ইন্টারনেট কি কলঙ্কতিলক - TopicsExpress



          

ইন্টারনেট কি কলঙ্কতিলক হতে যাচ্ছে23 June 2013, Sunday ॥ দুই ॥ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও ঘরে ঘরে ইন্টারনেট বর্তমান সরকার অনুমোদিত সর্বশেষ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ঘরে ঘরে ইন্টারনেট পৌঁছানো আর বাধ্যতামূলক কম্পিউটার শিক্ষা প্রসারের প্রতিজ্ঞা করা হয়েছে। সেই প্রতিজ্ঞাকে আমরা স্বাগত জানাই। একই সঙ্গে একটু পর্যালোচনা করে দেখতে চাই, এই স্বপ্নটি বাস্তবায়নের প্রতিবন্ধকতা কোথায় এবং এজন্য আরও কোন কোন পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকার ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার দলিল চূড়ান্ত করেছে বলে দৈনিক প্রথম আলো খবর ছেপেছিল। দৈনিক প্রথম আলো, ২১ জুন ২০১১, পৃষ্ঠা ১৫-)। এরপর ২২ জুন ২০১১ এনইসিতে এটি অনুমোদিত হয়। ২২ জুনের প্রথম আলো পত্রিকায় ছাপা হওয়া খবরে জানা যায় যে, দলিলটির অন্যতম অগ্রাধিকার হিসেবে আইসিটি রয়েছে। ২০১৫ সালে সমাপ্য এই পরিকল্পনা দলিল যদি আরও অনেক আগেই পেশ ও অনুমোদিত হতো, তবে ভাল ছিল। পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা হিসেবে এর সূচনা ২০১০ সালে হবার কথা। অন্তত এর বছরখানেক আগে দলিলটি চূড়ান্ত হলে সেটি দিয়ে ২০১০ সালেই কাজ শুরু করা যেত। পরিকল্পনা মেয়াদে বসে যদি দলিল চূড়ান্ত করতে হয় এবং এজন্য যদি পরিকল্পনা মেয়াদের কিছু সময় নষ্ট করে ফেলতে হয়, তবে সেটিকে দক্ষতা বলে না। এতে বোঝা যায় যে, সময় মতো পরিকল্পনা করার ক্ষমতাও আমাদের নেই। কার্যত সময় শুরু হবার অনেক আগেই যদি পরিকল্পনা করা যায় তবেই সেই দেশ অগ্রগতি সাধন করতে পারে। যাহোক, এখন আর সেইসব কথা বলে লাভ নেই। যেটি সুখের বিষয় সেটি হলো যে, এই পরিকল্পনায় সাতটি অগ্রাধিকার নির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং এইসব অগ্রাধিকারের মাঝে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির একটি হিস্যা আছে। প্রথম আলোর খবর অনুসারে, ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের হার ৩০ শতাংশে উন্নীতকরণ, টেলিঘনত্বের হার ৭০ শতাংশে উন্নীতকরণ, সব ইউনিয়নে ইন্টারনেট সুবিধাসহ টেলিসেন্টার বা ই-সেন্টার স্থাপন, সব ডাকঘরে কল সেন্টার স্থাপন, দ্বাদশ শ্রেণীতে কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ’ আমি ঠিক জানি না, এর আগে আইসিটি কোন পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অগ্রাধিকার খাত ছিল কি-না। অন্যদিকে আমার এটিও মনে পড়ে না যে, কখনও কোন পরিকল্পনায় আইসিটি খাতে কোন লক্ষ্য অর্জনের কথা বলা হয়েছিল কিনা। যদি হয়েও থাকে তবে হয়তো আমাদের নজরে তেমনভাবে আসেনি। এই সরকার ক্ষমতায় আসার সময় ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার যে ঘোষণা দিয়েছিল পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় তার কিছুটা হলেও ছাপ থাকায় আমি সরকারকে অভিনন্দিত করি। যদিও এই পরিকল্পনা মেয়াদে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার জন্য আরও কিছু লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা উচিত ছিল; তথাপি একেবারে কিছুই না থাকার জায়গায় কিছু একটা থাকছে, এটাই বড় কথা। শুরুতেই এটি স্পষ্ট করা দরকার যে, ব্রডব্যান্ড বলতে আসলে আমরা কি বুঝি। উইকিপিডিয়া অনুসারে ব্রডব্যান্ড হলো : Although various minimum bandwidths have been used in definitions of broadband, ranging from 64 kbit/s up to 4.0 Mbit/s, the 2006 report defined broadband as having download equal to or faster than 256 kbit/s, while the (US) (FCC) as of 2010, defines “Basic Broadband” as data transmission speeds of at least 4 megabits per second, downstream (from the Internet to the