আগস্ট বাংলাদেশের - TopicsExpress



          

আগস্ট বাংলাদেশের মানুষের জন্যে জাতীয় মুক্তির মাস , ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর কিছু চৌকস অফিসারদের বৈপ্লবিক অভ্যুথানে তৎকালীন বাকশাল সরকার প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান কে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বাকশাল সরকার কে উৎখাত করা হয় । ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্টের বিপ্লব দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেছিল। সমসাময়িক দেশ বিদেশের প্রতিক্রিয়াতেই তা লেখা রয়েছে। ইতিহাসেও তা থাকবে। আজ আর একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ৩০বছর আগে স্বাধীনতার যাত্রাকাল থেকে ক্ষমতাসীনরা যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা না করত, যদি সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থা থাকত, যদি বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা, রাজনৈতিক কার্যক্রম ও সংগঠনের স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকত, যদি অন্যায়-অত্যাচার, হত্যা-নির্যাতন না হত, যদি সরকার পরিবর্তনের নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বহাল থাকত তাহলে দুর্বিষহ যন্ত্রণা থেকে নাজাত পাওয়ার জন্য ’৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট বৈপ্লবিক অভ্যুত্থানের প্রয়োজন হত না। আসুন জেনে নেই কে এই শেখ মুজিব ?? শেখ মুজিবের আসল পারিবারিক পরিচয় জানা আজ জাতীর জন্যে জরুরি হয়ে পড়েছে, কারণ বাংলাদেশে জন্ম নয় এমন ব্যক্তি বাংলাদেশের জাতির পিতাতো দূরের কথা সরকার প্রধান হওয়ারও সংবিধানিক নিয়ম নেই । এটা জাতির সাথে বিরাট চালবাজি । ভারত বর্ষের পুরাতন ইতিহাস এবং তথ্য সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানে আমাদের তথাকথিত জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম ও শৈশৈসবের কিছু কথা লিখা আছে যার সামান্য অংশ প্রিয় পাঠকদের অবগতির জন্য নিম্নে দেওয়া হল। কলিকাতার সিভিল কোর্টের উকিল মিঃ চণ্ডিদাস। তাঁর এক মেয়ে ছিল যার নাম গৌরিবালা দাস। চণ্ডিদাসের সহকারি উকিল মিঃ অরণ্য কুমার চক্রবর্তী চণ্ডিদাসের কলিকাটাস্থ বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করত, এই সুযোগে গৌরিবালার সাথে অরণ্য কুমার চক্রবর্তীর অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাঁর ফলে গৌরিবালা গর্ভবতী হয়ে পড়েন। গৌরিবালা যখন বুঝতে পারলেন যে তিনি গর্ভবতী হয়েছেন তখন গৌরিবালা অরণ্য কুমারকে তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। অরণ্য কুমার ইহাতে রাজী না হয়ে অবৈধ সম্পর্কের কথাও অস্বীকার করেন। এদিকে চণ্ডিদাস বিষয়টি জানার পর চিন্তিত হয়ে পরেন। এরই মধ্যে গৌরিবালা ১২/ ১২/ ১৯২০ইং তারিখে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন। তাঁর নাম রাখা হয় দেবদাস চক্রবর্তী। চণ্ডিদাস অরণ্য কুমার চক্রবর্তীকে গৌরিবালাকে উঠিয়ে নেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন, কিন্তু অরণ্য কুমার রাজী হন না। এরই মধ্যে দেবদাসের বয়স ২ বছরে উন্নিত হয়। চণ্ডিদাস হতাশাগ্রস্থ হয়ে পরেন এবং ভীষণ ভাবে অসুস্থতা ভোধ করেন। দেবদাসের বয়স যখন ৩ বছর তখন –মহুরী শেখ লুতফর রহমান গৌরিবালাকে বিয়ে করেন। তখন গৌরিবালার নাম হয় ছালেহা বেগম এবং