কাশ্মীরেও প্রথম প্রথম কেউ হিন্দুস্তানের পুলিশের সাথে বাদ-প্রতিবাদে গেলে অন্যরা বলতো,কি কাজ বাপু ঐসবে গিয়ে;আমাদেরতো কিছু করছে না, শুধু শুধু ঝামেলা বাধানো! যখন হিন্দুস্তানী পুলিশরা কারো ঘরে গরু বোনার ঘ্রাণ পেত,শাসিয়ে যেত;তারপরে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে দরজা ভেঙ্গে পুরো পাতিলটাই উল্টে দিত। তখন কাশ্মীরী মা-বোনেরা কান্না করতেন লুকিয়ে লুকিয়ে। এইসময়টাতেও শ্রীনগরের মানুষ জম্মুতে বেড়াতে এলে নিজের আত্মীয়দের শুনিয়ে যেতেন- গরু মাংস খাওয়া ছেড়ে দাও। কিন্তু ততদিনে হিন্দুস্তানি কুকুররা নাক গলাতে শুরু করেছে- ছেলেদের টাখনুর উপর প্যান্ট পড়া নিয়ে। যেখানেই এই চরিত্রের ছেলেদের পাচ্ছে, নিরিবিলি জায়গায় নিয়ে পিটানো হচ্ছে। শুরু হল,দলবেধে হিন্দুস্তানি পুলিশের উপর পাথর নিক্ষেপ। যখন দেখা গেল, ঘর থেকে ছোট বাচ্চারাও বের হতে পারছে না,তখন মায়েরাও ট্যাংকের সামনে গেলেন, রক্তাক্ত হলেন। যখন শুরু হল,হামদ গেয়ে যাওয়া এক শিশুর উপর হিন্দুস্তানি পশুর অত্যাচার,তখন সেই পিতামাতা যারা অন্যকে নিষেদ করতেন- কি দরকার বাপু এইসবে গিয়ে-তারাও নিজ সন্তানকে প্রতিবাদে নামতে বললেন। প্রতিবাদ মানে ইট-পাথর নিক্ষেপ/ রাস্তায় বিভিন্ন জিনিস ভেঙ্গে পথ রোধ/যারা তামাশা দেখার জন্য রাস্তায় ভাব মেরে বসে আছে তাদের জিনিসপত্র ভাংচুর।এদেরকে কাশ্মীরে বলা হয় শংবাজ। এই কথাগুলো কাশ্মীরের এক বোনের কাছ থেকে শোনা,যার দুই ভাই শহীদ। বাংলাদেশেও এমন আজগবী মানুষ আছে কিছু কিছু যারা জামায়াত শিবিরের ভাংচুর আর হরতালকে দেখিয়ে বলে 'এই তোমাদের ইসলাম কায়েমের নমুনা!' অপেক্ষা করুন,বাংলাদেশ তাহলে কাশ্মীর হতে বেশী দিন দেরি নেই।
Posted on: Wed, 17 Jul 2013 18:11:36 +0000
Trending Topics
Recently Viewed Topics
© 2015