আশিকি২- মডেল Dìbã ভার্সন। কুদ্দুস বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত নায়ক। কিন্তু সে খুব দুধ খেতো। মানুষ মদ খেয়ে মাতাল হতো, কিন্তু কুদ্দুস দুধ খেয়ে মোটা হতো। একসময় এভাবে চলতে চলতে ফিল্ম জগতে তার আনাগোনা কমে যেতে লাগলো। তার বন্ধু মদনা তাকে বলতে লাগলো - দেখ, তুই একটা সুপারস্টার। তোকেতো এইসব দুধ খেলে মানাইনা দোস্ত। তোর খাওয়া উচিত বিয়ার, শেম্পেইন। - ও তুই বুঝবিনা দোস্ত। আমার দুধ আমারে খাইতে দে। - কিছুক্ষন পর তোর শুটিং। দেখিস আবার দুধ খেয়ে পড়ে থাকিস না। - ওক্কে। কুদ্দুস দুধের বোতল হাতে দুধ খেতে খেতে শুটিং স্পটে গেলো। কুদ্দুস গিয়ে শুটিং শুরু করলো। শুটিং এর ডাইলগ ছিলো এরকম “শুধু একবার বলো ভালোবাসি, তাহলে আমি তোমার জন্যে হীরের খনি এনে দেবো।“ কুদ্দুস- শুধু একবার বলো ভালোবাসি, তাহলে আমি তোমার জন্যে দুধের খনি এনে দেবো। ডিরেক্টর- কাট কাট কাট। কুদ্দুস, এইসব কি?? ডাইলগ ঠিকমত বলো। এমনসময় ভিলেন বলে উঠলো “এ শালা ছোটবেলায় দুধ খাইতে পাইনাই মনে হয়। তাই এত দুধ দুধ করে”। কুদ্দুসের মাথায় পানি উঠে গেলো। ভিলেনকে ধরে ইয়া ঢিশুয়েক দিয়ে দিলো কয়েকটা। তারপর শুটিং স্পট থেকে বেরিয়ে গেলো দুধ খেতে খেতে। কিছুদূর যেতেই সামনে একটা মেয়েকে দেখে গাড়ি ঘুরিয়ে দিলো নায়ক কুদ্দুস। এদিকে মেয়েটি তার হাতে থাকা শপিং ব্যাগগুলো ফেলে দিয়েছে (ভয়ে নয়, এগুলো দেখিয়ে ডাবল দাম উশুল করবে বলে) । নায়ক কুদ্দুস বের হতেই দেখলো মেয়েকে। মেয়েটি আর কেও নয়। মেয়েটি ছিলো মডেল দিবা। বলে রাখা ভালো কুদ্দুসের চোখগুলো দূর্ঘটনায় নষ্ট হওয়ার পর অপারেশন করে তার চোখে ডিএসএলআর এর লেন্স লাগানো হয়েছিলো। তাই মডেল দিবাকে তার অপরূপ সুন্দরী মনে হলো। মডেল দিবাঃ দেখুন তো , আপনি কি করেছেন??? আমার এত্ত শখ করে কেনা কাপড়গুলো সব নষ্ট করে দিলেন?? দিন, টাকা দিন। ক্ষতিপূরন দিন। কুদ্দুস তার চশমা আর টুপি খুলতেই মডেল দিবা হা হয়ে গেলো। আরে এ তো নায়ক কুদ্দুস। নায়ক কুদ্দুসঃ অভিনয় করবে?? তোমাকে আমি নায়িকা বানাবো। মডেল দিবাঃ সত্যি??? নায়ক কুদ্দুসঃ চলেই দেখো আমার সাথে। শুরু হলো নায়ক কুদ্দুস আর মডেল দিবার খাতির। খাতির থেকে প্রেম। কিন্তু একসময় কুদ্দুস খেয়াল করলো মডেল দিবা দিনে প্রায় ১০-১২টি ড্রেস কিনছে আর মাত্র ৪মাসের মধ্যেই একটি বড়সড় মার্কেটের মত কালেকশন হয়েছে। কুদ্দুস ক্যালকুলেটর নিয়ে হিসেবে বসলেন। না, ক্যালকুলেটরেও হিসেব বের করা যাচ্ছেনা। কুদ্দুস দেখলেন তিনি বড়সড় লস খেয়েছেন। এখন বুঝলেন তিনি মডেল দিবা কেন তাহাকে সেইদিন দুধ না খেতে বলেছিলো। তার দুধের টাকা দিয়ে ড্রেস কেনা হলো আর সে টেরও পেলোনা। কুদ্দুস মনের দুঃখে রাঙ্গামাটির আসামবস্তি ব্রিজ থেকে লাফ দিলো। না, সে মরেনি। আধা পাগল অবস্থায় এখন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে শার্টের বোতাম খোলা রেখে। :p :p :p । তার একটাই কথা, যে ড্রেস তাহাকে দুধ থেকে বঞ্চিত করেছে সেই ড্রেস সে আর পরিধান করবেনা :p :p । অনেকেই হয়তো তাকে দেখে থাকবেন রাংগামাটিতে। :p :p আর ওদিকে মডেল দিবা এখন ঢাকা শহরে নায়িকা হওয়ার স্বপ্নে প্রতিদিন নতুন নতুন ড্রেস কিনে ফেসবুকে ছবি দিয়ে দিয়ে পোলাপাইনদের নিউজ ফিড দুষিত করছে। :D :D :D :D এটাই হলো কাহিনী আশিকি২- মডেল দিবা ভার্সন। :p :p আপনারা রাংগামাটিতে যে শার্ট খোলা অবস্থায় যে পাগলটিকে দেখতে পান সে আর কেও নয়, নায়ক কুদ্দুস। :D :D । তার এই অবস্থার জন্যে মডেল দিবা দায়ী। আসুন সবাই মিলে মডেল দিবার বিরুদ্ধে মামলা করি :v :v :v
Posted on: Wed, 23 Oct 2013 14:50:05 +0000
Trending Topics
Recently Viewed Topics
© 2015