হাদীস সঙ্কলনের ইতিহাস ও - TopicsExpress



          

হাদীস সঙ্কলনের ইতিহাস ও শরয়ী আইনের উপযোগীতা (পর্ব-১) শরয়ী আইনের উপযোগীতা ইজহারুল ইসলাম [বি.দ্র. আমাদের এই আলোচনা বেশ কয়েকটি পর্বে প্রকাশিত হবে। বিশেষভাবে হাদীসের প্রামাণিকতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।] আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে নবী-রাসূলের মাধ্যমে পৃথিবীতে শাশ্বত বিধান অবতীর্ণ করেছেন। নবী রাসূলগণ ঐশী বাণী প্রাপ্ত হয়ে মানুষকে সৃষ্টির দাসত্ব থেকে মুক্ত হয়ে স্রষ্টার দাসত্বের প্রতি আহ্বান করে এবং ধসরণের অন্যায়, পাপাচার, জুলুম-নির্যাত ও গর্হিত কাজ থেকে মানুষকে বিরত রাখার চেষ্টা করে। মানব সমাজকে ধ্বংস ও অবক্ষয় থেকে বাঁচিয়ে সুস্থ, সুন্দর ও স্থিতিশীল করতে তারা সর্বদা প্রয়াসী ছিলেন। সমাজ ও মানবতার শত্রু, সুবিধাভোগী শ্রেণী তাদের পাপাচার, জুলুম ও নির্যাতন ও সীমাহীন ভোগ-বিলাসিতাকে জিইয়ে রাখতে এই সত্য আহ্বানের বিরোধীতা করে। এটি একটি চিরন্তন সত্য বিষয়। নবীজী স. এর যুগে এই শ্রেণী রাসূল স. কে প্রাণে মেরে ফেলারও চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদের এ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সত্য টিকে আছে এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত থাকবে। যুগে যুগে ইসলামকে ধ্বংসের জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্রের জাল বিছানো হয়েছে। কিন্তু সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে, হাজার জুলুম-নির্যাতনের মুখে মুসলিম জাতি মাথা উঁচু করে তাদের স্বকীয়তা বজায় রেখেছে। ইসলামের বিরুদ্ধে কুফুরী শক্তির এ ব্যর্থ চেষ্টা সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের সূরা সাফ-এ আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, يريدون ليطفئوا نور الله بأفواههم والله متم نوره ولو كره الكافرون ‍অর্থ: তারা আল্লাহর আলোকে তাদের মুখের ফুৎকারে নিভিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তার নুরকে পূর্ণতা দান করবেন, যদিও কাফেররা তা ঘৃণা করে। সূরা সাফ, আয়াত নং৮ ইসলামের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ইসলাম মধ্যযুগীয়, বর্বর, সন্ত্রাসী, গোঁড়া ইত্যাদি বিকৃত বিশেষণ ব্যবহার করে তারা তাদের আক্রোশ প্রকাশ করে থাকে।বিজ্ঞানের এই উৎকর্ষতার যুগে চৌদ্দশ বছরের ইসলাম অচল, ইত্যকার অভিযোগ তারা সর্বদাই করে থাকে। এগুলো হলো, ইসলামকে হেয় করার প্রকাশ্য কিছু পদ্ধতি। বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে ইসলামকে হেয় করার জন্য যুগে যুগে পবিত্র কুরআনের ভুল, কুরআনী আইন বর্বর, কুরআন বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক ইত্যাদি মিথ্যাচার করে থাকে। কিন্তু পবিত্র কুরআনের ক্ষেত্রে তাদের এই মিথ্যাচারের সর্বসাধারণের নিকট স্পষ্ট থাকায়, তারা এ পথে তেমন সফলকাম হতে পারেনি। ইসলামের বিরুদ্ধে বুদ্ধিবৃত্তিক এই আক্রমণের জন্য তারা কিছু অমুসলিম ও নামধারী মুসলিমকে ইসলাম নিয়ে গবেষণার পিছে লাগিয়েছে। এদের মূল কাজ ছিলো, বিভিন্ন মিথ্যাচারের মাধ্যমে জনমনে ইসলামের বিরুদ্ধে সংশয় সৃষ্টি করা। এই শ্রেণী ওরিয়েন্টালিস্ট হিসেবে পরিচিত। আরবীতে এদরেকে মুসতাশরিক এবং বহুবচনে মুসতাশকিুন বলে। বুদ্ধিবৃত্তিক আক্রমণের এদের মূল হাতিয়ার হলো ইসলামের উপর মিথ্যাচার। জ্ঞানপাপী এই শ্রেণীর ষড়যন্ত্র যুগে যুগে বিভিন্ন রূপ পরিগ্রহ করেছে।এদের সূচনা মূলত: ইহুদী জন্মা আব্দুল্লাহ বিন সাবার দ্বারা সূচনা হয়েছে। মন-মানসে সম্পূর্ণ ইহুদী থেকেও সে নিজেকে মুসলিম হিসেবে প্রকাশ করে মুসলমানদের মারাত্মক ক্ষতি করেছে। উপর্যুক্ত সূরা সাফের আয়াত অনুযায়ী বর্তমানেও কুফূরী শক্তি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ইসলামকে আক্রমণ করে যাচ্ছে। একের পর এক নানা অজুহাতে ইসলামী রাষ্ট্রগুলোকে ধ্বংস করে চলেছে।মুসলমানদেরকে নাম সর্বস্ব একটি জাতিতে পরিণত করতে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি বিগত কয়েক শতাব্দী ধরে মুসলমানদের উপর নিপীড়ন চালিয়ে তাদের সবকছিু ধ্বংস করেছে। এই শতাব্দীতে মুসলমানদের অস্তিত্বের লড়াই চলছে। আমাদের প্রশ্ন হলো, ইসলাম এমন কি অপরাধ করেছে, যার কারণে সকলের আক্রমণের শিকার? ইসলাম মানুষকে সত্যের আহ্বান করেছে, মানুষকে ন্যায়-ইনসাফের কথা বলেছে, অন্যায় থেকে বেঁচে থাকতে বলেছে, এটা এমনকি অপরাধ? হ্যাঁ, ইসলাম আপনাকে যথেচ্ছা যৌন নিপীড়ন ধর্ষণ থেকে নিষেধ করেছে, সেটা বুঝি আপনার রুচির বিরুদ্ধে গেছে বলেই ইসলামের বিরুদ্ধে এতো আক্রোশ? এই পৃথিবীতে জাতি হিসেবে তো শুধু মুসলমানরা বসবাস করে না? তবে, ইসলাম কেন সকলের চোখের কাটা? নীতি-নৈতিকতার কথা বললে এতটাই অপরাধ হয়,তবে আমরা কিভাবে বলব যে, আমরা মানুষের সমাজে বাস করছি। অনেকের বক্তব্য হল ইসলাম প্রয়োজনীয় স্বাধীনতা প্রদান করে নি এবং মানব অধিকারের আধুনিক ধ্যান-ধারণার সাথে তার মিলিয়ে চলতে অক্ষম। এটি একটি ইসলাম সম্পর্কে অন্যতম প্রপাগান্ডা।