আগামীকাল থেকে শুরু হতে - TopicsExpress



          

আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা। শেষ মুহূর্তে শেষবারের মত কিছু প্রয়োজনীয় উপদেশ ও এমন কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য যা হয়তোবা সবাই জানে নাঃ (১) পরীক্ষার হলে একটু আগে আগে চলে যাবে। কারন মূল পরীক্ষা শুরুর প্রায় ১ ঘন্টা আগে পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র প্রদান করা হয়। উত্তরপত্রের নির্দিষ্ট স্থান সতর্কতার সাথে পূরন করার জন্য এই সময়টা দেওয়া হয়। ধীরে-সুস্থে অন্যদিকে কোন দিকে মন না দিয়ে কারও সাথে কথা না বলে fully concentration নিয়ে নির্দিষ্ট উত্তরপত্র পূরন করবে। উত্তরপত্র দেওয়ার পর পরীক্ষক তোমাদেরকে বিস্তারিত নিয়ম বুঝিয়ে দিবে কিভাবে কোথায় পূরন করবে। আগে সেসব কথা মন দিয়ে শুনবে পরে পূরন করবে। আর উত্তরপত্র পূরনে কোন সমস্যা হলে পরীক্ষকের থেকে জিজ্ঞেস করবে, পাশের জনের সাথে কথা বলবে না, কারন পরীক্ষকই তোমাকে সঠিক নিয়ম জানাতে পারবে, তোমার পাশের পরীক্ষার্থী তোমার মতই একজন। (২) আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিগত কয়েক বছরে রোল নাম্বার অনুসারে সিট প্ল্যান করা হয়নি। যে যার ইচ্ছা মত জায়গায় বসতে পারে। দাড়াও দাড়াও, এটা শুনে এত খুশি হয়ও না, আগে পুরো কথা শোনো। প্রতিটা পরীক্ষার হলেই পরীক্ষক শিক্ষকবৃন্দ এসে তাদের ইচ্ছামত সারি-কলাম চেঞ্জ করে দেন। মানে, প্রত্যেক ছাত্রকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সরিয়ে অন্য জায়গায় বসিয়ে দেয়। সুতরাং বন্ধুর পাশে বসে দেখাদেখি করে পরীক্ষা দেওয়ার কোন চান্স এখানে নেয়। এরপরও কাউকে তার পাশের জনের সাথে কথা বলতে দেখলে তাকে অন্যত্র সরিয়ে দেয়। অনেক ক্ষেত্রে পরীক্ষক বদমেজাজী গোত্রের মানুষ হলে উত্তরপত্র নিয়ে পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেয়, কিংবা ১৫-২০ মিনিটের জন্য উত্তরপত্র জমা নিয়ে রেখে দেন। (৩) পরীক্ষার হলে যাদের ক্যালকুলেটর লাগবে তারা ২টি ক্যালকুলেটর নিয়ে যাবে। তোমাদের অনেকেই 991 ES, 557 ES এসব ক্যালকুলেটর ব্যবহার নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে দেখা যায়। আমি আবারো বলছি প্রোগ্রামেবল ক্যালকুলেটর ও সীমযুক্ত ক্যালকুলেটর ছাড়া যেকোনো ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে। আমি নিজে 991 ES আর 991 MS এই ২টা ক্যালকুলেটর নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছিলাম। প্রধানত ব্যবহার করেছিলাম 991 ES. (৪) প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পরীক্ষার হলে মনে করে নিয়ে যাবে- এইচএসসি পরীক্ষাল মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড (ফটোকপি প্রযোজ্য নয়), এটেস্টেড করা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি (ছবির পিছনে নাম রোল লিখে বিসিএস ক্যাডার বা ফার্স্ট ক্লাস গেজেটেড অফিসার কর্তৃক এটেসটেডকৃত), এবং অবশ্যই ভর্তি পরিক্ষার আডমিট কার্ড ২কপি (রঙিন প্রিন্ট হওয়া উত্তম)। (৫) অবশ্যই হাতঘড়ি নিয়ে যাবে। পরীক্ষার হলে টাইমিং অনেক বড় একটা ফ্যাক্টর। নিজের হাতঘড়ি থেকে সময় দেখবে। পাশের জনের কাছে সময় জানতে চেয়ে যদি পরীক্ষকের নজরে পর তাহলে পরীক্ষক কোন এক্সকিউজ শুনবে না, ঝামেলা করবে, হয়তোবা পরীক্ষার হল থেকে বের