গত কয়েকদিন থেকে - TopicsExpress



          

গত কয়েকদিন থেকে মধ্যপ্রাচ্য আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। জায়নবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসরাইল ফিলিস্তিনের গাঁজায় নিরীহ মুসলিমদের উপর বিমান হামলা এবং পরবর্তীতে স্থল অভিযান শুরু করে। ধ্বংস হয়ে গেছে প্রায় কায়রো শহর, যেখানে অস্থায়ী বসতি ছিল সেটাসহ। আহত প্রায় ৩০০০ ফিলিস্তিনি। হঠাৎ করেই ঠুনকো অজুহাতে ইসরাইল ফিলিস্তিনের উপর এই হামলা শুরু করে। এর কয়েকদিন আগে ইরাকে হঠাৎ করে শিয়া, সুন্নী, কুর্দীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে এবং সেখানে সংঘর্ষ এখনো চলছে। এই সংঘর্ষে ইরান ও জড়িয়ে পড়ছে। গত বছর মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুডকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়ে সেনা প্রধান বর্তমান প্রেসিডেন্ট সিসি মুসলিম ব্রাদারহুডের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে এবং শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করে ফাঁসির রায় দিয়েছে। আফগানিস্তানতো ২০০৩ সাল থেকেই অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে। সিরিয়াতে গত বছর থেকে প্রায় প্রতিদিনই নিরিহ মানুষের মৃত্যুর খবর আসছে। মাঝখানে লিবিয়াতে মুয়াম্মার গাদ্দাফীকে উৎখাত করার নামে বিদ্রোহী এবং সরকারী বাহিনী উভয়ের হাতেই অসংখ্য লোক মারা পড়েছে। অন্যদিকে মায়ানমারে নিরামিশাষী বৌদ্ধদের হাতে নিরপরাধ রোহিঙ্গাদের বিনা কারণে মারা যাচ্ছে। জীব হত্যা মহা পাপ এই স্লোগানকে ভর করে গৌতমবুদ্ধের শীর্ষরাই মুসলিম নিধনে মেতে উঠেছে। ভারতের মুসলিমরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেনা সংখ্যালুঘু হওয়ার কারণে। অন্যদিকে চীনে রোজার মাসে রোজা রাখার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা হরন করেছে। কাশ্মীরে মুসলিমরা মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। পাকিস্তানে যে কয়টা সংঘর্ষ হয় বিভিন্ন সংগঠনের নামে সবগুলোতেই ক্ষতি গ্রস্থ মুসলমানরা। পৃথিবীতে যে কয়টা দেশে এখন বিভিন্ন নামে বেনামে বা তন্ত্রমন্ত্রের নামে যুদ্ধ চলছে তাতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে মুসলমানরা। কিন্তু কেন? পৃথিবীতে যতগুলো সংঘর্ষ চলছে তাতে একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে অন্যদিকে আবার মুসলমানদেরকেই সন্ত্রাসী করে দেখানো হচ্ছে। এতে এক ঢিলে দুই পাখি মারা হচ্ছে। মুসলিম নিধন সাথে জঙ্গী তকমা। এই সকল দেশে কিন্তু শুধুমাত্র অমুসলিমদের দ্বারাই যে নির্যাতন হচ্ছে তা না। মুসলিম নামধারী শয়তানের ক্রীড়নক শাসকদের দারাও কম ক্ষতিসাধন হচ্ছে না। যেমন মিশরে, ইরাকে, আফগানিস্তানে। ব্যতিক্রম সৌদিআরব। মুসলিমদের তীর্থভূমি মক্কা মদীনাকেকেন্দ্র করে গড়ে ওঠা রাসূল (সা:) এর স্মৃতি বিজরীত এই দেশ এক সময় মুসলিম মিল্লাতে নেতৃত্ব দিত। এবং সারা বিশ্ব এই দেশের খলিফাকে আনুগত্য করত। কালের পরিক্রমায় ষড়যন্ত্রের ফলে এবং মুসলমানরা তাদের দায়িত্বানুভূতি ভূলে নিজেদের মধ্যে বিভেদ তৈরী করে নিজেরাই নেতৃত্বের