প্রত্যেক মুসলিম এটা বিশ্বাস করে যে,ইসলামী আইন পূর্ণাঙ্গ এবং জীবনের প্রতিটি স্তরে সুসঙ্গতভাবে প্রযোজ্য।এবং সর্ব যুগে ,সর্ববস্থায় পৃথিবীর যে কোন প্রান্তো প্রযোজ্য।যে কোন যুগের যে কোন আবেদন ইসলাম পরিপূর্ণভাবে পালন করতে সক্ষম। স্বাধীনতা?পাঠক সমাজের কাছে প্রশ্ন করতে চাই,কোন স্বাধীন দেশের নাগরিকরাও স্বাধীন।তাদের এই স্বাধীনতার অর্থ কি? তারা স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক সুতরাং তারা স্বাধীনভাবে যা খুশি তাই করতে পারবে? হত্যা ,খুন ,লুণ্ঠন ,ধর্ষণ সব কিছুই করতে পারবে ? তবে পৃথিবীতে এমন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বর্তমানে আছে,অতীতে ছিল বা ভবিষ্যতে থাকবে এমন কোন রেকর্ড মানব ইতিহাসে নেই। কেন নেই? তারা তো স্বাধীন? হয়ত আপনি বলবেন ,স্বাধীন হওয়া অর্থ এই নয় যে যা খুশি তাই করবে, অন্য একজন স্বাধীন নাগরিকের অধিকারে হস্তক্ষেপ করবে।স্বাধীন নাগরিকের স্বাধীনতা যদি এতটা উদার এবং শর্তহীন না হয় তবে আমরা কেন অন্যান্য ক্ষেত্রে শর্তহীন স্বাধীনতার কথা বলে মানুষ কে বিভ্রান্তা করার চেষ্টা করি । মুক্ত চিন্তাার স্বাধীনতা ,নারী স্বাধীনতা ইত্যাদি বিষয়ে এসে আমরা এতটা উদার হয়ে পড়ি কেন?তাদের স্বাধীনতা কি একেবারে শর্তহীন। একজন চিন্তাাবিদ ,দার্শনিক ,লেখক যা ইচ্ছা তাই লিখতে পারবেন? এক্ষেত্রে কেন আমরা অন্য একজন স্বাধীন নাগরিকের স্বাধীনতা কে খর্ব করার অধিকার আরেকজন কে অর্পন করছি।পশ্চিমা বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাফল্য এই যে তারা তাদের মতবাদ গুলো খুব আবেদনময় এবং মানবতার রক্ষা কবচ হিসাবে উপস্থাপন করে কিন্তা তাদের মতবাদের বাস্তবতাবড় করুণ।যেমন ধর”ণ পশ্চিমা বিশ্ব মানব প্রকৃতি (ঐঁসধহ ঘধঃঁৎব) কে শ্রদ্ধার কথা বলে .আর বিষয়টি সর্বজন স্বীকৃত যে মানব প্রকৃতি কে শ্রদ্ধা করা উচিৎ।কিন্তা তাদের এ মতবাদের ব্যখ্যাটা মজাদার ।যেহেতু মানব প্রকৃতির চাহিদা হল ,যৌন তৃপ্তি অর্জন করা আর এ জন্য তারা সমকামিতা কে বৈধ করেছে। তাদের ইচ্ছানুযায়ী সন্তাান নেওয়ার অধিকারটাও চমৎকার ।প্রথমে আপনা কে বোঝান হবে যে ,বেশি সন্তাান হলে মা ও শিশুর স্বাস্থ ভেঙ্গে পড়বে ,তাদের লালন পালনে সমস্যা হবে ।পৃথিবীতে জন সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে ,খাদের অভাব দেখা দিবে........ এ বিষয় গুলি স্পষ্ট ।কিন্তু এর পর আপনা কে বলবে এজন্য আপনা কে যথেচ্ছা সন্তাান নেওয়ার অধিকার থাকা কর্তব্য । আর এ জন্যই আপনি আপনার সন্তাানের জন্মের ৩০ সেকেন্ড পূর্বেই তাকে মেরে ফেলতে পারবেন! যাই হোক ইসলাম স্বাধীনতার নামে সেই সমস্ত বর্বরতা কে কখনই সমর্থন কওে না যার যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে বস্তুবাদী সমাজ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তো উপনীত।ইসলাম সেই স্বাধীনতা কে কখনই অনুমোদন করে না যার কারণে মানব সমাজ পশুত্বের স্তরে নেমে যাবে।যেমন একটা রাষ্ট্র তার প্রতিটি স্তরে ভারসাম্য রক্ষার জন্য হত্যা ,লুণ্ঠন,চুরি ,ধর্ষণ ,মাদক ইত্যাদির স্বাধীনতা প্রদান করে না।পশ্চিমা বিশ্বের সে সমস্ত রাষ্ট্রের বির”দ্ধে একই অভিযোগ করা উচিৎ ।কেন স্বাধীন নাগরিকের অধিকার হরণ করেছে ? অমুসলিম এবং প্রাচ্যবিদদের আরেকটি প্রপাগান্ডা হল, ইসলাম আধুনিক যুগে অচল।ইসলাম আমাদের কে মধ্যযুগে নিয়ে যেতে চাই।মধ্যযুগের বর্বরতার পুনরাবৃত্তি করতে চাই ....... এবার আসুন এ প্রশ্নের যথার্থতা নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক । পৃথিবীতে বতমানে মানুষ আছে প্রায় সাড়ে ছয়শত থেকে সাত শত কোটি।(৬.৫-৭ বিলিওন) এর মধ্যে বিভিন্ন ধমের্ বিশ্বাস করে ৮৬% মানুষ।পৃথিবীতে প্রধান প্রধান ধর্ম হল,ইসলাম,খ্রিষ্টান ,ইহুদী ,হিন্দু বৌদ্ধ ইত্যাদি।এবার নিচের চার্টটি লক্ষ্য কর”ণ! ধর্মের উৎপত্তি ও বর্তমান সংখ্যা। খ্রিষ্টান যিশু খ্রিষ্টের জন্ম থেকে, বর্তমান সংখ্যা বর্তমান সংখ্যা ১.৯-২.১ বিলিওন ইসলাম ৬১০ খ্রিষ্টাব্দবর্তমান সংখ্যা ১.৫৭ বিলিওন ইহুদী খ্রিষ্টপূর্ব ১৩০০ বৎসর বর্তমান সংখ্যা, ১৪ মিলিওন হিন্দু খ্রিষ্টপূর্ব ১৭০০-১১০০(প্রায়) বর্তমান সংখ্যা ৯০০ মিলিওন বৌদ্ধ খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০ বৎসর বর্তমান সংখ্যা৩৬০ মিলিওন প্রধান প্রধান ধর্মের উৎপত্তির দিকে তাকালে দেখা যাবে যে,সর্বাধুনিক এবং সর্বশেষ ধর্ম হল ইসলাম।