"আদর্শের ব্যাপারে যে - TopicsExpress



          

"আদর্শের ব্যাপারে যে আপোসকামিতা আমরা দেখে এসেছি বিগত শতকের ৯০ এর দশক থেকে তার থেকে নিরাপদ দূরত্বে থেকে নির্ভেজাল ইসলামের কথাই বলেছেন শায়খ আওলাক্বী। তাঁর আরবী ও ইংরেজীতে দক্ষতা ইসলামের পশ্চিমা শত্রুদেরকে আতঙ্কিত করে তোলে। কোন ধরণের ক্ষমাপ্রার্থনার (apologetic approach) পরিবর্তে পশ্চিমাদের জ়ুলুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন তিনি। বন্ধু ও শত্রু নির্বাচনে যাতে মু’মিনরা কখনো ভুল না করে সে ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতন ছিলেন তিনি; আর সে সচেতনতা যাতে মু’মিনদের সবার মধ্যে সৃষ্টি হয় সে বিষয়টিকেই প্রাধান্য দিতেন তিনি তাঁর বক্তৃতায়। আর এভাবেই তিনি শত্রু হয়ে গিয়েছিলেন মু’মিনদের শত্রুদের। আর তাই ইয়েমেনের এক সময়কার কৃষি মন্ত্রীর ছেলে ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় হবার পরও পশ্চিমাদের স্বার্থের ক্রীড়নক আলী আব্দুল্লাহ সালেহকে দিয়ে ইয়েমেনে শায়খ আওলাক্বীকে গ্রেফতার করায় আমেরিকা। বন্দী করে নির্যাতন চালানো হয় তাঁর উপর। নিজ দেশের নাগরিকদের বিদেশী সরকারের গোয়েন্দা দিয়ে নির্যাতন করানো আমেরিকার ইতিহাসে সম্ভবত খুব বিরল। কিন্তু শায়খ আওলাক্বীর উপর তাই করা হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে হিংসাত্মক আচরণের প্রবক্তা তিনি ছিলেননা। তাঁর কোন আলোচনায় এধরণের কোন কথা তিনি বলেননি। তবে ইসলামী জিহাদের ক্ষেত্রে আপোসকামী-শান্তিবাদী-পুষি বিড়াল হওয়াকেও তিনি গ্রহণ করেননি। মুসলমানদের দেশ আক্রান্ত হলে সেখানে ন্যায়সঙ্গত জিহাদকে সন্ত্রাসবাদ আখ্যাদানকে তিনি মেনে নেননি; বরং প্রতিরোধকে মু’মিনদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার হিসেবেই উপস্থাপন করেছেন। হাজার হাজার পাউণ্ড বোমা বর্ষণ করে লাখ লাখ মুসলিমের হত্যার বিপরীতে মুসলিমদের আত্মঘাতী বোমা হামলায় কিছু কাফির নিহত হওয়াকে তিনি কন্ডেম করতে অস্বীকার করেছেন। উম্মাহর আত্মমর্যাদাবোধকে জাগ্রত করতে এর বিকল্প নেই। মুসলিম শাসকগোষ্ঠির নির্লিপ্ত ভাব ও মুসলিম হত্যায় কাফিরদের সহযোগিতা করাকেও তিনি কঠোর ভাষায় নিন্দা করেছেন। আর এসব কারণে আল্লাহ ও মু’মিনদের শত্রুরা তাঁকে ইয়েমেনের আলী আব্দুল্লাহ সালেহর কারাগারে পাঠিয়ে নির্যাতনের ব্যবস্থা করে। আর শেষে বারাক ওবামা মার্কিন ইতিহাসে সর্বপ্রথম কোন নাগরিকের মৃত্যু পরওয়ানায় সই করেন তাঁর বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট কোন অভিযোগ, মামলা বা দণ্ডাদেশ ছাড়াই।"
Posted on: Mon, 30 Sep 2013 17:16:53 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015