ছেলের নাম দেবদস চক্রবর্তীর পরিবর্তে রাখা হয় শেখ মুজিবুর রহমান। যার এফিডেবিট নং- ১১৮ তারিখ ১০/১১/ ১৯২৩ ইং সাল। Photo যে ব্যাক্তির জন্মই বাংলাদেশে হয়নি সে কিভাবে আবার বাংলাদেশের জাতীর পিতা হয় প্রশ্ন রইলো সবার কাছে ------- ? এবার আসুন স্বাধীনতা যুদ্ধে শেখ মুজিবের কিছু অবস্থান জেনে নেওয়া যাক ঃ- স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্কে শেখ মুজিব ও স্বাধীনতার বিপক্ষে শেখ মুজিব ঃ- ২৫ মার্চের কালরাত্রিতে ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যখন এদেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর বর্বরের মতো ঘৃণ্য হামলা চালায় তখন এর আকস্মিকতায় দিশেহারা হয়ে পড়ে সর্বস্তরের জনগণ। ২৬ শে মার্চ ১৯৭১ দিনের প্রথম প্রহরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে যদিওবা ইতিহাস প্রমান করে সে নিজ ইচ্ছায় ধরা দেয়। ইতিহাস প্রমান করে এটা গ্রেপ্তার নয় স্বেচ্ছায় নিজেকে বাঁচানোর একটা পন্থা ও গ্রেপ্তার নাটক ।২৬ শে মার্চ ১৯৭১ সালের এই দিনে যখন রাজনৈতিক নেতারা নিজের স্বার্থ উদ্ধারে পলায়নে ব্যাস্ত ছিলেন ঠিক তখনি চট্টগ্রাম সেনা ছাউনির ৮ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড ইন কমান্ড মেজর জিয়া নিজ নামে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন । তিনি বাধ্য হয়ে বিদ্রোহ বেছে নেন এবং বাংলাদেশকে স্বাধীনতার ডাক দেন । ২৭ শে মার্চ ১৯৭১ ভোর বেলা পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বাঙালি অফিসার মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে নিজনামে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে বলেন আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি......আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। আপনারা দুশমনদের প্রতিহত করুন। দলে দলে এসে যোগ দিন স্বাধীনতা যুদ্ধে। গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েট ইউনিয়ন, চীনসহ বিশ্বের সব স্বাধীনতাপ্রিয় দেশের উদ্দেশে আমাদের আহ্বান, আমাদের ন্যায়যুদ্ধের সমর্থন দিন এবং স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিন।...ইনশাআল্লাহ বিজয় আমাদের অবধারিত। অথচ বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে বার বার বলা হচ্ছে শেখ মুজিব গ্রেপ্তার হয়েছিলেন , কিন্তু না আসল ইতিহাস আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম - শেখ মুজিব গ্রেপ্তার হয়নি , সেদিন শেখ মুজিব চিৎকার করে ইয়াহিয়া খানকে বলেছিলেন আমাকে গ্রেপ্তার করুন নচেত চরমপন্থিরা স্বাধীনতা ঘোষণা করবে । সেদিন শেখ মুজিবের এই বানি পাকিস্তানের বিভিন্ন পত্রিকায় ও ছাপা হয় এমনি একটি কলামে ------ “আমাকে গ্রেফতার করুন। অন্যথায় চরমপন্থীরা স্বাধীনতা ঘোষণা করতে পারে” ইয়াহিয়াকে শেখ মুজিব “আমাকে গ্রেফতার করুন। অন্যথায় চরমপন্থীরা স্বাধীনতা ঘোষণা করতে পারে” - পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে এ অনুরোধ করেছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ট দলের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালে ঢাকায় সামরিক শাসক টিক্কা খানের গণসংযোগ কর্মকর্তা মেজর সিদ্দিক সালিক তার লিখিত ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ পুস্তকে এ দাবী করেছেন। ২৩ শে