ইহুদী,বৌদ্ধ এবং হিন্দু ধর্ম যিশু খ্রিষ্টের জন্মের ৫০০-১০০০ বৎসর পূর্বের ।একমাত্র ইসলাম ধর্মের উৎপত্তি ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে। সুতরাং পৃথিবীর অন্তাতঃ ৮৬% মানুষ কে মেনে নিতে হবে যে ইসলাম ধর্ম সর্বাধুনিক। বাকী ১৪% এর ১১.৯% অজ্ঞেয় বাদী (ধমহড়ংঃরপ) এবং কোন ধর্ম মেনে চলে না। অবশিষ্ট ২.৩% ধর্ম বিরোধী এবং নাস্তিক । আর যারা বস্তবাদ কে আকড়ে ধরে নিজেদের কে আধুনিক হিসাবে পেশ করার চেষ্টা করছে,বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থ পাঠ করলে দেখা যায় এমন বিশ্বাস প্রাচীন মানুষদেরও ছিল।মদ খেয়ে মাতলামি আর রেপ কে যদি আধুনিকতা বলি ,তবে এ আধুনিকতা প্রাচীন কালের মানুষগুলো বর্তমানের চেয়ে ভালভাবে লালন পালন করেছে।তাদের হাজার বৎসরের মদ রাখার ঐতিহ্য ছিল।আর যদি নগ্নতা আর বেহায়াপনা কে আধুনিকতা বলি তবে প্রাচীন গুহাবাসী মানুষের পাথর খোদায়ের শিল্প এবং যুগে যুগে নগ্ন নারী –পুর”ষদের যেভাবে শৈল্পিক বিকাশ ঘটেছিল ,তা দেখে আজকের মানুষও হতবাক।সুতরাং বস্তবাদের মোহনীয় চক্রে ঘুরপাক খেয়ে আজকের মানুষ যতই সে আধুনিকতার দাবী করছে ,ততই সে জাহিলিয়্যাতের করাল গ্রাসে বন্দী হচ্ছে।আজকের সবচেয়ে আধুনিক,সবচেয়ে বড় নাস্তিক যে সমস্ত কথা বলে,যে আধুনিকতার দাবী করে তার প্রতিটি কথাÑবার্তা আপনি খুজে দেখুন ধর্মগ্রন্থগুলো বিশেষভাবে পবিত্র কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। বিস্ময়ের ব্যপার হল ,ইসলাম মধ্যযুগের বর্বরতা এবং সেকেলে হলেও বর্তমান বিশ্বে ইসলামের জয়জয়কর।সারা বিশ্বে ইসলাম গ্রহণের ইসলামের বাণী শাশ্বত ,চিরন্তান এবং সার্বজনীন।এটা যেমন বিশ্বের যে কোন প্রান্তো যে কোন জাতির জন্য সর্বযুগে সমভাবে প্রযোজ্য।এটা কোন নির্দিষ্ট গোত্র বা বংশের জন্য নয়।খ্রিষ্টানরা সার্বজনীনতার দাবী করলেও যিশু খ্রিষ্ট বলেছেন, “I am not sent but unto the lost sheep of the house of Israel. “To these twelve, Jesus sent forth, and commanded them, saying, go not into the way of the Gentiles, and into any city of the Samaritans enter not. But go rather to the lost sheep of the house of Israel অথচ রাসূল (স) সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের বানী, ) و ما ارسلناك الا رحمة للعالمين (২১:১০৭ আমি সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য তোমাকে রহমত স্বর”প প্রেরণ করেছি। ইসলামী শরিয়াহ বা আইনের দুটি দিক রয়েছে, ক্স যে সমস্ত বিধান বিশ্বাস এবং ইবাদাতের সাথে সম্পর্কিত ।যে গুলো কোন যুগেই পরিবর্তন হবে না।কোন স্থানের পরিবর্র্তনেও যে বিধানে কোন শিথিলতা আসে না ।যেমন, নামায ,যাকাত ,হজ্ব ইত্যাদি ক্স যে সমস্ত বিধান ইসলামী আইন বা বিচার ব্যবস্থার সাথে সম্পর্কিত।এ ক্ষেত্রে একজন মানুষ তার সমাজের সাথে,তার অধীনস্থ মানুষের সাথে কিভাবে আচরণ করবে তার স্বর”প বিশ্লেষণ করা হয়।এ সমস্ত বিধান যুগের চাহিদা অনুযায়ী পরিবর্তিত-পরিবর্ধিত হতে পারে।এ পরিবর্তন পরিবর্ধন ইসলামী আইন শাস্ত্রে পারদর্শী ,কেবল তারাই ইসলামী শরিয়ার মৌলিক উদ্দেশ্য সুচারুর”পে বুঝে তার আলো কে সিদ্ধান্তা পেশ করবে।উদাহরণ হিসাবে বলা যায় ,কুরআনে মৌলিকভাবে বলা হয়েছে شاورهم في الامر....وامرهم شورى بينهم এখানে শুধু মূলনীতি বলা হয়েছে,আর রাসূল (সঃ) এর সুন্নাহ তে এর কিছু নির্দেশনা আছে।অতএব ইসলামী স্কোলারদের এ অধিকার আছে যে তারা ইসলামের গন্ডির ভিতর থেকে যে কোন যুগে ‘শুরা’র বিবিন্ন র”প দিতে পারবে। সুতরাং ইসলাম কে সেকেলে বলার যৌক্তিকতা আপনারাই নির”পণ কর”ণ। ক্স ২. দ্বিতীয় ভুল ধারণাঃ অনেক স্কোলার,বুদ্ধিজীবি এবং প্রাচ্যবিদদের প্রচারণা হল যে ইসলামী রাষ্ট্রে বসবাসরত অমুসলিমদের কোন মর্যাদা ইসলাম প্রদান করে না। ইসলাম সম্পর্কে স্বল্প জ্ঞানের কারণে এ ধরনের ধারণার উৎপত্তি। নতুবা চৌদ্ধশত বৎসরের ইতিহাস সাক্ষী যে বিংশ শতাব্দী পযন্তকিভাবে ইসলাম তার শৌর্য-বীর্য বজায় রেখে চলেছে।আজকের উপমহাদেশের হিন্দুরা মুহাম্মদ বিন কাসেমের সেনা অভিযানের পর শেষ মুঘল সম্্রাটের পতন পর্যৗল্প মুসলিম শাসনের অধীনে ছিল । আরব বিশ্ব কে মুসলিমরা চৌদ্দশত বৎসর ধরে শাসন করছে।আর আরবে ১৪ মিলিওন খ্রিষ্টান এমন রয়েছে যারা ইসলামের আবির্ভাবের পূর্ব থেকেই আরব বিশ্বে বসবাস করে আসছে।চৌদ্দশত বৎসর ইসলামী শাসনের অধীনে তারা ছিল। স্পেনে মুসলিমরা ৮০০ বৎসর শাসন করেছে।