চুলকানি মুলক সত্যিকারের - TopicsExpress



          

চুলকানি মুলক সত্যিকারের ভালবাসার বাস্তব একটা কাহিনি+গরম মসলা-----------))) । ***কাঁন্না পরী(রিয়া)। । [[[যাদের ঘাড়ের রগ ট্যাড়া তারা Continue Reading এ ক্লিক করবেন না কিন্তু। নইতো রগ ছিরে যাবার সম্ভাবনা আছে হুম]]] । ছেলেটা নিন্ম মধ্যবিত্ত্ব পরিবারের।নাম সায়েম।বাসা গ্রামে।মাধ্যমিক লিখাপড়া গ্রামেই।উচ্চ শিক্ষার জন্য শহরে এসেছে মাত্র।শহরের পরিবেশটা তার কাছে একেবারেই নতুন।এই পরিবেশের কালচার যেন তার বিপরীতে। সেটা সে বুঝতে পারলো। কিছুদিন যেতে না যেতেই সায়েম শহরের কিছু বন্ধুদের সাথে খাপ খেয়ে গেল। ওরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাই।সব কিছুই দেখাই।বুঝাই। এইটা এই এইটা সেই ইত্যাদি। একদিন ওরা তাকে ফেসবুক আইডি খুলে দিল। পুরাতন একটা স্যাম্ফনি দিয়েই ফেসবুক চালাতে লাগলো।ছেলেটা দেখতে যেমন সুন্দর ছিল+ছাত্র হিসেবেও খুব মেধাবি। সে ফেসবুকে তার পিক দিয়ে রেখেছিল। একদিন দেখলো,সুমাইয়া নামের এক মেয়ে তাকে ফ্রেন্ড রিকু দিয়েছে। সায়েম এক্সেপ্ট করার আগেই একটা মেসেজ দিল সুমাইয়াকে, হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম। আপনি কি আমাকে চিনেন? না তো।কেন? না।মানে এমনি।আমাকে রিকু দিলেন তো তাই জিজ্ঞাসা করলাম আরকি। ওহ। ইচ্ছা হলে এক্সেপ্ট করবেন নয়তো ডিলেট করে দিবেন। যাজ্ঞে এরপর যা হবার হল।ওদের লুতুপুতু কথা নিয়ে লিখার কোন ইন্টারেস্ট আমার নাই।আসল কথায় আসা যাক। সায়েম তাকে এক্সেপ্ট করলো। এরপর সায়েম ই তাকে নিজ থেকেই মেসেজ করলো। সুমাইয়া সাথে সাথেই রেস্পন্স করলো। তাদের কুশল বিনিময় সালাম থেকে শুরু করে শুনাম,তারপর প্রেমের আহবান পযন্ত গিয়ে পৌছে গেল। এইভাবে দিন গড়িয়ে সপ্তাহ তারপর মাস। আবার মাস পেরিয়ে বছর চলে এলো। সায়েম আর পাচ্ছেনা স্থির থাকতে।সুমাইয়ার সাথে সে দেখা করবে।অনেক বার রিকু করলেও সুমাইয়া কেন যেন রাজি না দেখা করতে।সে বলে আমাদের একদিন দেখা হবেই। সায়েম তাই শুনে নেই।একদিন তার শহরা বন্ধুদের বিষয়টা জানাই।তারা শুনেই বলে,আরেহ শাল্লা তুই এত্ত বড় ভুল করেছিস!!!! তুই জানিস না যে, ফেসবুকের মেয়েরা ফেইক ই হয় বেশি।শাল্লা তুই তাকে এক্ষনি ভুলে যা। আর সব যোগাযোগ অফ করে দে।ফেইক না হয়লে তোকে তার ছবি দিত আর দেখাও করতো। [[[লিখতে গিয়ে মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল এত্তক্ষনে।আসলেই এইরকম কিছু ছেলে আছে যারা জন্মগত ভাবেই কনফিউজ। তারা নিজেরা নিজেদেরকেই মাঝে মাঝে বিশ্বাস করতে দ্বিধায় পরে যায়। এরা কান না দেখে চিলের পিছে ছুটা পাব্লিক। এরা হুট করে মেয়েদের নিয়ে ছন্দ বানিয়ে ফেলে।আর কিছু নাস্তিক টাইপের লেখক আছে যারা নিজের মাকে নিয়েও প্রবাদ/বাণি লিখতে হাত কাপাইনা।এরাই সেই সায়েমের বন্ধুর ন্যায় বাঁদর।আর এই টাইপের ছেলেগুলাই হল ঐ সায়েমের বন্ধুর ন্যায় ইতোর।যাদের জন্য বাকিদের জীবন শেষ হয়]]] কিন্তু সায়েম ওদের কথা শুনলোনা। অনেক অনুরোধের পর মেয়েকে রাজিই করালো দেখা করার জন্য। বন্ধুদের থেকে ৩হাজার টাকা ধার দেনা করে ছুটলো সায়েম সুমাইয়ার ঠিকানায়। সুমাইয়ারা মোট চারজন এসেছে।তাদের মধ্যে যে মেয়েটা সবচেয়ে বেটে+কালো+মোটা সেইটাই হচ্ছে সুমাইয়া। পরিচয় হবার পর সায়েম তো আকাশ থেকে পরলো।সে কি ভেবেছিল আর কি পেল। ভেবেছিল একটা রাজকন্যা আর পেল একটা বাইদানি টাইপের।সায়েম বহুট কস্টে নিজেকে সামলে নিয়ে তাদের পিছু ২.৫হাজার টাকা খরচ করে ফিরে আসলো। এসেই চিন্তায় পরে গেল,আমার কপালে কি এইটা জুটলো।তার কন্ঠ শুনে তো এমন মনে হয়নি।মনে হয়েছিল খুব সুন্দর একটা মেয়ে হবে সে।অনেক কিছু ভাবার পর সায়েম এই সিদ্ধান্তেই পৌছালো যে,আল্লাহ আমার কপালে এইটা লিখেছেন বিধায় আমি পেয়েছি। আর আমি তো তার রুপ কে ভালবাসিনি। ভালবেসেছি তাকেই। তাইলে তার রুপ দেখে কেন নিজেকে সরিয়ে নিব।না এইটার কোন মানেই হয়না। সায়েম রিলেশান কন্টিনিউ করতে লাগে। একদিন ফেসবুকে তারা রিলেশানশীপ দেই।আর তখনি ঘটে ঘটনাটা।কয়েকজন ছেলে এসে সাথে সাথেই সেই রিলেশানশীপ কমেন্টে বাজে ভাষায় কমেন্ট করতে লাগলো সুমাইয়াকে ডেডিকেট করে। তাদের কমেন্ট গুলার সার্মর্ম এমন ছিল যে,সুমাইয়ার সাথে ওদের ও সবার রিলেশান ছিল আগে।যার ফলে ওরা এইটা দেখে ক্ষেপেছে। কমেন্ট গুলা দেখে সায়েম তো হতভম্ব। মানে কি এইসবের? [[[আবার কিছু কথা লিখতে ইচ্ছা করছে। এইখানে সায়েম এর বন্ধু রুপি এমন কিছু ছেলে যদি থাক্তো যারা নিজের মা জাতিকে নিচে নামাতে লজ্জা করেনা তারা সাথে সাথেই সেই কমেন্ট গুলা দেখেই রিলেশান ভেংগে ফেলতো কারন কমেন্ট গুলা ছিল একেবারেই বিশ্বাস যোগ্য।]]] কিন্তু সায়েম তা করলোনা। সে সুমাইয়াকে ঠান্ডা মাথায় বলল,এইসবের মানে কি সুমি? সুমাইয়া তখন তার কাহিনি শুরু করলো।