Another inspirational post.This time it is from Alrazy Sonet. He - TopicsExpress



          

Another inspirational post.This time it is from Alrazy Sonet. He is surely a bright star of CUET in USA. Students who have completed their graduation and having low CGPA must not get over anxious. Still many things to do. (By Code 27) যাদের সিজিপিএ কম মানে কিংবা ফান্ড পাচ্ছেন না, প্রোফাইল টা একটু ভাল হলে এখন এত চিন্তা করতে হত না এসব ভেবে ভেবে এখন মাথার চুল ছিড়তে ইচ্ছে করে, তাদের কষ্ট শুধু যারা একই অবস্থার মধ্য দিয়ে গেছে ,তারাই properly feel করে। তাই আমি আমার আমেরিকা আসার এবং আসার পর এখানে টিকে থাকার যে সংগ্রাম সেটা আগামিতে যারা এখানে আসবেন তাদের সাথে শেয়ার করছি। (চেষ্টা করেছি যতটা পারি সংক্ষেপে লিখব, তারপরও বেশ বড় হয়ে গেছে। সেজন্য দুঃখিত ) শুরুতেই বলি আমেরিকা আসার জন্য যে সব ক্ষেত্রে যোগ্যতা ভাল থাকা লাগে আমার সেটা কোন দিক থেকেই নাই। সিজিপিএ টেনেটুনে ৩ (3.01), পাশ করেছি চুয়েট থেকে। Undergrad শেষ করেছি আগস্ট ২০১১ তে। তখন দেশের বাইরে আসার কোন পরিকল্পনা ছিলনা। স্বপ্ন ছিল চলচ্চিত্র নির্মাতা হব (এখনও আছে). তাই মিডিয়া জগত এ প্রবেশ করলাম। বেশ ভালই এগুচ্ছিলাম। একটা সময় নুরুল আলম আতিক(ডুবসাতার, সাইকেলের ডানা, বিকল পাখির গান এর নির্মাতা) এর সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়ে গেলাম। কিন্তু একটা সময় বুঝতে পারলাম এখানে আমি ঠিক নিজেকে মানাতে পারছিনা। ফিল্ম এর প্রতি ভাল লাগাটাও কমতে শুরু করে। তাই ভাবলাম নিজের track এ ফিরে যাই। কিন্তু ততদিনে ৮ মাস চলে গেছে। অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে একটা জব এ ঢুকলাম । জব করতে করতে বুঝলাম সারাজীবন এভাবে continue করা সম্ভব না। তখন ঠিক করলাম বাইরে চলে যাব আরও কিছুদিন পড়াশোনা করি(trust me best decision undergrad এর 3rd year থেকেই preparation শুরু করা). মালয়েশিয়া থেকে জার্মানী সব ব্যাপারে খোজখবর নিতে নিতে ২০১২ তখন চলে এসেছে । বুঝতে পারলাম বাইরে যাওয়ার প্রস্তুতি অন্তত পক্ষে এক বছর আগে থেকে নিতে হয়। এর মধ্যে একটা ভাল কাজ করেছিলাম IELTS টা দিয়েছিলাম(সেখানেও সুবিধা করতে পারি নাই 6.5)। ২০১২ মাঝামাঝিতে এসে সিদ্ধান্ত নিলাম আমেরিকাই টার্গেট। কারন জি আর ই ভাল করলে যেকোন প্রোফাইল নিয়ে ফান্ড পাওয়া সম্ভব। এই motivation নিয়ে বিসমিল্লাহ করলাম। খুব স্বাভাবিক ভাবেই যখন যোগাযোগ করা শুরু করলাম USA অবস্থানরত অগ্রজদের, নেতিবাচক মন্তব্য গনহারে পেলাম। ফান্ড নামক জিনিষটা যে সোনার হরিণ এবং আমার ক্ষেত্রে সেটা প্লাটিনাম হরিণ সেটা ভালভাবেই বোধগম্য হল। আমি নিজেও জানতাম এটা আমার জন্য সহজ কোন রাস্তা হবেনা। তাই যারা negative কথা বলত তাদের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতাম। এই সময়ের মধ্যে HSA তে যোগ দিলাম । অবাক হলাম যে সবাই এত উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে, যার যা জিপিএ আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পরো , ইনশাল্লাহ একটা না একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে। যতই দিন যাচ্ছিল অভিজ্ঞতা হচ্ছিল এবং তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল হতাশা। GRE সাহেব এর quantative part দেখে মহা উৎসাহে mission start করে