এখন বলুন ইসলাম যদি অমুসলিমদের অধিকার খর্ব করে থাকে ,তাদের কে সঠিক মর্যাদা প্রদান না করে থাকে তাহলে তো ইতিহাস স্পেনের ইতিহাসের মত হত । আটশত বৎসর ইসলামী শাসনের পর ক্রসেডার এসে গোটা স্পেনে এমন ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ,একজন মুসলিম আযান দিয়ে নামায আদায় করার মত অবস্থা রাখে নি।সমাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা ও শাসনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।সুতরাং চৌদ্দশত বৎসরের ইতিহাস কখনও মিথ্যা হতে পারে ন। ইসলাম কখনও অমুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করে নি।মদিনা সনদে যেভাবে অমুসলিমদের কে তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছিল এভাবে কিয়ামত পযন্তদেওয়া হবে। পবিত্র কুরআনের ঘোষণা হল, لا ينهاكم الله عن الذين لم يقاتلوكم فى الدىن و لم يخرجوكم من دياركم ان تبرُّوهم و تقسطوا اليهم ،ان الله يحب المقسطىن (৬০:৮) অর্থঃধর্মের ব্যপারে তোমাদের যারা তোমাদের বির”দ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদের কে দেশ থেকে বহিস্কার করেনি তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদের কে নিষেধ করেন না ।নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদের ভালবাসেন। পরের আয়াতে বলেছেনÑ انما ينهاكم الله عن الذين قاتلوكم في الدين و اخرجوكم من دياركم و ظاهروا على اخراجكم ان تولوهم،ومن يتولهم فأولئك هم الظالمون আল্লাহ কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন যারা ধর্মের ব্যপারে তোমাদের সাথে যুদ্ধ করেছে,তোমাদের ঘর থেকে তোমাদের কে বহিস্কার করেছে অথবা বহিস্কার কার্যে সহায়তা করেছে।যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে তারাই জালেম। সুতরাং মুসলিম এবং অমুসলিমদের মধ্যে সাধারণ অবস্থায় অবশ্যই উত্তম আচরণ করতে হবে। কিন্তা কোন অমুসলিম যতি দেশ ও জাতির সাথে গাদ্দারি করার চেষ্টা করে ,নিরপরাধ মানুষের অধিকার খর্ব করে তবে অবশ্যই তাকে তার শাস্তি পেতে হবে। এ বিধান মুসলিম Ñঅমুসলিম সকল দেশেই সমান। আর অমুসলিমদের সাথে যে কোন ধরণের বৈধ লেনÑদেন করা যাবে । চাই সে ইসলামী রাষ্ট্রে বসবাস কর”ক কিংবা অমুসলিম রাষ্ট্রে ।একজন মুসলমান ইহুদী এবং খ্রিষ্টানদের খাবার খেতে পারবে [মূল খাদ্য যদি হালাল হয়] একজন মুসলিম আহলে কিতাব তথা ইহুদী এবং খ্রিষ্টান মেয়ে কে বিবাহ করতে পারবে।কুরআনের কারজয়ী বাণী, اليوم أحللكم الطيبات ،و طعام الذين أوتوا الكتاب حل لكم و طعامكم حل لهم والمحصنات من المؤمنات والمحصنات من الذين أوتوالكتاب من قبلكم إذا آتيتموهن أجورهن محصنين غير مسافحين ولا متخذي اخدان আজ তোমাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ হালাল করা হল।আহলে কিতাবদের খাদ্য তোমাদের জন্য হালাল এবং তোমাদের খাদ্য তাদের জন্য হালাল।তোমাদের জন্যে হালাল,সতীÑসাধ্বী মুসলমান নারী এবং তাদের সতীÑসাধ্বী নারী,যাদের কে কিতাব দেয়া হয়েছে তোমাদের পূর্বে কিতাব দেওয়া হয়েছে;যখন তোমরা তাদের কে মোহরানা প্রদান কর তাদের কে স্ত্রী করার জন্যে,কামÑবাসনা চরিতার্থ করার জন্যে কিংবা গুপ্ত প্রেমে লিপ্ত হওয়ার জন্য নয়। ইসলামী দন্ড বিধি ও মানবাধিকারঃ ক্স অনেকের দাবী হল ইসলামী দন্ডবিধি অমানবিক এবং বর্বর।এতে মানবাধিকার চরমভাবে লংঘিত হয়। আমরা জানি বিশ্বের সব সমাজে মারাত্বক মারাত্বক অপরাধের শাস্তির বিধান রয়েছে।আছে সুনির্দিষ্ট দন্ডবিধি।বিচারের আধুনিক সিস্টেমে অনেক রাষ্ট্র দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্দীর রায় প্রদান করে থাকে। কিন্তু বিশ্বের অনেক খ্যাতনামা সমাজ বিজ্ঞানী এবং আইন বিশারদ মনে করেন যে,দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্দী রাখা যথার্থ শাস্তি নয় ,এবং যারা বাদী পক্ষ আছে তারাও একে যথেষ্ট মনে কওে না। তা ছাড়া যাবৎÑজীবন কারাবাস দেওয়র ফলে প্রাচীন সেই দাস প্রথা কে চালু করা হয়।বন্দী অবস্থায় অধিকাংশ বন্দীদের মানবাধিকার লংঘিত হয় । অনেকে তো যৌন হয়রানি সহ বিভিন্ন ধরণের নির্যাতনের স্বীকার হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। ইসলামী দন্ডবিধির প্রধান উদ্দেশ্য হলÑপ্রত্যেকের জন্য ন্যায় বিচারের বিধান এবং সামাজিক ভারসাম্য রক্ষা করা।সমাজ বা রাষ্ট্রের প্রত্যেক সদস্যের নিরাপত্তার বিধান করা এবং সমাজ বিধ্বংসী সব ধরণের কর্মকান্ড বন্ধ করা। ইসলামে অপরাধ দু-শ্রেণীতে বিভক্ত, ১.সে সমস্ত অপরাধ ,যার শাস্তি সরাসরি ইসলামী শরীয়তে বর্ণিত হয়েছে।যেমন, হত্যা ,ধর্ষণ বা ব্যভিচার,ইসলাম ধর্ম ত্যাগ [রিদ্দা] ,ডাকাতি ,চুরি,মদ্যপান ও নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ ,কাউকে ব্যভিচারের অপবাদ দেওয়া ইত্যাদি । ২.