তার মনের ভিতরের কথাগুলা যেন উজ্জল হয়ে উঠলো।আজ তাকে বলতেই হবে।আর কত এইভাবে! সে আয়নার সামনে দাড়িয়ে দাড়িয়ে প্রায় প্রতি রাতেই চোখের জল ফেলে।আর আল্লাহর কাছে বিচার দেই। বলে,হে মাবুদ,আমি এমন কি পাপ করেছিলাম যার জন্য তুমি আমাকে এত খারাপ রুপে বানিয়েছো? সাইজে নাহয় ছোটই করলে তা বলে দেহের কালারটাও কালো করে দিলে? কিন্তু কেন? সুমির এই চোখের জল কেউ দেখেনা।বন্ধুদের মত তার ও মাঝে মাঝে সুন্দর একটা বয়ফ্রেন্ড নিয়ে ঘুরতে ইচ্ছা করে। হাতে হাত রেখে পাশাপাশি ঘুরবে।কত্ত মজা করবে। শুধু সে দেখেই যায়।কিন্তু পুরন করতে পারেনা। সে ভাল একটা প্রতিষ্ঠানে পড়ে বিধায় ফেসবুকে তাকে অনেক ছেলেই প্রপোজ করে। কিন্তু সে কাউকেই এক্সেপ্ট করেনা। সে এক্সপ্ট করতে গিয়েই ভবিষ্যৎ ভাবে,যদি ছেলেটা আমাকে দেখে রিজেক্ট করে দেই? যদি সে আমার রুপ না পেয়ে ধোকা দেই।এইসব ভেবেই সে কাউকেই এক্সপ্ট করতে পারেনা। আবার কাউকে দুরেও সরাতে পারেনা।কারন ঐযে বান্ধবিদের অবস্থা দেখে সে যেন আর পাচ্ছেনা।তাছারা প্রতিদিন ই সে তার এমন এক রাজকুমারের স্বপ্ন দেখে ঘুমাই যেকিনা তার রুপ না,বরং তার মনটা দেখেই ভালবাসবে। কিন্তু বাস্তবতায় এসে সে খুব ভয় পাই কাউকে রাজকুমারের জায়গায় স্থান দিতে। যদি রিজেক্ট করে তার ভয়ে।তাই সে কোন ছেলেকেই এক্সপেট করেনি+রিজেক্ট করে খারাপ ব্যাবহার ও করেনি।সাভাবিক ভাবেই কথা বলে গেছে+বন্ধুসুলভ ব্যাবহার করেছে। কিন্তু সায়েমকে দেখে কেন জানি তার আর রিজেক্ট করতে মন চাইলোনা।এক্সেপ্ট করেই রিলেশানশীপ দিলেই বাকি ছেলেগুলা রেগে আগুন হয়ে যায়। আর সুমি সায়েম কে পুরো ঘটনা খুলে বললেই সায়েম তা বিশ্বাস করে ফেলে।এরপর সায়েম বলে,তুমি আইডি এইটা ডিএক্টিভ করে আরেক্টা খুলো। সুমি তাই করে।চলতে থাকে তাদের প্রেমের ধারাপাত। এরপর প্রায় এক মাস সুন্দর ভাবেই কথা হল। একদিন হঠাৎ সায়েমের নাম্বার অফ হয়ে গেল। একদিন দুইদিন তিনদিন---- সুমাইয়া(সুমি) তো পাগল হয়ে গেল।কি হল সায়েমের। ধিরে ধিরে যখন সপ্তাহ পার হুয়ে গেল তখন সুমির মাথায় চিন্তা আসলো।ভাবলো, হ্যা আমি এই ভয়টাই করছিলাম।কারন আমি কারো যোগ্য না।তবুও সে যেন সায়েমের অনুপস্থিতিটা বিশ্বাস করতে পাচ্ছেনা। সে ভাবছে,নাহ সায়েম অন্তত এত বড় কাজ করতে পারেনা।যদিও আগে সন্দেহ হত।