[IS,TG,F28] বিভিন্ন চ্যানেল এবং ভাদা বাম-লীগারদের উপর যে হামলা হচ্ছে তা যদি সত্যি সত্যি বীর আন্দোলনকারীরা করত তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই কারন গত ৫ বছর ধরে বাম-লীগাররা যত অপকর্ম করেছে তার যোগ্য সহযোগী এসব মিডিয়া। গত ৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ যতসব অপকর্ম করেছে সবকিছুর গ্রাউন্ড প্রস্তুত করা এবং অপকর্মের পর সেটাকে বৈধতা দেওয়ার কাজ করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসী নিয়ন্ত্রিত এসব ২০-২২ টি মিডিয়া। কিন্তু বাস্তবতা হলো তাদের উপর যারা এসব ককটেল বিস্ফোরন ঘটাচ্ছে তারা হল সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা। আর র এর পরামর্শে এসব করা হচ্ছে। কেন? (১) ভাবুন, কাদের উপর হামলা হল? ভাদা লীগার সুরঞ্জিত , শফিক, ভাদা বিচারপতি এস কে সিনহা, ভাদা টিভি একাত্তর ও দেশ টিভি। এরা সবাই বাংলাদেশে র এর পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তি করে। এসব ককটেল হামলা নাটক করে র তার এজেন্টদের অগ্রিম নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে। (২) উদ্দেশ্য শুধু এই একটা নয়। এসব হামলা নাটকের মাধ্যমে বাম-লীগ দেশবাসীকে দেখাতে চাচ্ছে যে বেছে বেছে যুদ্ধাপরাধ বিচারের সাথে যারা সংশ্লিষ্ট তাদেরকেই টার্গেট করা হচ্ছে। আর এসব করছে তারা বিদেশী কুটনীতিকদের মিসগাইড করার জন্য যাতে করে তাদের বিএনপিসহ বিরোধী জোট জংগী, সন্ত্রাসী বানানোর প্রপাগান্ডাকে প্রতিষ্ঠিত করা যায়।পাশাপাশি এটা বলা যায় যে, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্যই এসব করা হচ্ছে। (৩) অনেক আগ থেকেই বলে আসছি ক্ষমতা ছাড়ার পর বাম-লীগ ভবিষ্যতে যত অপকর্ম করবে তার শতকরা ৮০% করবে এই মিডিয়ার মাধ্যমে।তাই তারা এই মিডিয়াগুলোর প্রতি মানুষের সহানুভুতি বাড়াতে এসব হামলা করছ। (৪) Attention please. মুল আশংকার জায়গাটা হলো এসব ছোটখাট ককটেল হামলা করে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র হয়ত বাংলাদেশে বড় ধরনের কোন রাজনৈতিক হত্যাকান্ড ঘটানো বা বড় ধরনের কোন স্যাবোটেজ করার গ্রাউন্ড তৈরী করছে যাতে করে আন্দোলনের মোড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া যায় এবং পাবলিক সেন্টেমেন্ট বাম-লীগের পক্ষে আনা যায়। মনে আছে, লেবাননে রফিক হারিরির রাজনৈতিক হত্যাকান্ড , পাকিস্তানের বেনজির ভুট্টো বা তিউনিশিয়ায় বাম নেতা হত্যার কথা? এসব হত্যাকান্ডের পর পরই সেসব দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলে যায়। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সামনে যখন কোন বিকল্প থাকেনা তখন ভয়াবহ কোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তারা সবসময় দেশে দেশে রাজনৈতিক হত্যাকান্ড ঘটায় আর দোষ চাপায় অন্যের কাঁধে। আর ইতিহাস বলে, এই ধরনের রাজনৈতিক হত্যাকান্ড ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র বহুবারই করেছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া হত্যা, ২১শে আগস্ট বোমা হামলাসহও ছিল র এর রাজনৈতিক কিলিং মিশন এর অংশ । এই কাজে তারা খুব পারদর্শী। তাই হাসিনাকে একদম সময় দেওয়া যাবেনা। আন্দোলন দ্রুত ও বেগবান করে ফসল ঘরে তুলতে হবে। ভাবুন। চোখ বুঝে ভাবুন। সব ক্লিয়ার হয়ে যাবে। তবে এসব চক্রান্তমুলক নাটক করে কোন লাভ হবেনা কারন শেষ পর্যন্ত এসব নাটক তাদের জন্য বুমেরাং হয়ে যাবে। হ্যালো ভাদা বাম-লীগ, শুনুন। রাস্তাঘাটে মানুষ কি বলছে? মানুষ বলছে , মিডিয়ায় বোমা মেরেছে বেশ হয়েছে কারন ওগুলো এক একটা শয়তানের আড্ডাখানা। মানুষ বলছে শফিক, সুরঞ্জিতকে মেরেছে ভালই হয়েছে কারন ওগুলো সব ভারতের দালাল। তাছাড়া আন্দোলনকারীদের মাথা এত খারাপ হয়নি যে ককটেলের মত এক ফটকাকে তারা এসব মস্তবড় শয়তান মারতে ব্যবহার করবে? তাই ককটেল ককটেল যে খেলা শুরু হয়েছে সেটা বাম-লীগের জন্য সুখকর হবেনা। নিশ্চয়ই শয়তানের চক্রান্ত অত্যন্ত দুর্বল।।
Posted on: Sat, 26 Oct 2013 19:28:12 +0000
Trending Topics
Recently Viewed Topics
© 2015