যে সমস্ত অপরাধের শাস্তি ইসলামী শরীয়তে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি বরং ইসলামী সরকার আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে । এ ধরণের শাস্তি কে বলা হয় তা’জীর বলে। যে সমস্ত অপরাধের সুনির্র্দিষ্ট শাস্তি ইসলামী শরীয়তে আছে তাদের কে আবার দুÑশ্রেণীতে ভাগ করা যায়Ñ ১.যে অপরাধের শাস্তি অপরাধের স্বীকার ব্যক্তির (ারপঃরস) সাথে সংশ্লিষ্ট।যেমন Ñহত্যা,আঘাত,অপবাদ ইত্যাদি। এ ধরণের শাস্তির ক্ষেত্রে ব্যক্তি চাইলে অপরাধী কে মাফ করে দিতে কিংবা তার শাস্তি লঘু করতে পারে।অথবা সে রক্তমূল্য [নষড়ড়ফ সড়হবু دية-] নিতে পারবে। ২.সে সমস্ত অপরাধ যার শাস্তির বিধান দেওয়া আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলার আদেশÑনিষেধ লংঘণ করার কারণে।এ অপরাধের ব্যক্তির অধিকার সম্পৃক্ত থাকলেও ব্যক্তি চাইলে এ অপরাধের শাস্তি মাফ বা লঘু করতে পারবে না ।যেমনÑব্যভিচার ,চুরি ,নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ।যদি ইসলামী আদালতে একবার উত্থাপন করা হয় এবং সাক্ষ্যÑপ্রমাণের দ্বারা যথাযথভাবে তা প্রমাণিত হয় তবে তা বাতিল বা মাফ করার ক্ষমতা কারও থাকে না। ইসলামী শরীয়তে দন্ডবিধি কার্যকর করা হয় ন্যায়Ñবিচার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে; বিশেষভাবে পাঁচটি মৌলিক জিনিস যখন চরমভাবে লংঘিত হয়। [জীবন,আত্মা,ধর্ম,সম্মান এবং সম্পদ] এ সমস্ত শাস্তির ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম শর্ত হল, তা ইসলামী তথা কাযির সম্মুখে মামলা উত্থাপন করতে হবে ।দ্বিতীয়ত যথাযথ সাক্ষ্য-প্রমাণের দ্বারা তা প্রমাণিত হতে হবে।যদি সাক্ষ্য-প্রমাণে ন্যুনতম সন্দেহ ও থাকে তবুও শাস্তি বাতিল হয়ে যাবে।কেননা ইসলামী বিচারের ক্ষেত্রে প্রচলিত একটি নীতি হলÑ“হুদুদ তথা দন্ড বিধি বাতিল কর ,যদি সন্দেহ থাকে [দলিল-প্রমাণে]” অতএব কোন ক্ষেত্রে উল্লেখিত শর্ত সমূহের কোন একটা না পাওয়া যায় তাহলে কোন ভাবেই দন্ড বিধি প্রয়োগ করা চলবে না । এগুলো সমষ্টিগত শর্ত ।সব ধরণের দন্ডবিধির ক্ষেত্রে এ সমস্ত শর্ত আছে কি না সতর্কতার সাথে তা যাচাই করতে হবে।সুতরাং সমষ্টিগত ভাবে মোট শর্তগুলো হলো, ১. শাসন বা সরকার ব্যবস্থা ইসলামী হতে হবে এবং মামলা ইসলামী আদালত তথা কাযীর সম্মূখে পেশ করতে হবে ।অতএব ব্যক্তিগতভাবে কিংবা সমষ্টিগত ভাবে কোন সংগঠন হুদুদ বাস্তবায়নকরার অধিকার রাখে না।বর্তমান সমাজে মিডিয়াতে ইসলামের অবমাননার জন্য গ্রাম প্রধান ,পঞ্চায়েত প্রধান এর বিচার কে ফতোয়া হিসাবে প্রচার করা হচ্ছে এবং রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে অমুকের ছেলে বা মেয়ে ফতোয়াবাজীর স্বীকার।কিন্তু আশ্বর্যের বিষয় হলÑ এ সমস্ত বিচার বা রায়ের সাথে না ইসলামের কোন সম্পর্ক আছে না ইসলামী দন্ডবিধির । কোন কোন ক্ষেত্রে গ্রামের মওলবী সাহেব বা হুজুরের নাম উল্লেখ করা হয়।যাই হোক পুরা শাসন ব্যবস্থা যতক্ষণ সরকারী না হবে কিংবা সরকার অনুমোদিত ইসলামী বিচার ব্যবস্থা না থাকবে ততক্ষণ কোন ব্যক্তি বা সংগঠন হুদুদ কায়েম করতে পারবে না। ২.প্রত্যেকটা দন্ডবিধির সুনির্দিষ্ট শর্ত এবং অবস্থা রয়েছে ।এ সমস্ত শর্ত পুংখানুপুংখ র”পে পালনের সাথে সাথে সাক্ষÑপ্রমাণে কোন সন্দেহ থাকতে পারবে না । যেমন-ব্যভিচারের শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে শর্ত হল চারজন প্রাপ্ত বয়স্ক,বুদ্ধিসম্পন্ন পুর”ষের সাক্ষ্য প্রদান করতে হবে। এবং চারজন লোকই আদালতে বিশ্বস্থ হতে হবে।এবং তারা একই সাথে একই সময়ে সরাসরি যৌন মিলন প্রত্যক্ষ্য করতে হবে। এখন যদি এ শর্ত সমূহের কোন একটি না পাওয়া যায় তাহলে এ অভিযোগ অপরাধ বলে গণ্য হবে। অতঃপর যতদিন শাস্তি প্রয়োগ করা না হবে ততদিন ঐ চারজন তাদের সাক্ষের উপর অটল থাকবে।এর মধ্যে কোন একজন যদি সাক্ষ থেকে ফিরে আসে কিংবা তারা স্বীকার করে যে তাদের সাক্ষ্য মিথ্যা ছিল তাহলে তাদের কে অপবাদ দেওয়ার শাস্তি প্রদান করা হবে এবং ভবিষ্যতে তাদের সাক্ষ আর গ্রহণ করা হবে না।আর যদি সাক্ষী তিনজন হয় কিংবা চারজনই সাক্ষ দিল কিন্তু তাদের চারজন একই সময়ে একই সাথে এ ঘটনা প্রত্যক্ষ্য না করে থাকে তবে তাদের কেও মিথ্যা অপবাদের শাস্তি প্রদান করা হবে। এ ধরণের কঠিন শর্ত পালন করে ব্যভিচারের দন্ডবিধি প্রয়োগ করা কতটা কঠিন তা সামান্য বুদ্ধিসম্পন্য ব্যক্তিও সহজে অনুধাবন করতে পারবে। ৩.প্রাপ্ত বয়স্ক ৪.বুদ্ধিসম্পন্ন [পাগল নয়] ৫.ঐ সময়ে তার উপর শাস্তি প্রয়োগের যোগ্য হতে হবে।যেমন Ñব্যভিচারের অভিযোগে কোন মহিলা কে যদি শাস্তি প্রদানের রায় প্রদান করা হয়ে থাকে তবে দেখতে হবে সে ঐ সময়ে শাস্তি প্রয়োগের যোগ্য কি না? যদি তার গর্ভে সন্তাান থাকে কিংবা তার উপর নির্ভরশীল দুগ্ধপোষ্য সন্তাান থাকে তবে তাকে এ অবস্থা থেকে মুক্ত না হওয়া পযন্তশাস্তি প্রয়োগ করা হবে না । ৬.