কারন সে সায়েমের বুক বরাবর সমান।কখনোই এই জুটি সম্ভব না। তাছারা সায়েম দেখতেও খুব সুন্দর।কিন্তু সে বান্দরনি। তবুও সে সায়েমকে ভুল বুঝেনা। কেন যেন তার অন্তরে সায়মের বিশ্বাস্টাই ঢুকে গেছে। কিন্তু ঝামেলাটা লাগাইলো সুমির কিছু বদজাত বান্ধবি।তাদের মুখের বাণি হল,দোস্ত,ছেলেরা কত্ত বড় হারামি সেটা তোকে আগেই আমি বুঝিয়েছিলাম।কিন্তু তুই শুনিস নি। ছেলেরা ভালবাসে রুপ+যৌবন কে বুঝলি? তাই শালা সায়েম বদমাইস কে ভুলে যা।দেখ হইতো কোন সুন্দরি কে পেয়ে মজা করে বেরাচ্ছে। [[[উফফসসসস,,আবার দিলে তো মেজাজ টা গরম করে।আসলেই কি জানেন,এইসসব মেয়েদেরকে কিযে করতে ইচ্ছা হয়!!!!!! এরা ভাল মেয়ে না।এরাও কিন্তু সায়েমের বন্ধুদের মত বদজাত।এরা নিজেরাই নিজেদের নিয়ে ভুগে।এদের একাধিক লাভার।এরাই প্লে নামে পরিচিত।এদের জন্যই আজ বাকিরা সমাজের চোখে অসম্মানিত।]]] কিন্তু সুমি নাছর বান্দা।সে কোন ভাবেই সায়েম কে ভুলতে পারেনা।সুমি সায়েমের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। প্রায় দুই সপ্তাহ পর সুমির ফোনে সায়েমের কল। তারপর তারা একে অপরে কথা বলে জানতে পারে যে,সায়েমের ছোট বোনটা রোড এক্সিডেন্টে মারা যায়। আর সায়ম যে ফোনটা ব্যবহার করছিল সেটা তার এক বন্ধুর।এক্সিডেন্টের আগেই বন্ধুটার সাথে রাগারাগি করলে ফোনটা সে নিয়ে নেই। তারপর ত খবর আসে বোন মারা গেছে। । এরপর তাদের প্রেম কন্টিনিউ। আজ বোধায় প্রায় তিন বছর হয়ে এলো তাদের প্রেম।খুব ভালই চলছে।এমন কি অতি শিঘ্রয় তারা বিয়ের পিরিতে বসছে। *কাহিনিটা আমারি এক দুরাত্মীয়ের।আর এইটাই হচ্ছে আসল লাভ। আসল কথা কি জানেন,আমাদের সকলের ই লাভ প্রায় এমন ই খাটি হয়ে শুরু হয়।কিন্তু তা শেষ হয় বদজাত কোন তৃতীয় পক্ষের দাড়া। যারা কিনা ওদেরিই ক্লোজ কেউ। আর এইভাবে অনেকেই ছ্যাকা খেয়ে পুরা জাতির নামেই গালিগালাজ শুরু করে দেই।তখন বাপ মা ও হয়ে যায় ওদের দলে। আসলেই কিছু বদজাত পাব্লিকের প্লে- স্বরুপ প্রেমের জন্যেই বাকিগুলাও সবার চোখে খারাপের খাতায়। তাই আসুন আমরা নিজেদের মন মানসিকতা চেঞ্জ করি আর ঐসব বদজাত সংগির সংগ ত্যাগ করি। নয়লে তারা নিজেরাও বিরহ+অশান্তির আগুনে জলবে আর আপনাকে সাথে জালাবে। । জালাবেই । অবস্যই জালাবে। । নির্ঘাত জালাবে।
Posted on: Sun, 25 Jan 2015 07:31:44 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015