RIDHIMA Series - Birth day special (part 5) ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~ হৃদিঃ শুভ জন্মদিন স্যার । রিজভীঃ হুম । হৃদিঃ এতক্ষণ কোথায় ছিলেন জানতে পারি ? রিজভীঃতোমার জন্য হোয়াই হাউস কিনতে গেছলাম। হৃদিঃ তো কিনতে পারছেন ? রিজভীঃ অনেক চেষ্টা করেছি। সালা বারাক ওবামা বদ একটা, কোন মতেই রাজি হুয় না। হৃদিঃথাক। খুব বীরপুরুষ। রিজভীঃসত্যি তাই। পৃথিবীর কাছে আমি একজন মহাবীর, কেবল তোমার কাছে এলেই দুধের শিশু,কেবল তোমার কাছে এলেই ফুটপাতের ভিখারি, এক টাকা, দু টাকা কিংবা এক টুকরো পাউরুটির বেশী আর কিছু চিনিয়ে নিতে পারিনা। হৃদিঃ মিথ্যুক । রিজভীঃকেন? হৃদিঃসেদিন আমার শাড়ি ধরে কে টান মেরেছিল ? রিজভীঃ হতে পারে।। ভিখারিদের কি ডাকাত হতে ইচ্ছে করবে না একদিনও? হৃদিঃ আচ্ছা যাও। আমাকে কেমন লাগছে বলবে না ? রিজভীঃ ভাল। হৃদিঃ শুধু ভাল ? রিজভীঃ কোন ব্রাহ্মণ যদি তোমাকে এই অবস্থায় দেখে ফেলে নির্ঘাত দেবী মনে করে পূজা করা শুরু করবে। হৃদিঃআর কি ? রিজভীঃতোমাকে দেখলেই পা ছুয়ে প্রণাম করতে ইচ্ছে করে। হৃদিঃমজা করছ ? রিজভীঃআররে না। তুমি এত্ত সুন্দরি এক্তা মেয়ে, তুমি যদি কোন ছেলেকে গিয়ে বল "গরু না আকাশে উড়ে ? " ঐ ছেলে তো দেখবে লিফ লেট বিতরণ করা শুরু করবে, গরু আকাশে উড়ে গরু আকাশে উড়ে। হৃদিঃশুধু চাপা মার । রিজভীঃচাপা না। তুমি হাসলে ইচ্ছে করে তোমার ট্রুথ ব্রাশ হয়ে যেতাম, কখন তোমার মুখের এদিক দিয়ে যেতাম কখন ওদিক দিয়ে যেতাম। হৃদিঃউফফফ । রিজভীঃসত্যি বলছি। দা ভিঞ্চি এক্তা আস্ত বোকা । শুধু শুধুই মোনালিসার ছবি আঁকতে গিয়েছে। তার চেয়ে বরং তোমার ছবি আঁকত। যুগে যুগে কত্ত ছেলে যে ঐ ছবি দেখে পাগল হয়ে লেংটা লেংটা ঘুরত। হৃদিঃতুমি যে একটা বিকৃত মস্তিষ্কের অধিকারী এটা কি তুমি বুঝ ? রিজভীঃপৃথিবীর সবাই বিকৃত মস্তিষ্ক হতে অনেক কিছু চিন্তা করে। আমি সেই সব কিছু প্রকাশ করি সবাই তা প্রকাশ করে না। হৃদিঃ চুপ একদম চুপ। রিজভীঃ হৃদি, একটু দেখাবা ? হৃদিঃ কি দেখাব ? রিজভীঃ না না। আমার জন্য কি গিফট আনলে ওটা দেখাবা ? হৃদিঃদেখ। রিজভীঃ এত্ত বড় বড় কেন ? হৃদিঃকি এত্ত বড় বড় ? রিজভীঃ না না। গিফটটা এত্ত বড় কেন ? হৃদিঃআমার সাথে ডাবল মিনিং কথা একবারে বলবে না। রিজভীঃ তাহলে কার সাথে বলব ? হৃদিঃ আমি কি করে বলবো কার সাথে বলবে !!!! রিজভীঃ না মানে তোমার কাছে কোন সাজেশন আছে কিনা তাই বললাম । হৃদিঃ সত্যি সত্যি আমি তোমাকে খুন করবো !!!!! রিজভীঃ কোন দিন করবা ? হৃদিঃ আজই করবো । রিজভীঃ দিনে না রাতে ? হৃদিঃ রাতে । রিজভীঃআজ রাতে তো আমি একটু বিজি থাকব। এক কাজ কর তুমি আগামীকাল আস। আরাম করে খুন কইরো। হৃদিঃতুমি একটা উন্মাদ !!! রিজভীঃ জানি। হৃদিঃ উফফ। । আমি চলে যাচ্ছি । রিজভীঃ আচ্ছা তোমার কাছে কি একটা কলাম হবে ? হৃদিঃ কলম দিয়ে কি হবে ? রিজভীঃ R+R লিখব। । হৃদিঃ তোমার মাথা লিখ । রিজভীঃ বাংলায় লিখব নাকি ইংলিশে ? হৃদিঃতোমার যা ইচ্চা কর । রিজভীঃ তাহলে একটা কিস করি ? হৃদিঃ দিন দিন নির্লজ্জ হচ্ছ । রিজভীঃ দিন দিন নির্লজ্জ করছ । হৃদিঃ আমি যে তোমাকে অসম্ভব পছন্দ করি সেইটা কি তুমি জান ? রিজভীঃ না জানতাম না। এখন জানলাম। হৃদিঃ আমি নিজেও জানতাম না। আমি কখন জানলাম জান ? রিজভীঃ কখন ? হৃদিঃ যখন থেকে তুমি আমাকে গুরুত্ব দেওয়া বন্ধ করে দিলে তখন থেকে । রিজভীঃ ও । হৃদিঃ জান আমার না সেই দিন খুব কান্না পেয়েছিল, কিন্তু কাদিনি। রিজভীঃ ওয়াক থু । হৃদিঃ ওয়াক থু কেন ? রিজভীঃ আমার মত একটা পাগলের জন্য তুমি কান্না করার কথা বলছ তাই। হৃদিঃ তুমি কি সব সময় এমন ফানি ভঙ্গি তে কথা বল ? রিজভীঃ চেষ্টা করি । কিন্তু সব সময় পারি না। হৃদিঃ রিজভি তুমি না এখন আগের মতই রয়ে গেলে, পাগলাটে। সেই প্রথম তোমাকে যেই দিন দেখেছিলাম, আর আজকে; এ দুয়ের মাঝে কোন পার্থক্য খুজে পাই না। রিজভীঃ সেই খুজে পাওয়ার অধিকার তুমি অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছ। হৃদিঃ তা আমি নিজেও জানি। তুমি আমাকে নিয়ে অনেক বাজে কথা লিখ । কিন্তু আমি তাতে কষ্ট পাই না । শুধু একটা কথা জানিয়ে দাও, আর কোন দিন তোমার কাছে কিছু জানতে চাইবো না । রিজভীঃ কি কথা ? হৃদিঃ তুমি কি আমাকে এখন ভালবাস ? রিজভীঃ বাসায় ফিরে যাও হৃদি । তোমার স্বামী হয়ত অপেক্ষা করছে। উৎসর্গ ঃ হৃদি, জয় ভাই, নিখিল, রকিব, অরণ্য,হৃদয় ( এম্মা ), হাসিব, জান্নাত, জয়নুল, সোহেল, শহীদ।
Posted on: Thu, 20 Jun 2013 16:34:41 +0000