শিয়া-সুন্নী বিতর্ক চলছে - TopicsExpress



          

শিয়া-সুন্নী বিতর্ক চলছে WhatsApp-এ। শিয়াদের পক্ষে কথা বলছেন- মইনুল হোসেন, পশ্চিম বঙ্গ, ভারত। সুন্নীদের পক্ষে আছি আমি ও সৌদি আরব প্রবাসী নরসিংদীর ফয়যুল ইসলাম ভাই। ইচ্ছা হলে আপনারাও অংশ নিতে পারেন এই বিতর্কে। আগ্রহীরা হোয়াটসআপের নাম্বার দিন। কিছু স্ক্রিনশট এখানে দেওয়া হলো- [11:47pm, 19/08/2014] +91 91 26 412421: শিয়াদের সম্পর্কে ভাইয়েদের প্রথম আপত্তি ও অভিযোগ ছিল, আযানে হজরত আলী (আ) এর নাম ব্যবহার করা নিয়ে। আপনাদের মতে এটি বিদয়াত। আমি যদিও এবিষয়ে ইতোপূর্বে হাল্কা টাচ দিয়েছি, কিন্তু সেটি আপনাদের জন্য যথার্থ মনে হয়নি, তাই আপনারা গ্রহণ করতে পারেননি। ঠিক আছে, তর্কের খাতিরে আমি ধরেই নিলাম, যে শিয়ারা আযানে হজরত আলি (আ) এর নাম নিয়ে বিদয়াত করছে (নাউজুবিল্লাহ)। এখন আপনাদের নিকট একটি প্রশ্ন, প্লীজ জবাব দেবেন। ভোরের আযানের সাথে যে আসসালাতু খাইরুম মিনান নাওম এটি মহানবী (সা) এর আমলে ছিল না। বরং দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর এটি আযানের সাথে যুক্ত করেন। এবার আপনারা বলুন ভোরের আযানের সাথে এর যৌক্তিকতা কতটুকু? এটি কি বিদয়াত নয়? [12:09am, 20/08/2014] +91 91 26 412421: অথচ হজরত আলি (আ) হচ্ছেন মানুষদের ওলী (অভিভাবক)। পবিত্র কুরয়ানের সুরা মায়েদা, আয়াত ৫৫ তে তিনব্যক্তিকে মানুষের ওলীরূপে ঘোষণা করা হয়েছে- ১. আল্লাহ, ২. তাঁর রাসুল (সা) এবং ৩. মুমিন বান্দাদের মধ্যে যে নামায প্রতিষ্ঠা করে ও রুকুরত অবস্থায় যাকাত প্রদান করে। শিয়া সুন্নি উভয়ই এবিষয়ে একমত যে এই আয়াতটি হজরত আলি (আ) এর শানেই নাযিল হয়েছে এবং উল্লেখিত তৃতীয় ওলী যিনি রুকুরত অবস্থায় যাকাত প্রদান করেছেন, তিনি হলেন হজরত আলি (আ)। অর্থাৎ মানুষদের ওলী, তিনজন। 1. আল্লাহ, 2. রাসুল (সা) এবং 3. আলি (আ)। এরপর আসেন, বিদায় হজ্জ্বের শেষভাষণে হজরত আলি (আ) কে সকল হাজীদের সম্মুখে তুলে ধরে মহানবী (সা) ঘোষণা করে দিয়েছেন, মান কুনতো মাওলা, ফা-হাযা আলীয়ুন মাওলা। আমি যার যার মাওলা (অভিভাবক) , আলীও তার তার মাওলা। সেখান থেকেই প্রকাশ্যভাবে হজরত আলী (আ) মানুষদের ওলী হিসাবে ঘোষত হন এবং তৃতীয় ওলী হিসাবে তার নাম আযানে যোগ করা হয়, যদিও এটি আবশ্যক নয়। [10:44am, 20/08/2014] +91 91 26 412421: মহানবী (সা) এর সেই হাদিসটি একবার স্মরণ করে দিই, আমার পর আমার উম্মত 73 ফেরকায় বিভক্ত হয়ে যাবে, যার মধ্যে কেবল একটিই জান্নাতী, বাকী সব জাহান্নামি। সুতরাং এমনটি হতেই পারে না যে, আপনার ফেরকাও সঠিক আবার আমার ফেরকাও সঠিক। দুটির মধ্যে কেবল একটিই সঠিক। আমি আপনাদের প্রস্তাব গ্রহণ করতে 100% রাজী আছি, যদি আপনারাও আমার প্রস্তাব গ্রহণ করেন। আমার প্রস্তাব হল, আমি যদি দেখিয়ে দিতে পারি, আপনারা ভ্রান্ত পথে তাহলে আপনাদেরকেও আপনাদের মাযহাব ত্যাগ করে শিয়া মাযহাব গ্রহণ করতে হবে (যদিও এই প্রস্তাব আমি জানি আপনাদের জন্য গ্রহণ করা সম্ভব নয় কারণ, হেদায়েত এমন একটা জিনিস যা সকলের ভাগ্যে জোটে না)। যাইহোক আপনারা যদি প্রমাণ করতে পারেন, শিয়া মাযহাব ভ্রান্ত তাহলে আমি আপনাদের প্রস্তাবকে গ্রহণ করব। অপরদিকে আপনাদেরকেও কিন্তু আপনাদের মাযহাব ভ্রান্ত প্রমাণ করার পর স্ব স্ব মাযহাব ত্যাগ করতে হবে। রাজী আছেন? [11:48am, 20/08/2014] W.foyjul: ►মুসলিমদের কালিমা◄ ➲ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ। (সহিহ ইবনে হিব্বান- হাদিস নং ২১৮, তাফসীরে ইবনে কাছির ৭/৩৪৬, তাফসীরে তাবারি ৯/৭৮, আদ দুররুল মাঞ্ছুর ২/৬৩২, ফাতহুল বারী ৮/২৫৮, ) ►শিয়া কালিমা ◄ ➲ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদু রাসূল্লাহ, আলীয়্যুন ওয়ালীউল্লাহ ওয়াসিয়্যু রাসূলিল্লাহ, খলীফাতুহু বিলাফসল। [1:09pm, 20/08/2014] +91 91 26 412421: আর শিয়াদের বাড়তি কলেমার বিষয়ে এটাই বলা যায়, শিয়ারা কলেমাতে আলিয়্যুন অলিউল্লাহ সংযোজন করার মাধ্যমে এটাই বোঝাতে চায়, মুহাম্মাদ (সা) এর পরে তৈরি হওয়া একাধিক মতবাদ গুলিতে শিয়াদের কোন আকীদা নেই। বরং নবিজী (সা) নিজজীবনে স্পষ্টভাবে তাঁর আহলেবাইত (আ) কে অনুসরণ করার নির্দেশ প্রদান করেছিলেন। আর শিয়ারা সেই নির্দেশকেই মান্য করে। আলিয়্যুন ওলিউল্লাহ কলেমার আবশ্যিক অংশ নয়। বরং এটা এইজন্যই বলা হয়ে থাকে যাতে শিয়াদের সঠিক বিশ্বাসটি মানুষের সামনে প্রকাশ পায় যে নবী (সা) এর পর অন্য কাওকে নয়, বরং আহলেবাইত (আ) কে শিয়ারা অনুসরণ করে থাকে। [3:45pm, 20/08/2014] W.foyjul: হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, ইস্পাহানের সত্তর হাজার ইয়াহূদী দাজ্জালে অনুসারী হবে। এরা সবুজ রং-এর চাদর পরিহিত হবে। (মুসলিম নং-১৮১২) হাদিসটি লক্ষ করে দেখুন উপরের উল্লেখিত স্থানটি হচ্ছে ইরানের অর্ন্ত:গত ইস্পাহান শহর । হাদিসে বর্ণিত এই যে ইস্পাহানের সত্তর হাজার ইয়াহূদি দাজ্জালের অনুসারি হবে এবং এরা সবুজ রং-এর চাদর পরিহিত হবে। যারা ইরান এবং শিয়া প্রীতি করেন তারা ভিডিও টি দেখুন youtube/watch?v=mMk9ab3WOBQ [6:59pm, 20/08/2014] +91 91 26 412421: Bismillah-Hir-Rahmanir-Raheem শিয়া মাযহাবের অনুসারীদের একটি অভিযোগ প্রায়ই শুনতে হয়, যে শিয়ারা কলেমা ও আযানকে পরিবর্তন করেছে। কলেমা ও আযানে হজরত আলি (আ) এর নাম ব্যবহার করাটাই তাদের মুল অভিযোগের কারণ। মজাত কথা হল যারা এই অভিযোগ করে তারা নিজেদের সম্পর্কে বিশদ না জেনেই শিয়াদেরকে আবেগবশত অভিযুক্ত করে, যদিও তাদের প্রামাণ্য সূত্রগুলি থেকে এবিষয়ে