মার্চ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামীলীগের প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে আলোচনাকালে মুজিব ইয়াহিয়াকে এ অনুরোধ করেন। পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষায় পাক বাহিনী ‘অপারেশন সার্চলাইট’ শুরু করে ২৫ মার্চ মধ্যরাতে, আর মুজিবের অনুরোধে সাড়া দিয়ে ইয়াহিয়া খানের বাহিনী মুজিবকে তার বাসভবন থেকে আটক করে করাচি নিয়ে যায়। অন্যদিকে মুজিবের আশংকাকে সত্য প্রমান করে ২৬ মার্চ ঐ চরমপন্থীরাই পাকিস্তান ভেঙ্গে বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসাবে ঘোষণা করে চট্টগ্রাম থেকে, যখন মুজিব ছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানের পথে। কালুরঘাট রেডিও ষ্টেশন থেকে প্রচারিত চরমপন্থীদের প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণাটি ছিল, “I, Major Ziaur Rahman, Provisional Persident and Commander-in-Chief of Liberation Army do hereby proclaim independence of Bangladesh and appeal for joining our liberation struggle, Bangladesh is independent. We have waged war for liberation war with whatever we have. We will have to fight and liberate the country from occupation of Pakistan Army. Inshallah, victory is ours.” (সূত্র: বালাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র,৩য় খন্ড). সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও বাংলাদেশী কূটনীতিক তার Understanding Bangladesh পুস্তকে স্বাধীনতা ঘোষণার ঘটনাটি সম্পর্কে বর্ণনা করেন এভাবে, “ (S. Mahmud Ali, 2010. Understanding Bangladesh. Columbia University Press. Page 59). Photo সমঝোতা না স্বাধীনতা ঃ- সত্তরের নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ পূর্বপাকিস্তানে একক সংখ্যাগরিষ্টতা লাভ করে পাকিস্তানের ক্ষমতা লাভের দাবীদার হন। অন্যদিকে পশ্চিম পাকিস্তানে বিজয়ী পিপলস পার্টির জুলফিকার আলী ভুট্টোও ক্ষমতা দাবী করেন। সামরিক প্রশাসক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ৩ মার্চ ১৯৭১ ঢাকায় গণপরিষদের অধিবেশন ডাকেন, পরে তা স্থগিত করেন। ক্ষমতা হস্তান্তরের এ টালবাহানায় বাংলার মুক্তিকামী জনতা ফুঁসে উঠে। শেখ মুজিব ৭ মার্চ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় পাক সরকারের প্রতি চরম হুঁশিয়ারী উচ্চারন করেন। ক্ষমতা হস্তান্তেরের প্রশ্নে আলোচনার জন্য ইয়াহিয়া ঢাকা এলেন এবং ১৭ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ অবধি মুজিবের সাথে দাফায় দফায় আলোচনা করলেন। অন্যদিকে,ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ ও সংগ্রামী জনতার গণআন্দোলন, স্বাধীনতার নানাবিধ প্রস্তুতি, স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন সব মিলিয়ে পাকিস্তান বিভক্তির দিকে এগিয়ে যায়। মুজিবকে সামনে রেখে বাংলার মানুষ স্বাধীনতা অর্জনের স্বপ্ন দেখেছিলো। কিন্তু শত চেষ্টা করেও মুজিবের মুখ থেকে ‘স্বাধীনতা’কথাটি বের করতে পারেনি সংগ্রামী ছাত্ররা। তিনি ইয়াহিয়ার আলোচনার ফাঁদে পা দিলেন। অন্যদিকে আলোচনার আড়ালে চলতে থাকে ইয়াহিয়ার সামরিক প্রস্তুতি। ২৫ মার্চ রাতে নিরস্ত্র জনতার উপর সামরিক আঘাতে আক্রান্ত জাতি সহসাই ঘুরে দাড়ায় – শুরু হয় প্রতিরোধ। প্রথমে চট্রগ্রাম সেনানিবাসে পরে কালুরঘাট রেডিও থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও যুদ্ধের ঘোষণা আসে। দেশ জড়িয়ে পড়ে সর্বাত্মক যুদ্ধে। ভারত এ যুদ্ধে সরাসরি সামিল হয় ‍৩ ডিসেম্বরে, যার ১০ দিনের মধ্যেই যুদ্ধের ফলাফল নির্ধারিত হয়ে যায়। অথচ, ২৫ মার্চ শেখ মুজিবের আটকের পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত পাকিস্তান কাঠামোর আওতায় আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ন পন্থায় ক্ষমতা প্রাপ্তিই ছিলো আওয়ামীগের একমাত্র লক্ষ্য। মুজিব-ইয়াহিয়া আলোচনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্ষমতা হস্তান্তরের চুক্তি সম্পাদনের জন্য ২৫ মার্চ ইয়াহিয়ার প্রতিনিধি এমএএম আহসানের কাছ থেকে শেখ মুজিবের প্রতিনিধি ডঃ কামালের নিকট একটি ফোন আসার কথা ছিল। কিন্তু আসে নি। ঐ কাঙ্খিত ফোনটি এলে হয়ত পাকিস্তানের ক্ষমতা পেতেন মুজিব, কিন্তু বাংলার মানুষ আজও পেত না ‘স্বাধীনতা।’ ইয়াহিয়া খান বাংলার স্বাধীনতাকামী মানুষকে শায়েস্তা করার জন্য লেলিয়ে দিলেন সেনা। আর তার প্রতিক্রিয়াজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে শেষ অবধি পাকিস্তান ভেঙ্গে জন্ম নেয়- ‘বাংলাদেশ।’ মুজিব কে যদি গ্রেপ্তার ই করা হত তাহলে কিভাবে মুজিব এত আদরে জামাইয়ের মত পাকিস্তান কারাগারে থাকে --- নিচের ছবি গুলা দেখুন ঃ- Photo এই প্যারাটি পড়লে কিছুটা হলেও বুঝতে পারবেন শেখ মুজিব আদৌ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিল কিনা ??? ১৯৭১ সালে ইয়াহিয়ার সাথে আলোচনাকালে মুজিবের ঘনিষ্ট সহচর ছিলেন ড‍ঃ কামাল হোসেন। আগেই বলা হয়েছে, যুদ্ধকালে শেখ মুজিবের পাকিস্তানে অন্তরীণকালে ডঃ কামাল ছিলেন তার একজন কৌশুলী। সম্প্রতি ড‍ঃ কামাল জানিয়েছেন, পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালীতে বসেই ১৭ ডিসেম্বর শেখ মুজিব স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয়ের সংবাদ পেয়েছিলেন (সাপ্তাহিক ২৮ অক্টোবর ২০১০)। এরপরে শেখ মুজিব ও ডঃ কামাল হেসেন কার্যতঃ প্রায় মুক্ত ছিলেন। ২৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ ভুট্টোর সাথে মুজিবের গুরুত্বপূর্ন বৈঠক হয়, যাতে ভুট্টো পাকিস্তানের দুই খন্ডকে কনফেডারেশন হিসাবে একত্র থাকার প্রস্তাব দিলে মুজিব তাকে আশ্বস্ত করে আসেন। ভুট্টো-মুজিব এ আলোচনায় মুজিবের অবস্থান সম্পর্কে Stanley Wolpert তাঁর Zulfi Bhutto of Pakistan বইটিতে লিখেছেন,“..I told you it will be confederation. This is also between you and me… You leave it to me…Absolutely leave it to me. Trust me… My idea was we will live together and we will rule this country. You know the occupation (Indian) army is there. “(P.175)। অনুরূপ আরেকটি সংবাদ পাওয়া যায়, পাকিস্তান থেকে দেশে ফেরার পথে মুজিব লন্ডনে “দি টাইমস” এর প্রখ্যাত সাংবাদিক এ্যান্থনি ম্যাসক্যারেনহাসকে একটি সুখবর দিয়েছিলেন। আর তা হলো, ”Going to keep some link with Pakistan” (Anthony Mascarenhas, Bangladesh: A legacy of Blood, Chapter 5)। দু’দিন পরে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারী ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দরে অবতরন করলেন মুজিব। টারমাক থেকে তাজউদ্দিন ও খন্দকার মোশতাকের ঘাড়ে দু’হাত দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় মুজিব তাজউদ্দিন আহমদকে তিরস্কার