অনেক বলতে পারেন, - TopicsExpress



          

অনেক বলতে পারেন, ইসরায়েলের সাথে কি আমরা পারব ?আমাদের কি সেই শক্তি আছে ? সমস্যা ইসরায়েলের সাথে “পারা” নয়, সমস্যা আমরা আসলে ইসরায়েলের সাথে পারতে চেষ্টা করেছি কিনা ? মুসলিম বিশ্বের কোন শাসক কি honestly চেষ্টা করেছে জেরুসালেমকে মুক্ত করার ? আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের মাধ্যমে এই মুসলিম উম্মাহকে বোঝানো হয়েছে “Israel is invincible”। কিন্তু বাস্তবতা হল, কোন শাসক কখনই ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার চেষ্টা করেনি, বরং তারা সীমিত উদ্দেশ্যে যুদ্ধ করেছে। ১৯৭৩ সালের যুদ্ধে মিশর এগিয়ে থাকলেও তৎকালীন শাসক আনোয়ার সাদাত “শান্তি প্রক্রিয়া”র দিকে হাত বাড়িয়ে দেয় জেরুসালেম মুক্ত করার বিন্দুমাত্র চেষ্টা না করে, সে যুদ্ধে প্রথম দুদিনেই ইসরায়েলের ৫০০ ট্যাংক এবং ৪৯টি এয়ারক্রাফট ধংস হবার পরেও। ইসরায়লের সাথে মোকাবেলা করার সামরিক শক্তি মুসলিমদের নেই এটা একটা বাজে কথা। সামরিক খাতে ১৫টি মুসলিমদেশের মোট বাজেট ১৭৯ বিলিয়ন, আর ইসরায়েলের ১১বিলিয়ন। মিলিটারির সংখ্যা ৭৫গুণ বেশি। এর পরেও কেউ ইসরায়েলের সাথে তাদের বন্ধুত্বে চিড় ধরায়নি। এই মুসলিম শাসকেরা বড় বড় ডায়ালগ দিয়ে উম্মাহর আবেগকে কাজে লাগিয়েছে, ইসরায়েলকে রেখেছে অক্ষত। যেমন তুরস্কের এরদোগান, ,মুখে তিনি বলেন, “এক প্যাকেট টমেটো পর্যন্ত ফিলিস্তিনে পাঠাতে পারছিনা, কি অমানবিক !”। আবার সে এরদোগানরাই নির্লজ্জের মত বলেন,”Today Turkey is interested in most of the subjects in the world that the USA is interested in. We share a common vision in a very broad spectrum from Afghanistan to Iraq, Palestine, and Balkans. But most importantly we are in a concrete cooperation.” এই তুরস্ক হল সে দেশ যেটি সর্বপ্রথম একটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হিসেবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়। আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত তুরস্কের সামরিক খাতে ৪৫ বিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়, ইসরায়েলের চারগুণ। আরো আছে সৌদি আরব। তাদের যাবতীয় খরচের জায়গাপাতিতে আছে ভাঙ্গা মসজিদ পূননির্মাণ, আছে কুরআন প্রিন্টিং প্রেস, আছে রাজা বাদশাহদের বাগান, যা নেই তা হল ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার জন্য সামরিক বাজেটের সদিচ্ছা। খুব আধুনিক না হলেও তাদের বাজেট ৫৪ বিলিয়ন ডলার, ইসরায়েলের ৫গুণ। এই দেশটি তাদের সরকারি আলিমদেরকে দিয়ে দুআ করানো ছাড়া আর কিছু করেছে বলে ইতিহাসে কিছু পাওয়া যায় না। মিশরের মোবারক খুব পরিষ্কার করে বলেছিল, মিশরের সেনাবাহিনী শুধু মিশরকে রক্ষা করবে, অন্য কারও প্রতি তাদের দায়িত্ব নেই। যারা জিওপলিটিক্স সম্পর্কে খোজ খবর রাখেন তারা জানেন ইসরায়েল দেশটি পুরোপুরি তার পার্শ্ববর্তী মুসলিম দেশগুলোর সাহায্যের উপর নির্ভরশীল। ইসরায়েলের সবকিছু আমদানি হয় পানিপথে, সেটা আসে মিশর, তুরস্ক, সিরিয়া হয়ে। তাদের তেল আসে তুরস্ক আর সৌদি আরবের হাত ঘুরে। মিশর আর জর্ডান-উভয়ে পারলেও ইসরায়েল কে land block করে না। আকাশপথ ব্যবহারের সুযোগ তো আছে এবং এই সবগুলো সুবিধা দেয়া হয়েছে চুক্তি করে।
Posted on: Fri, 11 Jul 2014 15:15:27 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015