সাভারের রানা প্লাজা - TopicsExpress



          

সাভারের রানা প্লাজা ট্রাজেডিতে সতেরদিন পর ধ্বংসস্তুপের ভিতর থেকে রেশমাকে উদ্ধারের ঘটনাকে "হোয়াক্স" বা "সাজানো নাটক" হিসেবে আখ্যায়িত করে রিপোর্ট করেছে ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলী মিরর। এ রিপোর্টটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করেছে দেশের বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়া। এই রিপোর্টটি তৈরি করেছেন সাইমন রাইট নামক ডেইলী মিরর এর একজন সিনিয়র রিপোর্টার। আসুন সাইমন রাইট সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে আসি। এই সেই সাইমন রাইট যাকে ২০১০ সালের দক্ষিন আফ্রিকা ফুটবল বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে পুলিশ এরেস্ট করে। তখন সে ডেইলি মিরর এর সহযোগী পত্রিকা সানডে মিরর এর হয়ে বিশ্বকাপ কাভার করছিল। ১৮ই জুন বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড বনাম আলজেরিয়া ম্যাচশেষে ইংল্যান্ডের এর ড্রেসিং রুমে ঢুকে পড়ে পাভলো জোসেফ নামের এক ব্যাক্তি। তাকে হেল্প করে সাইমন রাইট। এই ঘটনার পরিকল্পনাও ছিল সাইমন রাইটের। এর উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বকাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল এটা প্রমান করা এবং এটা দিয়ে আয়োজক কর্তৃপক্ষকে ব্ল্যাকমেল করা। সাউথ আফ্রিকা পুলিশের ভাষ্যমতে "Sunday Mirror (The Sunday Mirror is the Sunday sister paper of the Daily Mirror) reporter Simon Wright was arrested in Cape Town on Monday after closed circuit television footage indicated he helped 32-year-old fan Pavlos Joseph get into the England locker room after their June 18 draw with Algeria, police said. "The police have reason to believe this incident was orchestrated. The police believe the motive was to put the World Cup security in a bad light and possibly to profit from it." এবার আসা যাক রেশমা সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রসঙ্গে। এখানে একজন শ্রমিকের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে রেশমা নাকি ভবন ধ্বসে পড়ার দিনই ওই শ্রমিকের সাথে বের হয়ে এসেছিল। অথচ ওই শ্রমিকের পরিচয় বা এ সংক্রান্ত কোন প্রমাণ দেয়া হয়নি রিপোর্টে। সাইমন রাইটের কাছেও রেশমার মা দাবি করেছেন যে ভবনধ্বসের পর রেশমাকে তারা অনেক খোজেও কোথাও পাননি। অবশেষে সতের দিন পরই তাকে উদ্ধার করা হয়। এই রিপোর্টে দাবি করা হয় যে রেশমাকে উদ্ধারের দিন নাকি ২৪ ঘন্টা উদ্ধার অভিযানের ভিডিও ধারণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এটিও সম্পূর্ণ মিথ্যা একটি তথ্য। কারণ দেশের প্রায় সবকয়টি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকেরা এই উদ্ধার অভিযানের নিউজ কাভার করছিল। এধরণের কোন নিষেধাজ্ঞা জারি হলে অবশ্যই এটি দেশি মিডিয়াতে প্রকাশিত হত। এ রিপোর্টে আরও দাবি করা হয় যে রেশমাকে নাকি এই ঘটনাহ রাজি করানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়েছিল। অথচ কে বা কারা এই প্রলোভন দেখিয়েছে অথবা সাইমন রাইটই বা এই তথ্য কোথায় পেলেন সে ব্যাপারে কোন কিছু এই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়নি। রিপোর্টটি একবার পড়লেই বুঝা যায় যে এটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রনোদিত একটি রিপোর্ট। এটি তৈরিও করছেন সাইমন রাইট এর মত একজন বিতর্কিত সাংবাদিক। এটি বাংলাদেশ সম্পর্কে বহির্বিশ্বে নেতিবাচক মনোভাব তৈরিরই একটি হীন অপচেষ্টা মাত্র। অথচ আমাদের দেশের কিছু মিডিয়া গুরুত্ব দিয়ে এই রিপোর্টের কথা প্রচার করছে। স্বঘোষিত জাতির বিবেক এইসব দেশী মিডিয়া গুলোকে ধিক্কার জানানো ছাড়া আর কিইবা করতে পারি আমরা?
Posted on: Mon, 01 Jul 2013 04:26:57 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015