ইসলাম নিয়ে - TopicsExpress



          

ইসলাম নিয়ে কটুক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, অলি-আউলিয়ার পুণ্যভূমি বাংলাদেশে কোনো খোদাদ্রোহীর ঠাঁই নেই। পবিত্র হজ্ব ও রাসূল সা. সম্পর্কে কটুক্তিকারী মুরতাদ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর সর্বোচ্চ শাস্তি এবং ইসলামের বিরুদ্ধে কটুক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আইন প্রণয়নের দাবীতে ধর্মপ্রাণ জনতা রাজপথে আছে এবং থাকবে। ধর্মদ্রোহীদের শাস্তির আইন পাশ না করলে চলমান আন্দোলন আরো কঠিন রূপ নিবে। তাই সর্বস্তরের ইসলামপ্রিয় ও নবীপ্রিয় জনতার প্রাণের দাবী মেনে নিয়ে অবিলম্বে ইসলামের বিরুদ্ধে কটুক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আইন পাশ করতে হবে। তিনি চলমান আন্দোলনে সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষুব্ধ জনতাকে হয়রানী বন্ধ এবং গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দাবী করেন। তিনি বলেন, ধর্মদ্রোহী ও মুরতাদদের শাস্তির দাবীতে দলমত নির্বিশেষে তৌহিদী জনতা আজ ঐক্যবদ্ধ। ধর্মদ্রোহী ও মুরতাদদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী আমাদের একার নয়। আমরা ঈমানী দাবী নিয়ে ময়দানে হাজির হয়েছি। সরকার লতিফ সিদ্দিকীকে শাস্তি না দিয়ে জনতার দাবীর সাথে তালবাহানা করছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এদেশে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কটুক্তিকারীদের বিচার হয়, আর ইসলামের বিরুদ্ধে কটুক্তি করে কেউ ছাড় পাবে, এটা মেনে নেয়া যায় না। অবিলম্বে মুরতাদ লতিফ সিদ্দিকীকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে এবং এ সংক্রান্ত কঠোর শাস্তির আইন পাশ করতে হবে। ইসলামের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মুসলমানদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যম সহ আইন, বিচারক এবং সাংবিধানিক ক্ষমতা সংসদের নামে প্রধানমন্ত্রীর অধিন্যস্ত করা হয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে ইসলামী আদর্শ ছাড়া দেশে কখনো শান্তি আসতে পারে না। পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের পর থেকে দেশের সকল সেক্টরে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। প্রশাসনে চেইন অব কমান্ড নেই, অর্থনীতি থমকে গেছে, মধ্যপ্রাচ্যে জনশক্তি রপ্তানী আশংকাজনক হারে কমে গেছে, প্রবাসীরা অসহায় অবস্থায় বিভিন্ন দেশে দিন কাটাচ্ছে, বিদ্যুতের দাম দফায় দফায় বাড়িয়ে জনগণের ভোগান্তি বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে। এ অবস্থায় একটি স্বাধীন স্বার্বভৌম দেশ চলতে পারে না। বিজয়ের এ মাসে জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমরা স্বকীয় জাতি হিসেবে মাথা উচু করে চলবো নাকি সীমান্তরক্ষীদের গুলিতে ফেলানীরা কাটাতারে ঝুলবে? দেশের স্বার্থ বিকিয়ে এদেশের মন্ত্রীদের ভারতের টিপাইমুখ বাঁধসহ বিভিন্ন বাধের বিষয়ে ভারতের পক্ষে যুক্তি প্রদানের ঘটনাকে লজ্জাজনক উল্লেখ করে পীর সাহেব বলেন, আমরা টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ ঠেকাতে সিলেটবাসীর সহযোগিতায় দেশবাসীকে সাথে নিয়ে ঐতিহাসিক লংমার্চ করেছি, করিডোর প্রদানের বিপক্ষে জনগণকে নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি, তিস্তা চুক্তির সমাধান করে দেশের উত্তরাঞ্চলের মরুকরণ বন্ধের দাবী জানিয়েছি। কিন্তু সরকার দেশের স্বার্থে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি, বরং ভারতকে গোপনে সবকিছু উজার করে দিয়েছে। তিনি নতুন করে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, জনগণকে বোকা বানিয়ে গত ৫ বছরে ৬ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে, এবার দাম বাড়ালে জনগণ রাজপথে নামতে বাধ্য হবে। পীর সাহেব চরমোনাই মুরতাদ লতীফ সিদ্দিকীর সর্বোচ্চ শাস্তি ও ইসলাম নিয়ে কটুক্তিকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির আইন পাশ করার দাবীতে ঢাকার মহাসমাবেশ থেকে ঘোষিত আগামী ২৩-২৫ ডিসেম্বর ঢাকা টু কুড়িগ্রাম রোডমার্চসহ সকল কর্মসূচি সফলে কাজ করার জন্য সকল দেশপ্রেমিক ঈমানদার জনতার প্রতি আহবান জানান। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বাদ জুমআ মুরতাদ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর সর্বোচ্চ শাস্তি এবং ইসলামের বিরুদ্ধে কটুক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আইন প্রণয়নের দাবীতে সিলেট সিটি পয়েন্টে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট বিভাগ আয়োজিত বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন। সিলেট মহানগর সভাপতি মুফতী মুহাম্মদ ফখর উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও মহানগর সেক্রেটারি ডাঃ রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ এর পরিচালনায় মহাসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, আমীরের রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সহ-প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন, কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল মতিন। জেলা দায়িত্বশীলদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা সভাপতি মাওলানা জিল্লুর রহমান, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল করিম, সেক্রেটারি নজির আহমদ, হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি মুহিব উদ্দিন আহমদ সুহেল, সেক্রেটারি শামসুল হুদা, মৌলভীবাজার জেলার সাবেক সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, সিলেট মহানগর সহ- সভাপতি মাওলানা আব্দুস শহীদ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মোঃ হারুন উর রশীদ, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলা সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক সুহেল আহমদ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সিলেট জেলা সভাপতি মোঃ ফজলুল হক, সেক্রেটারি হেলাল আহমদ, ইসলামী আন্দোলন সিলেট কোতোয়ালী থানা সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন, সেক্রেটারি আজমল হোসেন, বিমানবন্দর থানা সভাপতি মোঃ মঈন উদ্দিন, দক্ষিণ সুরমা থানা সভাপতি মোঃ আব্দুল মুহিত প্রমুখ।
Posted on: Sat, 13 Dec 2014 01:09:52 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015