কেও যদি নিজে তার অপরাধের সাক্ষ্য প্রদান করে তাহলে দেখতে হবে তার এ সাক্ষী স্বেচ্ছাপ্রণেদিত কি না ?কেও যদি স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য থাকে ,যেমন বর্তমানে রিমান্ড বা নির্যাতনের মাধ্যমে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয় সে ক্ষেত্রেও দন্ডবিধি প্রযোজ্য হবে না।আবার কেও এখন স্বীকারোক্তি প্রদান করল কিন্তা পরবর্তীতে সে তার স্বীকারোক্তি থেকে ফিরে আসল সে ক্ষেত্রেও কোন দন্ড বিধি প্রয়োগ করা হবে না। এবার পাঠক সমাজ! একটু ভেবে দেখনুন! বিষয়টি কতটা সুক্ষ্ম এবং জটিল।কিন্তা যাদের কাজ হল ইসলামের সমালোচনা করা তারা শুধু আপনাকে বলবে ইসলাম এতটা বর্বর যে কেও যদি ব্যভিচার করে তবে তাকে পাথর মেরে হত্যা করা হয়।কিংবা সিনেমা বানিয়ে আপনা কে দেখান হবে যে নির্দয় ভাবে কোন মেয়ে কে পাথর মেরে হত্যা করা হচ্ছে। পৃথিবীর সব সমাজে কিছু কুলাঙ্গার থাকে।অপরাধ করাটা যাদের নেশা ।অনেকে আবার শখের বসে করে।এদের কে দর্শন বুঝিয়ে,সদুপদেশ দিয়ে কিংবা ইবাদাত খানার বাসিন্দা বানিয়ে দিলেও তাদের অপরাধ প্রবণতা দূর হয় না।মন্দির থেকে মূর্তি চুরির ঘটনা যেমন নতুন নয় তেমনি গীর্জা Ñমসজিদ থেকে বিভিন্ন জিনিস চুরির ঘটনাও প্রায় ঘটে থাকে ।সুতরাং এ কথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে ,কিছু লোক এমন আছে যারা শখের বসে খুন করে,ধর্ষণ করে।আবার কেও এ সমস্ত অপরাধ কে পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছে।পৃথিবীতে যতদিন মানুষ আছে ততদিন অপরাধ থাকবে । এখন যদি কেও অপরাধীদের প্রতি সদয় হয়ে বলল, যে তাদের নির্দয়ভাবে শাস্তি দেওয়ার মাধ্যমে তার মানবাধিকার লংঘিত হচ্ছে। এখন যদি তাকে কিছু দিন বন্দী রেখে কিংবা কিছু জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে সে যে ভাল হয়ে যাবে এর কোন নিশ্চয়তা আছে।অবশ্যই নেই ।আর এ ধরণের ঘটনা পৃথিবীতে খুবই কম।এ আলোচনা বোঝার আগে আমাদের কে বুঝতে হবে শাস্তি (عقوبة) কেন দেওয়া হয়? প্রথমতঃ অপরাধ করার মাধ্যমে অপরাধী অন্য একজন নিরপরাধ মানুষের বিভিন্ন ধরণের অধিকার কে নষ্ট করে। হত্যার ক্ষেত্রে নিহত ব্যক্তির বেঁচে থাকার যে অধিকার সে তা ছিনিয়ে নিয়েছে।কেও যদি কোন মহিলা কে ধর্ষণ করে তাহলে সে মহিলার ,মলিার স্বামীর এবং তার ছেলে সন্তাানদের অধিকার নষ্ট করেছে। সকল ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে অন্যের মারাত্বক ক্ষতি সাধনের মাধ্যমে সে তার অভ্যন্তারীণ পশুত্ব আছে তার চাহিদা পূরণ করছে। এখন সমাজ তাকে এ অপরাধের কারণে কেন শাস্তি দিবে? ১.তার অভ্যন্তারীণ পশুটা কে হয় শেষ করে দেওয়া কিংবা সীমাবদ্ধ গন্ডির মধ্যে তাকে নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা করা । ২.যারা এ অপরাধের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের জন্য ন্যায়Ñবিচার প্রতিষ্ঠা করা ৩.ভবিষ্যতে কেও যেন এ ধরণের কর্মকান্ডে লিপ্ত না হয় এর নিশ্চয়তা প্রদান করা। সমাজে বসবাসরত মানুষের সবচেয়ে গুর”ত্বপূর্ণ বিষয় হল সর্ব ক্ষেত্রে তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা।এখন যদি কারও শাস্তির প্রতি মানবতা দেখিয়ে তার শাস্তি কে লঘু করি তাহলে এর অর্থ এই দাঁড়ায় ভবিষ্যতে সে কিংবা তার সমগোত্রীয় কেও নির্দয়ভাবে অন্যের বেচে থাকার অধিকার কেড়ে নেবে।তাদের নিরাপত্তা ছিনিয়ে নেবে।সুতরাং অপরাধী কে দয়া করার অর্থ হল মজলুমের প্রতি আরও জুলুম করা। আমরা অপরাধের পরে এসে তার মানবাধিকার নিয়ে চিন্তাা করছি,কিন্তু এই চিন্তাা করি না যে,সে অন্য একজনের অধিকার কি নির্মমভাবে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে। এখন যদি তার প্রতি দয়া করা হয়,তাহলে তাকে সমাজের আরও অনেক মানুষের নিরাপত্তা ছিনিয়ে নেওয়ার পথ তৈরি করে দেওয়া হল।আর যারা এখনও এ ধরণের কর্মকান্ডে লিপ্ত হয় নি তারা যেন ভবিষ্যতে তা করতে পারে তার নিরাপত্তা পূবেই প্রদান করা হল।অতএব আমরা যদি ব্যক্তি অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে এরকম হাজার মানুষের অধিকার লংঘনের ব্যবস্থা করে দেই তাহলে তাও যে মানবতার প্রতি নির্দয় আচরণ করা হবে তাতে কোন সন্দেহ থাকার কথা নয়। ১৯৭৩ সালে Isaac Ehrlich একটি জরিপ করেন।