যখন verbal এর সামনে পড়লাম তখন তো কি অবস্থা আর detail বলার দরকার নাই(যারা GRE দিচ্ছেন তারা ভাল করেই জানেন)। আমি বরাবর ই আশাবাদী। পারি আর না পারি এটা কখনই ভাবি না আমার পক্ষে সম্ভব না, মানে লেগে থাকলে সবই সম্ভব। যাই হোক ঠিক করলাম low rank university( Lamar, Tamuk etc) গুলোতে apply করব। কিন্তু সময় তখন একেবারেই শেষের দিকে। GRE দিয়ে যে ভালভাবে Apply করব সেই সময়টাও নেই। তাহলে আরও এক বছর বসে থাকতে হবে। আর এরকম অল্প সময়ে GRE দিয়ে ভাল স্কোর করা আমার মত জিনিয়াস এর পক্ষে সম্ভবও না। শুধুমাত্র IELTS দিয়ে apply করা যাবে এরকম পেলাম Purdue University Calumet, করে দিলাম Apply. তারপর তো SOP,LOR, Admission procedure এর পেইন তো আছেই। এই প্রোফাইল দিয়ে ফান্ড হবেনা এটা অনুমেয় ছিল। তারপর ও চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম । প্রফেসরদের মেইল করা । দেশে থাকতে হালকা পাতলা রোবোটিক্স আর PLC Automation এর কিছু কাজ করেছিলাম। মানে এগুলোর ব্যাপারে কিছু ধারনা আছে। তাই এই ধরনের বিষয় নিয়ে যারা Research করতেসে, তাদের গুঁতাতে লাগলাম । এর মধ্যে একজন বাংলাদেশী প্রফেসর ও পেয়ে গেলাম। খুশি হয়ে গেলাম যে তাহলে কিছু একটা কপালে জুটে যেতেও পারে। বেশ কয়েকবার মেইল দেয়ার পর ও যখন কোন সাড়া পেলাম না তখন একদিন সাহস করে ফোন ই দিয়ে বসলাম ! অভিজ্ঞতা খারাপ হলনা, এপ্লাই করতে বললেন। PLC নিয়ে কাজ জানি বলে খুশি হলেন। বুকে সাহস পেলাম। ফান্ড এর ব্যাপারেও আশা করতে শুরু করলাম। উনার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখলাম। ২০১৩ এর এপ্রিল এর দিকে এসে আমি Purdue থেকে মেইল পেলাম যে Admission Confirm হলেও ফান্ড হয়নি। একটা ধাক্কা খেলাম। পাবো এটা নিশ্চিত ছিলাম না কিন্তু একটা আশা তো ছিল। আশেপাশের যারা Fall,13 এ যাচ্ছে তাদের সাথে কথা বলে বুঝলাম জানলাম যাদের প্রোফাইল আমার চেয়ে ভাল তাদেরও অনেকের ফান্ড হয়নি! কি করব ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছিলাম না। পাশ করেছি তখন প্রায় আড়াই বছর হয়ে গেছে, আর ও একবছর বসে থাকব সেই ইচ্ছেটাও নেই। এখানে যারা আগে থেকেই MS করতেসে তাদের সাথে দফায় দফায় সংলাপে বসলাম। ফান্ড এখানে এসে Manage করা যাবে ? নাকি Off Campus Job করে টিউশন ফি দেয়া যাবে? অনেক উপদেশ ই পেলাম। ফলাফল ভ্যাবাচ্যাকা খেলাম। একটা প্রশ্নের উত্তর খুজলাম যে ওখানে গিয়ে ফান্ড Manage করা যায় কিনা কিংবা কেউ করেছে এরকম উদাহরণ আছে? সম্ভাবনা 50-50 , কেউ পায় কেউ হয়ত না। সিদ্ধ্বান্ত নিলাম যাব, কারন “Don’t wait for the ship to come in. Swim out to it” বাঙালি প্রফেসরকে জানালাম যে আসব। অনেকে অনেক পরামর্শ দিয়েছিল, দোস্ত তন্ময় (সবার প্রিয় তন্ময় দাস _ HSA Admin)আমাকে উপদেশ দিলেন যাওয়ার আগে GRE টা যেন দিয়ে যাই। তাই রমজান মাসে USA আসার প্রস্তুতি নেয়ার পাশাপাশি GRE টাও দিলাম। যাই পাই না, কেন। ঐটা বেচে যদি কপালে ফান্ড জুটাতে পারি , মানে একটা Chance নেয়া আর কি(৩০২ উঠেছিল স্কোর)। এবার শুরু হল দ্বিতীয় দফায় সংগ্রাম । আসার পর ভার্সিটির সব জায়গায় ঢু মারতে লাগলাম। USA তে আসার আগে দেশী প্রফেসর থেকে দূরে থাকার ব্যাপারে সতর্কবানি শুনেছিলাম। এখানে এসে সেটার সত্যতা উপলব্ধি করলাম। আসামাত্র অনেকগুলো কাজ ধরিয়ে দিল। একের একের পর এক কাজ করেই যাচ্ছি। কিন্তু ফান্ড এর ব্যাপারে