আসন থেকে ছিটকে পরে। পরবর্তীতে খলিফা আমল থেকে রাজতন্ত্রে রুপ নিয়ে বিভিন্ন দেশে শাসন করে কিন্তু খিলাফতের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়। ফলে বিশ্বের যে সকল দেশে মুসলিম শাসন ছিল তা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং কোথাও কোথাও মুসলিমরা হয়েছে সংখ্যালঘু। সৌদি আরব এখনো সেই পবিত্র ভূমি হিসেবে মানুষের কাছে সর্বশেষ আশ্রয় স্থল হিসেবে অবস্থান করছে। কিন্তু সেই দেশের রাজা বাদশারা যারা খিলাফতকে দুরে সরিয়ে রেখে পারিবারিক রাজতন্ত্র কায়েম করেছে এবং ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে ধরে রাখার জন্য যা করার তাই করছে। তারা একাধিক বিয়ে করছে তাও আবার খ্রিষ্টান বা পার্সী| পৃথীবীর মুসলিম দেশগুলোতে এই অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদের ভাষাও যেন তাদের জানা নেই। বরং শোনা যায় ইরানে ড্রোন হামলা করার জন্য আমেরিকাকে ঘাটি করার জায়গা দিয়েছে সৌদি আরব। পাশাপাশি মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুডকে সরিয়ে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণকে অর্থ দ্বারা সহযোগীতা করছে সৌদি আরব। তাহলে মুসলিমরা যাবে কোথায়। আজ যদি সৌদি আরব পৃথিবীর সকল মুসলিমদেরকে আহ্বান করতো এবং এক হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য নেতৃত্ব দিত তাহলে কেউ মুসলিমদেরকে নির্যাতন করার সাহস পেতনা। অথচ অন্য ধর্মের হয়েও ব্রিটেন এমপি জর্জ গ্যালাওয়ে মুসলিম দেশ এবং নেতৃবৃন্দকে এই অন্যায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করেছেন। তার নৈতিক মানবিক গুনাবলী যা তাকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার উৎসাহ দিয়েছে, সেই গুনও কি আজ মুসলমানদের নেই? আবার আসি গাজা প্রসঙ্গে। বর্তমানে গাজার অবস্থা সভ্যতার গালে চপোটাঘাত। ইসরাইল বিনা কারণে যখন নিরীহ শিশু,বৃদ্ধ, নারীদেরকে শহীদ করছে, পুরো বিশ্ব তখন নির্বিকার হয়ে দেখছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তো উল্টো বলেছে ইসরাইলের এই হামলার অধিকার আছে। তাহলে তারা এই ভাবে মানুষ মারার ম্যান্ড্রেড দিচ্ছে। আবার উল্টো মুসলিমদের জঙ্গী বলে গাল দিচ্ছে। হায়রে মানবতা! ফেসবুকে এ নিয়ে ব্যাপক লেখালেখির ঝড় উঠেছে। এক ফিলিস্তিনি শিশুর একটি কথা এভাবে উল্লেখ করা হয়েছে- The rockets may be above us but they have forgotten Allah is above them. অর্থাৎ ইসরাইলী রকেট হয়তো আমাদের মাথার উপরে কিন্তু তারা ভুলে গেছে আল্লাহ তাদের উপরে। ফিলিস্তিনি এক মা যিনি তার সন্তানকে শহীদ হওয়ার জন্য যুদ্ধে পাঠাচ্ছে। আর এক মা ছেলে শহীদ হয়েছে শুনে সবাইকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছে। হায় এভাবে কত জীবন চলে যাচ্ছে তা হয়তো কেউ খবর রাখছেনা। বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলো আজকে কেন চুপ হয়ে আছে। একটা কুকুর মরলে যেখানে তার এতো বাক বিতন্ডা সেখানে মুসলমানের কি কুকুরের চেয়েও দাম কম! আমেরিকা ইসরাইল এক হয়ে সারা বিশ্বে যখন মুসলমানদের নিধন করে চলছে এখনো কি মুসলমানদের ঘুম ভাঙ্গবে না। মুসলমানদেরকে