user’s ) and 1 Mbit/s upstream (from the user’s computer to the Internet). The trend is to raise the threshold of the broadband definition as the marketplace rolls out faster services. বাংলাদেশের ব্রডব্যান্ড নীতিমালা অনুসারে ২০১৩ সালে ১ এমবিপিএস গতিকে ব্রডব্যান্ড বলা হয়। তবে শুরুতে ১২৮ কেবিপিএস গতিকে ব্রডব্যান্ড বলা হতো। ইন্টারন্যাশনাল টেলিকম্যুনিকেশন ইউনিয়নের মতে ব্রডব্যান্ড হলো: The Standardization Sector () recommendation I.113 has defined broadband as a transmission capacity that is faster than , at 1.5 to 2 Mbit/s. (m~Î:m~Î:en.wikipedia.org/wiki/Broadband_Internet_access) আমাদের স্মরণ রাখা দরকার যে, আজকের দুনিয়াতে একটি দেশ কতটা উন্নত তার প্রধান মাপকাঠি হিসেবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবহারকে গণ্য করা হয়। দুনিয়ার প্রায় সকল দেশেই ঘরে ঘরে ইন্টারনেট পৌঁছানোর যুদ্ধ চলছে। সিঙ্গাপুর এরই মাঝে তাদের জনসংখ্যার শতকরা ৩০ জনের কাছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দিয়েছে। জাপান ও কোরিয়ার অবস্থা আরও ভাল। এমনকি ভারতেও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের প্রসার দ্রুতগতিতে চলছে। মালয়েশিয়া প্রতিটি বাড়িতে ১ এমবিপিএস ব্রডব্যান্ড সংযোগ পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। ব্রিটেন ডিজিটাল ব্রিটেন নামক একটি কর্মসূচির আওতায় বিশেষ কর আরোপ করে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের প্রসার ঘটাচ্ছে। ব্রডব্যান্ড ব্যবহারের দিক থেকে আইটিইউর তালিকার শীর্ষ স্থানের ১৪টি দেশ সম্পর্কে মতামত হলো এ রকম : The report released in January 2011 assesses countries on the basis of government planning, as opposed to current broadband capability. With ambitious targets for both the speed and coverage of next-generation broadband networks, the developed countries of Southeast Asia scored highest in this first government broadband index. is the worst-performing country measured, owing to its relatively low coverage target and drawn-out deployment schedule. Greece also suffers due to the considerable size of its public-funding commitment as a percentage of overall government budget revenues, and because its plan does little to foment competition in the high-speed broadband market., the country with the highest-profile and most controversial public-sector scheme, also falls in the bottom half of the index, mainly because it is spending a colossal 7.6% of annual government budget revenues on its . In , by comparison, the government is spending less than 1% of annual budget revenues to realise its broadband goals, achieving targets by encouraging the private sector to invest in the country’s broadband future. (m~Î:en.wikipedia.org/wiki/Bro আইটিইউ যে হিসাব দিয়েছে তাতে ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারী চৌদ্দটি শীর্ষ দেশের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এটি বিস্ময়ের ব্যাপার মনে হতে পারে যে, এই চৌদ্দটি দেশের প্রথম তিনটি দেশই এশিয়ার। এই তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে কোরিয়া। এই দেশটি সর্বোচ্চ ৫-এর মাঝে ৪.৪ পেয়ে শীর্ষে রয়েছে। এরপর রয়েছে জাপানের অবস্থান। জাপানের স্কোর হলো ৪.৩। সিঙ্গাপুরের অবস্থান ৩ এবং স্কোর ৪.২। ৫-এর মাঝে ৪ বা তার বেশি পেয়েছে ইউরোপের আর মাত্র ৩টি দেশ। এগুলো হলো : সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ৪.১ এবং এস্তোনিয়ার ৪.০। ৩-এর ঘরে আছে মোট ৫টি দেশ। এগুলো হলো : ফ্রান্সের ৩.