কোন খবর নাই । অন্য কোথাও চেষ্টা করি এটাও উনার ঠিক পছন্দ না। আগের বছর উনার সাথে কাজ করসে এরকম ২ জন বড় ভাই , তাদের ফান্ড দিবে দিবে করে যখন শেষ মুহুর্তে গিয়ে বলসে Sorry! উনারা এখন পুরা MS, Self Fund এ পড়তেসে। উল্লেখ্য যে, আমি প্রথম সেমিস্টার এর টাকা পুরোটাই ধার করে এনেছি। আমার বাপের ওইটুকু Support দেয়ার সামর্থ্য তখন নাই। তাই ২য় সেমিস্টার থেকে ফান্ড না পেলে কি করব সেটা ভাবতে গেলেই মাথা খারাপ হয়ে যেত। আশেপাশের বন্ধুবান্ধবরা বলা শুরু করল এতটা রিস্ক নেয়া ঠিক হয়নি। আমি হাল ছাড়লাম না। আমার প্রফেসরের উদাসীনতা দেখে আমি আশেপাশে Knock দিতে লাগলাম। যদি ফান্ড পাই তবে Switch করব। যদিও আমার ইচ্ছা Mechatronics এই MS করার। কিন্তু ভিক্ষুকের তো পছন্দ অপছন্দ থাকতে নেই। এরি মধ্যে বজ্রপাতের মত আঘাত করল, যে আমার প্রফেসর জেনে গেছে আমি অন্য জায়গায় যোগাযোগ করেছি। আমাকে Dishonest , Unethical etc etc বলে চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করলেন। অন্য জায়গায় ফান্ড খোঁজাটা এতটা Offensive হবে আমি বুঝি নাই।(বাঙ্গালী বলেই হয়ত এত আবেগপ্রবন হয়ে পরেছিলেন ) যদিও উনি আমাকে ফান্ড দিবেন এটা একবারও বলেননি। খুব অসহায় হয়ে পড়লাম। অন্য প্রফেসররাও জেনে গেছে আমার সাথে তার ঝামেলা হয়েছে। তাই তারাও আমাকে ফান্ড দিবে সে ব্যাপারেও সম্ভাবনা মাইনাস এ। আর এই ডিপার্টমেন্ট এ আমার যে ফান্ড হবেনা এটাও নিশ্চিত হয়ে গেছে। তাই ঠিক করলাম ডিপার্টমেন্ট Switch করব। সেখানেও পুরোটা জুড়ে অনিশ্চয়তা । আবার প্রথম থেকে শুরু করতে হবে। যে সেমিস্টার শেষ করলাম সেটাও ওখানে Accept করবেনা। আমি তারপরও হাল ছাড়লাম না। স্রষ্টার উপর ভরসা করে Switch করে ফেললাম। যত জায়গায় যত বার সম্ভব Knock দিতে লাগলাম। ডিসেম্বর এর শেষের দিকে পেলাম সেই কাঙ্ক্ষিত অনেক আরাধ্য ফান্ড। (স্রস্টার কাছে হাজার শুকরিয়া। লেগে থাকলে তিনি কাউকে হতাশ করেননা আবারো প্রমাণ পেলাম ) . এক বছর এর জন্য Teaching Assistantship পেয়ে গেলাম। আর আমার প্রফেসর কিছু Research (Nano Technology ) এর কাজ দিয়েছেন, বলেছেন Progress দেখাতে পারলে Research Assistantship ও দিবেন। এখন স্রষ্টার রহমতে বেশ ভাল আছি। Research এর কাজও বেশ উপভোগ করছি। আমার লেখা পরে আবার এটা কেউ ভেবে বসবেন না যে, আমি ফান্ড ছাড়া চলে আসার ব্যাপারে উৎসাহ দিচ্ছি। ভুলেও এটা ভাববেন না। শেয়ার করার উদ্দ্যেশ্য একটাই , যদি Dedicated থাকেন সফল হবেনই । এখানে আসার ব্যাপারে USA তে যারা পরিচিত সিনিয়র ছিলেন অনেক হেল্প করেছেন, তাদের কাছে আসলেই কৃতজ্ঞ । আর যারা এখানে আসবেন বিনা দ্বিধায় হেল্প চাইবেন। এখানে আসার পর আমরা অনেকেই দেশে থাকা জুনিয়রদের প্রশ্ন দেখে বিরক্ত হই। বলি এত Stupid Question কেমনে করে! এরা আবার USA আসতে চায়। কিন্তু আমরা ভুলে যাই শুরুতে আমরাও অজ্ঞ ছিলাম। হয়ত এরকম প্রশ্ন আমরাও করেছিলাম। তারা হাসিমুখে সেগুলোর উত্তর এবং নির্দেশনা দিয়েছিলেন বলেই আজ এখানে আসতে পেরেছি। তাদের সরাসরি কোন সহযোগীতা হয়ত করতে পারবনা, কিন্তু পরবর্তীতে যারা আসবে তাদের সহযোগীতা করাটাই আমার মনে হয় সিনিয়রদের সম্মান দেখানো হিসেবে বিবেচিত হবে। Written By: Alrazy Sonet Graduate Assistant at Purdue University Calumet, USA
Posted on: Sun, 10 Aug 2014 08:29:16 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015