ওয়েল স্পিল ঠেকাতে প্রথম করণীয় ছিলো আক্রান্ত অঞ্চলকে (spilled area) পর্যাপ্ত দুরত্বে ঘিরে ফেলা। যাকে বলা হয় বুমিং (booming)। ওই নদীতে তেমন ঢেউ নেই তাই দ্রুত বুমিং হলে ৭০% নিঃসরিত তেল প্রথমে আটকে তারপরে সাক করে তুলে ফেলা যেত। আরেকটা পদ্ধতি ছিলো ডিসপার্সেন্ট ব্যবহার করা ; অর্থাৎ কেমিক্যাল ব্যবহার করে তেলের ঘনত্ব কমিয়ে নেচারালি এসিমিলেট করার চেষ্টা করা। যেটা করা সুন্দরবনের জীববৈচিত্রের প্রাচুর্যের কারনেই উচিত নয়। এটা গভীর সমুদ্রের জন্য উপযুক্ত। জোয়ারভাটা আর স্রোতের নদীর সুন্দরবনে ইতোমধ্যেই তেল উপরে উঠে শ্বাসমূলে আটকে গেছে। যা অচিরেই গাছের সালোক সংশ্লেষণে বাধা দিয়ে গাছের মত্যু ত্বরান্বিত করবে। মাছেদের মড়ক শুরু হয়ে গেছে। এখন কেবল ক্ষতির পরিমাণই নির্ধারণ করা যেতে পারে। ক্ষতিপূরণ তো দূরের কথা ক্ষতিরোধেও অনেক বিলম্ব হয়ে গেছে। অবশ্য বিলম্ব সেদিনই হয়েছে যেদিন দুর্ঘটনার পরপর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কিংবা তারও আগে যখন ওয়ার্ল্ড হেরিটেইজ বা রামসার সাইটের বুক চিরে নৌরুট করা হয়েছে ।
Posted on: Thu, 11 Dec 2014 17:33:51 +0000
Trending Topics
Recently Viewed Topics
© 2015