অন্ধকার রুম,প্রশান্তির - TopicsExpress



          

অন্ধকার রুম,প্রশান্তির শেষ মুহূর্তটুকু পার করে একি চাদরে জড়িয়ে আছে দুটি দেহ।আনিকাকে ফিস,ফিস করে বলে ইমরান Will you marry me। -- বুদ্ধু,খাটাস,বোকা,হাদারাম এভাবে কেউ প্রপোজ করে।যাও উঠো এখন।ফ্রেশ হয়ে বাইরে গিয়ে,ফুল নিয়ে এসে হাটু গেড়ে বসে প্রপোজ করবা। = বাইরে যেতে হবে না লক্ষিটি,ফুল আছে এই রুমেই। প্রপোজ পর্ব সেরে,খুনসুটিতে জীবনের সব চেয়ে আনন্দের রাত পার করে দুজনে। ইমরানের বন্ধু আনান।ইমরানের সব কাজ আনানকেই করতে হয়।টাকা,পয়সা,ব্যাংকের লেনদেন সব কিছুই।বড় বিশ্বাসের সাথে পালন করছে দায়িত্ব গুলা। ৩ বছর আগে ব্যাংকে ইমরানের সই করা চেক নিয়ে যায় টাকা তুলতে।।ব্যাংকে নতুন চাকরি প্রাপ্ত একটা মেয়ের মাধ্যমেই টাকা তুলছে।মেয়েটাকে দেখে ভাল লেগে যায় আনানের।একটা সত্য কথা,যার চোঁখে যাকে ভাল লাগে,সেই হয়ে যায় পৃথিবীর স্রেষ্ট সুন্দর নারী।মেয়েটার রূপের প্রশংসা আনানের মন দিয়ে করলে এক কথায় অসাধারণ।তিন বছর ধরে আনান কারনে,অকারনে ছোট কাজ হলে ও ব্যাংকের দিকে ছোটে।মেয়েটাকে দেখার জন্যে।চোঁখের ভাষা দিয়ে বুঝাতে চায় কিছু।কিন্তু মেয়েটা বুঝে ও কেন জানি না বুঝার ভান করে।কখনো সাহস করে কিছু বলা ও হয়ে ওঠেনা আনানের। একদিন আনানের অনুপস্থিতিতে জরুরী প্রয়োজনে টাকা তুলতে ব্যাংকে আসে ইমরান।দেখেই ভাল লেগে যায় মেয়েটাকে।ইমরান আনানের মত লাজুক ছেলে নয়।প্রথম দিনেই কাজ ব্যাথিত কিছু কথা বলে নেয়।এর পর থেকে আর আনানকে না পাঠিয়ে নিজেই আসে ব্যাংকে। একদিন আনান ওর প্রিয় রেস্টুরেন্টে বসে আছে।হঠাৎ পাশের টেবিলেই শুনতে পায় পরিচিত গলার আওয়াজ।তাকিয়ে দেখে ইমরানের পাশে ব্যাংকের সেই মেয়েটা বসে হেসে,হেসে কথা বলছে।আনানকে দেখে ডাক দেয় ইমরান। = এ হচ্ছে আমার প্রাণ প্রিয় বন্ধু আনান। আর আনান তকে বলেছিলাম না,এই সেই আনিকা। আনানের চোঁখ কেমন জানি ব্যাথ্যায় ভরে ওঠে।অনেক কষ্ট হয় বুকের বাম পাশে।চোঁখ ফেটে বেড়িয়ে আসতে চায় অশ্রু।অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে আনিকার চোঁখে।নিজেকে আপাতত সামলিয়ে নিয়ে,পরিচয় পর্ব সেরে বিদায় নেয় ওদের কাছ থেকে। আনিকা এত অল্প সময়ের রিলেশনে বিয়ে করতে যাচ্ছিস।আর তর ঐ মায়াবি দৃষ্টির ছেলেটার কি হবে রে। কি যে বলিস শুভা,আমি তো ইমরান মানুষটাকে জানি মাত্র এক মাস।কিন্তু আমার ব্যাংকে ওর একাউন্টটাকে জানি ৩ বছর ধরে।আর এই এক মাসেই ইমরানকে অসাধারন মনে হচ্ছে।দেখতে সুন্দর,স্মার্ট,পয়সা ওয়ালা আর কি চাই।আর ঐ ছেলেটার প্রতি মায়া হয় রে।সব দিক থেকেই ছেলেটা ঠিক ছিল।ভেবেছিলাম ৩ বছর বেচারাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি,আর দেব না।লাজুক ছেলেটার লজ্জা ভেঙ্গে দেব।আমাকে ভাল ও বাসত অনেক।কিন্তু ভালবাসা দিয়ে কি জীবন চলে।ও তো অন্যজনের চাকর।ভাগ্য ভাল ওকে কিছু বলার আগেই ইমরানের দেখা পেয়েছি। কথা গুলা ফোনে অন্য পাশ থেকে শুনেই চমকে যায় ইমরান।আনিকার অজান্তেই ইমরানের কল রিসিভ হয়ে যায়। জীবনে অনেক লোভী মেয়ে দেখেছে ইমরান।কিন্তু এমন লোভী মেয়ে দেখেনি যে সত্যিকারের ভালবাসা ছেড়ে দেয় টাকার লোভে।এমনিতেই ইমরান ওকে বিয়ে করত না।বিছানার সংগি করতেই নাটক করে কিছু দিন। লোভে পাপ,পাপে মৃত্যু।আমাদের সমাজে অনেক মেয়েই একটু সুন্দর হলে পয়সাওয়ালা,বা ইউরোপিয়ান ছেলেকে বিয়ে করতে চায়।অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এদের ক্যারেক্টার লুজ থাকে।আর লোভের কারনে মেয়েরা এদের পেছনে ঘুড়,ঘুড় করতে থাকে।প্রাক্তন প্রেমিক থাকলে ও ছাড়তে দ্বিধা বোধ করেনা। মনে রাখবেন উপরের লেভেলের ছেলেরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই,আপনাকে শরীর লাল করা বস্তু ছাড়া কিছুই ভাববে না।ভাগ্যক্রমে জীবন সাথী হিসাবে পেয়ে গেলে ও সেই সম্মান কখনই পাবেন না।যে সম্মান আপনি পেতেন,আপনাকে মনের গভীর থেকে চায় যে ছেলেটা তার কাছ থেকে।ভার্চয়াল দুনিয়ায় ও দেখা যায়,আপনি সেলিব্রেটির পোষ্টে গিয়ে লাভের ইমো দেন।অথচ সে আপনার কমেন্ট চোঁখে ও দেখে না।আর সাধারণ আইডি থেকে ভাল কিছু লিখলে,কমেন্ট করলে বা কোন ধরনের সাহায্য চাইলে আপনার রেস্পন্স পাওয়া যায় না। বিঃদ্রঃ সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না। লিখাঃ Ali Mohammed
Posted on: Thu, 20 Nov 2014 05:57:23 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015