BNP Online Activist চাপা পড়ছে আ.লীগের - TopicsExpress



          

BNP Online Activist চাপা পড়ছে আ.লীগের দুর্নীতি-দুঃশাসন ************************************************* আওয়ামী লীগ সরকারের পাঁচ বছরের বেপরোয়া দুর্নীতি ও অকল্পনীয় দুঃশাসন চাপা পড়ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে। ১৮ দল একমাত্র এই ইস্যুতেই সর্বশক্তি নিয়োগ করায় এবং সব আলোচনা এই ইস্যুকে ঘিরে আবর্তিত হওয়ায় ক্ষমতাসীন দলটির দুঃশাসনের নানা দিক থেকে যাচ্ছে আলোচনার বাইরে। অথচ নির্বাচনের আগে এসবই থাকার কথা ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তবে আওয়ামী লীগের চাণক্যনীতির সুবাধে দলটির পাঁচ বছরের শাসনকালের পাহাড়সমান ব্যর্থতা, বিশ্বকাঁপানো দুর্নীতির কেলেঙ্কারি আর দানবীয় শাসনসহ নানা ইস্যু এখন আর আলোচনায় আসছে না। আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সে হিসেবে নির্বাচনের এখন বাকি আছে আড়াই মাসের কিছুটা বেশি সময়। এখন দেশে পুরোদমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার কথা ছিল। আর এই সময়টাতে স্বভাবতই চায়ের কাপে ঝড় তুলত বিদায়ী সরকারের পাঁচ বছরের আমলনামা। ১৮ দলের বক্তৃতা-বিবৃতি, নির্বাচনী প্রচারণা, টিভি চ্যানেলের টক শো আর সংবাদপত্রের বড় অংশ জুড়ে স্থান পেত বিদায়ী সরকারের শাসনকালের নানা দিক। বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে তো বটেই, এমনকি বাংলাদেশেও গত চারটি সংসদ নির্বাচনে এই চিত্রই দেখা গেছে। ব্যতিক্রম শুধু এবারকার নির্বাচন। এখন লোকজনের মুখে আওয়ামী লীগের পাঁচ বছরের দুঃশাসনের কথা শোনা যায় না। অথচ আওয়ামী লীগের এবারকার শাসনকাল অনেক ক্ষেত্রে শেখ মুজিবুর রহমানের নিকৃষ্ট শাসনকালকেও হার মানিয়েছে। এবার শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশে এমনসব ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছে, এদেশের ইতিহাসে যার নজির নেই। অকল্পনীয় বর্বর শাসন উপহার দিয়েছেন শেখ হাসিনা। অথচ এখন এসব নিয়ে কোনো আলোচনাই নেই। সব আলোচনা তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনিশ্চয়তা নিয়ে। এখন সর্বত্র আলোচনা হচ্ছে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হবে কিনা, তৃতীয় শক্তির হস্তক্ষেপ ঘটবে কিনা, জনগণ প্রত্যাখ্যান করলেও আওয়ামী লীগ নির্বাচনে সত্যিই পরাজিত হবে কিনা এবং পরাজিত হলেও তা মেনে নেবে কিনা ইত্যাদি। অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক বলছেন, আগামীতে যাতে আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে আওয়ামী লীগকে রাজপথে নামতে না হয়, সেজন্য পোড় খাওয়া এই দলটি শেষ পর্যন্ত ৯০ ভাগ মানুষের প্রাণের দাবিটি মেনে নেবে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টির মাধ্যমে দলটি বহুবিধ সুবিধা পাচ্ছে। প্রথমত, নির্বাচনী প্রস্তুতির পরিবর্তে বিরোধী দলগুলো এখন পুরো শক্তি ব্যয় করছে আন্দোলনে। অনড় অবস্থানে থেকে আওয়ামী লীগ নির্দলীয় সরকার ইস্যুতে বাড়তি সুবিধা আদায় করে নিতে পারবে। কিন্তু সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে আওয়ামী লীগের দুঃশাসন থেকে জনগণের দৃষ্টি সরিয়ে নিতে দলটি বহুলাংশে সফল হয়েছে। শেখ হাসিনার দানবীয় শাসনের খণ্ডচিত্র প্রতিশ্রুতির বিশাল বহর দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতির কথা তারা কানেই নেয়নি, অনেক ক্ষেত্রে অস্বীকারও করেছে। শেখ হাসিনা সরকার অলীক স্বপ্ন দেখিয়ে এবং মিথ্যাচার করে জনগণকে হতাশই শুধু করেনি, অনিশ্চিত গন্তব্যে ঠেলে দিয়েছে। পরিবর্তনের স্লোগান নিয়ে ক্ষমতায় এসে তারা শুধু নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছে। পাঁচ বছরে বিরোধী দল ও বিরোধী মতের দমন, দুষ্টের লালন, গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি, চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি, দখল, হামলা-মামলা, দলীয়করণ, মিডিয়া দলনের নতুন নজির সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও নাগরিক সমস্যা চরম আকার ধারণ করেছে। জিনিসপত্রের দাম কমানোর অঙ্গীকার থাকলেও লাগামহীনভাবে বেড়েছে দ্রব্যমূল্য। দশ টাকা কেজি চাল, বিনামূল্যে সার, ঘরে ঘরে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি স্বপ্নই রয়ে গেছে। বাংলাদেশের সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে পেঁয়াজের কেজি হয়েছে ১২৫ টাকা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে অপহরণ, গুম, গুপ্তহত্যা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের এই আমলে গুমের ঘটনা ভয়ঙ্কর আতঙ্ক হিসেবে দেখা দেয়। বিএনপির সম্ভাবনাময় নেতা ইলিয়াস আলীর গুম ও শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলামের গুপ্তহত্যাও ছিল এ সরকারের একটি ভয়ঙ্কর অপকর্ম। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর হিসাব অনুযায়ী, এ সময় দেড় শতাধিক ব্যক্তি গুম হয়েছেন। রিমান্ডের নামে আওয়ামী বর্বরতা আইয়ামে জাহিলিয়াতকেও হার মানিয়েছে। নরসিংদীর আওয়ামীপন্থী মেয়র লোকমান হোসেন এবং নাটোরের বড়াইগ্রামের বিএনপিপন্থী উপজেলা চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ নূর বাবুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। দুর্নীতি ও লুটপাট এমন পর্যায়ে গেছে যে, সেটা এখন আর দেশের মানুষ এবং বির *abc*
Posted on: Sun, 03 Nov 2013 03:57:33 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015