পর্যন্ত করে দিতে পারে। তবে একটা কথা, সীমযুক্ত ঘড়ি কিছুতে গ্রহনযোগ্য না। সীমযুক্ত ঘড়ি-ক্যালকুলেটর ব্যবহার পরীক্ষার হলে ব্যবহার দন্ডনীয় অপরাধ, এক্ষেত্রে ধরা পড়লে তার পরীক্ষা বাতিল সহ তাকে পুলিশের আইনের আওতায় আনা হবে। (৬) ভার্সিটিতে সিনিয়রদের (বড় ভাই-বোন) সামনে ভদ্রভাবে চলবে। তাঁদের সামনে সিগারেট ধরাবে না এবং সাবলীলতা বজায় চলবে। তাহলে যেকোনো সিনিয়র ভাই-বোনদের কাছে তোমরা হেল্প পাবে এবং অন্য কোন ঝামেলা পোহাতে হবে না। (৭) আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল সাধারনত দিনেরটা দিনে দেওয়া হয়। অর্থাৎ আজকে যে পরীক্ষা দিয়ে এসেছো সেটার রেসাল্ট আজকে রাতের ভিতরই পেয়ে যাবা। তবে মাঝে মাঝে কিছুটা বিলম্ব করেও ফলাফল প্রকাশ হতে পারে (সেটা হল ব্যাতিক্রম ক্ষেত্রে)। এক্ষেত্রে আমি সাজেস্ট করব, তোমরা যারা একাধিক ইউনিটে পরীক্ষা দিবে হয়তোবা দেখা যাবে পরপর ২দিন পরীক্ষা, আজকের পরীক্ষা দিয়ে এসে ভয়ে আছো চান্স পাবা নাকি, এর উপর কালকেও এক্সাম। তোমরা আজকের রেসাল্ট না দেখে পরের দিনের পরীক্ষায় attend করতে পার, যদি বেশি ভয় লাগে তখন। কারন by chance যদি রেসাল্ট দেখার পর দেখ যে চান্স পাও নায় তাহলে হয়তোবা পরদিনের পরীক্ষাটা একটা টেনশন নিয়ে দিতে হবে। এতে সেই পরীক্ষায় অতিরিক্ত মানসিক প্রেসার তোমার সে পরীক্ষাটাতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। পরীক্ষা দিবে একদম ঠান্ডা মাথায়, কোন প্রকার মানসিক প্রেসার বা দুশ্চিন্তা তখন সাথে রাখবে না। (৮) পরীক্ষার হল-এ যে যত বেশী ঠান্ডা মাথায় থেকে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে মনোনিবেশ করতে পারবে সে তত বেশী সফল হবে। এই কারনেই অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীও ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পায় না। তুমি অনেক কম পড়েও পরীক্ষার হলে মাথা ঠান্ডা রেখে চেষ্টা করতে পারলে তুমিই সফল হবে। তুমি কতটা জান সেটা বড় ব্যাপার না, বড় ব্যাপার হল তুমি পরীক্ষার হলে কতটা দিতে পারছো। এছাড়া সবগুলো প্রশ্নকে সহজভাবে চিন্তা করে সমাধানের চেষ্টা করবে। ইনশাল্লাহ সাফল্য তোমার সুনিশ্চিত। (৯) বিষয়ভিত্তিক আলাদা আলাদা পাশের দিকে খেয়াল রেখে পরীক্ষা দিবে। বিষয়ভিত্তিক আলাদা পাশের ক্ষেত্রে নেগিটিভ মার্ককিং সহ count হবে। মানে, প্রশ্নপত্রের কোন বিষয়ে পাশ নাম্বার উঠার পর যদি সে বিষয়ে ভুল উত্তরের জন্য নেগেটিভ মারকিং এ ফেল মার্কস চলে আসে তবে সে পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হবে। উপদেশবানী দেওয়া শেষ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাহাড়ে ঘেরা সবুজ ক্যাম্পাসে সবাইকে স্বাগতম। শুভ কামনা থাকলো অনেক, সাথে দোয়া। যেকোনো প্রয়োজনে আমরা বড় ভাইয়ারা তোমাদের পাশে আছি। কথা শেষ করছি শেষ কথা দিয়ে,মনে রাখবে- “ওস্তাদের মাইর শেষ রাতে।“ যারা এতদিন ঠিকমত পড় নায় তারাও মনে বিশ্বাস রাখো তুমি পারবে, সেই বিশ্বাস পূরনের জন্য স্রষ্টাকে স্মরন কর আর মাথা ঠান্ডা রেখে পরীক্ষার হলে ১টা ঘন্টা কাজে লাগানোর চেষ্টা কর। সবার সুখবর শোনার অপেক্ষায় থাকলাম, সাথে তোমাদের কাছ থেকে ট্রিটের অপেক্ষায়.. Courtesy: CU Admission Test Help Desk
Posted on: Sun, 26 Oct 2014 04:37:17 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015