ইসলাম : পরকালে নাজাতের - TopicsExpress



          

ইসলাম : পরকালে নাজাতের পথ। মহান আল্লাহতায়ালা ইরশাদ ফরমান ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম।’ সূরা আলে-ইমরান, আয়াত-১৯। অন্য এক আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম তালাশ করে, কস্মিনকালেও তার থেকে তা গ্রহণ করা হবে না, বরং আখেরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত।’ সূরা আলে-ইমরান, আয়াত-৮৫। আয়াত দুটি দ্বারা স্পষ্ট যে, আল্লাহর নিকট ইসলামই হচ্ছে একমাত্র গ্রহণযোগ্য ধর্ম। যদি কেউ ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম অবলম্বন করে তাহলে তা কখনো আল্লাহ কবুল করবেন না। তাই কেউ পরকালে মুক্তি পেতে চাইলে দ্বীন ইসলামকে অবশ্যই আঁকড়ে ধরতে হবে। কারণ, ইসলামের মধ্যেই মানবজাতির মুক্তি নিহিত। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে (কেয়ামত পর্যন্ত) তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম’। সূরা মায়েদাহ, আয়াত-৩। ইসলাম অন্য সব ধর্মাবলম্বীদের তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করার জন্য সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে, ইসলাম কখনো ধর্মের ব্যাপারে কাউকে বাধ্য করার কথা বলেনি। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘ধর্মের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি বা বাধ্যবাধকতা নেই।’ সূরা বাকারা, আয়াত-২৫৬। তবে অন্যদের তাদের ধর্ম পালনের সুযোগ প্রদানের অর্থ কখনো এই নয় যে, তাদের ধর্মগুলো গ্রহণীয় এবং সেগুলো আল্লাহর নিকট মাকবুল। কথাটা বলতে হচ্ছে এজন্য যে, আজকাল ইসলামের উদারতার নামে কুফর ও ইসলামকে এক করার চেষ্টা করা হয় এবং বলা হয়, সৎকর্ম সম্পাদন করলে ও উত্তম চরিত্রের অধিকারী হলে যে কোনো ধর্মাবলম্বীই মুক্তি পাবে, চাই সে ইহুদি, খ্রিস্টান অথবা মূর্তিপূজারি যাই হোক। যারা এ ধরনের কথা বলে থাকেন তাদের কথার সারমর্ম দাঁড়ায়, ইসলামের বাস্তব কোনো ভিত্তি নেই, এটা একটা কাল্পনিক বিষয়, যা কুফরের পোশাকেও সুন্দর মানায়। সূরা আলে-ইমরানের ১৯নং আয়াতসহ আরো অনেক আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা ওই উদ্ভট মতবাদের মূলোৎপাটন করে দিয়েছেন এবং বুঝিয়ে দিলেন যে, আলো ও অন্ধকার যেরূপ এক হতে পারে না, তদ্রুপ ইসলাম ও কুফর উভয়টি আল্লাহর নিকট পছন্দনীয় হতে পারে না। যে ব্যক্তি ইসলামের কোনো একটি মূলনীতি অস্বীকার করে, সে নিঃসন্দেহে আল্লাহতায়ালার প্রতি বিদ্রোহী এবং পয়গম্বরগণের চিরশত্রু, প্রচলিত অর্থে সে সৎকর্ম বা নেক আমলের অধিকারী এবং প্রথাগত চরিত্রে যতই সুন্দর হোক না কেন, তাতে কিছু আসে যায় না। ইসলামের যে সব মূলনীতি রয়েছে তার মধ্যে সর্বপ্রথম মূলনীতি হলো, আল্লাহতায়ালার প্রতি ঈমান আনা, তাকে এক বলে স্বীকার করা এবং তার প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করা। যে এই মূলনীতিকে মানবে না বা অস্বীকার করবে সে কখনো মুমিন হতে পারবে না।
Posted on: Thu, 27 Jun 2013 08:07:03 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015