করেছিলেন, “তাজুদ্দীন, শেষ পর্যন্ত তোমরা পাকিস্তান ভাইঙ্গাই ফেললা?” এ কথাটি শুনেছিলেন ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানের রচয়িতা প্রফেসর আফতাব আহমদ (সুত্রঃ তাজাম্মুল হোসেনের ওয়েবসাইট)। কিন্তু দেশে ফিরে মুজিব যখন দেখলেন, পাকিস্তান পুরোপরি ভাগ হয়ে গেছে এবং আর কোনভাবেই কনফেডারেশন সম্ভব নয়, এ বাস্তবতায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় ভুট্টোর উদ্দেশ্যে মুজিব বললেন, “আমাদের মধ্যে আর কোনো সম্পর্ক সম্ভব নয়। আপনারা সুখে থাকুন।” এর অর্থ দাড়ায়, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারীও মুজিব তার মূল ভাবনা ”পাকিস্তানের সাথে কনফেডারেশন” নিয়ে বিভোর ছিলেন, কিন্তু বাস্তবতার কাছে তাকে শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয়েছে। আর এভাবেই ”বঙ্গবন্ধু নয়, একজন পাকবন্ধুর “ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তান” গড়ার স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটে। বাংলাদেশ জন্মের পরও যার ধ্যানে কল্পনায় কেবলই ‘পাকিস্তান’, তার নামে কি করে বঙ্গবন্ধু হয়? বরং “পাক বন্ধু’ হওয়া তার কর্মের প্রতি সুবিচার। ছবি গুলা দেখুন ঃ - Photo Photo বাকশাল প্রতিষ্ঠায় শেখ মুজিব ঃ - সর্বশেষে শেখ মুজিব তার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য গণতন্ত্রকে হত্যা করে জাতির উপর বাকশালী একনায়কত্ব চাপিয়ে দেয়।বাংলাদেশে কৃষক-শ্রমিক-আওয়ামী লীগের (বাকশাল) একদলীয় স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বীজ নিহিত ছিল ১৯৭২ সালের ৭ই মার্চ রক্ষীবাহিনী আদেশ জারি করার মধ্যে। বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানী এবং জনাব মঈনুল হোসেন যখন বিরোধিতা করে পদত্যাগ করেন তখন সুযোগ সন্ধানীদের অনেকেই বাকশাল এ যোগদান করার জন্য লাইন দিয়েছিল। বাংলাদেশের কম্যুনিষ্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ ও মোজাফফর ন্যাপ শেখ মুজিবের এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রণয়নকে অভিনন্দন জানান। তথাকথিত জাতীয় দল গঠিত হওয়ার ফলে দেশের সব রাজনৈতিক দলের বিলুপ্তি ঘটে। আওয়ামী লীগ, মোজাফফর ন্যাপ এবং মনি সিং এর কম্যুনিষ্ট পার্টি সামগ্রিকভাবে বাকশালে যোগদান করেন। সংসদের বিরোধী দলের ৮জন সদস্যের মধ্যে ৪জন বাকশালে যোগদান করেন। প্রবীণ নেতা জনাব আতাউর রহমান খানও বাকশালে যোগদান করে সুবিধাবাদী চরিত্র ও রাজনীতির এক নজীরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। ২রা জুন ’৭৫ বাকশালে যোগদানের জন্য শেখ মুজিবর রহমানের কাছে ৯জন সম্পাদক আবেদন পেশ করেন। তারা হলেন বাংলাদেশ অবজারভার সম্পাদক ওবায়েদুল হক, জনাব নূরুল ইসলাম পাটোয়ারী, দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক বজলুর রহমান, মর্নিং নিউজের সম্পাদক জনাব শামছুল হুদা, বাসস এর প্রধান সম্পাদক জাওয়াদুল করিম, বাংলাদেশ টাইমস ও বাংলার বাণীর নির্বাহী সম্পাদক শহীদুল হক, দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক জনাব আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এবং বিপিআই সম্পাদক জনাব মিজানুর রহমান। ৬ই জুন ’৭৫ বাকশালের সাংগঠনিক কাঠামো ও গঠনতন্ত্র ঘোষণা করা হয়। তাতে দলের মহাসচিব মনোনীত হন মনসুর আলী। সচিব হন জিল্লুর রহমান, শেখ ফজলুল হক মনি, এবং আব্দুর রাজ্জাক। ঐ দিন বাকশালের কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য হিসাবে ১১৫জনের নাম ঘোষণা করা হয়। তাতে উপ-রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার, ডেপুটি স্পীকার, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সশস্ত্র বাহিনী প্রধানরা, বিডিআর এর মহাপরিচালক, রক্ষীবাহিনীর পরিচালক, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব প্রমুখকে অর্ন্তভূক্ত করা হয়। দলের কার্যনির্বাহী পরিষদে থাকেন: (১) শেখ মুজিবর রহমান (২) সৈয়দ নজরুল ইসলাম (৩) মনসুর আলী (৪) খন্দোকার মোশতাক আহমেদ (৫) আবু হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান (৬) আব্দুল মালেক উকিল (৭) অধ্যাপক ইফসুফ আলী (৮) মনরঞ্জন ধর (৯) মহিউদ্দিন আহমেদ (১০) গাজী গোলাম মোস্তফা (১১) জিল্লুর রহমান (১২) শেখ ফজলুল হক মনি (১৩) আব্দুর রাজ্জাক। কেন্দ্রিয় কমিটিতে থাকেন: (১) শেখ মুজিবর রহমান (২) সৈয়দ নজরুল ইসলাম (৩) মনসুর আলী (৪) আব্দুল মালেক উকিল (৫) খন্দোকার মোশতাক আহমেদ (৬) কামরুজ্জামান (৭) মাহমুদ উল্লাহ (৮) আব্দুস সামাদ আজাদ (৯) ইউসুফ আলী (১০) ফনিভূষণ মজুমদার (১১) ডঃ কামাল হোসেন (১২) সোহরাব হোসেন (১৩) আব্দুল মান্নান (১৪) আব্দুর রব সেরনিয়াবাত (১৫) মনোরঞ্জন ধর (১৬) আব্দুল মতিন (১৭) আসাদুজ্জামান (১৮) কোরবান আলী (১৯) ডঃ আজিজুর রহমান মল্লিক (২০) ডঃ মোজাফফর আহমদ চৌধুরী (২১) তোফায়েল আহমেদ (২২) শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন (২৩) আব্দুল মোমেন তালুকদার (২৪) দেওয়ান ফরিদ গাজী (২৫) অধ্যাপক নূরুল ইসলাম চৌধুরী (২৬) তাহের উদ্দিন ঠাকুর (২৭) মোসলেম উদ্দিন খান (২৮) মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম মঞ্জুর (২৯) একেএম ওবায়দুর রহমান (৩০) ডঃ ক্ষিতিশচন্দ্র মন্ডল (৩১) রিয়াজুদ্দিন আহমদ (৩২) এম বায়তুল্লাহ (৩৩) রুহুল কুদ্দুস সচিব (৩৪) জিল্লুর রহমান (৩৫) মহিউদ্দিন আহমদ এমপি (৩৬) শেখ ফজলুল হক মনি (৩৭) আব্দুর রাজ্জাক (৩৮) শেখ শহীদুল ইসলাম (৩৯) আনোয়ার চৌধুরী (৪০) সাজেদা চৌধুরী (৪১) তসলিমা আবেদ (৪২) আব্দুর রহিম (৪৩) ওবায়দুল আউয়াল (৪৪) লুৎফর রহমান (৪৫) একে মুজিবর রহমান (৪৬) ডঃ মফিজ চৌধুরী (৪৭) ডঃ আলাউদ্দিন (৪৮) ডঃ আহসানুল হক (৪৯) রওশন আলী (৫০) আজিজুর রহমান আক্কাস (৫১) শেখ আবদুল আজিজ (৫২) সালাহউদ্দিন ইউসূফ (৫৩) মাইকেল সুশীল অধিকারি (৫৪) কাজী আব্দুল হাশেম (৫৫) মোল্লা জালাল উদ্দিন (৫৬) শামসুদ্দিন মোল্লা (৫৭) গৌর চন্দ্র বালা (৫৮) কাজী গোলাম মোস-ফা (৫৯) শামসুল হক (৬০) শামসুজ্জোহা (৬১) রফিকুদ্দিন ভূইয়া (৬২) সৈয়দ আহমদ (৬৩) শামসুর রহমান খান (৬৪) নূরুল হক (৬৫) এম এ ওহাব (৬৬) ক্যাপ্টেন সুজ্জাত আলী (৬৭) এম আর সিদ্দিক (৬৮) এমএ ওহাব (৬৯) চিত্তরঞ্জন সুতার (৭০) সৈয়দা রাজিয়া বানু (৭১) আতাউর রহমান খান (৭২) খন্দোকার মোহাম্মদ ইলিয়াস (৭৩) সংপ্রু সাইন (৭৪) অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ (৭৫) আতাউর রহমান (৭৬) পীর হাবিবুর রহমান (৭৭) সৈয়দ আলতাফ হোসেন (৭৮) মোহাম্মদ ফরহাদ (৭৯) মতিয়া চৌধুরী (৮০) হাজী দানেশ (৮১) তৌফিক ইমাম সচিব (৮২) নূরুল ইসলাম (৮৩) ফয়েজ উদ্দিন সচিব (৮৪) মাহবুবুর রহমান সচিব (৮৫) আব্দুল খালেক (৮৬) মুজিবুল হক সচিব (৮৭) আব্দুর রহিম সচিব (৮৮) মঈনুল ইসলাম সচিব (৮৯) সহিদুজ্জামান সচিব (৯০) আনিসুজ্জামান সচিব (৯১) ডঃ এ সাত্তার সচিব (৯২) এম এ সামাদ সচিব (৯৩) আবু তাহের সচিব (৯৪) আল হোসাইনী সচিব (৯৫) ডঃ তাজুল হোসেন সচিব (৯৬) মতিউর রহমান টিসিবি চেয়ারম্যান (৯৭) মেজর জেনারেল কেএম সফিউল্লাহ (৯৮) এয়ার ভাইস মার্শাল একে খন্দোকার (৯৯) কমোডর এমএইচ খান (১০০) মেজর জেনারেল খলিলুর রহমান (১০১) একে নজিরউদ্দিন (১০২) ডঃ আব্দুল মতিন চৌধুরী (১০৩) ডঃ মাযহারুল ইসলাম (১০৪) ডঃ এনামুল হক (১০৫) এটিএম সৈয়দ হোসেন (১০৬) নূরুল ইসলাম আইজি পুলিশ (১০৭) ডঃ নীলিমা ইব্রাহিম (১০৮) ডঃ নূরুল ইসলাম (পিজি হাসপাতাল) (১০৯) ওবায়দুল হক (সম্পাদক অবজারভার) (১১০) আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (ইত্তেফাক) (১১১) মিজানুর রহমান (বিপিআই) (১১২) মনোয়ারুল ইসলাম (১১৩) ব্রিগেডিয়ার এএমএম নূরুজ্জামান (রক্ষীবাহিনী প্রধান) (১১৪) কামরুজ্জামান শিক্ষক সমিতি (১১৫) ডঃ মাজহার আলী কাদরী। একই ঘোষণায় বাকশালের পাচঁটি অঙ্গ সংগঠনও গঠন করা হয়। সেগুলো হচ্ছে: জাতীয় কৃষকলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, জাতীয় মহিলা লীগ, জাতীয় যুবলীগ ও জাতীয় ছাত্রলীগ। এগুলোর সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন যথাক্রমে ফনিভূষণ মজুমদার, অধ্যাপক ইউসূফ আলী, সাজেদা চৌধুরী, তোফায়েল আহমদ ও শেখ শহীদুল ইসলাম। এসমস্ত সংগঠনের কেন্দ্রিয় কমিটিগুলোতে মোজাফফর ন্যাপ ও মনি সিংএর কম্যুনিষ্ট পার্টির নেতাদের গ্রহণ করা হয়। বাকশালের এ সূত্র ধরেই ১৬ই জুন ‘সংবাদপত্র বাতিল অধ্যাদেশ’ জারি করা হয়। তার বলে পার্টি নিয়ন্ত্রণাধীন শুধুমাত্র চারটি দৈনিক ও কয়েকটি সাপ্তাহিক বাদে সকল পত্র-পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়। গণতন্ত্রের হত্যাযজ্ঞ শেষে দেশ জুড়ে চলে তান্ডব উৎসব। রুদ্ধশ্বাস মানুষ জীবনের নিরাপত্তা হারিয়ে জন্মভূমিতেই বন্দী হয়ে পড়েন স্বৈরশাসনের নিষ্পেষনে। উক্ত প্যারাটি মেজর ডালিমের কলাম থেকে নেওয়া -- majordalimbubangla/45.html সারা বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অনেক গন মাধ্যমে শেখ মুজিবের তৎকালীন বাকশাল প্রতিষ্ঠার খবর এভাবেই ছাপা হয়েছিল --- Photo Photo Photo Photo Photo Photo Photo Photo বাকশাল প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে পাকিস্তানি এক ব্যারিস্টার ডঃ মুনশি তার লিখা একটি বইয়ে ঠিক এভাবেই লিখেছিলেন -- লিখাটি হুভু তুলে ধরা হল -- Mujib Ur Rehman March 1971: Soon after stepping on the soil of the independent country Awami League came out with the ambiguous slogan of Mujibbad. After three and half years when Mujibbad was proven to be an empty slogan Sheikh Mujibur Rahman like any other power hungry dictator promulgated 4th amendment and took all powers in his own hand by forming one party autocratic regime of BKSAL. This unprecedented constitutional coup de tat was called his Second Revolution . লিঙ্ক - defence.pk/threads/why-mujib-ur-rehman-was-killed-by-bengali-patriots-on-august-14th-1975.147205/ বাংলাদেশ জিন্দাবাদ == ৭৫ আমার অহংকার ৷ বিঃদ্রঃ কালকের পোস্টের জন্য যে সকল জারজ রা আমাকে গাল দিলো ,আমাকে পাকপ্রেমি বললো ,তাদের জারজ বাপ ও মুচীবরের বাস্তবতা দেখে নিক , তোদের যৌচ্চোরী খতম ৷
Posted on: Tue, 19 Aug 2014 08:23:55 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015