যথোচিত জবাব দেওয়া হয়। যাইহোক আমি পূর্বেই উল্লেখ করেছি, আযান ও কলেমাতে হজরত আলি (আ) এর নাম নেওয়া ওয়াজিব নয়। বরং কেউ যদি ওয়াজিব মনে এটি আযানে সংযুক্ত করে তবে তার আযান সহীহ হবে না। কিন্তু প্রশ্ন তবুও কেন হজরত আলি (আ) এর নাম আযানে সংযুক্ত করা হয়। এর জবাবে এক্ষণে দুটি কথা বলা যাবে- 1. মুয়াবিয়া খলিফা হওয়ার পর হজরত আলি (আ) এর উপর গালি ও অভিসম্পাত করার রেওয়াজ চালু করেছিল এবং প্রায় 70 বছর ধরে এই প্রথা চলতে থাকে [ References Ṣaḥīḥ Muslim 31, 5924 (Siddiqui numeration: [1]) Yasin T. Al-Jibouri (2011). Kerbala and Beyond: An Epic of Immortal Heroism. AuthorHouse. p. 259. Retrieved 2013-07-08. Hassan Nahim (2012). The Division After Prophet Muhammad. Xlibris Corporation. p. 44. Retrieved 2013-07-08. Ṭabarī, Khalid Yahya Blankinship (translator) (1993). The Chanllenge to the Empires. SUNY Press. pp. xix. Retrieved 2013-07-08. ʻAbd al-Razzāq Muqarram, Rafic Mohammed Labboun (translator). The Murder of Al-Husayn. Arabic History. p. 186. Retrieved 2013-07-08. Reza Shah-Kazemi (2007). Justice and Remembrance: Introducing the Spirituality of Imam Ali. I.B.Tauris. pp. 62, 63. Retrieved 2013-07-08. Tarikh al Khulufaa by Jalal Ud Din As Suyuti] ইহার বিপরীতে মানুষকে অবহিত করার দরকার ছিল যে, আলি (আ) আল্লাহর অলী আর তাই আলীকে গালি ও অভিসম্পাত করা হারাম ইসলামবিরুদ্ধ কাজ। 2. পবিত্র কুরয়ানের সূরা মায়েদা, আয়াত-৫৫; আয়াত-৩ থেকে এটা রেজাল্ট পাওয়া যায়, যে মানুষের ওলী হচ্ছেন ১. আল্লাহ, ২. তাঁর রাসুল (সা) এবং ৩. হজরত আলি (আ) [এই বিষয়ে আপনারা চাইলে বিশদে আলোচনা করতে পারি]। সুতরাং আল্লাহ ও রাসুল (সা) এর সাথে সাথে তৃতীয় ওলী হজরত আলি (আ) সম্পর্কেও সাক্ষ্য দেওয়াটা ইসলামবিরুদ্ধ কিছু নয়, যেক্ষেত্রে এটি ওয়াজিব মনে করে দেওয়া হচ্ছে না। যাইহোক, যারাই শিয়াদেরকে এই বিষয়ে অভিযুক্ত করে, তাদের আমি সর্বপ্রথম নিজেদের গ্রন্থগুলি পড়ে আসার দাওয়াত দেবো। নীচের তিনটি পয়েন্ট লক্ষ্য করুন আর উপযুক্ত জবাব নিয়ে আসুন 1. আপনি শিয়াদেরকে কোন আক্কেলে অভিযোগ করেন যখন, আযানের বাক্যসংখ্যা নিয়েই আপনারা সন্দেহ ও সংশয়ে জড়িত? ইমাম মালিকের মতে আযানে বাক্যসংখ্যা 17 আর ইমাম শাফেয়ীর মতে তা 19. অথচ সুন্নীভাইদের চলতি আযানে আমরা বাক্যসংখ্যা দেখতে পাই 15 টি। [ রেফারেন্সঃ Mishkat al Masabeeh, chapter of Adhan, Published in Delhi, Page 140] 2. ভোরের আযানে আসসালাতু খাইরুম মিনান নাওম বাক্যটি না মহানবী (সা) এর আমলে ছিল আর না তিনি এটি বলার অনুমোদন দিয়েছিলেন। বরং দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর এই বিদয়াত চালু করেন। অথচ আপনারাই শিয়াদেরকে অভিযুক্ত করেন???? [রেফারেন্সঃ Muwatta of Malik, Book 3, Hadeeth Number 3.1.8 Al-Farooq by Allama Shibli No’mani, page 295, published in Karachi. Muwatta Imam Malik, Dhikr e Adhan. Izalatul Khifa, volume 3, page 328, Sunan e Adhan. Kanz al Ummal volume 4, page 270, Dhikr e Adhan. Seerat al Halabiyah, volume 2, page 303, Dhikr e Adhan. Nail al-Awtar, volume 2, page 43. Sunan al-Kubra, page 425, by al-Beyhaqqi. Tareekh Baghdad, volume 9, page 409. Mishkat al Masabeeh, Volume 1 page 142] মোয়াত্তাতে যা লেখা আছে তা এখানে কপি করছি- Yahya related to me from Malik that he had heard that the muadhdhin came to Umar ibn al-Khattab to call him to the subh prayer and found him sleeping, so he said, “Prayer is better than sleep,” and Umar ordered him to put that in the adhan for subh. অথচ কেন শিয়াদের অভিযুক্ত করার আগে সুন্নীভাইদের আযানে আসসালাতু খাইরুম মিনান নাওম সংযুক্ত করার আগে দোষী করা হয় না???? 3. মহানবী (সা) এর আমলে আযানে হাইয়া আলা খাইরিল আমল বাক্যটি দুবার পড়া হত। অথচ দ্বিতীয় খলিফা ওমর আযান থেকে এটি বাদ দেন। আর আমার সুন্নিভাইয়েরা হজরত ওমরের সেই সুন্নত আজও পালন করে চলেছেন। [রেফারেন্সঃ Musannaf Abi Saiba Kitab Salah, Bab Azan wa Iqama; sunane qubra, baihaqi etc ] শিয়াদেরকে অভিযুক্ত করার আগে নিজেদের এই পরিবর্তনের জবাব নিয়ে আসুন। [11:29am, 21/08/2014] +91 91 26 412421: ভাই এটা দ্বীনে-ইসলাম। আল্লাহর দ্বীন। এর বিধি-বিধান একমাত্র আল্লাহর তরফ থেকে। মহানবী (সা) আল্লাহর সেই বিধানকে আমাদের মাঝে প্রচার করেছেন। দ্বীনে ইসলামে তাঁর নিজের কথা বলেননি আমাদের রাসুল (সা)। আল্লাহ বলছেন, আমার রাসুল ততক্ষণ পর্যন্ত কিছু বলেন না যতক্ষণ না তাঁর উপর ওহী নাযিল হয়। আমার আপনার দ্বীন নয় এটি ভাই। ইসলাম আবেগ দ্বারা অথবা মানুষের ইচ্ছা অনিচ্ছার দ্বারা চালিত হয় না। ইসলাম তো সেদিনই পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল যেদি সূরা মায়েদার আয়াত 67 (আল ইয়াওমা আকমালতু....) নাযিল হয়। আল্লাহ পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন আজ তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করে দিলাম। তারপরে ইসলামে আর নতুন কোন কমতি বাড়তি হতে পারেনা। কোন মানুষের এ এক্তিয়ার নেই যে সে দ্বীনে ইসলামে কমতি বাড়তি করবে। সাহাবীরা এরকমটি করেছে। আপনি কুরয়ান হাদিস থেকে প্রমাণ দিন যে, সাহাবীদের এরূপ করার অধিকার আছে। [11:29am, 21/08/2014] +91 91 26 412421: কোন অধিকারে