এতে তিনি প্রত্যক্ষ করেন একজন কে মৃত্যুদন্ড প্রদান করলে সাতজনের জীবন বেচেঁ যায়,কেননা অন্যরা মৃত্যুদন্ডের দেওয়ার কারণে আর হত্যা করতে উদ্দত হয় না। তিনি উপসংহারে বলেন, "In light of these observations, one cannot reject the hypothesis that punishment, in general, and execution, in particular, exert a unique deterrent effect on potential murderers. " অর্থাৎ এ জরিপের আলোকে বলা যায় যে, সাধারণভাবে কেও অস্বীকার করতে পারবে না যে, যে কোন ধরণের শাস্তি এবং বিশেষভাবে মৃত্যুদন্ড প্রদান হত্যাকারীদের অন্তারে এমন একটি বিশেষ ইতিবাচক প্রভাব ফেলে যা তাকে হত্যা থেকে বিরত রাখে। The deterrent effect of capital punishment: A question of life or death," American Economic Review June 1975, pp. 397-417 Fordham University এর প্রফেসর Ernest van den Haag বলেছেন We threaten punishments in order to deter crime. We impose them not only to make the threats credible but also as retribution (justice) for the crimes that were not deterred. Threats and punishments are necessary to deter and deterrence is a sufficient practical justification for them. Retribution is an independent moral justification. Although penalties can be unwise, repulsive, or inappropriate, and those punished can be pitiable, in a sense the infliction of legal punishment on a guilty person cannot be unjust. By committing the crime, the criminal volunteered to assume the risk of receiving a legal punishment that he could have avoided by not committing the crime. The punishment he suffers is the punishment he voluntarily risked suffering and, therefore, it is no more unjust to him than any other event for which one knowingly volunteers to assume the risk. Thus, the death penalty cannot be unjust to the guilty criminal. অর্থাৎ আমরা অপরাধ রোধ করার জন্য শাস্তির বিধি জারি করেছি।আমরা শাস্তি প্রয়োগের মাধ্যমে শুধু প্রতিরোধ ব্যবস্থা কে সম্মানজনক করতে চাই না বরং সে সমস্ত অপরাধের উত্তম প্রতিকার (ন্যায় বিচার) যে গুলো করতে কোন ভয় পাওয়া হয় নি।কাউকে অপরাধ থেকে বিরত রাখতে শাস্তি এবং ভয় থাকা প্রয়োজন এবং এ ধরণের প্রতিরোধ ব্যবস্থা ন্যায়-বিচারও বটে।প্রতিশোধ ও প্রতিকার একটি স্বাধীন নৈতিক বাস্তবতা।দন্ড বিদিগুলো ঘৃণ্য ,নির্দয়,এবং অসামঞ্জপূর্ণ হতে পারে,দন্ডবিধি যে ভোগ করছে তার উপর দয়ার উদ্রেক হতে পারে,তবে একজন উপর তার প্রাপ্য শাস্তি প্রয়োগটা অন্যায় হবে না। একজন অপরাধী অপরাধ করে ইচ্ছাকৃতভাবে সেই যথার্থ শাস্তি মাথা পেতে নিয়েছে যা সে সহজেই উপেক্ষা করতে পারত এবং অপরাধে লিপ্ত না হওয়ার ক্ষমতাও তার ছিল।যে শাস্তি এখন সে ভোগ করছে ,তা ভোগ করার জন্য সে ইচ্ছাকৃতভাবে ঝুকি নিয়েছে।সুতরাং তাকে শাস্তি দেওয়াটা তার ইচ্ছাকৃত অপরাধ করার মাধ্যমে শাস্তির ঝুকি নেওয়ার চেয়ে বড় কিছু নয়।সুতরাং মৃত্যুদন্ড একজন অপরাধীর জন্য যথার্থ শাস্তি ।pbs.org/wgbh/pages/frontline/angel/procon/haagarticle.html উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে স্পষ্ট যে ,যে কোন অপরাধে অপরাধী ইচ্ছাকৃতভাবে শাস্তি ভোগ করার জন্য প্রস্তুত থাকে।আর এ শাস্তির বিধান সব ধরণের অপরাধের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।শুধু মাত্র মৃত্যদন্ডই নয় ,ইসলামী শরীয়তের যে সমস্ত দন্ডবিধি আছে তার প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য। ইসলামে শাস্তি বোঝাতে দুটি শব্দ ব্যবহৃত হয়, ১. عقوبة(উকুবা) ২. عقاب ইকাব ১. عقوبة(উকুবা) অর্থ হল সেই শাস্তি যা শরীয়ত মানুষ কে আদেশ Ñনিষেধ লংঘন করার কারণে দেওয়া হয়। আর عقاب (ইকাব) হল আযাব । যা পরকালের শাস্তিন সাথে সংশ্লিষ্ট বলে অনেকে মনে করেন। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছেÑ ۱. فحق عقاب (যথার্থ শাস্তি) ۲.شديد العقاب (কঠিন আযাব বা শাস্তি ) ۳.و إن عاقبتم فعاقبوا بمثل ما عوقبتم به ۴.ومن عاقب بمثل ما عوقب به এ আয়াত গুলোতে আযাব অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে । উকুবা বা শাস্তির বিধান শরীয়তে দেওয়া হয়েছে , لمنع الناس من ارتكاب الجرائم (মানুষকে অপরাধে লিপ্ত হওয়া থেকে বাধা দেওয়ার জন্য) আর যদি সে অপরাধে লিপ্ত হয়ে যায় তাহলে তার উপর সে শাস্তি প্রয়োগ করা হবে ,ফলে দ্বিতীয়বার সে আর ঐ অপরাধে লিপ্ত হবে না।এ জন্য বলা হয়ে থাকেÑ إن العقوبات موانع قبل الفعل ،زواجر بعده ইসলামে শাস্তির বিধান এতটা তাৎপর্যপূর্ণ যে ,অপরাধী কে তার অপরাধের শাস্তি ভোগ করতেই হবে ।কেননা অপরাধী স্বেচ্ছায় শাস্তি ভোগ করার ঝুকি নিয়েছে। চাই সে শাস্তি দুনিয়াতে হোক কিংবা পরকালে।