কুরআন কি বলে যে ‘সূর্য - TopicsExpress



          

কুরআন কি বলে যে ‘সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে’’ ? --------------------------------------- কুরআনের বৈজ্ঞানিক তথ্য নিয়ে যে সমস্ত প্রশ্ন আছে তার মধ্যে মনে হয় এ প্রশ্নটি সবচেয়ে পুরনো। কুরআন কি আসলেই পৃথিবীর চারদিকে সূর্যের ঘূর্ণনের কথা বলছে? কোরআন কি বলছে পৃথিবী স্থির? বাংলাদেশের তথাকথিত প্রগতিশীল(?) লেখিকা তসলিমা নাসরিন এ প্রশ্নটি প্রায়ই তার বইয়ে এনেছে। এরই সূত্র ধরে তাদের উত্তরসূরী মুক্তমনারা এ প্রশ্নটি প্রায়ই করে থাকেন। আসুন কুরআনের দিকে আমাদের দৃষ্টিটা একটু নিব্‌ন্ধ করি।তারা মূলত যে দুটি আয়াত তাদের বক্তব্যের সমর্থনে ব্যবহার করেতা হল : তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহ রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে রাত্রিতে প্রবিষ্ট করেন? তিনি চন্দ্র ও সূর্যকে কাজে নিয়োজিত করেছেন। প্রত্যেকেই নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমণ করে তুমি কি আরও দেখ না যে, তোমরা যা কর, আল্লাহ তার খবর রাখেন? সূরা লোকমান ৩১:২৯, তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে। সূরা আম্বিয়া ২১:৩৩ আমার প্রশ্ন হচ্ছে এই দুই আয়াতে কোথায় বলা হল সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে ? বরং এখানে এমন একটি বৈজ্ঞানিক সত্যের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে যা সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে। এ আয়াতে বৈজ্ঞানিক কোন সত্যের দিকে ইংগিত করা হয়েছে সে বিষয়ে যাওয়ার আগে আমি ওই সকল উর্বর মস্তিষ্কপ্রসূত ব্যাখ্যার ধরন পাঠকদের অনুধাবনের জন্য একটি উদাহরন দিতে চাই। মনির সাহেব বললেন, “ভোরে মোরগের ডাক শুনেই আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। কিছুক্ষন বিছানায় এপাশ ওপাশ করার পর বাইরে বের হয়ে দেখি পূর্ব দিগন্তে মিষ্টি সোনালী সূর্য আস্তে আস্তে নিজের সম্পূর্ন সৌন্দর্য বিলিয়ে উদিত হচ্ছে”। নাস্তিক মুক্তমনার আঁতেল সম্প্রদায় এখানেও বৈজ্ঞানিক ভুল বের করার জন্য উঠে পড়ে লেগে যায়। তাদের জিলাপীর প্যাঁচসম কথাবার্তায় তারা প্রমান করে বসে যে মনির সাহেব বলেছেন “ মোরগের ডাকের কারনে সূর্য উদিত হয়”। Absurd! Absurd! সোজাসাপ্টা কথাকে উর্বর মস্তিষ্কের কসর তেরমা ধর্মে যে পর্যায়ে নিয়ে যায় তাতে যথার্থই তাদের আঁতলামি প্রতিভা প্রকাশিত হয়।কুরআন এখানে পরিষ্কার ভাবেই চন্দ্র এবং সূর্যের একটি নিদিষ্ট অরবিটে ঘূর্ণনের কথা বলেছে। চন্দ্র সম্পর্কে আমরা জানি এটি পৃথিবীর সাপেক্ষে ২৭.৩দিনে একবার আবর্তিত হয়। পৃথিবীও সূর্যের চারদিকে ঘুরে বলে এসময় কিছুটা বেড়ে গিয়ে ২৯.৫ দিন হয়। অর্থাৎ চন্দ্র তার নিজ কক্ষপথে পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে আসতে ২৯.৫ দিন সময় লাগে। অপরদিকে সূর্যের নিজ অক্ষে ঘুর্ণন এবং নিজস্ব অরবিটে গ্যালাক্সীর চারদিকে আবর্তন একটি সাম্প্রতিক আবিষ্কার। ১৫১২ সালে দেয়া কোপার্নিকাসের“Heliocentric theory” এর মতে সূর্য স্থির। ১৬০৯ সালে কেপলারের “Astronomia Nova ” নামক বইতে সব গ্রহের নিজ অক্ষেরচারদিকে ঘুর্ণনের কোন কথা বলা হয় নি। সাম্প্রতিক গবেষনায় দেখা গেছে সূর্য ২৫ দিনে নিজ অক্ষে একবার ঘূর্ণন সম্পন্ন করে। অতি সাম্প্রতিক গবেষনায় আমরা এর চেয়ে বিস্ময়কর তথ্য পাই। সূর্য 251km/s বেগে স্পেসের মধ্যদিয়ে 225-250 মিলিয়ন বছরে milkyway Galaxy এরকেন্দ্রের চারদিকে আবর্তিত হয়। অর্থাৎ বর্তমানে বিজ্ঞানের ঘোষনা sun rotates and revolves.ঠিক এ ঘোষনাই কোরআন ১৪০০ বছর আগে দিয়েছে। সূরা আম্বিয়ার ৩৩ নং আয়াতে যে শব্দটি ব্যবহৃতহয়েছে তা হল ‘ইয়াসবাহুন’। ‘সাবাহা’ শব্দটি থেকে এ শব্দটি এসেছে। এ শব্দটি কোন মাটিতে চলালোকের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হলে বুঝতে হবে সে হাঁটছে অথবা দৌঁড়াচ্ছে। এ শব্দটি পানিতে থাকা কোন লোকের ক্ষেত্রে বলা হলে এর অর্থ এই না যে লোকটি ভাসছে, বরং বুঝতে হবে লোকটি সাঁতার কাটছে। এ শব্দটি কোন মহাজাগতিক বস্তুর (Celestial body) ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হলে এর অর্থ করতে হবে এটা নিজ অক্ষে ঘুরছে সাথে সাথে কোন কিছুকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে। অতএব দেখা যাচ্ছে কোরআনের এ আয়াতগুলোতে কোন বৈজ্ঞানিক অসংগতি নেই বরং এখানে এমন কিছু বৈজ্ঞানিক তথ্যের প্রতি ইংগিত করা হয়েছে যা অতি সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে।
Posted on: Wed, 20 Aug 2014 13:10:36 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015