শুভর ফোনটা বেজে উঠলো। - TopicsExpress



          

শুভর ফোনটা বেজে উঠলো। ডিসপ্লেতে রিমির নাম ভাসছে।। : কোথায় তুমি? -- জাহান্নামে! : মানে? এতো রাত হয়ে গেলো এখনো ফিরছ না কেন? -- মানে কিছু না ! সবসময় তোমাকে কৈফিয়ত দিতে হবে? : কি হয়েছে? এভাবে কথা বলছ কেন? -- I am just fed up with u. ফোনটা কেটে গেল। রিমি অবাক হয়ে ভাবছে শুভ তার সাথে এমন ব্যবহার করল কেন? হঠাৎ শুভর এমন আচরণে বিস্মিত সে, কি হলো এমন?এমন সময় কলিং বেল বেজে উঠল। দরজা খুলে দেখে শুভ দাঁড়িয়ে আছে। রিমিকে কিছু না বলেই ঘরে ঢুকে গেল সে। অন্যদিন এসেই তাকে জড়িয়ে ধরে, আর আজ আমার দিকে তাকালোই না!! : চা খাবে? -- না। : কি হইছে তোমার? মুড অফ কেন? -- কিছু না, এমনিতেই। মুড অফ না। আর তুমি এত বিরক্ত করছ কেন? অসহ্য! বলে অন্য রুমে চলে গেলো শুভ। অবাক হয়ে গেল রিমি। শুভর আকস্মিক এই আচরণের কেন কারণ খুঁজে পেল না। শুভর সাথে বিয়ে হয়েছে আজ প্রায় ৭ মাস হলো। তাদের আর দশটা সাধারণ বিয়ের মতই অ্যারেন্জ ম্যারেজ হয়ে ছিলো। কিন্তু শুভ তো কখনো এমন আচরণ রিমির সাথে করেনি !! কি হলো হঠাৎ আজ?? এমন সময় ভাবনায় ছেদ পড়লো শুভর আওয়াজে--- -- যাও টেবিলে খাবার দাও। : চলো না আজকে বাইরে থেকে খেয়ে আসি, Please। -- এতো বাইরে যেতে ইচ্ছে হয় কেন? গতকালও তো বাইরে গেলাম ! বাসায় থাকতে ভালো লাগে না? যাও খাবার দাও। চুপচাপ উঠে গেলো রিমি। নিঃশব্দে রাতের খাবার শেষ করে উঠে গেলো শুভ। বেডরুমে গিয়ে সিগারেট ধরাল শুভ। : তুমি সিগারেট খাচ্ছ? -- তো কি হইছে সমস্যাটা কোথায়? : সমস্যা কোথায় মানে? তুমি তো এসব খাও না? আমি এসব গন্ধ সহ্য করতে পারি না। কিভাবে ঘুমাবো আমি এখন? -- ঘুমিয়ো না এখানে অন্য রুমে চলে যাও। : মানে? কি বলছো এসব? -- বলছি অন্য রুমে যাও। আর সেটা না পারলে তোমার বাপের বাড়ি চলে যাও। : এমন করছো কেন? আমার অপরাধটা কি? -- অনেক সহ্য করেছি, আর পারছি না। তোমার সবকিছুই বিরক্তিকর। আর তোমাকে কিছু বললেই তো সিরিয়ালের নায়িকাদের মত চোখ থেকে পানি ঝরতে থাকে। : Please এমন করো না।শান্ত হও। -- শান্ত থাকতে দিয়েছো? Please Leave me alone. আর কিছু বলল না রিমি। ছাদে উঠে গেল সে। আকাশে আজ সুন্দর চাঁদ উঠেছে। কিন্তু এই মনোমুগ্ধকর পরিবেশ উপভোগ করার অবস্থা এখন তার নেই। তার অভিমানী কান্না যেন থামতেই চাইছে না। রিমির বারবার পুরনো দিনের কথা মনে পড়ছে। রাত প্রায় ১২ টা বাজে। -- যাও, রুমে যাও। হঠাৎ শুভর ডাকে উঠিলো সে। চোখ মুছে চলে আসল রিমি। কিন্তু বাসায় এসে দেখে লাইট জ্বলছে না। সবখানে মোমবাতি জ্বালানো। কিছুটা অবাক হলো সে। ডাইনিং রুমের টেবিলে একটা কেক রাখা আছে। এখানে কেক আসলো কোথা থেকে? অবাক হয়ে ভাবলো রিমি। -- Happy Birthday....... চমকে পিছনে ফিরে তাকালো রিমি। কান্নাভেজা চোখে রিমি তাকিয়ে আছে শুভর দিকে। কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না। -- তোমার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছি। আসলে আমি তোমাকে চমকে দিতে চেয়েছিলাম। Please আমাকে মাফ করে দিও। আবারো কান্নায় ভেঙ্গে পরলো রিমি। শুভকে জড়িয় ধরে কাঁদতে লাগলো। -- কেঁদো না, কান্না থামাও : তুমি অনেক খারাপ, সত্যি তুমি অনেক খারাপ। -- মাঝে মাঝে একটু খারাপ হতে হয়, না হলে তোমার এই অসাধারণ ভালোবাসা পাওয়া যায় না। চলো কেক কাটি। বিয়ের পর তোমার প্রথম জন্মদিনটা উদযাপন করা যাক। : তুমি এতো খারাপ ব্যবহার করতে পারলো আমার সাথে। -- হু, মাঝে মধ্যে পারতে হয়। চলোতো কেক কাটি...........। আকাশে অনেক সুন্দর চাঁদ উঠেছে,সাথে জোছনার আলো। শুভ ও রিমি ছাদে যায়। রিমি শুভর কাঁধে মাথা রেখে চাঁদ দেখছে আর গল্প করছে। দিনশেষে ভালোবাসাগুলো হয়তো এভাবেই পূর্ণতা হয়!!! লিখা-- রুপকথার মেঘবালক
Posted on: Thu, 08 Jan 2015 15:30:59 +0000

Trending Topics




© 2015