এমনকি ইসলামী স্কোলার এবং আইনবিদগণ এ ব্যাপারে মতনৈক্য করেছেন যে ,একজন অপরাধী উপর দন্ডবিধি প্রয়োগ করার পর পরকালেও কি সে শাস্তি ভোগ করবে? কিছু কিছু আইনবিদ মনে করেন যে,দুনিয়াতে শাস্তির বিধান দেওয়ার কারণে সে পরকালের শাস্তি থেতে বেচে যাবে ।অর্থাৎ অপরাধের শাস্তি তার অপরাধের জন্য প্রতিকার ।আল্লামা সামারকান্দী বলেছেন إن المسلم إذا حد او أقتص منه في الدنيا لا يحد ولا يقتص منه فى الآخرة،لقوله علىه الصلوة و السلام ( من أذنب ذنبا فعوقب به فى الدنىا لم يعاقب به فى الآخرة). “ যখন কোন মুসলমানকে দুনিয়াতে দন্ডবিধি কিংবা তার থেকে কিসাস নেওয়া হয়, পরকালে তার থেকে কোন হদ্দ বা কিসাস নেওয়া হবে না।(পরকালে এর শাস্তি হবে ) কেননা রাসূল (সঃ) বলেছেন - যে ব্যক্তি কোন অপরাধ করল এবঙ তার শাস্তি তাকে দুনিয়াতে প্রদান করা হলো তাহলে পরকালে তাকে তার শাস্তি দেওয়া হবে না।” وفى رواية عن عبادة بن الصامت قال: (كنا مع النبي صلى الله عليه وسلم فى مجلس فقال:تبايعونى على ألا تشركوا بالله شيئا ولا تزنوا ولا تسرقوا ولا تقتلوا النفس التى حرم الله إلا بالحق؛ فمن وفى منكم فأجره على الله ،ومن أصاب شيئا من ذلك فعوقب به فى الدنيا فهو كفارة له.ومن أصاب شيئا من ذلك فستره الله عليه فأمره إلى الله إن شاء عفا عنه وإن شاء عذبه) “হযরত উবাদা বিন সামেত রাঃ থেকে বর্র্ণিত তিনি বলেনÑ আমরা রাসূল (সঃ) এর মজলিশে বসা ছিলাম তিনি আমাদের কে বললেন, তোমরা আমার নিকট এ মর্মে বাইয়াত গ্রহণ কর যে, ্আল্লাহর সাথে শরীক করবে না , তোমরা ব্যভিচার করবে না, চুরি করবে না, এবং আল্লাহ তায়ালা যাদের হত্যা করতে নিষেধ করেছেন, তাদের কে অন্যায় ভাবে হত্যা কর না। যে ব্যক্তি এ সমস্ত বিষয় পালন করল তার প্রতিদান আল্লাহ তায়ালা প্রদান করবেন। আবার অনেকে মনে করেন ,হত্যার শাস্তি দুনিয়াতে প্রদান করলেও পরকালে তাকে তার শাস্তি ভোগ করতে হবে।কেননা যাকে হত্যা করা হয়েছে,যার প্রতি জুলুম করা হয়েছে ,এতে তার তো কোন লাভ হচ্ছে না।আর হত্যার পরিবর্তে যে হত্যা করা হচ্ছে তা জীবিতদের উপকারের জন্যÑভবিষ্যতে কেও যেন এ ধরণের কাজে লিপ্ত না হয়। সুতরাং পরকালেও তার শাস্তি হবে।তবে প্রসিদ্ধ কথা হল দন্ডবিধি প্রয়োগ করলে পরকালে তার শাস্তি হবে না।কেননা রাসূল (সঃ) বলেছেন, ((الحدود كفارات لأهلها)) “দন্ডবিধি তার পাপের প্রায়শ্চিত্ত”। ইসলামে মানব অধিকার বিষয়ে যে সমস্ত সসালোচনা সবচেয়ে বেশি হয় , তার মধ্যে একটি হলো ব্যভিচারের শাস্তি । ব্যভিচারের শাস্তি নিয়ে অনেকরে এলার্জি আছে। এই এলার্জি কেন সেটা স্পষ্ট হওয়া দরকার। এধরণের শাস্তি দিলে সিরিজ ধর্ষণে বাধা হবে, উলঙ্গ-পনা বেহাপনা, উদম নৃত্য ইত্যাদি করতে সমস্যা হবে? আমেরিকার মতো প্রতি মিনিটে ধর্ষণের সুযোগ হাত ছাড়া হয়ে যাবে এজন্য বুঝি এতো হৈ চৈ? আমরা তাদেরকে বিনয়ের সঙ্গে বলবো, ভাই, আমরা মানুষের সমাজে বাস করি। নৈতিকতার দিক থেকে পশুর স্তরে নেমে গেলেও আকার-আকৃতিতে এখনও মানুষই দেখা যায়, সুতরাং এতো গোস্বার কি আছে? মানুষের সমাজে থাকলে একটু মানুষ হয়ে থাকুন না। আর যদি বলেন, হত্যার পন্থাটা বর্বর, তবে বলবো, বোমা মেরে ছিন্ন ভিন্ন করে দেয়া হত্যার খুব সভ্য পদ্ধতি? গুলি করে মাথার খুলি উড়িয়ে দেয়া, এসিড দিয়ে পুরো শরীর ঝলসে দেয়া, সালফিউরিক এসিড ঢেলে ভস্ম করে দেয়া, স্ট্রাপেডো পদ্ধতিতে উল্টো ঝুলিয়ে মারা, শরীরের বিভিন্ন স্থানে পেরেক পুতে গাছে ঝুলিয়ে রাখা এগুলো খুব সভ্য পদ্ধতি? আপনি তো এগুলোকে কখনও বর্বর বললেন না, তো পাথর খুব সাধারণ জিনিস হওয়ার কারণে একে বর্বর বলছেন? আপনি তো একদিনও সমালোচনা করলেন না যে, কাউকে আগুনে জ্বালিয়ে মারা যাবে না। আধুনিক যুগে যেসমস্ত পদ্ধতিতে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, সেটা বুঝি খুব সভ্য পদ্ধতি? আপনাদের সমস্যা হত্যার পদ্ধতি নিয়ে নয়, মূল সমস্যা ধষর্ণের শাস্তি নিয়ে। আপনার চান শাস্তি ছাড়া পান্না মাস্টারের মতো ১৫০ মেয়েকে ধর্ষণ করতে। ইসলাম আপনাদেরকে নিষেধ করে। একারণে ইসলাম বর্বর, মধ্যযুগীয়। আমি বিনয়ের সঙ্গে বলব, ভাই ইসলাম আমাদেরকে মানুষ হতে বলেছে, মানুষের সমাজে বসবাস করতে বলেছে, কোন পশুর সমাজের জন্য ইসলাম না। আপনাদের পছন্দ না হলে, আপনারা গণ ধর্ষণ করে মেডিকেল ছাত্রীকে বাস থেকে ফেলে দিবেন, সমকামীতাকে বৈধতা দিবেন, পান্না মাস্টারের আদর্শকে লালন করবেন, সেটা আপনাদের ব্যাপার। আপনারা চাইলে সানি লিওনের পোশাক আপনাদের মেয়ে-বোনদের পোশাক বানাবেন, কিন্তু ইসলাম কখনও এতটা নিচে নেমে গিয়ে আপনাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করবে না, এটা নিশ্চিত।
Posted on: Thu, 01 Aug 2013 16:26:07 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015