৯, স্পেনের ৩.৭, নেদারল্যান্ডসের ৩.৬, অস্ট্রেলিয়ার ৩.৪ ও আমেরিকার ৩.০। ১৪টিতে আরও যে দেশগুলো আছে সেগুলো ইউরোপের। দেশগুলো হলো : ইতালির ২.৯, যুক্তরাজ্যের ২.৭, জার্মানির ২.৬ এবং গ্রীসের ২.৪। দুনিয়ার বাকি দেশগুলোর অবস্থা আলোচনার বাইরেই রাখা যায়। যে কয়টি মাপকাঠিতে এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে সেগুলো হলো : 1) What targets are set for next-generation network (NGN) speed and coverage? 2) By when do governments want to see basic broadband services universally available, and what does ‘basic’ mean in terms of speed? 3) How do countries compare in terms of universal and NGN broadband targets? 3) How much public funding has been pledged for the attainment of these targets and how do countries compare? 3) How are governments acting to facilitate the plans through regulation and by intervening directly in market and network development? 4) What role does the private sector play in government plans? 5) What is the current status of the plans and of industry involvement in them? ওপরের যে পাঁচটি মাপকাঠিতে ব্রডব্যান্ড ব্যবহারের শীর্ষ তালিকা প্রণীত হয়েছে তার কোনটি অনুসারেই আমরা তালিকার সবচেয়ে নিচের জায়গাটিতেও বসতে পারব না; বরং এই তালিকার কোন না কোন অবস্থানে কবে যাব সেটিও আমি আন্দাজ করতে পারি না। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, তালিকার শীর্ষ স্থানগুলো এশিয়ার। বাকিগুলোর মাঝে একটি মাত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া সবগুলোই ইউরোপের। ইউরোপের দেশগুলোর মাঝে গ্রীসের অবস্থান নিচের। আমরা বাংলাদেশ এসব তালিকার কোথাও অবস্থান করি না। সেজন্যই খুব সঙ্গতকারণেই প্রশ্ন হলো, আমাদের এই উচ্চাভিলাষী টার্গেটটি বাস্তবায়িত হবে কেমন করে। কেমন করে দেশের শতকরা ৩০ ভাগ মানুষের কাছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছানো হবে? এই প্রশ্নটি করার প্রধান কারণটি হলো-এখন দেশের স্বল্প সংখ্যক মানুষ প্রকৃত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন। কয়েকটি শহরের সীমিত সংখ্যক কয়েক হাজার মানুষ হয়তো এই সুবিধা পায়। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটতো সোনার পাথর বাটির মতো দুর্লভ বস্তু। তবে এখন এই বিষয়টি সাধারণ মানুষদের সবাই উপলব্ধি করতে শুরু করেছেন যে, ইন্টারনেট ছাড়া না হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ, না হবে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বা না আমরা একটি নতুন যুগে পা ফেলতে পারব। আমিতো এই যুগটাকে ইন্টারনেট যুগ বলি। এই সভ্যতাটিকে বলি ইন্টারনেট সভ্যতা। আগামী ২০২১ সালে এটি আরও স্পষ্ট হবে, দৃশ্যমান হবে এবং আমরা অনুধাবন করব যে, ইন্টারনেট হচ্ছে আমাদের জীবনরেখা। সেই ইন্টারনেট সভ্যতার যুগে যদি ইন্টারনেট আলোচনার মধ্যবিন্দু এবং কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র না হয় এবং জনগণ যদি এর সাথে সহজে-সুলভে যুক্ত হতে না পারে, তবে কোনভাবেই আমরা সঠিক কাজ করছি বলে মনে হয় না। এদেশে বর্তমানে (জুন ১৩) ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩.৩০ কোটি। তবে এর মাঝে ৩ কোটিই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
Posted on: Mon, 24 Jun 2013 06:04:02 +0000

Trending Topics



iv class="stbody" style="min-height:30px;">
Pakistan’s security services (ISI) accused of subverting media
An audit by the people, for the people Back As a term,
Explanation needed? Check out this minute-long video of R.E.M.
#WMA the winners : Final Awards Worlds Best-selling

© 2015