হজরত ওমর আযানে আসসালাতু খাইরুম মিনান নাওম যুক্ত করেছেন আর কোন অধিকারেই বা তিনি আযান থেকে হাইয়া আলা খাইরিল আমল বাদ দিয়েছেন??? আর কোন অধিকারেই বা আমাদের সুন্নি ভাইয়েরা মহানবী (সা) এর সুন্নতকে ত্যাগ করে হজরত ওমরের সুন্নতকে আজও আযানে চালু রেখেছে??? কুরয়ান ও সহীহ হাদিস থেকে জবাব দিন। [12:40pm, 21/08/2014] +91 91 26 412421: আল্লাহ কি পবিত্র কুরয়ানে এমন অনুমতি দিয়েছেন অথবা মহানবী (সা) কি কখনও এমন অনুমতি দিয়ে গেছেন যে তাঁর পরে সাহাবীরা মনে করলে ইচ্ছামতো শরীয়ত কমানো বাড়ানো করতে পারে? [3:31pm, 21/08/2014] মানসূর আহমাদ: আযানের বাক্য হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যায়েদ রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নামাযে লোকদেরকে জমায়েত করার জন্য নাকূছ বানানোর আদেশ দিলেন, তখন আমি স্বপ্নে দেখলাম, এক ব্যক্তি নাকূছ হাতে আমার কাছ দিয়ে হেঁটে চলেছে। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি কি নাকূছটি বিক্রি করবে? সে জিজ্ঞাসা করলো, তুমি এটা দিয়ে কী করবে? আমি বললাম, এটি বাজিয়ে মানুষকে নামাযের জন্য একত্র করবো। সে বললো, আমি কি এরচেয়ে উত্তম পদ্ধতি তোমাকে বলবো? আমি বললাম, অবশ্যই। সে বললো, তুমি এভাবে মানুষকে আহ্বান করবে- আল্লাহু আকবার ৪ বার। আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ২ বার। আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ ২ বার। হাইয়া আলাস সালাহ ২ বার। হাইয়া আলাল ফালাহ ২ বার। আল্লাহু আকবার ২ বার। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ১ বার। (সুনানে আবী দাউদ : ১/৭১-৭২) উপরের হাদীস থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে আযানে হাইয়া আলা খাইরিল আমাল ছিলো না। [3:44pm, 21/08/2014] মানসূর আহমাদ: ফজরের আযানে হাইয়া আলাল ফালাহ এর পরে দুই বার আস্সালাতু খাইরুম মিনান নাওম বলতে হবে। হযরত আবু মাহযূরা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, হাদীসে এসেছে - রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ফজর নামাযের আযান যখন দিবে, তখন (২ বার) বলবে, আস্সালাতু খাইরুম মিনান নাওম, আস্সালাতু খাইরুম মিনান নাওম । (সুনানে আবী দাউদ : ১/৭২) হযরত আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, সুন্নাত এই যে, ফজরের আযানে মুয়াযযিন হাইয়া আলাল ফালাহ এর পরে বলবে, আস্সালাতু খাইরুম মিনান নাওম । (সুনানে বায়হাকী : ১/৪২৩)। এই উভয় হাদীস থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগেও ফজরের আযানে আস্সালাতু খাইরুম মিনান নাওম ছিলো।
Posted on: Thu, 21 Aug 2014 13:19:29 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015