~~ My Real Travel Successor Story in BHUTAN. একটা - TopicsExpress



          

~~ My Real Travel Successor Story in BHUTAN. একটা জীবন সফলতার গল্প বলছিঃ ছোট বেলা থেকেই দেশ-বিদেশে ভ্রমন আমার একটা অন্যতম শখ। এই শখ পূরনের ইচ্ছাটা আরও প্রবল বেগে বেড়ে যায় বিদেশী একটা মোবাইল কোম্পানীতে চাকুরির সুবাধে মানে এনুয়্যাল লিভ, অফিশিয়াল কাজের সুযোগ পেলেই আর কথা নাই, আমাকে কে আর পায় হাতের নাগাল। তো আসল কথায় চলে যাই-২০১৩ সালের কথা, সামনে ঈদ। আমিও ভুটানে ঈদের ছুটিতে বেড়াতে যাচ্ছি। অবশ্য এর আগে আরো ২ বার গিয়েছিলাম কিন্তু ওই যাওয়াটার অনুভুতি অন্যরকম, এবারের ভ্রমন টা একটু আলাদা করে ভেবে নিলাম কি করা যায়? কারন জীবনের সব কিছুতেই একটা পরিকল্পনা, টারগেট থাকতে হয়। আর এটাই জীবনের একটা ব্যাতিক্রম কিছু বয়ে আনে। এটাই হয়ে ছিল। আজকে প্রকাশের মধ্যে সেই আনন্দটা শেয়ার করছি আপনাদেরকে যারা আমাকে সত্যিকার ফেসবুকে বন্ধু বলে ভাবেন। ঈদের ছুটি সেদিন ছিল সম্ভবতঃ রবিবার সরকারি ছুটির দিন । ঢাকা থেকে মাত্র এক ঘন্টার যাত্রা বাই এয়ার। শুধু মাত্র ড্রুক এয়ার লাইন্স ভুটানে যাওয়ার পারমিশন আছে কেননা হিমালয় আচ্ছাদিত চারিদিক পাহাড় পর্বত বেষ্টিত যেখানে একমাত্র স্পেশাল পাইলট প্লেন অবতরন করতে পারে। যথানিয়মে ভুটানে অবতরন করলাম। চারিদিকে পাহাড় পরিমনন্ডলে আচ্ছাদিত সবুজের সমারোহ, উজ্জ্বল সূর্যের আকাশ যেন পাহাড় ছুঁয়ে কুর্নিশ করে নতুন অথিতিদেরকে বরণ করে নিল। প্লেন থেকে নেমে সরাসরি ট্যাক্সি নিয়ে ১৫/২০ মিনিট ধরে এব্রো থেব্রো পাহাড়ের উচু-নিচু পথ যা মনকে দোলা দেয়।আমাদের দেশের পার্বত্য চট্যগ্রামের রাঙ্গামাটির সেই মন ভোলানো পথ মনে করিয়ে দেয়। ভুটানের পারতে টেক্সি থামলো। সুন্দর একটা হোটেলে অবস্থান করলাম। দুপুর গড়িয়ে পড়ন্ত বিকেল । বিকেল হলেই শীতের সন্ধ্যা যেন মাঘের শীতের কথা স্বরণ করিয়ে দেয় ।সারাদিন প্রচন্ড কাঠফাটা রোদের গরম আর রাতেই নেমে আসে শীত। সারাদিনের ক্লান্ত শরীর পা যেনো একটুও আর চলেনা। তাই পড়ন্ত বিকেলে হাক্লা করে একটু হোটেলের বিছানায় একটু ঘুমিয়ে নিলাম । ঘুম থেকে উঠে হাত-মুখ ধুয়ে বিকেলের নাস্তা সেরে আগের পরিচিত পুরনো বন্ধু বান্ধব্দের হোটেলে আসার জন্য টেলিফোনে অনুরোধ জানালাম। ফোন পেয়ে সবাই দেখি সদলবলে চলে আসছে ।আমার কিন্তু পৃথিবীর বাচ্চাদের সাথে অনেক শখ্যতা অনেকদিনের কাজের তাগিদে।তার ও একটা বিরাট কারন আছে, আমি অনেক বছর ধরে বেদেশী শিশু ইন্টারন্যাশনাল এঞ্জিওর সাথে কাজ করছি অনেক আগ্রহ ভরে সেই সুদূর অজানা অচেনা অন্যরকম সাংস্কৃতি অন্য মহাদেশ আফ্রিকা উগান্ডা,রুয়ান্ডা,কংগো,তাঞ্জানিয়া,বুরুন্ডি। শিশুদের জন্য আমার একটা আলাদা দরদ আছে। অনেক দারুন মজার মূহুর্ত আমি উপলব্ধি করি । ওদের সাথে সে অনেক গল্প...যেন বাংলাদেশের কাহিনী শোনার জন্য একদম আগ্রহে ব্যাকুল ভুটানী শিশুরা। এ এক নতুন পৃথিবী, এক অবাস্তব ভাল লাগার দিন ক্ষন। আমার পুর্ব পরিচিত ভুটানী শিশুরা তাদের মায়ের পারমিশন নিয়ে সরাসরি আমার হোটেলে চলে আসছে তাদের বন্ধুকে দেখার জন্য।আমাকে আবার ওদের কাছে পেয়ে ভীষণ খুশীতে আত্মহারা। অনেক্ষন গল্প আর আনন্দের ভিতর কতটা সময় পেরিয়ে অনেক রাত । ওরা চলে গেল ওদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে আগামীকাল আবার আসবে। রাতের ভুটানী খাবার খেয়ে কিছুটা আগামি দিনের প্লান্টটা ঠিক করে শীতের চাদরে নিজেকে ঢেকে শুয়ে পড়লাম বিছানায় । ভাবছি কালকের সোনালী দিনটার সুন্দর সময় নিশ্চই ভাল কেটে যাবে। (এই কাহিনীটি ক্রমশঃ চলতে থাকবে ধারাবাহিক ভাবে পড়তে ভুলবেন না যেনো কেউ। )
Posted on: Sun, 05 Oct 2014 17:47:11 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015