::ক্যাম্পাসঃঃ ১) মেডিকেল - TopicsExpress



          

::ক্যাম্পাসঃঃ ১) মেডিকেল কলেজ: ইহা একটি বিশেষ জায়গা, যেখানে এইচ.এস.সি তে ভাল ফলাফল করার জন্য শাস্তি দেওয়া হয়। ২) হল: সারারাত জেগে সকাল ৬ টায় ঘুমানোর জন্য পারফেক্ট জায়গা। তাতে কিন্তু শান্তি নাই, সকাল ৮ টার আগে ঠিক ই চোখের পাতা উপরে উঠে যাবে। ৩) ডাইনিং: পুষ্টিকর আর স্বাস্থ্যকর হালকা হলুদ গরম পানির ডাল পাওয়ার একমাত্র জায়গা। VACCINE এড় চেয়ে বেশি IMMUNITY এখানে GROW করে। ৪) ক্লাশরুম: ঘুমানোর জায়গা। ৫) লাইব্রেরী: কপোত-কপোতীর জন্য আদর্শ জায়গা। কপোতী পড়া বুঝায় আর কপোত ঘুমন্ত অবস্থায় মুগ্ধ হয়ে শুনে। ৬) অ্যাটেনডেন্স আর প্রক্সি: স্যার দয়াময় হলেও চলে না, বন্ধুদের দয়া ছাড়া 75% ক্লাশ উপস্থিতিও জুটেনা। এখানে স্যারের চেয়ে বন্ধুদের দয়ার উপর নির্ভর করে করতে হয় বেশি। ৭) ওয়ার্ড এ HISTORY নেয়া: একজনের দেখে অন্যজনের কপি-পেষ্ট করা, সাথে কিছু যোগ বিয়োগও থাকে। ৮) আইটেম: সকালের ঘুম বিসর্জন দিয়া, হাতে শীট, গাইড নিয়া পড়তে পড়তে যাওয়া। ৯) লেকচার: লেকচার মানেই ঘুমের মহাঔষুধ, সময়ের অপচয়, বাধ্যতামূলক ক্লাশে শারীরিক উপস্থিতি। ১০) লেকচারার বা প্রভাষক: যিনি শ্রেণীতে সাফল্যের সাথে Mphill কোর্সে ভর্তি হয়ে বা পাশ করে স্টুডেন্টের স্যার হন এবং পড়াতে পারুন আর না পারুন স্টুডেন্টেদের ঝাড়ি দিয়ে দেশি বিদেশী ডিগ্রীর স্বপ্ন পূরণে হাড়ভাঙা শ্রমে বিভোর থাকেন। ১১) প্রফেসর: যিনি ক্লাশ নিলে ঘুম আসে। প্রাচীণ যুগের ঐতিহাসিক নোট নিয়ে ব্যাচের পর ব্যাচ পার করেন, জুনিয়র টিচারের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে হস্তক্ষেপ করে স্টুডেন্টদের বাঁশ দেন। ১২) ভাইভা: স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলার উপযুক্ত সময়। যার জন্য একজন স্টুডেন্টকে ২ জায়গায় ২বার প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। একবার স্যারের সামনে আর আরেকবার সহপাঠী বন্ধুদের সামনে- “দোস্ত তোরে কি জিগাইছে? এর উত্তর কোনটা?” ১৩) ওয়ার্ড ফাইনাল: পকেটের টাকা উজাড় করে সকল পড়ুয়া বন্ধুদের নোট ফটোকপি করে নিশ্চিন্তে মুভি দেখা আর ঘুমিয়ে পার করার জন্য পারফেক্ট সময়। ১৪) পরীক্ষা: মাথা চুলকানোর বিশেষ জায়গা। যেখানে প্রত্যেক স্টুডেন্ট মাথা চুলকায়ে নতুন নতুন তত্ত্ব আবিষ্কার করে। যা পরীক্ষকের বোধগম্যের বাইরে। কারণ তিনি এই বিষয়ে কোন ডিগ্রী নেন নাই। ১ম দেড় ঘন্টা ভাবা হয় প্রশ্ন কোন গ্রহ থেকে দিয়েছে। দেড় ঘণ্টা পর মাথা চুলকায়া গ্রহের সন্ধান পাইলে লেখা শুরু হয়। পরীক্ষা শেষের ৩০ মিনিট হাতের লেখার স্পিড কেমন করে যেন বেড়ে যায়। ১৫) সাপ্লি : একই বিষয়ে একাধিকবার জ্ঞানার্জনের সুযোগ, বিশেষজ্ঞ হবার সুযোগ। ১৬) লেডিস হল: ছেলেদের জন্য নিষিদ্ধ জায়গা। যেটার ভিতরে যাওয়ার এবং দেখার প্রত্যেক