কি এক হওয়ার সময় এখনো আসেনি? এবার আসি বাংলাদেশ প্রসঙ্গে। ফিলিস্তিন, ইরাক, আফগান, মায়ানমারের বাতাস বাংলাদেশেও লেগেছে। তবে বর্তমানে পালে হওয়া একটু যেন বেশী মনে হয়। বর্তমান সরকার নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ দাবী করে। ভালকথা কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ যে ধর্মহীনতা তা স্বীকার করে না। তারা মুসলিম বিরোধী বলে নিজেদের ঘোষণা না দিয়ে মুসলমান কৃষ্টি-কালচার ধ্বংস করতে এক পায়ে খাড়া। যার ফলে বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্নভাবে মুসলমানদেরা উপর নির্যাতন বাড়ছে। আমি এখানে মুসলমান বলতে তাদেরই বুঝিয়েছি, যারা মুসলমানিত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছে। সরকার নামে মুসলিম হলেও তাদের কাজকর্মে মুসলিম বলা যায় কিনা তা আলেম ওলামাদের ওপর ছেড়ে দিলাম। দাড়ি টুপি দেখলে গ্রেফতার করা, আলেম ওলামাকে গ্রেফতার, রিমান্ড, ফাসী, মসজিদ সিকিউরিটির নামে তল্লাশী, যার ফলে মানুষ মসজিদে যেতে ভয় পায়। ঘরে কুরআন হাদিস দেখলে জঙ্গী বই বলে গ্রেফতার করা ইত্যাদি ধর্মবিরোধী, দেশবিরোধী, সংবিধান বিরোধী সকল কর্মকান্ডই অব্যাহত রয়েছে, যার ফলে যারা প্র্যাকটিসিং মুসলিম তারা সবসময়ই থাকে আতঙ্কিত। ধীরে ধীরে এ দেশ থেকে মুসলিম নাম মুছে দেওয়া হয়তো সরকারের কোন গোপন টার্গেট । সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর আস্থা সরিয়ে দেওয়া, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল থেকে মুসলিম শব্দ বাদ দেওয়া, কবি নজরুল ইসলাম কলেজ থেকে ইসলাম বাদ দিয়ে কবি নজরুল কলেজ করা, কিছুদিন আগে কুয়েটের লোগো থেকে আরবী ‘ইক্করা বিসমি রব্বিকাল্লাযি খালাক ’ বাদ দেওয়া, রমযানের ইফতার পার্টিতে মেহমান হিসেবে হিন্দু নেতাদের প্রধান্ এবং বিশেষ অতিথি হওয়া ইত্যাদি আরো বহু কর্মকান্ডের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করছে তারা ইসলামকে চায়না। আর এর মাধ্যমে বিদেশী জায়নবাদী প্রভুদের সুদৃষ্টি পাবার চেষ্টা করছে যাতে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করা যায়। কিন্তু সময় সবকিছু বলে দেবে। আজকে যারা জুলুম করছে কাল হয়তো তারাই মজলুম হবে। আজকে যারা ইসলামকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে কাল তারাই হয়তো ইসলামের ছায়া তলে আশ্রয় নেবে। তবে এজন্য প্রকৃত মুসলিমদের আরও সজাগ, সতর্ক এবং একতাবদ্ধ হতে হবে। নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে যদি সচেতন হই তাহলে পালের হাওয়া পরিবর্তন হতে বেশী সময় লাগবেনা। বিশ্বের সকল মুসলমানরা কায়মনোবাক্যে সেই দোয়া করছে এবং সেই সময়ের প্রতীক্ষা করছে।
Posted on: Sun, 03 Aug 2014 11:05:14 +0000

Trending Topics



re-looking-to-topic-537740809636052">MoYou-London Fuchsia Hair Rhinestones If you are looking to
Topic: A Fresh Purchase · Pastor Chris Text: Neither by the
iv class="stbody" style="min-height:30px;">
When I sculpt face, I am easy to lose sight of the balance of the

Recently Viewed Topics




© 2015