটি জায়গায় কাজে লাগাতে চাও, তারা নির্দ্বিধায় জিইবি পড়তে চলে আসতে পার। চাকরীর ক্ষেত্র এ দেশে খুব বেশি ভাল এমনটা বলা যাবে না (বাস্তবতার নিরিখেই বললাম, তবে সত্যিটা হল তুমি যদি তুমি যদি নিজেকে তৈরি করে নিতে জানো, তোমাকে কোন কিছুর পেছনে ছুটতে হবে না, হাজারটা সম্ভবনা তোমার পায়ের কাছে লুটাবে)। তবে অবশ্যই ক্রমবর্ধমান এবং আশা করা যায় আর অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই এদিকটাও অপূর্ণ থাকবে না। এবার আসি ঐ শেষ গুণটাতে। দেশপ্রেম অবশ্যই থাকতে হবে...... এই গুনটাকে আলাদা করে বলারও নিশ্চয়ই কারণ আছে। # SUST এর GEB ডিপার্টমেন্টঃ আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার লক্ষ্যে ২০০৪ সালে Genetics এবং Biotechnology নামে দুটি সর্বাধুনিক ডিপার্টমেন্ট আলাদা আলদাভাবে যাত্রা শুরু করে। ২০১০ সাথে একীভূত হওয়ার পর নাম দাঁড়ায় Genetic Engineering and Biotechnology(GEB). বাংলাদেশে যে কয়টা বিশ্ববিদ্যালয়ে GEB ডিপার্টমেন্ট বিদ্যমান তার মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক (৮ টা এবং আরও বাড়বে ইন শা আল্লাহ্‌) এবং সবচেয়ে আধুনিক এবং সমৃদ্ধ ল্যাব আছে শাবিপ্রবির জিইবি ডিপার্টমেন্টে। এরকম একটি গবেষণা নির্ভর সাবজেক্টে সমৃদ্ধ ল্যাব থাকার প্রয়োজনীয়তা সহজেই অনুমেয়। এছাড়া এই ডিপার্টমেন্টের অনেক প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী দেশে বিদেশে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে Jute Genome Project, Forensic DNA Lab, CID, ক্যান্সার গবেষণা, কৃত্রিম ফুসফুস তৈরি প্রভৃতি নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় নিয়োজিত আছেন। আর দেশী বিদেশী অনেক স্বনামধন্য ফারমাসিউটিকাল এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানে অনেকেই উচ্চ পদে কর্মরত আছেন। যেমনঃ দেশে BJRI, CID, BCSIR, ICDDRB, R & D of Incepta pharmaceuticals ltd ইত্যাদি এবং বিদেশে Australian Institute of Bioengineering and Nanotechnology (Australia), Tasmanian Institute of Agriculture (Australia), Los Alamos National Laboratory (USA) এবং Australia, USA, Canada, Sweden, Norway, Netherlands, Germany, Finland, Japan, UK, Malaysia এর অনেক স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় সাস্ট জিইবিয়ানদের দৃপ্ত পদচারনায় মুখর। যেহেতু সাবজেক্টটি আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে অনেকটা নতুন এজন্য সীমাবদ্ধতা থাকাও অস্বাভাবিক কিছু না। কিছু সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও শাবিপ্রবির GEB ডিপার্টমেন্ট দেশের স্বনামধন্য একটি ডিপার্টমেন্ট হিসেবে ইতোমধ্যে আত্মপ্রকাশ করেছে। গতানুগতিক ধারার কোন একটা বিষয় নিয়ে পড়ে গতানুগতিকভাবেই ভবিষ্যৎটা গড়বে? নাকি বর্তমান পৃথিবীর সবচাইতে চ্যালিঞ্জিং এবং সম্ভবনাময় বিষয়ে নিজের ক্রিয়েটিভিকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞানের নোবেলটা নিজের করে আগামীর পৃথিবীকে চমকে দেবে? সিদ্ধান্ত কিন্তু তোমার হাতেই... শুভকামনায়, সৈয়দ মুক্তাদির আল সিয়াম জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
Posted on: Tue, 02 Dec 2014 07:23:54 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015