অর্থনৈতিক মন্দা: ৭৪ - TopicsExpress



          

অর্থনৈতিক মন্দা: ৭৪ সিমেন্ট কারখানার ৩২টি বন্ধ দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগে আস্থাহীনতাসহ শিল্প-বাণিজ্যের অঙ্গনে নানাবিধ কারণে সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা। এর জেরে প্রবল হচ্ছে অর্থনৈতিক মন্দা। বিনিয়োগকারীরা আস্থা পাচ্ছেন না। ব্যবসায়-বাণিজ্যে বিরাজ করছে মন্দাবস্থা। মানুষের হাতে টাকা নেই। বড় বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি এবং ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজিসহ নানাবিধ কারণে দেশের অর্থনীতিতে যাচ্ছে চরম দুর্দিন। নতুন নির্মাণকাজ তো নেই-ই, অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে হাজার হাজার তৈরি ফ্ল্যাট। ফলস্বরূপ সম্ভাবনাময় সিমেন্ট শিল্প খাতেও সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা। দেশের ৭৪টি সিমেন্ট কারখানার মধ্যে চালু আছে মাত্র ৪২টি। একে একে বন্ধ হয়ে গেছে ৩২টি কারখানা। চাহিদা কম থাকায় চালু কারখানাগুলোও উৎপাদনক্ষমতার পুরোটা কাজে লাগাতে পারছে না, বন্ধ থাকছে দিনের বেশির ভাগ সময়। ফলে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে এ খাতের হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ। একাধিক কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায়, সম্পূর্ণ বিদেশি কাঁচামালনির্ভর সিমেন্ট একটি পুঁজিঘন শিল্প। তা ছাড়া বিশ্ববাজারে প্রযুক্তিগত উন্নতির সাথে তাল মিলিয়ে দেশি কারখানাগুলোয়ও প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিনিয়োগ করতে হয়। কিন্তু উৎপাদনক্ষমতার পুরোটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হওয়ায় বেশির ভাগ কারখানায়ই নতুন বিনিয়োগ তো দূরের কথা, দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহ করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলস্বরূপ ছোট কারখানাগুলো একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ক্ষেত্রবিশেষে বড় কোম্পানিগুলো ছোটগুলোকে কিনে নিচ্ছে নামমাত্র মূল্যে। অনুসন্ধানে জানা যায়, চাহিদা কমে যাওয়ায় এবং উৎপাদনখরচ বেড়ে যাওয়ায় আয়-ব্যয়ের সামঞ্জস্য বিধানে ব্যর্থ হয়ে অনেক উৎপাদনকারীর পক্ষে সিমেন্টের মান বজায় রাখাই কঠিন হয়ে পড়েছে। সিমেন্টের প্রধান দুটি উপাদান কিংকারের পরিমাণ কমিয়ে কস ফার্নেস স্লেট, লাইমস্টোন ও ফাই অ্যাশের ব্যবহার বাড়িয়ে দিচ্ছে অনেক কোম্পোনি। এতে উৎপাদিত পণ্যের গুণাগুণ কমে যাওয়ার পাশাপাশি আশঙ্কা দেখা দিয়েছে এসব সিমেন্ট দিয়ে নির্মিত স্থাপনার স্থায়িত্ব নিয়েও। বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি টন কিংকারের দাম বর্তমানে ৫০ থেকে ৫২ ডলার। অন্য দিকে ফাই অ্যাশের দাম মাত্র ৮ থেকে ১০ ডলার। বিএসটিআইর পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ ফাই অ্যাশ ব্যবহারের অনুমোদন থাকলেও এত দিন প্রতিযোগী কোম্পানিগুলোর চেয়ে ভালো অবস্থানে থাকতে অনেকে ফাই অ্যাশ, লাইমস্টোন, ফার্নেস স্লেট প্রভৃতি কম দিয়ে অধিক পরিমাণে কিংকার ব্যবহার করতেন। কিন্তু আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে ব্যর্থ হয়ে অনেকে বর্তমানে কিংকারের ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। উৎপাদিত সিমেন্টের উন্নত মান নিশ্চিত করতে যেখানে ৯৫ শতাংশ কিংকারের ব্যবহার প্রয়োজন সেখানে কোনো কোনো কোম্পানি মাত্র ৬০ ভাগ কিংকার দিয়ে উৎপন্ন সিমেন্ট বাজারে ছাড়ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
Posted on: Sun, 26 Oct 2014 10:08:00 +0000

Recently Viewed Topics




© 2015