: -প্রজন্ম তুমি মেঘনাদ - TopicsExpress



          

: -প্রজন্ম তুমি মেঘনাদ সাহার নাম শুনেছো? শুননি? গত ৬ অক্টোবর এই লোকের জন্মদিন ছিলো। ১৮৯৩ সালে। ঢাকায়। পৃথিবী সেরা একজন কসমোলজিস্ট ছিলেন। তাঁর থার্মাল আয়োনাইজেশেন থিওরি এখনো পড়ানো হয়। -তুমি সত্যেন্দ্র নাথ বোসের নাম শুনেছো? ঝাপসা ঝাপসা শুনেছো! এই লোক পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ড. বোস ক্লাসে বসে ছাত্রদের পড়াচ্ছিলেন ম্যাক্সওয়েল-বোল্টজম্যান ইকুয়েশন এর ঘাপলা। হঠাৎ করে আবিষ্কার করেন কোন ঘাপলা নেই। তাঁর আবিষ্কার বিখ্যাত হয় বোস-আইনস্টাইন স্ট্যাটিস্টিক নামে। -প্রজন্ম তুমি গডস পার্টিকেল এর নাম শুনেছো? হু শুনেছো না! পত্রিকাগুলো গত ২ বছর ধরে অনেক চিল্লাপাল্লা করছে। তুমি কি জানো এই গডস পার্টিকেল এর অন্য নাম হিগস-বোসন পার্টিকেল? দুইজন বিজ্ঞানীরর নামে নাম। পিটার হিগস আর আমাদের এই সত্যেন বোস। আরেকটা কথা জানো? পৃথিবীর সব কণাকে বিজ্ঞানীরা দুইভাগে ভাগ করেন। একটা ফার্মিওন পার্টিকেল। আরেকটা বোসন পার্টিকেল। -প্রজন্ম তুমি জামাল নজরুল ইসলামের নাম শুনেছো? নিশ্চিতভাবে শুনোনি। বাড়ি ঝিনাইদহ। আশির দশকে সকল কসমোলজির ছাত্রদের পাঠ্য ছিলো এই বইটি- The Ultimate Fate of the Universe. লেখক? চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস প্রফেসর ড. জেড এন ইসলাম। এতো বিখ্যাত একজন কসমোলজিস্ট তোমার দেশি। উনার নাম না জানলেও চলবে। ঝিনাইদহ থেকে উঠে আসা কোথাকার কে! সালমান খানের মতো সিক্স প্যাক তো আর নেই। -তুমি এফ ফিফটিন বা এফ সিক্সটিন ফাইটার বিমানের নাম শুনেছো? অবশ্যই শুনেছো। তুমি কল অব ডিউটি যুগের মানুষ। এই বিমানগুলোতে যে ধাতু সংকর ব্যবহার করা হয় তাকে বলে এলোয় ওয়াই। তুমি কি জানো এই এলোয় ওয়াই কে আবিষ্কার করেছেন? আব্দুস সাত্তার খান। চিনলে না তো? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। না চিনলেও চলবে। উনি তো আর শাহরুখ খান নন। এই লোক ৪০ টার মতো এলোয় বানিয়েছিলেন। জেট ইঞ্জিন, গ্যাস টার্বাইন, স্পেস শাটলে তাঁর এলোয় ব্যবহার করা হয়। -মোহাম্মদ আতাউল করিম এর নাম জানো? এখনো বেঁচে আছেন। বর্তমান পৃথিবীর সেরা ৫০ জন অপটিক্যাল কম্পিউটার বিজ্ঞানীরদের মধ্যে একজন ধরা হয় তাঁকে। বাড়ি মৌলভিবাজারের বড়লেখায়। তাঁর রিসার্চ পাবলিকেশন্স কয়টা জানো? ৩৬৫ টার উপর। উনাকেও চেনোনা না? বাদ দাও। অক্ষয় কুমারের ভাঁড়ামিতো আর উনি করতে পারেননা। মাকসুদুল আলম। জন্ম ফরিদপুর। আবিষ্কার করেছেন পেপে, পাট, রাবারের জিনোম। মজার ব্যাপার জানো! উনি ২০০২-০৩ সালের দিকে কৃষি মন্ত্রনালয়ে ঘোরাঘুরি শুরু করলেন ফান্ডের জন্য। মন্ত্রনালয় কর্মকর্তা জিজ্ঞেস করলেন, ফান্ড দিয়ে কী করবেন? - পাটের জিন নিয়ে গবেষণা করবো। - কী সব জ্বীন-ভূত নিয়ে গবেষণা করবেন! যান তো যান। প্রজন্ম! তুমি অসাধারণ এক জাতির উত্তরসূরি। আমি আরো অনেকের নাম দিতে পারবো। নিজের জাতিকে নিয়ে গর্ব করার অনেক কিছু আছে তোমার। শুধু এই দেশ দিয়ে কিচ্ছু হবে না, বাঙালীদের দিয়ে কিচ্ছু হবে না, এমনটা না বলে দেশটাকে কিছু দাও। প্লিজ। (উপরের স্ট্যাটাসটা হাসনাত সুজন ভাইয়ের লেখা। যেই স্ট্যাটাসের লেখায় থাকা অসামান্য মানুষগুলোর কথা জেনে আমার মাথা গর্বে জেগে উঠেছে নতুন করে, আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছে উত্তেজনায়। এই প্রজন্মের আমিও একজন অথচ আমি নিজেও এতো প্রতিভাবান মানুষগুলোর ব্যাপারে এতোটা জানতাম না।) কে বলেছে এই দেশকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না... এই যে এতগুলো অসামান্য মানুষ, তাঁদের অবদান জানলে আনন্দে চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। মনে হয় সত্যিই তো, এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে না কো তুমি... #জয়বাংলা #বাংলাদেশ
Posted on: Tue, 14 Oct 2014 16:00:59 +0000

Trending Topics




© 2015