‘কোটাবিরোধীদের’ - TopicsExpress



          

‘কোটাবিরোধীদের’ বিরুদ্ধে ঢাবির মামলা ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ‘কোটাবিরোধী’ আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার বিকেলে অজ্ঞাত ৫ শতাধিক আন্দোলনকারীকে আসামি করে শাহবাগ থানায় এ মামলাটি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর আমজাদ আলী। প্রক্টর জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বাসভবনসহ ব্যাপক ভাঙচুর ও ক্ষতিসাধনের জন্য ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে এ মামলাটি করা হয়। এতে আসামি করা হয়েছে পাঁচশতাধিক। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুলিশের সঙ্গে বিসিএস পরীক্ষার্থী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিসিএসসহ সব সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ওপর একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে আন্দোলনকারী ২০ শিক্ষার্থী আহত হন। বন্ধ করে দেয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের সব পথ। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে ভাঙচুর করা হয় বেশ কিছু যানবাহন। এরপর ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা চারুকলার ভেতরে থাকা শোভাযাত্রায় ব্যবহৃত ‘সরঞ্জাম’ টেনে রাস্তায় নিয়ে আন। তারা চারুকলার সামনের রাস্তায় আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ করে। শাহবাগ থেকে তাড়া খেয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে নীলক্ষেতের দিকে এগিয়ে যায়। নীলক্ষেত এলাকায় পুলিশ মিছিলে বাধা দিলে পরীক্ষার্থীরা ইটপাটকেল ছুড়ে। এ সময় শিক্ষার্থীদের একটি অংশ এএফ রহমান হলের ভেতর ঢুকে যায়। তখন পুলিশ তাদের উপর চড়াও হয়। পরে পুলিশ সরে গেলে আবার সংগঠিত হয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনে হামলা চালায়। এ সময় তারা রাস্তায় দুটি ব্যক্তিগত গাড়ি ও সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করে। উপাচার্যের বাসভবনের প্রধান ফটক ও বাড়ির বেশ কিছু ফুলের টব ভাঙচুর করা হয়। আন্দোলনকারীদের দাবি, কোটার জন্য বেশি নম্বর পেয়েও অনেকেই বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় নির্বাচিত হতে পারেননি। তারা জানান, বিসিএসে ৫৬ ভাগ কোটা আর মাত্র ৪৪ ভাগ মেধার জন্য। কোটা পদ্ধতির জন্য অনেকে বেশি নম্বর পেয়েও প্রত্যাশিত ফল পাচ্ছেন না। আন্দোলনকারীরা শুধুর বিসিএস নয়, সব ধরনের পরীক্ষায় কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবি জানান। প্রসঙ্গত, গত ৭ ফেব্রুয়ারি সাধারণ ক্যাডারের ৪৪২টি পদসহ মোট ২ হাজার ৫২টি পদে নিয়োগ দিতে ৩৪তম বিসিএসের বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। অনলাইনে আবেদন করেন ২ লাখ ২১ হাজার ৫৭৫ প্রার্থী। গত ২৪ মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এক লাখ ৯৫ হাজার পরীক্ষার্থী এতে অংশ নেন। গত সোমবার এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় এবং মোট ১২ হাজার ৩৩ জন উত্তীর্ণ হন।
Posted on: Thu, 11 Jul 2013 22:40:45 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015