ছেলের বুকের ভিতর একটি লালিত স্বপ্ন। ১৭) হতাশার মোড়: নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের কৌতুহুলের কমতি থাকেনা, তাকে জানার জন্য লেডিস হলের কাছে যে মোড়ের সৃষ্টি হয়, সেটাই আমার মতে হতাশার মোড়। শত শত হাজার হাজার ছেলে সেখান থেকে শূণ্য হাতে ফিরে আসে। ১৮) টিউশনি: যা স্টুডেন্টদের একমাত্র বাঁচার উপায়। ১৯) ক্যান্টিন: ২০ টাকার নাস্তা করেও ১০ টাকা দেওয়ার একমাত্র জায়গা। অনেকে টাকাই দেয়না। অনেকে খাতার উপর হাত চালায়, লেখে না। (নিজের চোখে হাত চালাইতে দেখা) ২০) ফটোকপির দোকান: ফটোকপি মেশিন একজন স্টুডেন্টের সবচেয়ে ভাল বন্ধু। বন্ধু বলেন আর আত্মীয় বলেন, একজন স্টুডেন্টের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা এই ফটোকপির দোকান। সারাবছরে ৫০০টাকার বই না কিনলেও চলে কিন্তু ২হাজার টাকার ফটোকপি না করলে চলে না। বলা যায়, স্টুডেন্ট লাইফ পুরোটায় ফটোকপির উপর নির্ভরশীল। ২১) ক্যাম্পাস বাস: একমাত্র লেডিস হলে সুসম্পর্ক থাকলে যেখানে সিট পাওয়ার সম্ভবনা থাকে।(পিকনিকের সময় দেখা) ২২) সিনিয়র: সিনিয়র হচ্ছেন সেই ব্যক্তি, যিনি জুনিয়র অবস্থায় র‍্যাগ খেয়েছেন এবং সিনিয়র হয়ে সেটা সুদে-আসলে তুলে নিয়েছেন । ২৩) জুনিয়র: যে রাস্তা ঘাটে, ঘরের সামনে, ডাইনিং এ, ক্যান্টিনে, বাথরুমের সামনে, ডিপার্টমেন্টের সামনে যে কাউকে সালাম দেয়। ২৪) ক্যাম্পাস প্রেম: সন্ধ্যাকালীন খাদ্যের বিনিময়ে (সাধারণত লেডিস হল থেকে আসে, কি ধরনের খাদ্য সে কথা আর নাই বা বললাম) প্রত্যেক ছেলের আত্নবিসর্জন। ছেলেদের জন্য বউ সেবার পূর্ব প্রস্তুতি।(রান্না তো যে কেউ করতে পারে, বাজার করার প্রস্তুতি :P) ২৫)অডিটোরিয়াম: যেখানে Principal স্যার আর প্রশাসনিক কর্মকর্তারা রাজনৈতিক নেতার মত স্টুডেন্ট উন্নয়নের মিথ্যা আশ্বাস দেন।পাশাপাশি এখানে স্টুডেন্টের নিজস্ব গুণ প্রদর্শনের সুব্যবস্থা থাকে । ২৬) ভালো স্যার (এইটা যে কোন স্যারই হতে পারে)ঃ একমাত্র তিনিই স্টুডেন্টদের মনের কথা বুঝেন এবং স্টুডেন্টের সার্বিক উন্নয়নে নিজের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। উনার হাত ধরেই একজন স্টুডেন্ট ভবিষ্যতের আলোর পথ দেখতে পায়। ২৭)ব্লকঃ যেখানে শিক্ষক এবং কতিপয় আঁতেল অতিশয় সরব আর আমজনতা নীরব (ব্লকড)। [২৭ নম্বরটা মণীষা দিদির সৌজন্যে] ২৮)......... ২৯)………………… ৩০)……………… (চলবে…) বি:দ্র: কারো দ্বিমত থাকলে, জানানোর জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। যুক্তিসঙ্গত দ্বিমত সংশোধন করা হবে এবং নতুন কোন ধারণা থাকলে, সেটাও যুক্ত করা হবে। সবশেষে আরেকটা অনুরোধ, লেখার কথাগুলিকে কেউ সিরিয়াসলি নিবেন না। __________________ লেখাঃ Himel Biswas [Mymensingh Medical College]
Posted on: Wed, 17 Sep 2014 03:12:32 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015